Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

অর্থনীতি

জিআই স্বীকৃতিতে পণ্যের বাণিজ্যিক লাভ কতটুকু

Published

on

ওষুধ

আকবরিয়া হোটেল কর্তৃপক্ষ ১ হাজার ৬০০ প্যাকেট বগুড়ার দই সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্ডার পেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বগুড়া শহরের এই প্রতিষ্ঠান এখন দই সরবরাহের অর্ডার পাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া ক্রয়াদেশ তার একটি। আকবরিয়ার স্বত্বাধিকারী মো. হাসান আলী আলাল গত বৃহস্পতিবার বলছিলেন, ‘বগুড়ার দই ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর দেশের বাইরে থেকে অর্ডার পাওয়া বেড়েছে। কিন্তু বেশ কিছু সমস্যার কারণে আমরা সরবরাহ করতে পারছি না।’

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

হাসান আলী আলালের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রচলিত যে পদ্ধতিতে এখন দই তৈরি ও সংরক্ষণ করা হয়, তার মেয়াদ বেশি নয়। যদি দইকে রপ্তানি পণ্য হিসেবে আরও জনপ্রিয় করতে হয়, তাহলে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। এতে সহযোগিতা লাগবে সরকারের।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

দ্বিতীয় বিষয় হলো, একটি পণ্য যখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃত হয়, তখন এর গুণগত মান ও অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সংরক্ষণ দরকার। সে জন্য প্রয়োজন পণ্যের গায়ে হলমার্ক জুড়ে দেওয়া। এটা জেলা প্রশাসন ছাড়া কেউ করতে পারে না। দেখা গেছে যে এ পর্যন্ত জিআই পণ্যের মর্যাদা পাওয়া প্রায় সব পণ্যের ক্ষেত্রেই সমস্যা কমবেশি একই।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গত বছরের শেষ দিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম। এ নিয়ে তখন জেলার শুধু ব্যবসায়ী মহল নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। তবে জিআই করার পর চমচম নিয়ে আর কিছুই এগোয়নি বলে জানান টাঙ্গাইলের হোটেল রেস্তোরাঁ ও মিষ্টি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি স্বপন ঘোষ। তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের চমচমের মান রক্ষিত হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার।

জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার পর বগুড়া জেলা শহরের ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুবিধা পেলেও ‘দইয়ের রাজধানী’ বলে খ্যাত শেরপুর উপজেলার ব্যবসায়ীরা কিন্তু এ থেকে তেমন কোনো লাভ দেখছেন না। শেরপুরের বৈকালী দই মিষ্টি ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী পার্থ সাহা বলেন, ‘জিআই হওয়ার পর যেটা হয়েছে, আমাদের পণ্যের ওপর আরও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু এর বাণিজ্যিক প্রসারে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখছি না।’

বগুড়ার দই জিআই পণ্য হয়েছে গত বছরের ২৫ জুন। কিন্তু এখনো এর সনদ জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সনদ না পাওয়ার কারণে আমরা এ পণ্য নিয়ে পরিকল্পিত কাজগুলো করতে পারছি না।’ আর টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, শুধু চমচম নয়, টাঙ্গাইলের শাড়ি, আনারস ও কাঁসার প্রদর্শনী ও বিক্রির জন্য একটি স্থান নির্ধারণের পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।

জিআই কী

কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীর কোনো সংস্কৃতি যদি পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে, তাহলে সেই পণ্য ওই অঞ্চলের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। কোনো পণ্য তাই জিআই পণ্য হলে এর একটি মর্যাদাপ্রাপ্তি ঘটে। কিন্তু বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। এর একটি বাণিজ্যিক গুরুত্বও আছে। জিআইয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সুনির্দিষ্ট এলাকার পণ্যের প্রসার, এর গুণগত মান বৃদ্ধি এবং নকল রোধ করা। এভাবে মান অক্ষুণ্ন হলে পণ্যের বাজার বাড়ে, এলাকার বাইরে এমনকি বিদেশেও রপ্তানিযোগ্য হয়ে ওঠে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জিআই নিবন্ধনের সময় পণ্য নির্দিষ্টকরণ, সম্প্রদায় নির্দিষ্টকরণ ও ভৌগোলিক অবস্থান নির্দিষ্টকরণ করতে হয়। আমরা পণ্য নিবন্ধন করে বসে থাকি। কিন্তু পণ্যের পাশাপাশি কারা এই পণ্য বানাবে, তারও নিবন্ধন থাকতে হয়। আইনে তা বলা আছে। সেটা হলে ভুঁইফোড় ব্যবসায়ীদের হাত থেকে পণ্যের সুরক্ষা হয়।’

খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিপণনে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু জিআই হলে আরও কিছু বিষয় যুক্ত হয় বলে মনে করেন মেধাস্বত্ব আইনের বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পণ্যের একটি হলমার্ক বা জিআই ট্যাগ থাকতে পারে। কী কী দ্রব্য নিয়ে পণ্য তৈরি হচ্ছে, তার বর্ণনা থাকতে হবে। এভাবে মান রক্ষিত হবে। জেলার খাদ্য পরিদর্শকেরা তদারকের এই কাজ করতে পারেন। তবে জেলার প্রধান হিসেবে এ কাজের পরিচালনার দায় জেলা প্রশাসকদেরই নেওয়া উচিত।

২১টি পণ্য জিআই, জার্নাল হলো ১০টির

বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশে জিআই আইন হয়েছে ২০১৩ সালে। জামদানি শাড়ি ও ইলিশ মাছ যখন ভারতে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তখন এটা হয়েছে। প্রথম জিআই পণ্য ছিল জামদানি শাড়ি। পণ্যের জিআই সনদ দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। এরপর একে একে জিআই পণ্য হয় বাংলাদেশের ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারিভোগ ও কালিজিরা চাল, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি ও শীতলপাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম ও আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, কুমিল্লার রসমালাই এবং কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।

দেশে ২০১৩ সালে জিআই আইন হলেও ১০ বছরে মাত্র ১০টি পণ্য জিআইভুক্ত হয়েছে। তবে গত বছর একেবারে আরও ১০টি পণ্য জিআইভুক্ত হয়।

সম্প্রতি ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করলে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি দ্রুততার সঙ্গে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসন টাঙ্গাইল শাড়ির জিআইয়ের জন্য আবেদন করে। সেদিনই আবেদন গেজেটভুক্ত করতে বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। জিআই পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়ির জার্নাল প্রকাশিত হয় ৮ ফেব্রুয়ারি। এখন টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১০টি পণ্যের জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে আছে রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মন্ডা, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, রাজশাহীর মিষ্টি পান, জামালপুরের নকশিকাঁথা, যশোরের খেজুর গুড় এবং নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা।

জিআই স্বীকৃতিতে ব্যবসায়িক সুবিধা

একটি পণ্যের জিআই সনদ পেতে জার্নাল প্রকাশের পর দুই মাস অপেক্ষা করতে হয়, কোনো অভিযোগ বা আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য। তবে জার্নাল প্রকাশ করার কাজ শেষ হতে না হতেই পণ্যের জিআই হয়ে গেছে বলে প্রচার করা হয় সরকারের তরফ থেকে। অবশ্য এভাবে পণ্য নথিভুক্ত করায় দ্রুতগতিকে মন্দের ভালো বলেই মনে করেন অনেকে।

তবে জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার পর একটি পণ্য বাণিজ্যিকভাবে কতটুকু সুবিধা পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জিআই নিয়ে গবেষণায় যুক্ত ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি রাজীব আহমেদ মনে করেন, পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণের দিকটি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘পণ্য জিআই হলে এর প্রচার ও বিক্রি দুই–ই বাড়ে। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে এসব নিয়ে কোনো রকম গবেষণা বা পরিসংখ্যান নেই।’

