জাতীয়
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের এ ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে একটি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন। দিনটি উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর পরাধীন থাকা যাবে না। বাঙালি জাতিকে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক মুক্তি দিতে হবে। এ চিন্তা থেকেই তিনি ধাপে ধাপে এদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার চেতনায়। প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। তারই একটি অংশ হচ্ছে ৭ মার্চ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে ৬৯ সালের অক্টোবর মাসে আমার বাবা লন্ডনে গিয়েছিলেন। লন্ডনে থাকার সময় ওইখানে টরকি নামক একটি জায়গা সমুদ্র সৈকত আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সেখানে চলে যান কিছু আলোচনা করার জন্য। ফেরার পথে সেখানে কিছু মডেল ভিলেজ, সেই মডেল ভিলেজগুলো দেখেন। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি এ বাড়িঘর কেন দেখেন। আমাকে বলেছিলেন বুঝলি না আমাদের দেশ একদিন স্বাধীন হবে, আমাদের প্রত্যেকটা গ্রামকে এভাবে সুন্দরভাবে সাজাবো। স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল। তিনি সেটা তখনও বলেননি তিনি কাজ করে গেছেন জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট পরিবেশ ও তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষণে কি বলতে হবে অনেকেই অনেক কথা বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিতে লাগলেন। কিন্তু আমার মা তখন আমার বাবাকে বলেছিলেন অনেকে অনেক কিছু বলবে, তোমার কারো কথা শোনার দরকার নেই। এদেশের মানুষের জন্য তুমি সারাজীবন সংগ্রাম করেছ, তুমি জানো কি বলতে হবে। তোমার মনে যে কথা আসবে তুমি শুধু সেই কথাই বলবে, আর কোনো কথা না। তখনকার পরিস্থিতিটা ছিল যে খবর এসেছিল আমাদের কাছে যে পাকিস্তানি মিলিটারি তখন হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে তৈরি। এদিকে লাখো জনতা চলে এসেছে ছুটে কি নির্দেশনা দেবেন নেতা। মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা তাদের আকাঙ্ক্ষার বাণী শোনানো আবার শত্রুর পক্ষকে বিরত রাখা। ৭ মার্চের ভাষণে কিন্তু সেটাই স্পষ্ট ছিল। তিনি কিন্তু সব কথা বলেছিলেন গেরিলা যুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেছিলেন যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন পাশাপাশি সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলতে বলেছিলেন সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি সেনারা তখন সেখানে কর্মরত ছিল তারা অনেক বই লিখেছে। তারা লিখেছে, উনি যে কি বলে গেলেন, আমরা স্তব্ধ হয়ে থাকলাম আমরা কোনো অ্যাকশনে নিতে পারলাম না। ৭ মার্চের ভাষণের পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুকে যখন বন্দি করে রাখা হয় তখন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলা চলাকালে আমাদের এখান থেকে অনেক সাংবাদিক, অনেককেই নিয়ে যায় সাক্ষী দেওয়ার জন্য। আমাদের একজন সাংবাদিক ছিলেন নাজমুল হক, বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন উনাকেও সাক্ষী দিতে নিয়ে যায়। আমার স্বামী অ্যাটমিক এনার্জিতে কর্মরত ছিলেন ওই সময় নাজমুল হকের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে এবং সে বলল ৭ মার্চের ভাষণের শেখ মুজিব কি কথা বলেছিল, সেটার ব্যাখ্যা চেয়েছিল। এ ভাষণের ব্যাখ্যা খুঁজতে খুঁজতেই তাদের সময় গেছে। স্বাধীনতার পর তিনি যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ। এমনকি ইতিহাস লিখতে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম আসবে। একটা পেয়ে অনেক ছবি, আমার এখনো মনে আছে তার মাঝখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি সেটাকে কাগজ দিয়ে ঢেকে আঙুল দিয়ে চেপে ধরে দেখানো হচ্ছে টেলিভিশনে। কিন্তু ওই ছবিটা দেখানো যাবে না, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না সেটাই আজ প্রমাণ হয়েছে ৭ মার্চের ভাষণ আজ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান আজকে আমাদের জাতীয় স্লোগান। ৭ মার্চের এ ভাষণ শুধু বাঙালি বা আমাদের না এটা ইতিহাসে জেনে তারা ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে সে ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবেই আজ স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো এ দিনে সে প্রতিজ্ঞা আমরা নিচ্ছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বুয়েটের ডিজাইনে আসছে আধুনিক ই-রিকশা: প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা

ঢাকার অগোছালো রিকশা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে অভিনব এক উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের একদল উদ্যমী শিক্ষার্থীর নকশা করা আধুনিক ব্যাটারিচালিত রিকশা শিগগিরই পাবে সরকারি অনুমোদন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীণালয় ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে।
কী আছে নতুন এই রিকশায়?
