পুঁজিবাজার
সিএসইতে ওএফসি রিপোর্টিং বিষয়ক প্রশিক্ষন

চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) তিনদিন ব্যাপী আদারর্স ফাইন্যান্সিয়াল কর্পোরেশন (ওএফসি) রিপোর্টিংয়ের উপর হ্যান্ডস-ওয়ান প্রশিক্ষনের আয়োজন করেছে। গত রবিবার-মঙ্গলবার (৩ মার্চ থেকে ৫ মার্চ) পর্যন্ত প্রতিদিন দুই সেশনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণটি আজ শেষ হয়েছে।
সিএসইর চট্টগ্রামস্থ কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনায় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে সিএসই। ট্রেনিংসমূহে সিএসইর কতিপয় ট্রেক হোল্ডারদের প্রায় ১২০ জন কর্মকর্তা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সিএসই নিয়মিত তাঁর ট্রেক এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকদের জন্য রিপোর্ট প্রস্তুটির প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওএফসি সার্ভে ইউনিট, পরিসংখ্যান বিভাগের যুগ্ম পরিচালক তাসলিমা আক্তার, সহকারি পরিচালক মো. আব্দুস সালাম ও সহকারি পরিচালক সুলতানা রাজিয়া।
সিএসইর পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মাহাদি হাসান, জেনারেল ম্যানেজার এন্ড হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এন্ড মার্কেটিং মো. গোলাম ফারুক, ট্রেক সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপক আদনান আব্দুর রাকিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিএসইর ট্রেনিং ও এওয়ারনেস বিভাগের প্রধান এম সাদেক আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্যে চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মাহাদি হাসান বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য জড়িত সকল স্টেকহোল্ডারদের একসাথে সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার ক্ষেত্রে এই ধরনের ট্রেনিং খুব প্রয়োজন। বিশেষ করে ব্যবহারকারী এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যকার সম্পর্ককে আরও কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করতে এই ধরনের প্রশিক্ষন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহকারী প্রশিক্ষণার্থীরা ব্যাবহারিকভাবে রিপোর্টংয়ের খুঁটিনাটি বিষয়গুলি জানতে ও শিখতে পারবেন।
প্রশিক্ষনটির অন্যতম রিসোর্স পার্সন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক তাসলিমা আক্তার বলেন, যদিও দীর্ঘদিন আগে এই রিপোটিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ও বোধগম্যতার কারনে এখনও এর উদ্দেশ্য পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে না । তাই বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি এবং সিএসইর সমন্বিত উদ্যোগে এই আয়োজন আশা করি সকল অংশগ্রহণকারীর জন্য যথাযথ রিপোর্ট তৈরী ও প্রদানে সহজ করবে ও সেসব ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।
সমাপনী বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আমারা যারা পুঁজিবাজারে কাজ করি তাদেরকে সবসময়ই নিজেদেরকে নতুন নতুন পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত ও উন্নত করে নিতে হয়। রেগুলেটরি ফ্রেম ওয়ার্ক কিংবা বিভিন্ন রিপোর্টং কিংবা আরও আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহ নিয়ে সবসময়ই আমাদেরকে সম্পৃক্ত থাকতে হয়। তারপরও যখনই নতুন কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পরিমার্জন আসে তখনই সে বিষয়গুলোর সাথে নিজেদেরকে কার্যকর এবং দ্রুত প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রশিক্ষণগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সিএসই সব সময়ই কেপাসিটি বিল্ডিং বা যে কোনো নতুন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে বিস্তারিত ধরনের প্রশিক্ষণ বা ওয়ার্কশপ আয়োজন করার ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে নতুন ধরনের রিপোর্টং বা তথ্য প্রদানের প্রয়োজনীয়তা যখনই আসে তখন সে ব্যাপারে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেগুলিকে আরও কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করার ব্যাপারে আমরা উদ্যোগী হই।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা যারা সম্পৃক্ত ছিলাম সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে উপকৃত হব এবং যথাযথভাবে পরবর্তী রিপোর্টগুলি প্রস্তুত করব বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আর্থিক জরিপ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তিকরনের লক্ষ্যে গত জুন ২০১৮ হতে অভিন্ন রিপোর্ট করার ফরমেট অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত রেশনালাইজ ইনপুট টেমপ্লেটের (আরআইটি) মাধ্যমে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের দায় ও সম্পদের তথ্য বা উপাত্ত সমূহ, বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রেরন করছে। যা গত মার্চ ২০২৩ থেকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ সংক্রান্ত তথ্য বা উপাত্ত প্রদানের জন্যে যদিও সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির অনুরোধের প্রেক্ষিতে, সিএসই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ওএফসির সার্ভে ইউনিট কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে এই হ্যান্ডস-ওয়ান ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে।