স্থানীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্যে জিআই স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, জিআই স্বীকৃতি পেলে একটি পণ্যে বাড়তি মূল্যমান যুক্ত হয়। বিশেষ করে পণ্যটির বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু এর জন্য তো ওই পণ্যের ব্র্যান্ডিং দরকার।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের পক্ষে পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব নয়। এ জন্য সরকারি উদ্যোগ দরকার। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে কোনো পণ্যের ক্ষেত্রেই তা হয়নি। পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার পর কী করতে হবে, তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ও কার্যক্রম আমাদের চোখে পড়েনি।’

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-

অর্থনীতি

চার প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দিলো এডিবি

Published

on

ওষুধ

চার প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিলো এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ২২ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৫ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (২০ জুন) বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই ঋণচুক্তি হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পদ বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী। এডিবির পক্ষে সই করেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রধান হোয়ে ইউন জিয়ং।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বাংলাদেশে ব্যাংক খাত স্থিতিশীল ও সংস্কারের জন্য ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। নিয়ন্ত্রক তত্ত্বাবধান, করপোরেট সুশাসন, সম্পদের মান এবং স্থিতিশীলতা জোরদার করে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল ও সংস্কারের জন্য এ ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি। ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও সংস্কার কর্মসূচি, সুশাসন বৃদ্ধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনা কাঠামোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং ব্যাংক ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য খেলাপি ঋণ সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা প্রবর্তনে খরচ হবে এ অর্থ। এর মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির জন্য নীতিগত সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এডিবির প্রধান আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ সঞ্জীব কৌশিক বলেন, ব্যাংক খাতে মূল সমস্যা হলো শক্তিশালী সম্পদের মানের অভাব, তারল্যের অভাব এবং অপর্যাপ্ত আর্থিক মধ্যস্থতা- যার ফলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির হার কম। এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক নিয়মে মেনে চলা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রকের ক্ষমতা বাড়ানো হবে। এছাড়া ব্যাংক খাতের মূলধন বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের অর্থায়নের অ্যাক্সেস উন্নত করার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য মূল্য সংযোজন আনবে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন, বাংলাদেশ এখন ব্যাংক খাতে বড় পরিসরে সংস্কার বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এই কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়াবে, ব্যাংকগুলোর সুশাসন জোরদার করবে, সম্পদের মান উন্নত করবে এবং আর্থিক খাতকে উচ্চতর প্রবৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত করবে।

ঢাকা উত্তর-পশ্চিম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়নে ২০ দশমিক ৪ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি সই করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকার। করিডোরটির উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই সহায়তা দ্বিতীয় দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এসএএসইসি) ঢাকা উত্তর-পশ্চিম করিডোর সড়ক প্রকল্পের আওতায় এক দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বহু-অঞ্চলীয় এডিবি ঋণের চতুর্থ কিস্তি হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ এবং উপ-আঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে। এটি করিডোর পথের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে এবং ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য সহজ করবে।

এ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। এটি বাংলাদেশের আধুনিক ও দক্ষ পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্যে বড় ভূমিকা রাখবে। সড়ক নিরাপত্তা বাড়াতে নির্মিত হবে ফুটওভারব্রিজ, ফুটপাত এবং ধীরগতির যানবাহনের জন্য দুটি নির্দিষ্ট লেন।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার মান, নির্ভরযোগ্যতা, স্থিতিশীলতা এবং দক্ষতা বাড়াতে ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার প্রসারে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। ‘বিদ্যুৎ সঞ্চালন শক্তিশালীকরণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি একীভূতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া, চাঁদপুর, গোপালগঞ্জ, হবিগঞ্জ, পিরোজপুর ও সাতক্ষীরা জেলার গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিড উন্নয়ন করা হবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিবর্তনশীল নবায়নযোগ্য জ্বালানি (ভিআরই) হাবের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করাও সহজ হবে।

চুক্তি সই শেষে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করা, দারিদ্র্য হ্রাস, ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য- বিশেষ করে দরিদ্র ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য। এই প্রকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংহতকরণ, স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো, নির্গমন হ্রাস এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন উৎসাহিত করতে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি। এই তহবিল ‘জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচি (সিআরআইডিপি)’র দ্বিতীয় পর্যায়ে সহায়তা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় এজেন্সি ফ্রান্সেস ডি ডেভেলপমেন্ট (এএফডি) থেকে প্রায় ১১৩ মিলিয়ন ডলার এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে আরও ৪০০ মিলিয়ন ডলার সহ-অর্থায়ন রয়েছে।

এ বিষয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, এই কর্মসূচি একটি কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অভাব, অপর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন এবং বেসরকারি খাতের সীমিত অংশগ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাধাগুলো মোকাবিলা করবে। এটি জলবায়ু উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়ক পরিবেশ তৈরি, অভিযোজন জোরদার এবং প্রশমনমূলক পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সবজিতে স্বস্তি, বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

Published

on

ওষুধ

রাজধানীর বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম, এতে সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বিপরীত চিত্র মুরগি ও মাছের বাজারে, যেখানে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (২০ জুন) সকালে তালতলা ও আগারগাঁও বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বরবটি ৫০ টাকা, দেশি পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর মুখী ৬০ টাকা, সাজনা ডাটা ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা আম ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এছাড়াও ছোট ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, দেশি শসা ৫০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কলমি শাক দুই আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক দুই আঁটি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজারে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ৩৩০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, লাল লেয়ার ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ ২,৬০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ইলিশ ২,৪০০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ১,০০০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১,২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১,৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১,২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১৮০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৩০ টাকা কেজিতে। চালের বাজারে মিনি কেট ৮২ থেকে ৯২ টাকা, নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং চাল ‘২৮’ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। ডিমের বাজারে লাল ডিম ডজনপ্রতি ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

এনবিআর সংস্কারে ৬ সদস্যের কমিটি

Published

on

ওষুধ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কারে সবে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে ছয় সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনবিআর সদস্য (কর লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীকে প্রধান সমন্বয়কারী করে এই কমিটি করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এনবিআরের প্রথম সচিব (বোর্ড প্রশাসন) মো. জাহিদ নেওয়াজের সই করা এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কমিটির সদস্যরা হলেন- সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ, সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) ফারজানা আফরোজ, সদস্য (কর অডিট ইন্টেলিজেন্স ও ইনভেস্টিগেশন) মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য (কাস্টমস নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (মূসক নীতি) ড. মো. আব্দুর রউফ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আদেশে বলা হয়েছে, উপদেষ্টার দপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয় ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাস্তবায়ন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাজস্ব নীতি পৃথকীকরণের কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ববিষয়ক পরামর্শক কমিটি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা ২৫ মে প্রদান করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় এনবিআরের বিসিএস (কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের ছয়জন সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হলো, যারা এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ সমন্বয় করবেন। এই কমিটি রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সঙ্গে সমন্বিতভাবে সভায় মিলিত হয়ে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। পরবর্তীতে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য বিসিএস (কর) এবং বিসিএস (কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সাইজ) ক্যাডারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে উপদেষ্টার সঙ্গে সভায় মিলিত হবেন।

এনবিআর বিলুপ্ত করে গত ১২ মে মধ্যরাতে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশ বাতিল ও টেকসই রাজস্ব সংস্কারসহ মোট চার দফা দাবিতে ১৪ মে থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে সারা দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধাপে ধাপে ২৫ মে পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। ২৫ মে রাতে অর্থ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে চলা আন্দোলন কর্মসূচি ১৩ দিন পর প্রত্যাহার করা হয়। চারটি দাবির মধ্যে তিনটি দাবি পূরণ হওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। তবে চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

গত ২৫ মে রাতে ঐক্য পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

এর আগে, অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

ঐক্য পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ মে মধ্যরাতে জারি হওয়া রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলসহ মোট চার দফা দাবিতে গত ১৪ মে থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে সারা দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধাপে ধাপে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।

ঐক্য পরিষদের চারটি দাবি হলো—অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা, অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কায় তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

Published

on

ওষুধ

তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কায় সফররত বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) কলম্বোয় দেশটির উপ-পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র এবং উপ-অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমার সঙ্গে তাদের মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তারা এ আহ্বান জানান।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সাক্ষাৎকালে শ্রীলঙ্কার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র বলেন, দুদেশের বেসরকারিখাতের সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে আগামীতে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে তিনি জানান, শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে থাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশে সঙ্গে এফটিএ-এর সম্ভাব্য সুফল ও ঝুঁকি নিয়ে বর্তমানে বিশ্লেষণ চলছে। তিনি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের তার দেশের সম্ভাবনাময় খাতসমূহে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং এ লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।

সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ জানান, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ধারা পরিবর্তন হচ্ছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলছে।

তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, তবে প্রযুক্তি, পণ্যের মূল্য সংযোজন এবং উদ্ভাবনের দিক থেকে শ্রীলঙ্কা বেশ এগিয়ে রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেরও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে দুদেশের বেসরকারিখাতের যৌথ উদ্যোগে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ উভয় দেশের মধ্যে একটি এফটিএ সই হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যকার সংযোগ আরও সুদৃঢ় হবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং শ্রীলঙ্কার উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি প্রায় একই ধাঁচের, যেখানে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বাস্তবিক অর্থে ততটা কার্যকর হবে না, এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও ত্বরান্বিত হবে।

পৃথক বৈঠকে শ্রীলঙ্কারর উপ-অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা বলেন, আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অবারিত সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সেবা, ওষুধ, চা, জ্বালানি, আর্থিক সেবা এবং পর্যটন খাত যৌথ বিনিয়োগের জন্য প্রচুর সম্ভাবনাময়।

তিনি জানান, শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে একটি উচ্চাভিলাষী ডিজিটাল রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে এবং এই পরিকল্পনার অধীনে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তর এবং প্রতিটি সেবা স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, শ্রীলঙ্কায় অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার স্থাপনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতে পারেন। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কার ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান, যাতে দেশটির স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

এসময় ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং সহ-সভাপতি সালিম সোলায়মান উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণসহ আর্থিক নিরীক্ষায় স্বাধীনতা ছিল না: আইসিএবি

Published

on

ওষুধ

ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণসহ আর্থিক নিরীক্ষায় আমাদের স্বাধীনতা ছিল না। বিভিন্ন চাপের মুখে নিরীক্ষকদের হাত-পা বাঁধা ছিল। আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও আদালতের রায় উপেক্ষা করতে পারিনি। ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির কাউন্সিল বা পর্ষদ সদস্য মেহেদি হাসান এসব কথা বলেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মেহেদি হাসান বলেন, ব্যাংক খাতের কোন ঋণকে খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য করা হবে, সেই মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিত বাংলাদেশ ব্যাংক। সেটি অনুসরণ করে বিগত সময়ে ব্যাংকগুলোর আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করতে হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘কারও কারও ব্যক্তিগত ব্যর্থতা আমরা অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে তুলে ধরেছি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার বাইরে গিয়ে আমাদের কিছু করার সুযোগ ছিল না।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আইসিএবি’র সভাপতি মারিয়া হাওলাদার। উপস্থিত ছিলেন আইসিএবি’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন, কাউন্সিল সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, সাব্বির আহমেদ ও জেরিন মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।

আর্থিক খাতের বিশেষ করে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে কিন্তু অডিট রিপোর্টে প্রকাশ পায়নি— এই দায় কার? সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইসিএবির কাউন্সিল সদস্য মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, তখন আমরা অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু প্রকাশ করতে পারিনি কারণ আমাদের হাত-পা বাঁধা ছিল।

উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, ঋণ খেলাপি হয়েছে দেখেছি কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি বলে দিয়েছে এটি খেলাপি দেখানো যাবে না। আবার অনেক ঋণ গ্রহীতা খেলাপি হওয়ার পর আদালতে গেছেন বিচারক বলে দিয়েছেন ঋণ খেলাপি করা যাবে না; ওই সময় আমাদের কিছু করার ছিল না।

