আন্তর্জাতিক
ইউরোপে আশ্রয় চেয়েছে ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে ২০২৩ সালে ১১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। ২০১৫–১৬ সালে অভিবাসী সংকটের পর কোনো বছরে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ আশ্রয়ের জন্য ইইউ দেশগুলোতে আবেদন করেননি।
গত বুধবার অভিবাসীদের আশ্রয়বিষয়ক ইইউ সংস্থা ইইউএএ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এই তথ্য এমন সময়ে প্রকাশ করা হলো, যখন ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। নতুন তথ্য সে বিতর্ক বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া চলতি বছরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ইইউএএর তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিকেরা। এরপরই রয়েছেন তুরস্কের নাগরিকেরা। আগের বছরের তুলনায় দেশটির ৮২ শতাংশ বেশি নাগরিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
গত বছরে আবেদনকারীদের মধ্যে বড় একটি অংশ বাংলাদেশি। ইইউএএ বলছে, ২০২৩ সালে ৪০ হাজার ৩৩২ জন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। আগের বছর আবেদন করেছিলেন ৩৩ হাজার ৭৩১ জন। দেখা গেছে, ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশিদের আবেদনের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন উপত্যকাটির বাসিন্দারা। গত বছরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১১ হাজার ৬০০ নাগরিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এর আগে কখনো ফিলিস্তিনিরা এত আবেদন করেননি। তাঁদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।
২০২৩ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। মোট আশ্রয়প্রার্থীদের তিন ভাগের প্রায় এক ভাগের আবেদনপত্র গ্রহণ করেছে দেশটি। অন্যদিকে নিজ দেশের মোট বাসিন্দার প্রতি ৭৮ জনের বিপরীতে একজনকে আশ্রয় দিয়েছে সাইপ্রাস।
২০১৫–১৬ সালে অভিবাসী সংকটের পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সীমান্ত নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। কঠোর করা হয়েছে অভিবাসীবিষয়ক আইনও। মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকা থেকে যেন তুলনামূলক কম মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে ইউরোপে যান, সে জন্য এ দুই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তিও করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
অর্থসংবাদ/এমআই

আন্তর্জাতিক
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ফেরিডুবি, নিখোঁজ ৪৩

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালির কাছে যাত্রীবাহী একটি ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফেরিটিতে থাকা ৬৫ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২ জুলাই) রাতের দিকে পূর্ব জাভার কেটাপাং বন্দর থেকে ছাড়ার ৩০ মিনিট পরই ‘কেএমপি তুনু প্রত্যমা জয়া’ নামের ফেরিটি ডুবে যায়। এটি বালির গিলিমানুক বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
ফেরিটিতে ৫৩ জন যাত্রী, ১২ জন কর্মী এবং ২২টি যানবাহন ছিল। এদের মধ্যে ১৪টি ট্রাক ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় উদ্ধার সংস্থা।
দুর্ঘটনার পর ২০ জনকে জীবিত এবং ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে রাতভর উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। তবে উত্তাল সমুদ্রের কারণে উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় সমুদ্রে প্রায় দুই মিটার উচ্চতার ঢেউ ছিল। ৯টি নৌযান দিয়ে অনুসন্ধান চলছে, যার মধ্যে রয়েছে দুইটি টাগ বোট ও দুইটি রাবার বোট।
প্রসঙ্গত, ১৭ হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়ায় নৌপথই অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। তবে নিরাপত্তার ঘাটতিতে প্রায়ই সেখানে নৌ দুর্ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক
১০ টাকা ফেসভ্যালুর শেয়ার প্রথম দিনেই ৮৩৫ টাকায় লেনদেন

ভারতের শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তালিকাভুক্তিতে নতুন শেয়ারে বাজিমাত দেখা গেছে। শেয়ারবাজারে পা রাখার প্রথম দিনেই বিনিয়োগকারীদের পকেট ভরাল এইচডিএফসি ব্যাংকের শাখা কোম্পানি এইচডিবি ফাইন্যান্স।
বুধবার (০২ জুলাই) বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় এইচডিবি ফাইন্যান্সের। এদিন প্রতিটি শেয়ারের দাম ওঠে ৮৩৫ টাকা। শেয়ারটির অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।
ভারতের ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, এক বছরের ফরোয়ার্ড প্রাইস-টু-বুকের নিরিখে এইচডিবি ফাইন্যান্সের শেয়ারে তালিকাভুক্তির মূল্য বেড়েছে ৩.৪ গুণ। এই সূচক আর্থিক কোম্পানির সমকক্ষ বাজাজ় ফিন্যান্স এবং চোলা ইনভেস্টমেন্টের চেয়ে কিছুটা কম। কিন্তু নিফটি-৫০র অন্তর্গত অন্যান্য আর্থিক কোম্পানির চেয়ে বেশি।
তালিকাভুক্তির পরে অধিকাংশ আর্থিক বিশ্লেষক এইচডিএফসি ব্যাংকের শাখা কোম্পানিটির শেয়ারকে বাই রেটিং দিয়েছেন। তাঁদের অনুমান, অচিরেই স্টকটির দাম ৯০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ এতে ২২ শতাংশের বৃদ্ধি দেখতে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাঁদের অনুমান, আগামী তিন বছরের মধ্যে ২০ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পাবে এইচডিবির অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজ়মেন্ট (এইউএম)। ফলে শেয়ারটির সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইপিওর মূল্যসীমা (প্রাইস ব্যান্ড) ঘোষণা করে এইচডিবি ফিন্যান্স। এতে ১০ টাকা ফেসভ্যালুর স্টকে বিনিয়োগকারীদের দিতে হয়েছে ৭৩০ টাকা। আইপিওর মাধ্যমে এই কোম্পানিটি ৬৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা তুলেছে।
কাফি
আন্তর্জাতিক
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বুধবার (২ জুলাই) ভোরে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে ট্রাম্প লিখেছেন, “৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে। এ সময়ে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব।”
তিনি লিখেছেন, “কাতারি ও মিসরীয়রা শান্তি আনয়নে অনেক কষ্ট করেছে। তারা এটির চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে৷ আমি আশা করি, মধ্যপ্রাচ্যের ভালোর জন্য, হামাস এ চুক্তি গ্রহণ করবে। কারণ এটি ভালো নয়, আরও খারাপ হবে।”
গত কয়েক মাস ধরেই দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। যেটির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ৷ ট্রাম্প সম্ভবত ওই প্রস্তাবটিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
তবে এ প্রস্তাবের আলোচনা থমকে ছিল দীর্ঘদিন। কারণ দখলদার ইসরায়েল এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আবারও হামলা চালানোর অধিকার রাখতে চায়। অপরদিকে হামাস জানিয়েছে, যতক্ষণ তাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা না দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ তারা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ট্রাম্প স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্ভবত দুইপক্ষকেই সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করছেন।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য যেসব বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে, সেগুলো দূর করার চেষ্টা করছে আরব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।
এদিকে এর আগে পরশুদিন ট্রাম্প জানান, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি চান। এরপর হোয়াইট হাউসও জানায়, ট্রাম্প গাজায় আর হত্যাযজ্ঞ দেখতে চান না৷ এ কারণে যুদ্ধ বন্ধকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।
আগামী সোমবার দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের বৈঠক হবে। এর আগেই যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে মার্কিনিরা।
কাফি
আন্তর্জাতিক
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে চাপের মুখে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন বলে সোমবার রাতে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে নিশ্চিত করেছেন। গাজা যুদ্ধের অবসান ও সেখানে প্রায় দুই বছর ধরে আটক থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে ওয়াশিংটন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এই সফর তারই অংশ।
আগামী ৭ জুলাইয়ের এই সফর হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের পর নেতানিয়াহুর তৃতীয় ওয়াশিংটন সফর। এটি এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন ইসরাইল ও ইরান ১২ দিনের বিমান যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সফরের সময়সূচি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠকে গাজা ও ইরান ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আরেক মার্কিন কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, গাজা যুদ্ধের অবসান ও বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে ট্রাম্প দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া বৈঠকে সিরিয়ার বিষয়ও আলোচনায় আসবে।
ইসরাইলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার বর্তমানে ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সেখানে গাজায় ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। নেতানিয়াহু সোমবার রাতে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। তবে কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
ট্রাম্প সম্প্রতি এক সপ্তাহের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি সম্পাদনের আশা প্রকাশ করেছেন। তবে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনা চললেও দুই পক্ষের অবস্থান এখনও দূরত্বেই রয়ে গেছে। হামাস চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির দাবি জানালেও ইসরাইল সীমিত যুদ্ধবিরতির পক্ষে রয়েছে, যাতে প্রয়োজনে আবারও অভিযান চালানো যায়।
তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব ও নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে তারা আগের চেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন।
নেতানিয়াহুর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনায় কাতারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিতে ডারমারকে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাতার মূল চাবিকাঠি। খুব শিগগিরই অগ্রগতি হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে এটি হামাসের উপর নির্ভর করছে।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, গাজা সংঘাতের অবসান ট্রাম্পের অগ্রাধিকার। তিনি বলেছেন, ‘ইসরাইল ও গাজা থেকে আসা ছবি দেখা সত্যিই মর্মান্তিক। প্রেসিডেন্ট এর অবসান চান। তিনি জীবন রক্ষা করতে চান।’
ইসরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘প্রথমে আমাদের জিম্মিদের মুক্ত করতে হবে। এরপর গাজা সমস্যার সমাধান এবং হামাসকে পরাজিত করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমরা উভয় লক্ষ্যেই পৌঁছাবো।’
তবে তার জোটের কট্টর অংশীদাররা যুদ্ধ অব্যাহত রাখার জন্য চাপ দিচ্ছেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ সোমবার বলেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেয়ে বড় কোনো বিপদ ইসরাইলের জন্য নেই। তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, খুনিদের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা নয়। গাজায় শত্রুকে ধ্বংস করতে এবং ইসরাইলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি হুমকি দূর করতে তীব্র ও দ্রুত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।’
হামাস ৫০ জন জিম্মি আটকে রেখেছে, যাদের মধ্যে ৪৯ জনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অপহরণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন মৃত, ২০ জন জীবিত এবং দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে ধারণা করছে ইসরাইল। হামাস ২০১৪ সালে গাজায় নিহত এক ইসরাইলি সেনার মরদেহও ধরে রেখেছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
ভারতে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৩৪

ভারতে একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় তেলঙ্গানা রাজ্যের সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাসামিলারাম শিল্প এলাকায় একটি চুল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ এসব হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
স্থানীয় জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিগাচি কেমিক্যালস কারখানায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় হতাহত চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে; বাকি ২৩ জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিকমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডিতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সোমবার সকালে ওই রাসায়নিক কারখানা থেকে হঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে দেখেন, কারখানার ছাদ উড়ে গিয়ে ১০০ মিটার দূরে পড়েছে। ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু ক্রমশ মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। তখনই উদ্ধার হতে থাকে একের পর এক মরদেহ।
তেলঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দামোদর রাজানরসিং জানান, বিস্ফোরণের কারণে কারখানাটির ছাদ উড়ে যায়। সেখানে সেই সময় কাজ করা অনেক শ্রমিকের মরদেহ প্রায় ১০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের সময় কারখানাটিতে ৯০ জন কাজ করছিলেন।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণেই ওষুধের সামগ্রী তৈরির ওই কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না-হলে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যেই ‘পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ’ তদন্ত চেয়ে তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে বিরোধী ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। এই ঘটনায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত ছাড়াও শোকপ্রকাশ করেছেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মাও।
কাফি