আন্তর্জাতিক
কুয়েতে অবৈধ অভিবাসীরা পাচ্ছেন সাধারণ ক্ষমা
কুয়েতের আকামাবিহীন অবৈধ অভিবাসীরা শিগগিরই সাধারণ ক্ষমার পরিকল্পনা রয়েছে কুয়েত সরকারের। যদিও এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়নি। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ’র বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যম কুনা, ও কুয়েত টাইমস জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে বাসস্থান লঙ্ঘনকারীদের কুয়েত ত্যাগ করার বা তাদের নিয়মিত করার একটি বিকল্প প্রস্তাব দেয়ার জন্য বিবেচনা করছেন।
মার্চ, এপ্রিল এবং মে এই তিন মাসের সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা থাকার কথা জানা গেছে। এই তিন মাস সময়সীমার মধ্যে আকামাবিহীন অবৈধ প্রবাসীরা কুয়েত ত্যাগ করতে হবে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে পুনরায় কুয়েত আগমন করতে পারবে বলে জানান।
শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ আল-সাবাহ বলেন, সাধারণ ক্ষমা থেকে উপকৃত হওয়ার পরে, নিয়ম লঙ্ঘনকারীরা আইনি এবং অনুমোদিত চ্যানেলের মাধ্যমে কুয়েতে পুনরায় প্রবেশের জন্য ভিসার অনুরোধ করতে পারে।
তিনি বলেন, যারা নির্ধারিত সময়ে ভিসার অনুরোধ করতে ব্যর্থ হবে তাদের কালো তালিকায় রাখা হবে। তিনি আইন দ্বারা প্রদত্ত এই সুযোগটি ব্যবহার করার জন্য আবাসিক প্রবিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানান, অন্যথায় তাদের কুয়েত থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের মুখোমুখি হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে সবশেষ তথ্য জানতে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ এবং যুগ্ন সম্পাদক মো. হেবজু। এ সময় রাষ্ট্রদূত জানান, কুয়েতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কতজন অবৈধ, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান জানা যায়নি। তবে অবৈধদের জন্য একটি ভালো সুযোগ দিতে যাচ্ছে কুয়েত সরকার।
সাধারণ ক্ষমার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীরা কুয়েত ছাড়লে ফের নতুন ভিসা নিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের কুয়েতে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রদূত আশিকুজ্জামান কুয়েতে অবস্থানরত সব প্রবাসীকে কুয়েতের আইন মেনে চলার অনুরোধ জানান।
এছাড়া, এ সংক্রান্ত যে কোনো আপডেট তথ্য পেলে প্রবাসীদের জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সবশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে অবৈধ অভিবাসীদের কুয়েত ছাড়ার সুযোগ দিয়েছিল দেশটির সরকার। এবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীরা কুয়েত না ছাড়লে, তাদের কালো তালিকা করা হবে। আর এরপর ধরা পরলে তাদের কুয়েত থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
৫০ বছর পর নাগরিকত্ব ফিরে চায় গ্রিসের সাবেক রাজপরিবার
দীর্ঘ ৫০ বছর পর গ্রিসের সাবেক রাজপরিবারের সদস্যরা দেশটির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে তারা গ্রিসের প্রজাতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
প্রয়াত রাজা দ্বিতীয় কনস্টান্টাইন এবং তার পরিবারের সদস্যদের রাজকীয় সম্পত্তি নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিরোধের জেরে ১৯৯৪ সালে তাদের গ্রীক নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
সরকারের পক্ষে তখন দাবি করা হয়েছিল, রাজা তার বংশধরদের জন্য গ্রীক সিংহাসনের কোনো অধিকার ত্যাগ করতে রাজি নন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আথানসিওস বালেরপাস বলেন, ৮২ বছর বয়সে মারা যাওয়া প্রয়াত রাজার আত্মীয়রা বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) একটি ঘোষণায় সই করেছেন। সেখানে প্রজাতান্ত্রিক সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে রাজার আত্মীয়রা নতুন ঘোষণায় নিজেদের জন্য একটি উপাধি নির্ধারণ করেছে, ‘ডি গ্রেস’ বা ‘গ্রিসের’।
কিন্তু পারিবারিক নাম ‘ডি গ্রেস’ ব্যবহার করে নাগরিকত্বের আবেদন করার বিষয়ে বামপন্থী রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিরক্তির কারণ হয়েছে। গ্রিসের সমাজতান্ত্রিক দল বলেছে, যখন তারা (রাজপরিবার) বলে, তাদের উপাধি কিংবা সব দাবি ছেড়ে দিচ্ছেন, তখন তারা পরিবারের নামে উপাধি বেছে নিয়ে নতুন করে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি করছে।
বামপন্থী সিরিজা পার্টি বলছে, পারিবারের নাম সমস্যাযুক্ত। কারণ গ্রিসের আইন উপাধি কিংবা আভিজাত্যকে স্বীকৃতি দেয় না।
গ্রিস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনকারীদের নাম প্রকাশ করেননি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বিতীয় কনস্টানটাইন এবং প্রাক্তন রানী অ্যান-মেরির পাঁচ সন্তান অ্যালেক্সিয়া, পাভলোস, নিকোলাওস, থিওডোরা এবং ফিলিপোসসহ পরিবারের ১০ জন সদস্য নাগরিকত্ব চেয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রাষ্ট্র পরিচালিত রেডিওকে বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে ঝুলে থাকা একটি বিষয় সমাধান করা হচ্ছে। এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর সময়। আমি মনে করি, এটি একটি ভালো মুহূর্ত, আমরা এখন মানুষ হিসাবে সামনের দিকে তাকাতে পারি।
সাত বছরের সামরিক একনায়কতন্ত্রের পতনের কয়েক মাস পরে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে গ্রিসের রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করা হয়েছিল। ভোটাররা সে সময় ব্যাপকভাবে প্রজাতন্ত্রের সংবিধানকে সমর্থন করেছিল।
সত্তরের দশকে কনস্টানটাইন ‘সাধারণ নাগরিক’ হিসাবে ফিরে আসার আগে রাজপরিবারের সদস্যরা কয়েক দশক ধরে নির্বাসনে ছিলেন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে তাদের গ্রিসের নাগরিকত্বও ছিনিয়ে নেওয়া হয় রাজকীয় সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের সময়, যা এখন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন তেল না কিনলে ইইউয়ের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি তেলের আমদানি না বাড়ায়, তবে তাদের ওপর তিনি শুল্ক আরোপ করবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, আমাদের তেল ও গ্যাসের ব্যাপক পরিমাণে কেনার মাধ্যমে তা পূরণ করতে হবে।
নয়তো সব কিছুতেই শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই বাণিজ্য অংশীদার কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি বৈশ্বিক আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক এবং চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইইউর মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার, মার্কিন সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী যার মধ্যে ১৩১.৩ ডলার বিলিয়ন বাণিজ্য ঘাটতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ইইউয়ের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য, যা ইইউয়ের মোট রপ্তানির প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ। এছাড়া দেশটি ইইউয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আরাকান আর্মির দখলে রাখাইন সামরিক সদর দপ্তর
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক সদর দপ্তর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এ নিয়ে দ্বিতীয় আঞ্চলিক কমান্ড সেন্টার হারালো জান্তা বাহিনী। সম্প্রতি মিয়ানমারজুড়েই বিদ্রোহীদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে সামরিক বাহিনী।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে দুই সপ্তাহ তুমুল লড়াইয়ের পর পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড দখলে নেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য আসেনি মিয়ানামারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রের কাছ থেকে।
২০২১ সালে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ বিভিন্ন রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলো। প্রথম দিকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভ করলেও পরবর্তীসময়ে তা সশস্ত্র লড়াইয়ে রূপ নেয়।
২০২৩ সালে আরাকান আর্মি জান্তার বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে। আগস্টে আরাকান আর্মি উত্তরপূর্বাঞ্চলের শহর লাসিও দখল করে। এর মাধ্যমে তারা মিয়ানমারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি আঞ্চলিক কমান্ড দখলে নেওয়ার সক্ষমতা দেখায়।
বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেষা রাখাইন রাজ্যটি মিয়ানমারের একটি দরিদ্র অঞ্চল।
কিছু রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট জানিয়েছেন, রাখাইনে উত্তরাঞ্চালে অভিযানের সময় তাদের কমিউনিটিকে টার্গেট করে আরাকান আর্মি। এরপর কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে বাংলাদেশে যায়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরাকান আর্মি। সূত্র: রয়টার্স
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দুই দেশের সম্পর্কের প্রধান অংশীদার বাংলাদেশের জনগণ: ভারত
বাংলাদেশের জনগণই দুই দেশের সম্পর্কের প্রধান অংশীদার। ভারতের যোগাযোগ, বাণিজ্য, জ্বালানিসহ বহুমুখী খাতে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, উদ্বেগ, স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আমাদের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তাই, বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এটাই এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবেও এটাই।
কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মধ্যে বৈঠকে সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে দিল্লির মন্তব্য জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ভারতও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের জন্য পূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সার্ক কয়েক বছর ধরে ‘হিমঘরে’ এবং কেন তা সবাই জানে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
১৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান ও ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের সংশ্লিষ্ট এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইরান এবং হুতিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় একাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও জাহাজ রয়েছে।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, ইরানের পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যালের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তিনটি জাহাজে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব জাহাজের মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশটি। এ ছাড়া তারা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সমর্থন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও হুতিদের সহায়তা দিয়ে আসছে।
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেনস ব্রেডলি স্মিথ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থায়নকারী মূল রাজস্ব উৎসগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইরান এসব কর্মকাণ্ডের জন্য জাহাজ, বিভিন্ন কোম্পানি এবং সহায়তাকারীদের একটি নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে।
অন্যদিকে ইরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক প্রকল্প মূলত শান্তিপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা জাহাজগুলো হলো জিবুতির পতাকাবাহী ক্রুড অয়েল ট্যাংকার এমএস এনোলা, সান ম্যারিনোর পতাকাবাহী এমএস এনজিয়া ও পানামার পাতাকাবাহী এমএস মেলেনিয়া। নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সকল সম্পত্তি জব্দ করা হবে। এ ছাড়া তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হবে।
ট্রেজারি বিভাগ আরও জানিয়েছে, হুতিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে ১২ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম হলেন হাসিম আলি আহমদ আল মাদানি। তিনি হুতিদের সংশ্লিষ্ট সানার সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধান। তার বিরুদ্ধে হুতিদের জন্য ইরান থেকে বেআইনিভাবে তেল পাচার, অস্ত্র পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে।