Connect with us

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

শেয়ারদর

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের এ ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে একটি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন। দিনটি উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর পরাধীন থাকা যাবে না। বাঙালি জাতিকে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক মুক্তি দিতে হবে। এ চিন্তা থেকেই তিনি ধাপে ধাপে এদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার চেতনায়। প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। তারই একটি অংশ হচ্ছে ৭ মার্চ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে ৬৯ সালের অক্টোবর মাসে আমার বাবা লন্ডনে গিয়েছিলেন। লন্ডনে থাকার সময় ওইখানে টরকি নামক একটি জায়গা সমুদ্র সৈকত আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সেখানে চলে যান কিছু আলোচনা করার জন্য। ফেরার পথে সেখানে কিছু মডেল ভিলেজ, সেই মডেল ভিলেজগুলো দেখেন। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি এ বাড়িঘর কেন দেখেন। আমাকে বলেছিলেন বুঝলি না আমাদের দেশ একদিন স্বাধীন হবে, আমাদের প্রত্যেকটা গ্রামকে এভাবে সুন্দরভাবে সাজাবো। স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল। তিনি সেটা তখনও বলেননি তিনি কাজ করে গেছেন জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট পরিবেশ ও তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষণে কি বলতে হবে অনেকেই অনেক কথা বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিতে লাগলেন। কিন্তু আমার মা তখন আমার বাবাকে বলেছিলেন অনেকে অনেক কিছু বলবে, তোমার কারো কথা শোনার দরকার নেই। এদেশের মানুষের জন্য তুমি সারাজীবন সংগ্রাম করেছ, তুমি জানো কি বলতে হবে। তোমার মনে যে কথা আসবে তুমি শুধু সেই কথাই বলবে, আর কোনো কথা না। তখনকার পরিস্থিতিটা ছিল যে খবর এসেছিল আমাদের কাছে যে পাকিস্তানি মিলিটারি তখন হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে তৈরি। এদিকে লাখো জনতা চলে এসেছে ছুটে কি নির্দেশনা দেবেন নেতা। মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা তাদের আকাঙ্ক্ষার বাণী শোনানো আবার শত্রুর পক্ষকে বিরত রাখা। ৭ মার্চের ভাষণে কিন্তু সেটাই স্পষ্ট ছিল। তিনি কিন্তু সব কথা বলেছিলেন গেরিলা যুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেছিলেন যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন পাশাপাশি সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলতে বলেছিলেন সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি সেনারা তখন সেখানে কর্মরত ছিল তারা অনেক বই লিখেছে। তারা লিখেছে, উনি যে কি বলে গেলেন, আমরা স্তব্ধ হয়ে থাকলাম আমরা কোনো অ্যাকশনে নিতে পারলাম না। ৭ মার্চের ভাষণের পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুকে যখন বন্দি করে রাখা হয় তখন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলা চলাকালে আমাদের এখান থেকে অনেক সাংবাদিক, অনেককেই নিয়ে যায় সাক্ষী দেওয়ার জন্য। আমাদের একজন সাংবাদিক ছিলেন নাজমুল হক, বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন উনাকেও সাক্ষী দিতে নিয়ে যায়। আমার স্বামী অ্যাটমিক এনার্জিতে কর্মরত ছিলেন ওই সময় নাজমুল হকের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে এবং সে বলল ৭ মার্চের ভাষণের শেখ মুজিব কি কথা বলেছিল, সেটার ব্যাখ্যা চেয়েছিল। এ ভাষণের ব্যাখ্যা খুঁজতে খুঁজতেই তাদের সময় গেছে। স্বাধীনতার পর তিনি যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলা হয়েছিল‌। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ। এমনকি ইতিহাস লিখতে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম আসবে। একটা পেয়ে অনেক ছবি, আমার এখনো মনে আছে তার মাঝখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি সেটাকে কাগজ দিয়ে ঢেকে আঙুল দিয়ে চেপে ধরে দেখানো হচ্ছে টেলিভিশনে। কিন্তু ওই ছবিটা দেখানো যাবে না, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না সেটাই আজ প্রমাণ হয়েছে ‌৭ মার্চের ভাষণ আজ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান আজকে আমাদের জাতীয় স্লোগান। ৭ মার্চের এ ভাষণ শুধু বাঙালি বা আমাদের না এটা ইতিহাসে জেনে তারা ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে সে ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবেই আজ স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো এ দিনে সে প্রতিজ্ঞা আমরা নিচ্ছি।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়

