জাতীয়
৩৯ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এই বন্দরের ৩১ জন আমদানিকারক এসব পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থলবন্দর সূত্রে থেকে জানা যায়, আইপি রিপোর্ট অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে ২৯ জন আমদানিকারক ৩৮ হাজার মেট্রিক টনের মতো এবং মার্চ মাসে দুইজন আমদানিকারক ১ হাজার মেট্রিক টনের মতো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পায়। যা এই চলতি অর্থবছরের যেকোনো সময় আমদানিকারকরা আমদানি করতে পারবেন।
সমীর চন্দ্র ঘোষ জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের ৩১ জন আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তারা ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

জাতীয়
সৎ, পেশাদার অফিসাররাই পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা

সৎ, নীতিবান, পেশাদার, নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থাকা অফিসাররাই পদোন্নতির দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২০ জুলাই) সকালে সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের প্রয়োজনে ত্যাগের জন্য সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে বাহিনীটির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এর আগে, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লেখেন।
জাতীয়
সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২০ জুলাই) ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
জাতীয়
ছেলে হত্যার বিচার এখনো পাইনি: আবরার ফাহাদের বাবা

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণ বিচার এখনো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বরকত উল্লাহ বলেন, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আমার ছেলে আবরার ফাহাদকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। তার একমাত্র অপরাধ ছিল– সে দেশের পক্ষে কথা বলেছিল। ভারতীয় আধিপত্য, আগ্রাসন এবং তৎকালীন সরকারের সঙ্গে ভারতের কিছু অবৈধ চুক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আবরার লিখেছিল– ভারত গোপন চুক্তিতে ফেনী নদীর পানি নিচ্ছে, আমরা ইলিশ পাচ্ছি না, অথচ আমাদের ইলিশ কম দামে ভারতে পাঠানো হচ্ছে। এ কথা বলার অপরাধেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সেসময় একতরফা নীতিতে বৈষম্য তৈরি করেছিল।
বরকত উল্লাহ বলেন, আজ ছয় বছর পেরিয়ে গেছে, আমি এখনো ছেলের হত্যার বিচার পাইনি। আমি ন্যায়বিচার চাই– এটাই একজন বাবার আহ্বান।
আবরারের বাবা আরও বলেন, এখনো দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে র্যাগিং হয়। এখন তো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তাহলে কেন এসব বন্ধ হবে না?
তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই-আগস্টে যেসব তরুণ শহীদ হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের তালিকা করেছে, এটা ভালো। কিন্তু ছাত্রলীগের হাতে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে যারা মারা গেছে, তাদের কোনো তালিকা নেই। আমি অনুরোধ করব– এ ধরনের মৃত্যুরও একটি রাষ্ট্রীয় তালিকা তৈরি হোক।
বরকত উল্লাহর কথায় উঠে আসে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ ও অসহায়ত্ব। তিনি বলেন, আমার ছেলে নিজের দেশকে ভালোবেসেছিল, সেটাই ছিল তার অপরাধ। আমি বারবার বিচার চাইছি, এখনো সেই প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ। আমি দেশের বিবেকবান মানুষদের কাছে অনুরোধ জানাই– আবরারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন।
জাতীয়
মানবাধিকার সুরক্ষা-উন্নয়নে সহায়তা দিতেই মানবাধিকার মিশন: প্রেস উইং

বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মধ্যে মানবাধিকার মিশন স্থাপন–সংক্রান্ত তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। মিশনের লক্ষ্য হবে, দেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ শনিবার দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়াই হবে মানবাধিকার মিশনের মূল উদ্দেশ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার–সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা পূরণে এ দেশকে সহায়তা করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। আর সে জন্য দক্ষতা, আইনগত সহায়তা ও প্রতিষ্ঠানগত সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে মিশন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি থেকেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার প্রেক্ষাপটে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা ও সংস্কারের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন হিসেবেই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা জানি, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশে কিছু গোষ্ঠী উদ্বেগ জানিয়েছে। কারণ, দেশের সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সংস্কৃতি ও দৃঢ় ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেকোনো আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বকে এ মূল্যবোধগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে বলে মত দিয়েছেন নাগরিকেরাও।
সেই প্রেক্ষাপটে ওএইচসিএইচআর মিশন শুধু গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করায় জোর দেবে; বিশেষ করে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে। এ মিশন দেশের আইনি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশা করি, মিশন সব সময় স্বচ্ছতা বজায় রাখবে এবং স্থানীয় অংশীজনদের নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বাস্তবতাকে পুরোপুরি সম্মান জানিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সরকার স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছে, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সার্বভৌম কর্তৃত্ব অনুযায়ী যেকোনো সময় এ চুক্তি থেকে সরে আসতে পারবে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, যদি পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এমন একটি কার্যালয় থাকত, তবে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও প্রকাশ্যে গণহত্যার মতো অনেক অপরাধ সঠিকভাবে তদন্ত ও নথিভুক্ত করা এবং বিচারের আওতায় আনা যেত।
শেষে বলা হয়, মানবাধিকারের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার আদর্শে নয়, ন্যায়ের ভিত্তিতে হতে হবে।
বাংলাদেশ সরকার এ অংশীদারত্বকে একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী হবে এবং আইনের শাসন ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সক্ষমতা বাড়বে। এটি আমাদের মূল্যবোধ, আইন ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আপনারা নিশ্চিত থাকুন, চিফ অ্যাডভাইজর (প্রধান উপদেষ্টা) যেদিন নির্বাচনের কথা বলেছেন, সেদিনই নির্বাচন হবে।
শনিবার (১৯ জুলাই) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আয়োজিত ‘টেডএক্স কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ ইভেন্টে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির ময়নামতি অডিটোরিয়ামে এই আয়োজন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল অথবা কোন প্রতিদ্বন্দ্বীর কোন ধরনের আপত্তি থাকবে না এমন পরিবেশ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেস সচিব বলেন, একদিন পেছানো হবে না। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। এই যে গোল্ডেন জেনারেশন হাসিনার মতো ডিক্টেটরকে হটাতে পেরেছে তারা দেশকে এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যাবে। দেশকে তারা মেরামত করতে পারবে।
জুলাই সনদ নিয়ে প্রেস সচিব বলেন, আমরা অন্যান্য দেশের দিকে যদি দেখি, তাহলে বুঝবো আসলে এসব বিষয়ে অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বারবার এটা নিয়ে বসছে, আলোচনা করছে ৷ আশা করি শীঘ্রই জুলাই সনদ আসবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ছাড়াও আয়োজনে লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও উদৌক্তাসহ আরও ১০ জন বক্তা উপস্থিত ছিলেন।