ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে উদ্বেগ কেটে গেছে: বিএবি চেয়ারম্যান

ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে আমাদের মধ্যে যে উদ্বেগ ছিল তা কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
সোমবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গভর্নর আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমরা বুঝতে পেরেছি ব্যাংক একীভূত হলে কারো ক্ষতি হবে না, দুর্বল ব্যাংক শক্তিশালী হবে এবং ভালো ব্যাংক আরো শক্তিশালী হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে এক্সিম ব্যাংকের এ চেয়ারম্যান বলেন, পত্রপত্রিকায় দেখেছি ব্যাংক একীভূত হবে, এতে আমাদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছিল। আজ গভর্নরের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে, তিনি আমাদেরকে বুঝিয়েছেন তাই আমাদের আতঙ্ক কেটে গেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাংক একীভূত করার উদাহরণ রয়েছে। তাই জাতীয় স্বার্থে আমরা এটি মেনে নেব।
তিনি বলেন, সরকার যদি চায় তাহলে জাতীয় স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত মানতে আমরা বাধ্য।
তবে কোন প্রক্রিয়ায় ব্যাংক একীভূত হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তাই এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি। মালিকদের পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একীভূত হবে নাকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত দেবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়নি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত আমরা জাতীয় স্বার্থে মেনে নেব।’
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক খাতের ভালোর জন্যই আমরা ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সামনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ রয়েছে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করব কীভাবে একীভূত করা যায়।
তিনি বলেন, এমনও হতে পারে যে কোনো ব্যাংক একীভূত করার প্রয়োজন হবে না। ইতোমধ্যে দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করার জন্য পিসিএ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ আমরা দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করতে পারব। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন কোন ব্যাংক একীভূত করার প্রয়োজন রয়েছে। তখন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রণীত নীতিমালার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মেজবাউল হক বলেন, অন্যান্য দেশের উদাহরণগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালিকদের নিজস্ব উদ্যোগেই ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমরাও চাই মালিকরা সিদ্ধান্ত নিক। যদি প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।

কর্পোরেট সংবাদ
এবিবি’র নতুন চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী

দেশের শীর্ষ ব্যাংকারদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সিটি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন। এছাড়া, সংগঠন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী।
সম্প্রতি এবিবির বোর্ড অব গভর্নরসের এক সভায় তাদের নির্বাচিত করা হয়।
নতুন চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন এবিবির আগামী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে এই দায়িত্ব পালন করবেন। এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হুসেইন সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির এমডি ও সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করার প্রেক্ষিতে এই সংগঠনের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয় এবং নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
একই সভায় পূবালী ব্যাংক পিএলসি-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী এবিবির নতুন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবুল কাশেম মো. শিরীন এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর আগের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
মাসরুর আরেফিন ১৯৯৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কাতার, এএনজেড ব্যাংকের মেলবোর্ন হেড অফিস, আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক এন.এ.-সহ অন্যান্য ব্যাংকে কাজ করেন। গত ছয় বছর ধরে তিনি সিটি ব্যাংক পিএলসি-র সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবিবিতে প্রায় চার বছর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করার পর এবার তিনি সংগঠনটির নেতৃত্বে এলেন। ব্যাংকার পরিচয়ের বাইরে তিনি একজন লেখক ও অনুবাদক হিসেবেও সুপরিচিত।
মোহাম্মদ আলী ২০০৮ সালে পূবালী ব্যাংক পিএলসি-র চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০১৬ সালে তিনি ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ২০২০ সালে অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং পরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে উন্নীত হন। এই ব্যাংকে তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি চিফ অপারেটিং অফিসার, চিফ অ্যান্টি মানিলন্ডারিং অফিসার, চিফ রিস্ক অফিসার এবং ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে পূবালী ব্যাংক পিএলসি মুনাফা ও সুনামের দিক থেকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এবিবি-তে নতুন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি সংগঠনটির গভর্নিং বডির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করছিলেন।
এসএম
ব্যাংক
আর্থিক খাত সংস্কার হলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে: এনআরবি ব্যাংক এমডি

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি ও সংস্কার নিয়ে অনলাইন বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদ-এর সাথে কথা বলেছেন বেসরকারি এনআরবি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান। তিনি এনআরবি ব্যাংকের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।
অর্থসংবাদ: আর্থিকখাত সংস্কার হলে কতটা টেকসই হবে?
তারেক রিয়াজ খান: এটা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তবে আমরা আশাবাদী বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের পুনর্গঠন ও সংস্কার উদ্যোগ সফল হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
অর্থসংবাদ: দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের দুর্বলতার মূল কারণ কী?
তারেক রিয়াজ খান: বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে গত ১৬-১৭ বছর ধরে যা ঘটেছে, তা দেশটির অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীতে ব্যাংকিং সেক্টরে ম্যানেজমেন্টের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অপ্রত্যাশিত লোন প্রোভিশন ও অবৈধ কার্যক্রম লক্ষ্য করা গেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর বিশাল প্রভাব ফেলেছে। তবে, সরকারের উদ্যোগে এ সেক্টর সংস্কারের পথচলা শুরু হয়েছে এবং ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির সুশাসন এবং স্বচ্ছতার দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদ: রেগুলেটরি দুর্বলতায় অর্থ পাচার বাড়ে কি-না, এটাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
তারেক রিয়াজ খান: আমাদের এজেন্ডা হচ্ছে সঠিকভাবে ডিপোজিট মবিলাইজেশন করা, ব্যাংকের জন্য লিকুইডিটি বৃদ্ধি করা এবং দেশে সুশীল অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখা। কিন্তু যখনই ব্যাংকিং সেক্টরের রেগুলেটরি ডিটেকটিভ ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পলিসি নিয়ে বিশৃঙ্খলা হয়, তখনই ঘটতে পারে অপ্রত্যাশিত ও অবৈধ লেন্ডিং, যা আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এতে অর্থ পাচার, মানিলন্ডারিং এবং অবৈধ কার্যক্রম বাড়ে, যা দেশের উন্নয়ন ও ব্যাংকিং সেক্টরের সুস্থতা ক্ষতিগ্রস্ত করে।
অর্থসংবাদ: গভার্নেন্স শক্তিশালী হলে ব্যাংকিং সেক্টরে কী পরিবর্তন আসবে?
তারেক রিয়াজ খান: বর্তমান ব্যাংকিং সংস্কার উদ্যোগে ব্যাংকগুলোর গভার্নেন্সকে শক্তিশালী করা হচ্ছে, যাতে স্বচ্ছতা, ট্রান্সপারেন্সি এবং সঠিক রেগুলেটরি ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করা যায়। বিশেষভাবে, ব্যাংকিং সেক্টরের বোর্ড রিকনস্টিটিউশন এবং গভর্নমেন্টের সাপোর্টের মাধ্যমে এটি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, গ্রামীণ গৃহঋণ ও এসএমই ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদ: আগামী দুই বছরে এনআরবি ব্যাংক কোন পর্যায়ে থাকবে?
তারেক রিয়াজ খান: আমি ব্যাংকিং সেক্টরের পুনর্গঠনে জোর দেওয়া এবং আমাদের ব্যাংকের ক্ষেত্রে গ্রামীণ গৃহঋণসহ এসএমই সেক্টরে আরও বেশি ফোকাস করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আনা সম্ভব হবে। এ ছাড়া, ডিজিটাল ব্যাংকিং ও ন্যানো লোনিংয়ের মাধ্যমে সেবা পৌঁছানো হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে।
ব্যাংক
গুগল-ফেসবুকে বিজ্ঞাপন পেমেন্ট সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

গুগল, ফেসবুকসহ বিদেশি গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধ ব্যবস্থা সহজ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে স্থানীয় বিজ্ঞাপন এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশি গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের বিল দিতে পারবে। এর জন্য আলাদা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে না।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এতদিন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চাইলে সরাসরি বিদেশে বিজ্ঞাপন দিতে পারতেন এবং সেই অর্থ তাদের পক্ষে ব্যাংকগুলো পাঠাতে পারত। যদি সেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো এজেন্সির মাধ্যমে, তাহলে ব্যাংকগুলোকে আলাদা অনুমোদন নিতে হতো।
নতুন নির্দেশনায় দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান যদি স্থানীয় বিজ্ঞাপন এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে, তাহলে বিজ্ঞাপনের অর্থ বিদেশে পাঠাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে না। এর পরিবর্তে ব্যাংকগুলো তাদের বিজ্ঞাপন এজেন্সির গ্রাহকদের পক্ষে অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। তবে অর্থ পরিশোধের আগে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে, তা সম্পন্ন করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গুগল, ফেসবুক বা মেটার মতো বিদেশি প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেওয়া আধুনিক বিপণন ও ব্যবসা প্রসারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নতুন এই নীতিতে রেমিটেন্স পাঠানো অনেকটাই সহজ ও ঝামেলাহীন হবে।
কাফি
অর্থনীতি
চাঁদপুরে ইউসিবির এটিএম বুথ বন্ধ, গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ

ঈদুল আযহার ছুটি শুরুর প্রথম দিন থেকেই ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। নেটওয়ার্ক সমস্যার অজুহাতে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাংকের এটিএম বুথ হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ফলে নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে ব্যাংকটির অসংখ্য গ্রাহক। তেমনি চাঁদপুর শহর ও বাবুরহাট এলাকা ঘুরে অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ খোলা থাকলেও ইউসিবির বুথ বন্ধ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর শহর ও বাবুরহাটে ইউসিবির দুটি শাখা রয়েছে। এতে বৃহস্পতিবার সকালে কিছু গ্রহক টাকা উঠাতে পারলেও দুপুর ১টার পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় বুথের কার্যক্রম। এতে স্থানীয় গ্রাহক সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাড়িরটানে গ্রামে ঈদ করতে আসা ঘরমুখো মানুষ গুলো টাকা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। ইউসিবির এটিএম বুথে টাকা না পেয়ে গ্রাহকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় ইউসিবির এটিএম বুথে গিয়ে দেখা গেছে, বুথের দরজায় সাঁটানো রয়েছে “ছুটির কয়েকটা দিন এই এটিএম বন্ধ থাকবে” লেখা নোটিশ। এতে যাদের জরুরি নগদ টাকা প্রয়োজন ছিল, তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
ব্যাংকটির অন্য একটি বুথের সামনে সাঁটানো এক নোটিশে লেখা রয়েছে, “পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে আগামী ৫ জুন, বৃহস্পতিবার থেকে ১২ জুন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকবে। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের জন্য আগামী ৯ জুন সোমবার থেকে ১৪ জুন শনিবার পর্যন্ত ইউসিবির সকল ব্যাংকিং সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে”। তবে আগামী ৯ জুন থেকে এটিএম বন্ধ রাখার কথা থাকলেও আজ ৫ জুন থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এসব বুথ।
অন্যদিকে ঈদের বন্ধে এটিএম বুথের নিরাপত্তা ও টাকা রাখার বিষয়ে আগাম সতর্কতা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ঈদের ছুটি শুরুর প্রথম দিন থেকেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না ইউসিবির এটিএম বুথে। বেশির ভাগ ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলন বন্ধ বা সীমিত করেছে। বিভিন্ন বুথ ঘুরে টাকা তুলতে না পেরে বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার এটিএম বুথ, এমএফএস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, পয়েন্ট অব সেলস, কিউআর কোড ও অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়েতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ইউসিবির বুথ বন্ধ করে দেওয়াকে প্রতারণা বলছেন গ্রাহকরা।
ঢাকা থেকে ঈদ উদযাপন করতে আসা মনির হোসেন জানান, টাকা না পেলে সমস্যায় পড়তে হবে। মো. সোহেল আকন টাকা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একাধিক গ্রাহক জানান, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই এভাবে বুথ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বাজার করা, পরিবহন খরচসহ নানা কাজে বিপর্যয় ঘটেছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। গ্রাহকরা দ্রুত সমস্যার সমাধান এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতির দাবি জানিয়েছেন ইউসিবি কর্তৃপক্ষের প্রতি।
ইউসিবির বুথ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে ইউসিবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মোহাম্মদ মামদুদুর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিরি রিসিভ করেননি। এ কারণে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
অর্থসংবাদ/কাফি
ব্যাংক
আজ রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু ব্যাংক

আজ শুক্রবার (৬ জুন); রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে তাই আজও ঢাকা ও চট্টগ্রামের কোরবানির পশুর হাটের আশেপাশের ব্যাংক শাখা ও উপশাখাগুলো রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এক নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকের এই শাখা ও উপশাখাগুলো খোলা রাখা হচ্ছে। গত ৩ জুন থেকেই এই নির্দেশনা পালন করে আসছে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জারি করা এ নির্দেশনায় বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ব্যাপকসংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের লেনদেন হয়। তাই হাটসংলগ্ন এলাকার ব্যাংক শাখাগুলোতে অতিরিক্ত ব্যাংকিং সহায়তা দেওয়া জরুরি।
ঢাকা উত্তর সিটির আওতায় যেসব হাটে এই সুবিধা থাকবে তার মধ্যে রয়েছে—উত্তরা দিয়াবাড়ি, ভাটারা সুতিভোলা, মিরপুর গাবতলী, মোহাম্মদপুর বছিলা, খিলক্ষেত বনরূপা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন হাট।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতায় রয়েছে—লেদার টেকনোলজি ইনস্টিটিউট এলাকা, শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট, পোস্তগোলা, দনিয়া কলেজ, সাদেক হোসেন খোকা মাঠ, ধোলাইখাল, রহমতগঞ্জ, কদমতলী, কমলাপুর ও আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজ এলাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে এই সুবিধা দেওয়া হবে শুধুমাত্র সাগরিকা পশুর হাটসংলগ্ন ব্যাংক শাখাগুলোতে।
কাফি