পুঁজিবাজার
সূচক ঊর্ধ্বমুখী, দুই ঘণ্টায় ২৪০ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ২৪০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (০২ জুলাই) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দুই ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ২৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৬৬ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২ দশমিক ০০ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১০৬৭ ও ১৮১৭ পয়েন্টে অবস্থান করেছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ২৪০ কোটি ২৯ লাখ ১৭ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এসময় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৮৭টির, কমেছে ৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩ কোম্পানির শেয়ারদর।
কাফি
পুঁজিবাজার
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের খাতের প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ০৭ জুলাই, বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ ওই প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একই সভায়, গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনীরিক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে।
পুঁজিবাজার
পাঁচ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানি দুটি হলো- বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক পিএলসি।
বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট
বে-লিজিংয়ের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘বিবি+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-৪’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত ও ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
মিডল্যান্ড ব্যাংক
মিডল্যান্ড ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং নির্ণয়ের তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং নির্ণয়ের তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
উত্তরা ব্যাংক
উত্তরা ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং নির্ণয়ের তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
পুঁজিবাজার
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের অবৈধ শেয়ার ইস্যু, তদন্তে বিএসইসির কমিটি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের অবৈধ শেয়ার ইস্যু করার বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে শর্তসাপেক্ষে এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়ে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক রেজাউন নূর মেহেদী।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডারের মতামতকে মূল্যায়ন না করে অবৈধভাবে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে নতুন ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করা হয়। বিএসইসির তদন্ত কমিটি এ অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবে। কী উদ্দেশ্যে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে এত বড় অংকের শেয়ার ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. মনির হোসেন অর্থসংবাদকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে, যেকারণে এই মুহূর্তে কোনো মতামত দিতে পারছি না। তবে কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে অফিসে আসেন।
এবিষয়টি জানতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানির বোর্ড ড্যাফোডিল পরিবারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তার বিপরীতে শেয়ারে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে ৪.৬৭ কোটি শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেয় ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের পরিচালনা পর্ষদ, যা বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে করার কথা ছিল। তবে, এর আগে কোম্পানিকে এ বিষয়ে এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোম্পানি তা করেনি। ফলে, অবৈধভাবে শেয়ার ইস্যু করার হয়েছে বলে মনে করছেন শেয়ারহোল্ডাররা।
বিএসইসির তদন্তের আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ মর্মে অভিমত দিয়েছে যে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডারের মতামতকে মূল্যায়ন না করে অবৈধভাবে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে নতুন ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করেছে। তাই, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি।
এমতাবস্থায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দুজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে অনুসন্ধান পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্মদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান সম্পন্ন করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের পরিচালনা পর্ষদ। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০১ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৫৪ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.২৪ টাকা।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৬ সালে। বর্তমানে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৪ কোটি ৯৯ লাখ ১২ হাজার ২৬২টি। ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে ৪১.৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৪.১১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.১০ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৪.৩৯ শতাংশ শেয়ার আছে। এ কোম্পানির স্বল্প মেয়াদি ঋণ আছে ২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৮২১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গত সোমবার (৩০ জুন) কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫৪ টাকায়।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ড্যাফোডিল পরিবারের একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি আইটি সলিউশন, কম্পিউটার অ্যাসেম্বলিং এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ব্যবসা করে।
এসএম
পুঁজিবাজার
কমিটি পুনর্গঠন করবে বিসিএমআইএ, আগ্রহীদের তথ্য পাঠানোর আহ্বান

পুঁজিবাজারের সার্বিক কল্যাণ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে আরো গতিশীল করার লক্ষে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিসিএমআইএ।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিসিএমআইএ’র সভাপতি এস. এম. ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম মানিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিএমআইএ সকলের ভালোবাসা, সহযোগিতা, সমর্থন ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতোপূর্বে অনেক গুলো সভা, সেমিনার ও বিক্ষোভ মিছিল সহ নানান কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এমতবস্থায় সর্বমহলের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে, সেই সাথে সংগঠনের কাজের পরিধি ও দায়বদ্ধতা বেড়েছে। সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে বিসিএমআইএ’র কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা সততা, মেধা, সময়, শ্রম ও মার্কেটের অভিজ্ঞতা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য কাজ করতে আগ্রহী তাদেরকে সাদরে সম্মানের সাথে গ্রহণ করবে বিসিএমআইএ। নতুন কমিটিতে যুক্ত হতে চান এমন আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা আগামী ১০ জুলাইর মধ্যে নাম, বর্তমান ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পুঁজিবাজারের সাথে কত বছর যাবৎ জড়িত?, শিক্ষাগত যোগ্যতা- পূরণ করে বিসিএমআইএ অফিসে অথবা ইমেইল bcmia2024@gmail.com অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ০১৫৩৩৫৩৮৬০৭ পাঠাতে হবে।
এসএম