জাতীয়
ইটিপি পর্যবেক্ষণে ডিভাইস বসানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন বলেছেন, দেশে বর্তমানে আড়াই হাজার এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) আছে৷ এসব ইটিপি স্মার্ট মনিটরিং ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা হবে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে (ডিসি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ডিসিদের সঙ্গে এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আড়াইহাজার ইটিপি আছে, যেগুলো আমাদের পক্ষে মনিটরিং করা সম্ভব না। ইটিপি অনেকের আছে, কিন্তু চালায় না। যখন কোনো পরিদর্শক যাওয়ার খবর তারা পায়, তখনই চালু করেন।
মন্ত্রী বলেন, জরিমানার মাত্রা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি স্মার্ট মনিটরিংয়ের চেষ্টা করছি। প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে, প্রতিটি ইটিপিতে যদি একটা ডিভাইস বসাতে পারি, তাহলে সেই ইটিপি সারাক্ষণ চলছে কি চলছে না, সেটার একটা তথ্য আমাদের কাছে আসবে।
ইটিপি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে তরল বর্জ্য পরিশোধন করা হয় এবং ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয় এবং অব্যবহৃত পানিগুলোকে পরিবেশে ছাড়া হয়। ইটিপি প্লান্ট একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, যা পরিবেশের ক্ষতি না করে সাধারণ পানি সংগ্রহ এবং ব্যবহার এবং জীবাণুমুক্ত করে।
ডিসিদের কাছে প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের সম্মেলনের দুটি উদ্দেশ্য। একটি হচ্ছে মাঠ প্রশাসনের কথা আমরা শুনি। আর আমাদের প্রত্যাশা তাদের কাছে স্পষ্ট করার চেষ্টা করি। পরিবেশ অধিদফতরের মূল উদ্দেশ্য মানমাত্রা নির্ধারণ করা। বাস্তবায়নের কাজ মাঠ পর্যায়ের। আমরা প্রতিটা কাজের জন্য ডিসিদের ওপর নির্ভরশীল। কারণ স্থানীয় পর্যায়ে তারা এটা বাস্তবায়ন করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্মেলনের উদ্বোধনের দিনে আমরা সবাই বলেছি, বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা। এখন উন্নয়নের সঙ্গে আরেকটি শব্দ যুক্ত হয়েছে, সেটা হচ্ছে টেকসই। টেকসই উন্নয়ন। কাজেই উন্নয়নের ধারাকে স্থায়ীত্ব দিতে চাইলে আমাদের অবশ্যই পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
আমাদের দুটো রেফারেন্স পয়েন্ট, একটা হচ্ছে সংবিধানের ১৮ এর ক, আরেকটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার। এখানে যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের মাঠপ্রশাসনের সহযোগিতা দরকার।
মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা বলেছি, অনেক ক্ষেত্রে শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে যায়, অর্থাৎ এক জায়গায় একটা পাহাড় ছিল, সেটাকে সমান করে পরবর্তীতে শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
আজ থেকে ১৫ বছর আগে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক চিত্র কী ছিল, বর্তমানে কী আছে? দেখা যাচ্ছে, ১৫ বছর আগে একটা জলাধার কিংবা পাহাড় ছিল, সেটা কেটে কেউ হাউজিং করেছে, আমরা সেটা চিহ্নিত করে পুনরুদ্ধার করতে পারবো। এসব ক্ষেত্রে মাঠ প্রশাসনের সহযোগিতা দরকার, বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।

জাতীয়
বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি: ধর্ম উপদেষ্টা

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করা ৪ হাজার ৯৭৮ জন হজযাত্রীকে (হাজি) উদ্বৃত্ত আট কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি জানান, উদ্বৃত্ত টাকা থেকে প্যাকেজভেদে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৩১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
জাতীয়
মিটফোর্ডে শিক্ষার্থীদের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে মেডিকেল কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এই ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় মিটফোর্ডে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকানো ছাড়াও ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদ ও আনসার বাহিনীকে আরও সক্রিয় করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (০৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে পাথর দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রকাশ্যে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ইতোমধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা।
সবশেষ রোববার চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কাফি
জাতীয়
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ল

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা আরও ২ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রোববার (১৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত কর্মকর্তারা সারা দেশে এ ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দ্যা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৯৯৮ এর ১২ (১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সম-পদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সম-পদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) সারাদেশে এ ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন।
ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারায় তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন। অগ্রগতি নিয়ে চলতি সপ্তাহে তিন দিন আলোচনা হবে।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ১২তম দিনের আলোচনার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, এ সপ্তাহে তিন দিন আলোচনা হবে। এর মধ্যেই কমিশন বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায়।
দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় সনদ তৈরির দিকে এগিয়ে যেতে চাই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে যে কোনোভাবেই একটা যৌক্তিক জায়গায় আসতেই চাই। বড়জোর সেটা ৩১ জুলাই হতে পারে।
আজকের আলোচনার সূচিতে তিনটি বিষয় রাখা হয়েছে—প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জরুরি অবস্থা জারি।
কাফি
জাতীয়
নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির বিকল্প নেই: উপ-প্রেস সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস উইংয়ের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে সরকার পরিবর্তিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলোতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির বিকল্প নেই। নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করেছেন। সেখানে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, এখন থেকে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।
উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে বিগত সময়ে সাংবাদিকরা যে ধরনের সমস্যায় পড়তেন এবার সেই সমস্যায় আর পড়তে হবে না। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে যত মামলা ছিল সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে হ্যাকিং ছাড়া সবগুলো ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মির্জা ইমাম উদ্দিনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও সংবাদকর্মীরা।
কাফি