বুয়েটের গবেষক দলটি বর্তমানে রাস্তায় চলাচলকারী ই-রিকশাগুলোর নিরাপত্তা ও গঠনগত ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে একটি আদর্শ মডেল তৈরি করেছেন। নতুন এই রিকশায় যুক্ত হয়েছে ১৬টি উন্নত বৈশিষ্ট্য, যা এটিকে প্রচলিত মডেলগুলোর চেয়ে বেশি নিরাপদ ও দক্ষ করে তুলবে।
চালকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ
ই-রিকশা চালকদের দক্ষ ও নিয়মমাফিক চলাচল নিশ্চিত করতে প্রস্তুত হচ্ছে ৩০০ জন ‘মাস্টার ট্রেইনার’। এই তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন বুয়েটের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা, যারা ইতিমধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এতে সহায়তা করবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ট্রাফিক পুলিশ।
নতুন আইনি কাঠামো
বর্তমানে সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯ শুধু প্যাডেল রিকশাকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য কোনো স্পষ্ট নিয়ম নেই। তাই এই খাতে শৃঙ্খলা আনতে সংশোধন করা হচ্ছে আইন। নতুন প্রবিধানে থাকবে:
-
রিকশার নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রক্রিয়া
-
চালকদের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ
-
গতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা মানদণ্ড
-
জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
ঋণ সুবিধা ও সময়সীমা
বর্তমানে রাস্তায় চলাচলকারী অনিয়ন্ত্রিত ই-রিকশাগুলোকে পর্যায়ক্রমে প্রতিস্থাপন করা হবে। চালকদের নতুন মডেলের রিকশা কেনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এমআরএ’র সহায়তায় স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। পুরোনো রিকশাগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য দেওয়া হবে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড।
তথ্য ভান্ডার তৈরি
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, এটুআই, বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিআরটিএ’র সমন্বয়ে তৈরি হবে একটি ডিজিটাল ডাটাবেইস। এতে রিকশাচালকদের নাম, পরিচয়পত্র, যোগাযোগ নম্বর ও রিকশার বিবরণ সংরক্ষণ করা হবে।
কেন এই উদ্যোগ?
বর্তমানে ঢাকার রাস্তায় ১৫-২০ লাখ অনিয়ন্ত্রিত ই-রিকশা চলাচল করছে, যার বেশিরভাগই নিরাপত্তাহীন ও দুর্ঘটনাপ্রবণ। গত কয়েক বছরে এ নিয়ে বহুবার বিতর্ক ও বিক্ষোভ হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। তাই এবার সরকার চাইছে অনিয়ন্ত্রিত গতিকে বন্ধ না করে বরং এটিকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
‘সিটি করপোরেশন তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) চলাচল প্রবিধান ২০২৫’ এর খসড়া ইতিমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে। শিগগিরই এটি উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের ভাষ্যে, “আমাদের লক্ষ্য ই-রিকশাকে একটি নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থায় রূপান্তর করা। বুয়েটের নকশা করা এই মডেল সেই লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এই উদ্যোগ সফল হলে ঢাকার রাস্তায় যানজট ও দুর্ঘটনা কমার পাশাপাশি রিকশাচালকদের জীবনমানেও আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছাড়া কিছুই বাস্তবায়ন হবে না: সিইসি

রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন ছাড়া কোনও কিছুই বাস্তবায়ন হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক সেমিনারের শুরুতে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের ওয়াদা। সবার দাবিও এটা আমাদের কাছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা ও শিক্ষা সব কিছু পর্যালোচনা করে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। রাজনৈতিক নেতারা সমর্থন না দিলে কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হবে না। মানুষের আস্থা যেন থাকে, কম খরচে যেন বাস্তবায়ন করতে পারি সেই পদ্ধতি বেছে নিতে হবে। পরবর্তী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দেওয়া চালু করতে চাই।
এ এম এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং আছে। আমরা এটি চালু করতে চাই। অনেক দেশ এটি শুরু করেও পারেনি নানা সমস্যায়। পাশের দেশ ভারতও এখনো এটি চালু করতে পারেনি। কিন্তু, আমরা চাই, সীমিত পরিসরে হলেও শুরুটা অন্তত হোক।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসীরা ভোট দিতে না পারলে ভোটের কাস্ট হারে প্রভাব পড়ে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নির্বাচন কমিশন। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চাই। এই উৎসবে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।
সেমিনারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি গণমাধ্যম সম্পাদক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ এ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শেখ হাসিনার ধ্বংস করা অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ফাঁকে ইতালির সংবাদমাধ্যম রাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকারে জুলাই অভ্যুত্থান, আওয়ামী লীগের অপশাসন, সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, হাসিনা সরকার প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেই সময় ছাত্রদের ডাকে দেশের দায়িত্ব নেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজ ও অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। ভেঙে পড়েছিল সবকিছু। এই পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধার করে আবার বাংলাদেশকে ঠিক অবস্থানে ফিরিয়ে এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, টানা ১৫ বছরের বেশি একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পর গণতান্ত্রিক নির্বাচন করা চ্যালেঞ্জের। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরির পরই হবে ভোট। প্রধান উপদেষ্টা আবারও জানান, চলতি বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই হবে জাতীয় নির্বাচন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হজ ফ্লাইট উদ্বোধন, রাতে সৌদি যাচ্ছেন ৩৯৮ যাত্রী

চলতি বছর (২০২৫) হজে যাওয়ার ফ্লাইট উদ্বোধন করলেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের (হিজরি ১৪৪৬) হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
হজ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর ধর্ম উপদেষ্টা হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি হজযাত্রীদের সৌদি আরবের আইনকানুন মেনে চলা এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ দেশের হজযাত্রীরা যাতে যৌক্তিক খরচে হজ পালন করতে পারে সে বিষয়ে আমরা তৎপর। হাজিদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে সব প্রক্রিয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায় সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
সোমবার দিনগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশি হজযাত্রী বহনকারী প্রথম বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। সৌদি আরবের জাতীয় ক্যারিয়ার সাউদিয়ার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এ বছরের হজ ফ্লাইট। প্রথম ফ্লাইটে হজ পালনের জন্য ঢাকা ত্যাগ করবেন ৩৯৮ জন।
প্রথম দিনে মোট ১০টি ফ্লাইটে ৪ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি যাবেন। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং দুটি ফ্লাইট মদিনায় প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও সচিব নাসরীন জাহান, বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবদুল আজিজ ফাহাদ এম. আল ইব্রাহিম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূইয়া, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে দুজন হজযাত্রী হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ বছরের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এ অনুষ্ঠানে হজ কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ বছর তিনটি এয়ারলাইন্স ২৩২টি প্রাক-হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে এ দেশের হজযাত্রী পরিবহন করবে। বাংলাদেশ বিমান ১১৮টি প্রাক-হজ ফ্লাইটে ৪৪ হাজার ৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২ হাজার ৭৪০ ও ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। ৩১ মে প্রাক-হজ ফ্লাইট শেষ হবে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি মাধ্যমে এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৮১ হাজার ৯০০ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর হজযাত্রীদের জন্য যোগাযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন দরকারি ফিচার সম্বলিত মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ চালু করা হয়েছে। এছাড়া তাদের হজ প্রিপেইড কার্ড ও মোবাইল সিম রোমিং সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী উপদেষ্টা ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠকে সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যেসব আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে কমিশন প্রধানকে অবহিত করেন।
কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং সফর রাজ হোসেনও তাতে অংশ নেন। সেই আলোকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান শুভ্র এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।