পুঁজিবাজার
সিএসইতে ওএফসি রিপোর্টিং বিষয়ক প্রশিক্ষন

চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) তিনদিন ব্যাপী আদারর্স ফাইন্যান্সিয়াল কর্পোরেশন (ওএফসি) রিপোর্টিংয়ের উপর হ্যান্ডস-ওয়ান প্রশিক্ষনের আয়োজন করেছে। গত রবিবার-মঙ্গলবার (৩ মার্চ থেকে ৫ মার্চ) পর্যন্ত প্রতিদিন দুই সেশনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণটি আজ শেষ হয়েছে।
সিএসইর চট্টগ্রামস্থ কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনায় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে সিএসই। ট্রেনিংসমূহে সিএসইর কতিপয় ট্রেক হোল্ডারদের প্রায় ১২০ জন কর্মকর্তা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সিএসই নিয়মিত তাঁর ট্রেক এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকদের জন্য রিপোর্ট প্রস্তুটির প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওএফসি সার্ভে ইউনিট, পরিসংখ্যান বিভাগের যুগ্ম পরিচালক তাসলিমা আক্তার, সহকারি পরিচালক মো. আব্দুস সালাম ও সহকারি পরিচালক সুলতানা রাজিয়া।
সিএসইর পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মাহাদি হাসান, জেনারেল ম্যানেজার এন্ড হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এন্ড মার্কেটিং মো. গোলাম ফারুক, ট্রেক সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপক আদনান আব্দুর রাকিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিএসইর ট্রেনিং ও এওয়ারনেস বিভাগের প্রধান এম সাদেক আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্যে চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মাহাদি হাসান বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য জড়িত সকল স্টেকহোল্ডারদের একসাথে সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার ক্ষেত্রে এই ধরনের ট্রেনিং খুব প্রয়োজন। বিশেষ করে ব্যবহারকারী এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যকার সম্পর্ককে আরও কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করতে এই ধরনের প্রশিক্ষন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহকারী প্রশিক্ষণার্থীরা ব্যাবহারিকভাবে রিপোর্টংয়ের খুঁটিনাটি বিষয়গুলি জানতে ও শিখতে পারবেন।
প্রশিক্ষনটির অন্যতম রিসোর্স পার্সন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক তাসলিমা আক্তার বলেন, যদিও দীর্ঘদিন আগে এই রিপোটিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ও বোধগম্যতার কারনে এখনও এর উদ্দেশ্য পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে না । তাই বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি এবং সিএসইর সমন্বিত উদ্যোগে এই আয়োজন আশা করি সকল অংশগ্রহণকারীর জন্য যথাযথ রিপোর্ট তৈরী ও প্রদানে সহজ করবে ও সেসব ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।
সমাপনী বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আমারা যারা পুঁজিবাজারে কাজ করি তাদেরকে সবসময়ই নিজেদেরকে নতুন নতুন পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত ও উন্নত করে নিতে হয়। রেগুলেটরি ফ্রেম ওয়ার্ক কিংবা বিভিন্ন রিপোর্টং কিংবা আরও আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহ নিয়ে সবসময়ই আমাদেরকে সম্পৃক্ত থাকতে হয়। তারপরও যখনই নতুন কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পরিমার্জন আসে তখনই সে বিষয়গুলোর সাথে নিজেদেরকে কার্যকর এবং দ্রুত প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রশিক্ষণগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সিএসই সব সময়ই কেপাসিটি বিল্ডিং বা যে কোনো নতুন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে বিস্তারিত ধরনের প্রশিক্ষণ বা ওয়ার্কশপ আয়োজন করার ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে নতুন ধরনের রিপোর্টং বা তথ্য প্রদানের প্রয়োজনীয়তা যখনই আসে তখন সে ব্যাপারে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেগুলিকে আরও কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করার ব্যাপারে আমরা উদ্যোগী হই।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা যারা সম্পৃক্ত ছিলাম সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে উপকৃত হব এবং যথাযথভাবে পরবর্তী রিপোর্টগুলি প্রস্তুত করব বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আর্থিক জরিপ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তিকরনের লক্ষ্যে গত জুন ২০১৮ হতে অভিন্ন রিপোর্ট করার ফরমেট অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত রেশনালাইজ ইনপুট টেমপ্লেটের (আরআইটি) মাধ্যমে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের দায় ও সম্পদের তথ্য বা উপাত্ত সমূহ, বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রেরন করছে। যা গত মার্চ ২০২৩ থেকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ সংক্রান্ত তথ্য বা উপাত্ত প্রদানের জন্যে যদিও সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির অনুরোধের প্রেক্ষিতে, সিএসই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ওএফসির সার্ভে ইউনিট কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে এই হ্যান্ডস-ওয়ান ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে।

পুঁজিবাজার
ব্লকে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০কোটি ৫ লক্ষ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আজ ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি -এর। এদিন কোম্পানিটির ১৬ কোটি ১০ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা এটিকে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে খান ব্রাদাস্ পি.পি. ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার। আর ৩ কোটি ৫ লক্ষ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।
ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন করা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফাইন ফুডস লি: এর ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড এর ৬৯ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করতে কাজ করছে ডিএসই: চেয়ারম্যান

