ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পর্দা নামলো অমর একুশে বইমেলার

এ বছরের মতো পর্দা নামলো অমর একুশে বইমেলার। শনিবার (২ মার্চ) ছিল মেলার শেষ দিন। এদিন বেলা ১১টায় শুরু হয়ে মেলা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। শেষ দিনে লেখক-পাঠক-দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় মেলা প্রাঙ্গণ। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ছিল বই বেচাকেনার হিড়িক।
সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবারের মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। রাত ৯টায় শেষ হয়েছে মেলার কার্যক্রম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের বইমেলায় ৬০ কোটিও বেশি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকার বই। এ বছর মোট বই প্রকাশিত হয়েছে তিন হাজার ৭৫১টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৭৩০টি৷
এদিন সকাল থেকে মেলায় লোকসমাগম কম হলেও বিকেলে লেখক-পাঠক ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিদায় বেলায় স্টলগুলোতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন প্রকাশনী ক্রেতাদের জন্য ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাড় দেয়।
বাঙ্গালা প্রকাশনীর ম্যানেজার আফজালুল বাসার বলেন, মেলার অন্তিম মুহূর্তে ভালো বেচাকেনা হয়েছে। এবার শুরু থেকেই জমজমাট ছিল। শেষ দিন সন্ধ্যার পর থেকে সব বইয়ে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছি।
তামিম নামের একজন পাঠক বলেন, শেষ দিনে ভিড় কম ছিল। স্বাচ্ছন্দ্যে বই খুঁজতে পেরেছি। পছন্দের বইগুলো ছাড়ে পেয়েছি।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, এবার ১ মার্চ পর্যন্ত মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৬০ লাখের কাছাকাছি। এবার ৬০০টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। এবারের মেলায় ৯ শতাধিক স্টল ও ৬৭০টি প্রকাশনী অংশ নেয়।
প্রথা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিন পর্দা নামে অমর একুশে বইমেলার। অধিবর্ষ হওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাস ছিল ২৯ দিনে। মাসের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। প্রকাশকদের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেলার সময় দুদিন বাড়িয়ে ২ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। ফলে এবারের বইমেলা হয় ৩১ দিনব্যাপী।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মিনিস্টারে চাকরির সুযোগ

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই টেক পার্ক লিমিটেড। আগ্রহ ও যোগ্যতা থাকলে আবেদন করতে পারেন।
পদের নাম ও সংখ্যা: শোরুম ম্যানেজার, ১০ জন।
আবেদনের যোগ্যতা: প্রার্থীর ডিপ্লোমা (ইইই) অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বয়স সর্বনিম্ন ২৭ বছর হতে হবে। কর্মস্থল দেশের যে কোনো স্থানে।
বেতন: মাসিক বেতন ২০,০০০-৪০,০০০ টাকা করে দেয়া হবে।
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা বিজ্ঞপ্তিটি বিস্তারিত দেখে আবেদনের নিয়ম জানতে ক্লিক করুন এখানে।
আবেদনের সময়সীমা: আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। এর কেন্দ্রের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে লিখিত পরীক্ষা। আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট ময়মনসিংহ কেন্দ্রের ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা আনন্দ মোহন কলেজের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গবেষণায় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস ইবি উপাচার্যের

শিক্ষার্থীদের দৃঢ়তার সাথে গবেষণায় সম্পৃক্ত হতে হবে। এ গবেষণার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সহযোগিতা করবো বলে আশ্বাস দেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগন হরকরা গ্যালারিতে ইবি গবেষণা সংসদ আয়োজিত ‘দ্য আনভেইলিং: গবেষণা অন্তর্দৃষ্টি ও নেতৃত্বের রূপান্তর’ শীর্ষক সেমিনার ও প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের মা। উৎপাদনের জন্য দরকার গবেষণা, ভাবনা ও আবিষ্কার। গবেষণা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পর্যায়ে থেকে যায়। রাষ্ট্রের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান খুঁজে বের করাই গবেষণার মূল কাজ।
অনুষ্ঠানে আলোচনার মূল বিষয় ছিল — ‘Navigating the Research and Higher Study Landscape: A Multi-Disciplinary Perspective’। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, চারটি ভিন্ন ডিসিপ্লিনের আলোচনায় অংশ নেন— বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান খান এবং চারুকলা বিভাগের সভাপতি ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান।
এসময় ইবি গবেষণা সংসদের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বলেন, আজকের কর্মশালাটি আমাদের সংগঠনের জন্য একটি স্মরণীয় মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গবেষণার মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করা তরুণ গবেষকদের দেশ ও জাতির বৃহত্তর উন্নয়নে সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম করবে। সদিচ্ছা ও সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার প্রতি গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান বলেন, যখন মানুষ গবেষণাকে ভয় পায়, তখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল যুবক সেই কাজটি করে যাচ্ছে। গবেষণা ছাড়া একটি দেশ সামনে এগোতে পারে না। ধারণার দাম পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি।
উল্লেখ্য, আলোচনায় প্যানেলিস্টরা গবেষণার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, কার্যকর নেতৃত্বের গুরুত্ব, ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে বাস্তব প্রভাবের রূপ দেওয়ার উপায় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।প্যানেল ডিসকাশন, শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, শিক্ষার্থীদের গবেষণা, নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষে সংগঠনপর ২০২৫-২০২৬ সেশনের কমিটি গঠন করা হয় এবং সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে এন্টি র্যাগিং ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক সভা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির যৌথ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যাগিং ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপাচার্য সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক, এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, কমিটির সদস্য ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান এবং সদস্য-সচিব উপ-রেজিস্ট্রার মো. সালাউদ্দিন মোল্লা, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি, কমিটির সদস্য আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহা. শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. খোদেজা খাতুন, অধ্যাপক ড. হামিদা খাতুন, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহেদ হাসান।
এন্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, র্যাগিং বিরোধী প্রচারে আমরা বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। যেমন: অনুষদ ভবনগুলোতে এন্টি র্যাগিং বিষয়ক ব্যানার স্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং জিরো-টলারেন্স। র্যাগিং এর সাথে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের সমাজে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে চায় না। ফলে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যায়। অভিযোগ করলেও, তা করে চূড়ান্ত মুহূর্তে। যে সময় অভিযোগ করলে জাতীয় পত্রিকায় আসবে, এসময় অভিযোগ করে। তখন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আর কিছু থাকে না।
এজন্য তিনি কমিটির সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন জায়গা ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার নির্দেশনা দেন। সেই সাথে তিনি কমিটি দু্ইটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা অফিস রুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবি উপাচার্যের সভা বয়কট ৩ ছাত্রসংগঠনের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সভায় শিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তুলে সেই সভা বয়কট করেছে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল তিন ছাত্রসংগঠন। আলোচনা সভায় উপাচার্যের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তা বয়কট করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (একাংশ) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আলোচনা সভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলেন তিন ছাত্রসংগঠন। এ সময় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে চলার আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। উপাচার্যের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা সভা বয়কট করেন।
বাংলাদেশ ছাত্রইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হানউদ্দিন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএলের সভাপতি গৌতম শীল ও কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ছাত্রনেতারা বলেন, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভার শুরুতে আমরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছি। জবাবে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান সকল ছাত্রসংগঠনের উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বৈধতা প্রদান করেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্র শিবিরকে সাথে নিয়ে চলার কথা বলেছেন ঢাবি উপাচার্য। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানকে কলঙ্কিত করে।
তারা বলেন, আমরা ঢাবি উপাচার্যের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় বির্নিমাণে আমাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করে সভা বয়কট করেছি। মুক্তিযুদ্ধকে ধারণকারী ছাত্রসংগঠন হিসেবে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে আমরা কোনোভাবেই আপস করতে পারি না।