জাতীয়
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়, মজুত করা হয়। সেগুলো লক্ষ্য রেখেই মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, সুষ্ঠুভাবে সংসদ চলবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দেশে-বিদেশে নালিশ করে কোনো ফায়দা হবে না। বিদেশিরা কী বললো, সেটা দিয়েও চলবে না। সব দেশের নির্বাচন আমাদের দেখা আছে। এবারের মতো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেশে আর হয়নি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে একটি দলসহ তাদের জোট অংশগ্রহণ করেনি। তবে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশের মানুষ প্রার্থী হয়। আমরা নমিশননেশন দেওয়া স্বত্ত্বেও প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। নির্বাচনে এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী ছিল। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল ৪৩৬ জন। এ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে নারী ও তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা ও দেশের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ করে যাচ্ছি। দেশের মানুষ সুফল পেয়েছে বলেই আমাদের ওপর বারবার আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে। আমাদের বারবার নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
সংসদে কাজে সহযোগিতা করার জন্য সরকারি দল, বিরোধী দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। টেবিল চাপড়িয়ে এমপিরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। স্বতন্ত্র এমপিদের টেবিল চাপড়ানোর শব্দ বেশি জোরে হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হাসির ছলে বলেন, মনে হচ্ছে স্বতন্ত্রদের চোটপাট বেশি।
শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশনস, কাউন্টার স্যাংশনস ও কোভিড অতিমারীর পরে এই মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের উন্নত দেশেও এ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশে যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য যাতে সহনশীল থাকে। এখানে একটু অদ্ভুত ব্যাপার। দাম বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। মজুত করা হয়। সেগুলু লক্ষ্য রেখেই মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রীদের দেওয়া নির্দেশনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে উপকারিতার ক্ষেত্রে দেশের জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদেশি ঋণ ও সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। কেউ আমাদের এখানে এসে বললো, আমরা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়বো না। আমরা বিবেচনা করে নেবো। সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা ও জবাবহিদিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৭৫ পরবর্তী নির্বাচনগুলোর ঘটনা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কেন নির্বাচেন বাধা দেওয়া? ৭৫-এর পর প্রতিটি নির্বাচন তো আমরা দেখেছি। সেই হ্যাঁ না ভোট। নির্বাচন কমিশনে তালা দিয়ে ভোটের রেজাল্টই নেই। তিন/চারদিন পর রেজাল্ট। আমাদের বিরোধী দলীয় নেতা দেখালেন- তিনি কিন্তু ২য়, ৩য়, ও ৪র্থ নির্বাচনের রেজাল্ট দেখাননি। ২য় নির্বাচন কীভাবে করেছিল। ৩য় নির্বাচনে বিরোধী দলীয় নেতার ভাই (এরশাদ) তখন আরেক মিলিটারি ডিকটেটর, ক্ষমতায়। এক মিলিটারি ডিকটেটর ভোট চুরির রাস্তা দেখিয়ে গেলো, ক্ষমতার দখলটা দেখিয়ে গেলো। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরেকজন…। দুজনেরই একই খেলা। সেনাপ্রধান হলেন। একদিন ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে গেলেন। একই সঙ্গে দুই রূপ। রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে ভোট চুরি। খুশি হতাম বিরোধী দলীয় নেতা যদি তার ভাইয়ের ১৯৮৮ এর নির্বাচনটা দেখাতেন। সে নির্বাচনটা ছিল শুভংকরের ফাঁকি। এরশাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলো খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। অবশ্য তিনি দেখিয়েছেন ২১ শতাংশ ভোট। ২১ শতাংশ কীভাবে হলো। সেদিন তো কোনো ভোটার কেন্দ্রে যেতে পারেনি। এরশাদের নির্বাচন টেকেনি। খালেদা জিয়ার নির্বাচনও টেকেনি। জনগণের রুদ্ধরোষে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোটার তালিকা হালনাগাদে ইসির প্রস্তুতি
আগামী বছর বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে (ইটিআই) আগাম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলেছে সংস্থাটি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামানকে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরুর পূর্বেই প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ সকল প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে এবং তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের জন্য নির্দেশিকা এবং তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষক নির্দেশিকা মুদ্রণের জন্য চূড়ান্ত করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করবো এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারতো এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি চার লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য।
তিনি আরও বলেন, যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক৷ এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবো। এই বাদপড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুযারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করবো। আগামী বছর মার্চের পর থেকে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের নৌ ধর্মঘট শুরু
এমভি আল-বাখেরা জাহাজে নিহত সাত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এমভি আল-বাখেরা জাহাজে নির্মম হত্যাকাণ্ডে মাস্টারসহ সাত শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা, সব নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এজন্য বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ঘোষিত ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর সূচনালগ্ন থেকে মালবাহী, তৈল-গ্যাসবাহী, বালুবাহীসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বেসিক ইউনিয়ন ও শাখার নেতারাসহ সব নৌযান শ্রমিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন।
তবে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে আপাতত সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সচিবালয়ে আগুন: সংগ্রহ করা হয়েছে সিসিটিভি ভিডিও
সচিবালয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করতে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে স্থাপিত সিসিটিভি থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, সচিবালয়ের স্পর্শকাতর স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সরকার খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
সচিবালয়ে সিসিটিভি রয়েছে কি না, কিংবা ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সচিবালয়ের নিরাপত্তার জন্য একজন এসপি, একজন অ্যাডিশনাল এসপি ও একজন এএসপিসহ সাড়ে পাঁচশরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। এছাড়া সচিবালয়ে সাতটি টাওয়ার রয়েছে, সেগুলোতেও গার্ড থাকেন।
ব্রিফিংয়ে সরকারের নানান উদ্যোগের কথা জানাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক সেনাবাহিনী
দেশের গুরুত্বপূর্ণ বা কেপিআইভুক্ত স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের বনানী অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এসব স্থানের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।
‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের’ আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে সচিবালয়ে আগুনের ঘটনার বিষয়ে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে, সেখানে আগুন লাগার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাপ নেওয়ার জন্যই সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তবে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে অনেক ঘটনা ঘটছে তবে অবনতি হয়নি। এক্ষেত্রে পুলিশসহ অন্যান্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনশীল রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কক্সবাজারে সেনাবাহিনী সর্তক অবস্থানে আছে। ফলে সেখানে সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই। এছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো কাজ করছে।
বান্দরবানে ত্রিপুরাদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটেছে বলেও জানান কর্নেল ইন্তেখাব।
এ সেনা কর্মকর্তা জানান, সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে দায়িত্ব পালন করবে, এটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রামে বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজ জব্দ
চোরাচালানের স্বর্ণ বহনের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিমানটি জব্দ করা হয়।
এর আগে সকালে বিমানটি দুবাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে একটি আসনের নিচ থেকে দুই কেজির বেশি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ সময় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার আতিয়া সামিয়া নামের এক যাত্রীকে আটক করা হয়। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি স্বর্ণ দোকানের বিক্রয়কর্মী বলে জানিয়েছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এর আগে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় শাহজালালে বিমান জব্দ করা হলেও শাহ আমানতে এবারই প্রথম।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি দুবাই থেকে এসে সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফ্লাইটে তল্লাশি চালায় জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই), শুল্ক গোয়েন্দা ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা। তল্লাশির সময় ৯-জে নম্বর যাত্রী আসনের নিচে টেপ দিয়ে মুড়িয়ে বিশেষ কৌশলে রাখা ২০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। জব্দ করা ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বারগুলোর ওজন দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম। যেগুলোর বাজার দর প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিমানের আসনের নিচে যেভাবে স্বর্ণের বারগুলো রাখা হয়েছিল, সেগুলো বিমানের কারও সহায়তা ছাড়া রাখা সম্ভব না। তাই তদন্তের স্বার্থে কাস্টমস আইন অনুযায়ী, বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। বিমানটি জব্দ করা হলেও সেটি বৃহস্পতিবার সকালে শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রী নামিয়ে বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, স্বর্ণ উদ্ধার করা বিমানটি জব্দ করা হয়েছে, যেন বাংলাদেশ বিমানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়। তারা মনে করছেন, বিমানের আসনের নিচে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা যাত্রীর পক্ষে সম্ভব না। এটাতে বিমানে কেউ জড়িত কি-না, বিমানের ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহসহ তল্লাশি বা নিরাপত্তায় কোনো গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে কাগজ-কলমে বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রী পরিবহন চলবে।