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নিজেদেরকে ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। আইপিও প্রক্রিয়া সহজীকরণের চেষ্টা করছি। এছাড়াও লিস্টিং পরবর্তী সময়ে কমপ্লায়েন্স নিয়ে অভিযোগুলোর বিষয়ে ডিএসই আপনাদের হয়ে রেগুলেটরদের কাছে তুলে ধরছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিকুঞ্জে অবস্থিত ডিএসই টাওয়ারে আয়োজিত বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট রূপালি হক চৌধুরীর নেতৃত্বে নির্বাহী কমিটির সাথে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত হতে পারেনি। কারণ দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অবহেলা পুঁজিবাজারকে সংকুচিত ও পঙ্গু করে রেখেছে৷ সেখান থেকে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার) ড. আনিসুজ্জামানকে পুঁজিবাজার বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আমরা দেখেছি। বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসইসিসহ সকল পক্ষই আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এছাড়াও রেগুলেটরী ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে টাস্কফোর্স কাজ করছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ভালো উদ্যোক্তারা যদি সঠিক প্রাইসিং পায়, তারা পুঁজিবাজারে আসবে, আর আন্ডাররাইটারই চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স হিসেবে কাজ করবে। সংশোধিত আইপিও সিস্টেমে ভালো কোম্পানি আসতে পারবে এবং মন্দ কোম্পানিগুলো আটকানো যাবে। গ্রীন চ্যানেল ও ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ডিএসই দ্রুত আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে। এজিএম নির্বিঘ্নে সম্পাদনের জন্য ডিজিটাল বা হাইব্রিড আকারে আয়োজনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন বিভিন্ন সংস্থা ও অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সমন্বয় করে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব হবে। ডিএসই এবং বিএপিএলসি’র মধ্যে সহযোগিতা দেশের পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে। আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশীদারিত্ব বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে, নতুন প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে এবং জাতীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
বৈঠকে বিএপিএলসির চেয়ারম্যান রূপালি হক চৌধুরী বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বাজারের স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএপিএলসি সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিএসই’র সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা দেশের পুঁজিবাজারকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করবে। আমরা বিভিন্ন সময় বাজার উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ড. আনিসুজ্জামান সহ কমিশন ও সরকারি উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করেছি। আমাদের দেশের পুজিবাজারকে অনেক বড় করতে হবে। আর বড় করার জন্য কি করতে হবে, এটি নিয়ে আমরা আরও আলোচনা করতে পারি। আমাদের সমস্যা নিয়ে বেশি আলোচনা করার চেয়ে সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে বেশি আলোচনা করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন আইডিয়া ও বিজনেস প্ল্যান দেখে যদি ছোট ছোট কোম্পানিগুলোকে পুজিবাজারে আনতে পারি তবে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে যারা তালিকাভুক্ত রয়েছে তাদের কমপ্লায়েন্সের বিষয়গুলো আরও সহজ করা প্রয়োজন। আজকের এই সভাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে একসাথে সবাই কাজ করতে চাই।
আলোচনা সভায় দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বিএপিএলসি’র প্রতিনিধিবৃন্দরা লিস্টিং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা; কমপ্লায়েন্স ও সুশাসন কাঠামো; কর কাঠামো; আইপিও প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা এবং যথাযথ মূল্যায়ন; তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরি; যোগ্য ও মানসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির জন্য গ্রীন চ্যানেল প্রবর্তন; রেগুলেটরদের মধ্যে সমন্বয় সাধন; নীতি নির্ধারক, নিয়ন্ত্রক ও কর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ; কোম্পানির মনিটরিং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা; কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা বৃদ্ধি; নির্বিঘ্নে এজিএম আয়োজন; আইপিও’র ক্ষেত্রে ডাইনামিক ভ্যালুয়েশন মডেলের অভাব, ইউনিফাইড ডিজিটাল রিপোর্টিং সিস্টেমের অভাব, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ন্যূনতম করের পার্থক্য এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্র বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ একমত হন যে, সমন্বিত প্রচেষ্টা ও গঠনমূলক সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তোলা সম্ভব। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই) ভবিষ্যতেও বিএপিএলসির সঙ্গে এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়া, আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (অবঃ), সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মোহাম্মদ শাহজাহান, মিনহাজ মান্নান ইমন, রিচার্ড ডি রোজারিও, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
কাফি
পুঁজিবাজার
সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান। ডিএসই সূতে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ানের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা বা ৮.৮৫ শতাংশ কমেছে। এর ফলে কোম্পানিটি দরপতনের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
দরপতনের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০ পয়সা বা ৮.৭০ শতাংশ কমেছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১০ পয়সা বা ৮.৩৩ শতাংশ।
এছাড়াও, ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৭.৬৯ শতাংশ, বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ৬.৮২ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৬.৮২ শতাংশ, একমি পেস্টিসাইড লিমিটেডের ৬.২৯ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৬.২৫ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেসের ৫.৮৮ শতাংশ এবং জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ৫.৪৮ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইউসিবি

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৬০ পয়সা বা ৫.৭১ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
দর বৃদ্ধির এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২ টাকা বা ৫.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪.৬৩ শতাংশ।
এছাড়াও, ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের ৩.৭০ শতাংশ, মতিন স্পিনিং মিলসের ৩.৬৯ শতাংশ, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস লিমিটেডের ৩.৩৩ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের ২.৯৪ শতাংশ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসির ২.৫৬ শতাংশ, হাওয়া ওয়েল টেক্সটাইলস (বিডি) পিএলসির ২.৪৬ শতাংশ এবং ইনটেক লিমিটেডের ২.৩১ শতাংশ দর বেড়েছে।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে খান ব্রাদার্স

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে খান ব্রাদার্স পি.পি. ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ৩০ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা এটিকে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সামিট এলায়েন্স পোর্ট। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৬৬ লাখ ৬ হাজার টাকার। আর ১৯ কোটি ৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে টেকনো ড্রাগ লিমিটেড।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ইনফরমে শন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন, এনভয় টেক্সটাইলস, রবি আজিয়াটা, সোনালী পেপার, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি।
কাফি