ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘জনসংযোগ বিভাগে ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রাজধানীতে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের আয়োজনে কিউকম নিবেদিত ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগে ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা, সার্টিফিকেট বিতরণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনস্থ আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সহযোগী হিসেবে ছিল Private University Public Relations Officers Association- (PUPROA) প্রাইভেট ইউনিভাসির্টি পাবলিক রিলেশনস অফিসারস এসোসিয়েশন- (পুপরোয়া)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। তিনি বিশেষ প্রয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও এক বার্তায় সংগঠনের সাফল্য কামনা করেন। বার্তায় সব অতিথি এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা ও স্পন্সরকারী সব প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাবি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গ্লোবাল টিভির সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল, চ্যানেল২৪ এর ডিজিটাল হেড রাজীব খান, প্রথম আলোর সিনিয়র ম্যানেজার (লিড) বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা রুহুল আমিন রনি, গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের লেকচারার সরজ মেহেদী, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের হেড অব মিডিয়া নাহিদ জাহান, এডফিনিক্সের বিজনেস ও গ্রোথ লিড হোসনে মোবারক অপু, নিউজবাংলার এসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার জাকারিয়া হোসেন জয়, এক্সিলেন্স বাংলাদেশের সিইও বেনজির আবরারসহ অনেকেই।
কর্মশালায় স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল-টাইটেল স্পন্সরে কিউকম, গেজেট পার্টনার জি অ্যান্ড এম গেজেট অ্যান্ড মোবাইল কেয়ার, গোল্ড স্পন্সর টেনিশিয়ান, আইটি পার্টনার টেক্সোর্ট, নিউট্রিশন পার্টনার নিউট্রি প্লাস, কনটেন্ট প্রডাকশন পার্টনার স্টুডিও ভেলভেট, ক্রিয়েটিভ পার্টনার লিমিরেন্স ক্রিয়েসন্স, কো-স্পোন্সর দ্য প্রিমিয়াম হোমস লিমিটেড এবং উইসেলবিডি, নলেজ পার্টনার জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট।
কর্মশালায় ৫টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের মিডিয়া ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞজন প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালা পরিচালনা করেন।
কর্মশালায় প্রথমেই বক্তব্য দেন পারপেল পেচ বিজনেস লিড আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি তার পুরো প্রেজেন্টেশন প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘জনসংযোগ বিভাগ হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের আয়নার মতো। এই বিভাগ যত দক্ষ, প্রতিষ্ঠানটি তত উন্নত। সুতরাং দক্ষতার বিকল্প কিছু নেই।’
এরপর বক্তব্য দেন ক্লাইয়েন্ট পার্টনার মেটা অ্যালেফ লিড তিথি চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্যোশাল মিডিয়া সম্পর্কে যত জানা যাবে, ততই ভালোভাবে এই মাধ্যম ব্যবহার করা যাবে। আপনাদের জানতে হবে কোন মাধ্যমে কত দ্রুত আপনার ম্যাসেজটি মানুষের কাছে পৌঁছায়। সেই অনুযায়ী আপনি বিজ্ঞাপন দেবেন। এতে আপনার সময় এবং অর্থ দুটোই সঠিকভাবে ব্যয় হবে। এজন্য এসব টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানা জরুরি।’ এসময় তিনি ডাটা-উপাত্তসহ স্লাইডের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেন।
এসময় বক্তব্য দেন খান আইটির ফাউন্ডার মো. ফারুক খান। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মিডিয়ার এই আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী। এর মাধ্যমে আমাদের সবারই ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহারে একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে। দক্ষ হয়ে উঠবো সবাই। এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছোট বা বড় যে কোনো ধরনের ব্যবসার জন্য এসইও মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব সর্বাধিক হওয়া উচিত। কেননা, এসইও কাজ করে আপনার ব্যবসার ব্র্যান্ড তৈরিতে, যা এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যুগে সব ব্যবসার মূল লক্ষ্য।’
কর্মশালায় চতুর্থ নম্বরে বক্তব্য দেন দৈনিক কালবেলার অনলাইন বিভাগীয় প্রধান পলাশ মাহমুদ। তিনি ভিন্নভাবে নিজেদের প্রচারের কলাকৌশল ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘সবাইতো চায় নিজেদের প্রচার। তবে, প্রচার কীভাবে কতটুকু হয়, সেটাই দেখার বিষয়। গতানুগতিকভাবে প্রচার করলে বর্তমানে নিজেদের তুলে ধরা যাবে না। প্রচার করতে হবে ভিন্নভাবে, যাতে মানুষের চোখে পড়ে। সেজন্য চিন্তা করতে হবে এবং তার প্রতিফলন দেখাতে হবে।’
এসময় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন চ্যানেল২৪ এর ডিজিটাল হেড রাজীব খান। তিনি বলেন, ‘অল্প সময়ে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটি তাদের জন্য ইতিবাচক। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগে ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আরো আগেই প্রয়েজিন ছিল। এসব আয়োজন মিডিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগে সেতু বন্ধন সৃষ্টি করবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সিনিয়র ম্যানেজার (লিড) বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা রুহুল আমিন রনি। এসময় তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগে ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা একটি সুন্দর আয়োজন। এসব কর্মশালা এসময় বেশি প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা ডিজিটাল মিডিয়া সম্পর্কে যত বেশি জানবেন, তত বেশি তারা এই মিডিয়ায় অভ্যস্ত হবেন।’
অনুভূতি জানান দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল। তিনি বলেন, ‘জানার কোনো শেষ নেই। দিন যত যাচ্ছে, জানার গণ্ডি তত বাড়ছে। আপডেট না থাকলে আপনি তরুণ হলেও পিছিয়ে পড়বেন।’ ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের এমন শিক্ষণীয় কর্মশালা অব্যাহত থাকুক বলে আশা করেন তিনি।
কর্মশালার শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন Private University Public Relations Officers Association-(PUPROA) প্রাইভেট ইউনিভাসির্টি পাবলিক রিলেশনস অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনের -(পুপরোয়া) সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত। এসময় তিনি আগত সব অতিথি ও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। কৃতজ্ঞতা জানান স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান যুগ ডিজিটাল পেরিয়ে স্মার্ট হয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে না পারলে পেছনে পড়ে যেতে হবে। তাই ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এই কর্মশালা সময়ের সঠিক আয়োজন। এমন আয়োজন আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একধাপ এগিয়ে দেবে।’
এসময় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গ্লোবাল টিভির সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘যারা পাবলিক রিলেশনে রয়েছেন, তাদের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি তৈরি করা। এখানেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টর সবচেয়ে বড় জায়গা হলো জিডিটাল মিডিয়া। এটাকে ভালোভাবে জানতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে। আজকের এই কর্মশালা সেটি আপনাদের পথ দেখাবে। আপনার যত রিসার্চ থাকবে আপনি তত এগিয়ে থাকবেন।’
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের এই কর্মশালা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। মিডিয়ার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের যোগাযোগের যতটুকু গ্যাপ ছিল, সেটি পূরণ হয়েছে। যোগাযোগ যত সহজ হবে, আদানপ্রদান তত বাড়বে।’ এসময় তিনি আয়োজক এবং সহযোগীদের এসব কর্মশালা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ উপস্থিত না থাকায় বিশেষ অতিথি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাবি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে প্রধান অতিথি ঘোষণা করা হয়। এসময় তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা ও অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘ভিন্ন না হলে কেউ কাউকে চেনে না। ব্যতিক্রম না হলে মেলায় হারিয়ে যেতে হয়। ইউটিউব-ফেসবুকে অনেক কনটেন্ট আছে, আপনারটাই মানুষ বেশি দেখবে কেন? আপনারটায় ব্যতিক্রম কী আছে, সেটি খুঁজবে মানুষ। বাজারে আরো ৭৫টা ব্র্যান্ড আছে, আপনারটা ৭৬ নম্বর হলে লাভ নেই। হারিয়ে যাবে।’
এই অধ্যাপক আরো বলেন, ‘ভাষা কোনো ব্যারিয়ার নয়, দরকার ভিন্নতা ও কোয়ালিটি সম্পন্ন। তাহলেই কেবল আপনার ব্র্যান্ড দাঁড়াবে। অপনি যত আপডেট হবেন, মার্কেটে তত ভ্যালু বাড়বে আপনার। পিছিয়ে থাকা যাবে না।’ এসময় তিনি বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমএফ প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন আগত সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ডিজিটাল সেক্টরের বিভিন্ন সসম্যা ও সম্ভাবনা গবেষণা করেছে। তারপর এমন একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। যেখানে এই সেক্টরের দেশসেরা এক্সপার্টদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো। আগামীতেও এমন আয়োজন অব্যাহত রাখবো আমরা। সময় স্বল্পতার জন্য আমাদের অনেক অতিথিকে সেভাবে সময় দিতে পারিনি। দুঃখ প্রকাশ করছি। আজকের এই আয়োজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশে অনেকখানি এগিয়ে দেবে।’
এসময় তিনি অনুষ্ঠান সহযোগী Private University Public Relations Officers Association-(PUPROA) প্রাইভেট ইউনিভাসির্টি পাবলিক রিলেশনস অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনকে -(পুপরোয়া) ধন্যবাদ জানান। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের পাশে সবাইকে এভাবে থাকার অনুরোধ জানান।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আমরা মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি: ইউজিসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেছেন, যেহেতু সামনে নির্বাচন, আগের মতো দলীয়করণ যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দলমত নির্বিশেষে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন শিক্ষক আগামী প্রজন্মের কারিগর।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালগুলোতে এত শিক্ষক স্বল্পতা! কিছু দিনের মধ্যে আমাদের একটি মিটিং হবে। সেখানে খালি পদগুলো মঞ্জুর করার বিষয়ে ডেফিনেটলি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যতটুকু করতে পারি আমি করবো। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা একটা টিম কাজ করছি।
পরে ভিসি বাংলোতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে ‘শিক্ষক সংকট, আবাসিকতা বৃদ্ধি, ফায়ারসার্ভিস স্টেশন, সেশনজট, খাবারের মান বৃদ্ধি ও ইকসু গঠন, মেডিকেল আধুনিকায়ন, জিয়া স্মৃতিকমপ্লেক্স’ ইত্যাদি বিষয় পূরণের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের আবাসিকতার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ড. ফায়েজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দূরদূরান্ত থেকে স্ট্রাগল করে মেয়েরা পড়তে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে অবস্থান নেওয়ায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আমরা মঞ্জুরী কমিশন মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রায়োরিটি দিয়ে কাজ করছি। মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টা ফার্স্ট নজরে রয়েছে।
তিনি জানান, মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতেছি। বিষয়টা এমন না ছেলেদেরকে একপাশে রেখে দেয়া হচ্ছে। এরপর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের মান বৃদ্ধির লক্ষে উন্নতমানের ক্যান্টিন ব্যবস্থা করা হবে। এটা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কাজ করছে ইউজিসি।
ছাত্র সংসদ গঠনের বিষয়ে ড. ফায়েজ বলেন, আমি উপাচার্যের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র সংসদ গঠনের আপডেট নিয়েছি। আমাদের কাছে আসার সাথে সাথে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিয়ে সহযোগিতা করে যাব। মন্ত্রণালয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা আছে।
মতবিনিময়কালে গবেষণাখাত উন্নতিকরণ বিষয়ে তিনি জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইউজিসি ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইবি থেকেও পেয়েছে। যদিও প্রথমবারের মতো বেশি সংখ্যক দিতে পারিনি৷ পরবর্তীতে এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষক শিক্ষার্থী মিলে এক হয়ে গবেষণা করবে আগামী দিনে।
উল্লেখ্য, উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জমিয়তে তালাবিয়ে আরাবিয়া, সোচ্চার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জনবল নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পদ ৪৩০

বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সশস্ত্র বাহিনীটি নাবিক, মহিলা নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদে ৪৩০ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ জন পুরুষ ও ৩০ জন নারী। দেশের সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে আগামী ০৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
পদের সংখ্যা: ১০টি
লোকবল নিয়োগ: ৪৩০ জন
পদের নাম: ডিই/ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল)
পদসংখ্যা: ২৮০ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), জোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ সেন্টিমিটার
পদের নাম: রেগুলেটিং
পদসংখ্যা: ১২ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৭২.৫ (পুরুষ), ১৬০.০২ (মহিলা)।
পদের নাম: রাইটার
পদসংখ্যা: ১৮ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: স্টোর
পদসংখ্যা: ১৪ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: মিউজিশিয়ান
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)।
পদের নাম: মেডিকেল
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৬ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জীববিজ্ঞানসহ ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান, জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: কুক
পদসংখ্যা: ২৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: স্টুয়ার্ড
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: টোপাস
পদসংখ্যা: ১৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: এমওডিসি (নৌ)
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ (পুরুষ)
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

চাকরিপ্রত্যাশীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা বিসিএস। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের বহু গ্র্যাজুয়েট প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। তাই সেই পরীক্ষা রূপ নেয় একপ্রকার যুদ্ধে। সেই ধারাবাহিক মহারণের ৪৭তম আসরের প্রথম ধাপ তথা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দেশের ২৫৬ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ চাকরিপ্রার্থী। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন তারা।
সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সাড়ে ৮টা বাজার পরপরই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করা শুরু করেন। পরীক্ষা শুরুর পর বাইরে তাদের অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন।
পরীক্ষা শুরুর আগে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়। জান্নাতুল সুলতানা নামের একজন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করেছি অল্প কিছুদিন হয়েছে। এটাই প্রথম কোনো চাকরির পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই একটু নার্ভাস ফিল করছি। প্রস্তুতিও ততটা নিতে পারিনি। তবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করাটাকে আমি জরুরি মনে করি।
হাজারীবাগ সরকারি কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা রাফিদ করীম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রস্তুতি ভালো। তবে পদের তুলনায় প্রতিযোগী অনেক বেশি। তবুও আশাবাদী। আশা করি ভালো কিছু হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের প্রিলি আগামীকাল, মানতে হবে যেসব নিয়ম

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে, চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের ২৫৬ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে অংশ নেবেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ জন চাকরিপ্রার্থী।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান জানান, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট (এসসিকিউ টাইপ) ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ শহরের ২৫৬টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রে প্রবেশে মানতে হবে যত নিয়ম
পিএসসির পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
পরীক্ষার্থীদের হলের নাম ও কক্ষ নম্বর আগে মেসেজের মাধ্যমে তাদের মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
প্রবেশপত্রে উল্লিখিত তথ্য ও ছবির সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর যাচাই করা হবে। কোনো গরমিল পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রে চারটি সেট থাকবে। পরীক্ষার্থী যে সেট নম্বরের উত্তরপত্র পাবেন, তাকে সেই সেট নম্বরের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে।
কত নম্বরের পরীক্ষা, ভুল উত্তরে কাটা যাবে কত
বিসিএস প্রিলির প্রশ্নপত্রে মোট ২০০টি এমসিকিউ থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর ও প্রতিটি ভুল উত্তরে ০ দশমকি ৫০ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষার সময়সীমা দুই ঘণ্টা। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালে কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নতুন করে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে।
ঘড়ি-মোবাইল-ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ
বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ব্যাগ, গহনা ও সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। কোনো পরীক্ষার্থী এ ধরনের নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ হলে প্রবেশ করলে কিংবা নকলের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখক দেওয়া হবে। তাদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হবে প্রতি ঘণ্টায় ৫ মিনিট।
ইংরেজি ভার্সনের জন্য নির্দেশনা
এদিকে, পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব পরীক্ষার্থী ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, তাদের জন্য আলাদা আসনবিন্যাস ও প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। কারও জন্য ভার্সন পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাদের অবশ্যই নির্ধারিত কেন্দ্রে ইংরেজি ভার্সনের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
পরীক্ষায় অনিয়ম, গরমিল বা অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে ও সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৪৭তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭। আর নন–ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১। এই বিসিএস থেকে মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১০ ডিসেম্বর থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। ১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে যেসব প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে ছিল, এমন আগ্রহী যে কোনো প্রার্থী আবেদন করতে পেরেছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
হিজাব নন-হিজাব বা আধুনিক পোশাক, সবার সমান অধিকার: সাদিক কায়েম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)’র সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি সাদিক কায়েম, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে নির্বাচনে ২৮টি পদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো পোশাকের পছন্দ, ব্যক্তিগত পরিচয় বা প্রতীক নিয়ে হেয় করা, হস্তক্ষেপ করা কিংবা কোনো সিম্বলকে অপরাধী করা একেবারেই চলবে না। হিজাব পরা শিক্ষার্থীর যেমন অধিকার আছে, তেমনি নন-হিজাব বা আধুনিক পোশাক পরা শিক্ষার্থীরও সমান অধিকার থাকবে।
ডাকসু নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের ভোট বেশি পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে যে প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছিল, তা ভেঙে গেছে। জুলাই বিপ্লবের পর আমাদের কার্যক্রম প্রমাণ করেছে, প্রতিশ্রুতি শুধু মুখের কথা নয়। নারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা পর্যন্ত আমরা থামব না।’
সাদিক কায়েম আরও জানান, তাদের ইশতেহারে নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং শিগগির বাস্তবায়ন শুরু হবে। তিনি বলেন, নারী শিক্ষার্থীরা এমন নেতৃত্ব খুঁজে পেয়েছেন, যাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন।
শিবিরের বিজয়ে স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাল্টিকালচারাল প্রতিষ্ঠান, এখানে স্বাধীনতা সীমিত করার কোনো সুযোগ নেই। হিজাব-ননহিজাব শিক্ষার্থীর সমান অধিকার নিশ্চিতে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।