আজ ঢাকায় আসছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

শেয়ারদর

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদুয়া টাঙ্গারা মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে ঢাকায় আসছেন। তিনি তিনদিন বাংলাদেশ সফর করবেন।

পশ্চিম আফ্রিকান দেশ গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা চেম্বারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে দুদেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক সই হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথমবার ঢাকা সফর করেছিলেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদুয়া টাঙ্গারা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

Published

on

শেয়ারদর

সাভারের আমিন বাজারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল এক বিজ্ঞপ্তিতে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার সাভারে আমিন বাজার পাওয়ার গ্রিডে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তাৎক্ষণিভাবে ৭টা ২০ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে যুক্ত হয় আরও ৮ ইউনিট।

বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জানিয়ে আরও বলা হয়, প্রথমে ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও সকাল ৮টা ৩৯ মিনিটে যুক্ত হয় ফায়ার সার্ভিসের আরও একটি ইউনিট।

প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

১০ বছরে সীমান্তে ৩০৫ বাংলাদেশি নিহত

Published

on

শেয়ারদর

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গত ১০ বছরে সীমান্তে কমপক্ষে ৩০৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৮২ জন।

সোমবার (১০ মার্চ) মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এইচআরএসএস জানায়, সীমান্তে ২০১৫ সালে ৪৩ জন, ২০১৬ সালে ২৮, ২০১৭ সালে ৩০, ২০১৮ সালে ১৫, ২০১৯ সালে ৪২, ২০২০ সালে ৫১, ২০২১ সালে ১৭, ২০২২ সালে ২৩, ২০২৩ সালে ৩০ ও ২০২৪ সালে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও এ সময়ে সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮২ বাংলাদেশি আহত হন।

২০২৪ সালেই সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ৫৭টি হামলার ঘটনা ঘটে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত বিএসএফ কর্তৃক ১৫টি হামলার ঘটনায় ৪ জন বাংলাদেশি নিহত, ১০ জন আহত ও ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক ও খাসিয়াদের হামলায় ৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বিভিন্ন সময়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারত সিদ্ধান্ত নিলেও এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। তাই হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

এ বিষয়ে এইচআরএসএসের নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে। সীমান্ত এলাকায় সব সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলোকে মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখবেন ট্রাম্প: ড. ইউনূস

Published

on

শেয়ারদর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশকে ‘বিনিয়োগের ভালো সুযোগ’ ও বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখবেন, এমনটিই প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে এমনটাই জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। সোমবার প্রকাশিত গার্ডিয়ানের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্পঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। তার কাছে এ প্রস্তাবনা উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আসুন, আমাদের সঙ্গে ডিল (চুক্তি) করুন। তিনি স্বীকার করেন যে ট্রাম্পের প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তবে তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, সম্পর্ক ‍উন্নয়নের গণতান্ত্রিক এই প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।

ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউএসএআইডি তহবিল কাটছাঁট করেছে ও বাংলাদেশের ওপর বিনা প্রমাণে অভিযোগ এনেছে যে, তারা সাহায্যের অর্থ ‘চরম বামপন্থি কমিউনিস্ট’ নির্বাচনে ব্যবহার করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে ও ইউনূসের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউনূস ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কের জোটকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি এই বিলিয়নিয়ারকে বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এপ্রিল মাসে মাস্কের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের অবকাঠামো আধুনিকীকরণের পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইউনূসের এই আহ্বান বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এসেছে। ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউনুস শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের উত্তরাধিকার মোকাবিলা করছেন। হাসিনার শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও ভঙ্গুর অর্থনীতি বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করে রেখেছিল। হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যে বিদ্রোহ হয়েছিল, তাতে ১,৪০০-রও বেশি ছাত্র-জনতা নিহত হন। এর ফলে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে এবং সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ভেঙে পড়ে।

ইউনূসের সামনে বাড়তে থাকা অভ্যন্তরীণ চাপগুলো হলো-
নিরাপত্তা শূন্যতা: হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতা হারানোর পর পুলিশ বাহিনী তাদের দায়িত্বে ফিরে যেতে একপ্রকার অনিচ্ছুক, যার ফলে কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান ও সংখ্যালঘুদের ওপর হয়রানি বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা।

ইসলামপন্থিদের পুনরুত্থান: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নড়বড়ে অবস্থার সুযোগ উগ্রপন্থি ইসলামিস্টদের উত্থান শুরু হয়েছে। হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরীরের মতো গোষ্ঠীগুলোও প্রকাশে কর্মসূচি পালন করার সাহস দেখিয়েছে।

অর্থনৈতিক বিপর্যয়: হাসিনার শাসনামলে ব্যাংকগুলো লুটপাটের শিকার হয়েছে, যার ফলে সেগুলো দেউলিয়াত্বের মুখে পড়েছে। হাসিনার মিত্রদের দ্বারা ১৭ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও রয়েছেন। পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা পিছিয়ে পড়ায় জনগণের অসন্তোষ বাড়ছে।

আবার বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি ‘অরাজকতা’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন, যা ইউনূসের শাসন নিয়ে সামরিক বাহিনীর অস্বস্তির ইঙ্গিত দেয়। একই সময়ে বিএনপির মতো বিরোধী দলগুলো অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করছে।

এই সব বাধা সত্ত্বেও এই নোবেলজীয় অর্থনীতিবিদ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে অবাধ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন ও বাংলাদেশকে হাসিনার ‘ডাকাত পরিবার’ থেকে সার্বভৌমত্ব ফিরে পাওয়ার লড়াই হিসেবে দেখছেন। তবে ট্রাম্পের উদাসীনতা ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার কারণে ইউনূসের গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন বহিঃশত্রু ও অভ্যন্তরীণ হুমকির জটিল পথ পাড়ি দেওয়ার ওপর নির্ভর করছে।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অনীহা ও অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে ইউনূসের গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশ কি নতুন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে, নাকি পুরনো সংকটগুলো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে- তা সময়ই বলে দেবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

কেম্যান আইল্যান্ডস ও পাঁচ দেশে হাসিনার সম্পদের সন্ধান

Published

on

শেয়ারদর

চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংসহ পাঁচটি দেশ ও কেম্যান আইল্যান্ডস দ্বীপপুঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) ও যৌথ তদন্ত দল অনুসন্ধানে অবৈধভাবে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সম্পদের সন্ধান পেয়েছে।

তিনি বলেন, বিএফআইইউ ও যৌথ তদন্ত দলের অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং পশ্চিম ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বীপ কেম্যান আইল্যান্ডসে শেখ হাসিনার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকে রাশিয়ান ‘স্ল্যাশ ফান্ডের’ অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

শফিকুল আলম বলেন, ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ দশমিক ১৪ কোটি টাকা, রাজউকের ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা (দলিল মূল্য) মূল্যের ৬০ কাঠা প্লট ও ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা মূল্যের ১০ শতাংশ জমিসহ ৮টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মোট ছয়টি মামলা করা হয়। ছয়টি মামলার তদন্ত সম্পাদন ও চার্জশিট দাখিল এবং পরিবারের সাত সদস্যকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

প্রেস সচিব আরও বলেন, বিএফআইইউ দুটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়েছে। এছাড়া পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকাসহ ১১টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে। সব ব্যাংক হিসাবের তথ্য দুদকে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

শেয়ারদর শেয়ারদর
পুঁজিবাজার46 minutes ago

শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানে না বলে...

শেয়ারদর শেয়ারদর
পুঁজিবাজার60 minutes ago

উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান উত্তরা ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১৮ মার্চ দুপুর...

শেয়ারদর শেয়ারদর
পুঁজিবাজার16 hours ago

বিএসইসির সার্ভেইল‍্যান্সে অনিয়মের শঙ্কা দুদকের

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্ভেইল‍্যান্স সিস্টেমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়ে...

শেয়ারদর শেয়ারদর
পুঁজিবাজার17 hours ago

পদত্যাগ করলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মো. মাহবুবুল আলম...

শেয়ারদর শেয়ারদর
পুঁজিবাজার18 hours ago

বিএসইসির ঘটনা বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে: চেয়ারম্যান

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিএসইসিতে সংঘঠিত ঘটনা দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে এবং এ ধরণের ন্যাক্কারজনক...

শেয়ারদর শেয়ারদর
পুঁজিবাজার19 hours ago

জামিন পেলেন বিএসইসির ১৩ কর্মকর্তা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান করা...

শেয়ারদর শেয়ারদর
পুঁজিবাজার20 hours ago

তুং হাই নিটিংয়ের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
শেয়ারদর
জাতীয়6 minutes ago

আজ ঢাকায় আসছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শেয়ারদর
রাজধানী31 minutes ago

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

শেয়ারদর
পুঁজিবাজার46 minutes ago

শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

শেয়ারদর
পুঁজিবাজার60 minutes ago

উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

শেয়ারদর
রাজধানী1 hour ago

রাজধানীতে থানায় ঢুকে অতর্কিত হামলা, ওসিসহ আহত ৩

শেয়ারদর
জাতীয়2 hours ago

সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

শেয়ারদর
রাজধানী2 hours ago

মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

শেয়ারদর
জাতীয়6 hours ago

১০ বছরে সীমান্তে ৩০৫ বাংলাদেশি নিহত

শেয়ারদর
জাতীয়7 hours ago

বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখবেন ট্রাম্প: ড. ইউনূস

শেয়ারদর
অর্থনীতি7 hours ago

ঋণের ৫ শতাংশ অর্থ দিলেই মিলবে এক্সিট সুবিধা

শেয়ারদর
জাতীয়6 minutes ago

আজ ঢাকায় আসছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শেয়ারদর
রাজধানী31 minutes ago

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

শেয়ারদর
পুঁজিবাজার46 minutes ago

শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

শেয়ারদর
পুঁজিবাজার60 minutes ago

উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

শেয়ারদর
রাজধানী1 hour ago

রাজধানীতে থানায় ঢুকে অতর্কিত হামলা, ওসিসহ আহত ৩

শেয়ারদর
জাতীয়2 hours ago

সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

শেয়ারদর
রাজধানী2 hours ago

মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

শেয়ারদর
জাতীয়6 hours ago

১০ বছরে সীমান্তে ৩০৫ বাংলাদেশি নিহত

শেয়ারদর
জাতীয়7 hours ago

বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখবেন ট্রাম্প: ড. ইউনূস

শেয়ারদর
অর্থনীতি7 hours ago

ঋণের ৫ শতাংশ অর্থ দিলেই মিলবে এক্সিট সুবিধা

শেয়ারদর
জাতীয়6 minutes ago

আজ ঢাকায় আসছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শেয়ারদর
রাজধানী31 minutes ago

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

শেয়ারদর
পুঁজিবাজার46 minutes ago

শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

শেয়ারদর
পুঁজিবাজার60 minutes ago

উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

শেয়ারদর
রাজধানী1 hour ago

রাজধানীতে থানায় ঢুকে অতর্কিত হামলা, ওসিসহ আহত ৩

শেয়ারদর
জাতীয়2 hours ago

সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

শেয়ারদর
রাজধানী2 hours ago

মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

শেয়ারদর
জাতীয়6 hours ago

১০ বছরে সীমান্তে ৩০৫ বাংলাদেশি নিহত

শেয়ারদর
জাতীয়7 hours ago

বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখবেন ট্রাম্প: ড. ইউনূস

শেয়ারদর
অর্থনীতি7 hours ago

ঋণের ৫ শতাংশ অর্থ দিলেই মিলবে এক্সিট সুবিধা