তিনি জানান, আমরা প্রকাশ্য রিপোর্টে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে না পারলেও অভ্যন্তরীণ বা ইন্টার্নাল রিপোর্টে সব তথ্য দিয়েছি। কিন্তু এসব তথ্য সাধারণের কাছে প্রকাশ করা আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত, তাই জানাতে পারিনি।

তার এই অভিযোগকে সমর্থন করে সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিনসহ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের অন্যান্য সদস্যরাও দাবি করেন, ব্যাংকের ইচ্ছামতো অডিট রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হয়েছে। কারো ঘাড়ে একাধিক মাথা ছিল না যে তাদের দাবি না মেনে প্রকৃত রিপোর্ট প্রকাশ করবে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে খেলাপি ঋণের হার নির্ধারণ করে দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে লিখিত চিঠি পাঠানো হতো বলেও দাবি সংগঠনটির। প্রকৃত তথ্য লুকানোর কারণে আর্থিক খাতের যে দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এজন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মনীতি ও অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগকে দায়ী করেন আইসিএবি’র সদস্যরা।

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সার্টিফাইড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টকে (সিএমএ) অডিট ক্ষমতা প্রদানের দাবি জানায় দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। দেশের আর্থিক খাতের দুর্বলতা, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা দূরীকরণে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিএমএ সদস্যদেরকে একক মালিকানা, পার্টনারশিপ, এনজিও, ট্রাস্ট, এসএমই ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেগুলো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের আওতার বাইরে, সেগুলো নিরীক্ষার অনুমতি দেওয়া আবশ্যক। যা এফআরসি বিধিমালার শিডিউল ১ এর (গ)-তে বর্ণিত। অতএব, এনবিআর, জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, দাতা সংস্থা এবং তহবিল নিরীক্ষা (যেমন- ডব্লিউপিপিএফ, গ্র্যাচুইটি) এর আওতাধীন নিরীক্ষা কাজগুলোও সিএমএদের জন্য উন্মুক্ত করা ও বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।

আইসিএমএবি’র আর্থিক বিবরণী নিরীক্ষার দাবির বিরোধিতা করে আইসিএবি। সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট তৈরি ও তাদের মাধ্যমে অডিট করার দায়িত্ব একমাত্র আইসিএবি’র। এই সংস্থার পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (আইএফএসি) অনুসরণ করে। ফলে এখান থেকে পাস করা অডিটররা দক্ষ ও যোগ্য হন।

আইসিএবি জানায়, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষার জন্য দেশে কেবল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের আইনি স্বীকৃতি রয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে গুণগত মান নিশ্চিতে কাজ করে। এ জন্য রয়েছে আলাদা কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স বিভাগ, তদন্ত ও শৃঙ্খলা কমিটি।

তারা আরও জানায়, কস্ট অডিটের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনে আইসিএমএবি’র সদস্যদের সুযোগ থাকলেও এ বিষয়ে কোনো বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এই কাজে আইসিএবি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

সংগঠনটি বলছে, অডিট পেশার মান ধরে রাখা এবং দেশের স্বার্থে সবাইকে নিয়ে সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তুলতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আইসিএবি সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে অপপ্রচার বন্ধ করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা চাই সবাই মিলে অ্যাকাউন্টিং পেশাসহ এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করি।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ওষুধ ওষুধ
পুঁজিবাজার8 hours ago

সূচক-লেনদেনের সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন থেকে ১৯ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে।...

ওষুধ ওষুধ
পুঁজিবাজার13 hours ago

এক হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে ইউসিবি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) আরও একটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করবে। এই বন্ডের নাম- ইউসিবি ৬ষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড।...

ওষুধ ওষুধ
পুঁজিবাজার1 day ago

ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি কর্তৃক ডিসেম্বর ৩১,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব...

ওষুধ ওষুধ
পুঁজিবাজার1 day ago

ব্র্যাক ব্যাংকের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ ২০২৪ সালের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশের অনুমোদন করেছে।...

ওষুধ ওষুধ
পুঁজিবাজার1 day ago

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার...

ওষুধ ওষুধ
পুঁজিবাজার1 day ago

বিএসইসির নজরদারি ব্যবস্থা বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আলোচনা

অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের (এএসআইসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।...

ওষুধ ওষুধ
পুঁজিবাজার1 day ago

তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে বিএসইসির সেমিনার

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের নিয়ে ‘কম্পিলিয়ান্স অফ সিকিউরিটিস মার্কেটস’...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
ওষুধ
গণমাধ্যম5 hours ago

ঢাকাস্থ চাঁদপুর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাহরিয়ার, সম্পাদক সফিক শাহীন

ওষুধ
জাতীয়8 hours ago

সারাদেশে বিশেষ অভিযান গ্রেফতার ১ হাজার ৭৮২ জন

ওষুধ
পুঁজিবাজার8 hours ago

সূচক-লেনদেনের সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন

ওষুধ
আন্তর্জাতিক9 hours ago

পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করলো ইরান

ওষুধ
খেলাধুলা9 hours ago

এশিয়ান কাপ আরচ্যারিতে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশের আলিফ

ওষুধ
জাতীয়9 hours ago

ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে: প্রেস উইং

ওষুধ
অর্থনীতি10 hours ago

চার প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দিলো এডিবি

ওষুধ
জাতীয়10 hours ago

হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি

ওষুধ
আন্তর্জাতিক10 hours ago

ইরানকে দুই সপ্তাহ সময় দিলেন ট্রাম্প

ওষুধ
অর্থনীতি12 hours ago

সবজিতে স্বস্তি, বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

ওষুধ
গণমাধ্যম5 hours ago

ঢাকাস্থ চাঁদপুর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাহরিয়ার, সম্পাদক সফিক শাহীন

ওষুধ
জাতীয়8 hours ago

সারাদেশে বিশেষ অভিযান গ্রেফতার ১ হাজার ৭৮২ জন

ওষুধ
পুঁজিবাজার8 hours ago

সূচক-লেনদেনের সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন

ওষুধ
আন্তর্জাতিক9 hours ago

পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করলো ইরান

ওষুধ
খেলাধুলা9 hours ago

এশিয়ান কাপ আরচ্যারিতে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশের আলিফ

ওষুধ
জাতীয়9 hours ago

ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে: প্রেস উইং

ওষুধ
অর্থনীতি10 hours ago

চার প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দিলো এডিবি

ওষুধ
জাতীয়10 hours ago

হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি

ওষুধ
আন্তর্জাতিক10 hours ago

ইরানকে দুই সপ্তাহ সময় দিলেন ট্রাম্প

ওষুধ
অর্থনীতি12 hours ago

সবজিতে স্বস্তি, বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

ওষুধ
গণমাধ্যম5 hours ago

ঢাকাস্থ চাঁদপুর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাহরিয়ার, সম্পাদক সফিক শাহীন

ওষুধ
জাতীয়8 hours ago

সারাদেশে বিশেষ অভিযান গ্রেফতার ১ হাজার ৭৮২ জন

ওষুধ
পুঁজিবাজার8 hours ago

সূচক-লেনদেনের সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন

ওষুধ
আন্তর্জাতিক9 hours ago

পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করলো ইরান

ওষুধ
খেলাধুলা9 hours ago

এশিয়ান কাপ আরচ্যারিতে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশের আলিফ

ওষুধ
জাতীয়9 hours ago

ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে: প্রেস উইং

ওষুধ
অর্থনীতি10 hours ago

চার প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দিলো এডিবি

ওষুধ
জাতীয়10 hours ago

হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি

ওষুধ
আন্তর্জাতিক10 hours ago

ইরানকে দুই সপ্তাহ সময় দিলেন ট্রাম্প

ওষুধ
অর্থনীতি12 hours ago

সবজিতে স্বস্তি, বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম