আন্তর্জাতিক
ইউরোপে আশ্রয় চেয়েছে ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি
![ইউরোপে আশ্রয় চেয়েছে ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি প্রাথমিক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/12/প্রবাসী.jpg)
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে ২০২৩ সালে ১১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। ২০১৫–১৬ সালে অভিবাসী সংকটের পর কোনো বছরে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ আশ্রয়ের জন্য ইইউ দেশগুলোতে আবেদন করেননি।
গত বুধবার অভিবাসীদের আশ্রয়বিষয়ক ইইউ সংস্থা ইইউএএ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এই তথ্য এমন সময়ে প্রকাশ করা হলো, যখন ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। নতুন তথ্য সে বিতর্ক বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া চলতি বছরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ইইউএএর তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিকেরা। এরপরই রয়েছেন তুরস্কের নাগরিকেরা। আগের বছরের তুলনায় দেশটির ৮২ শতাংশ বেশি নাগরিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
গত বছরে আবেদনকারীদের মধ্যে বড় একটি অংশ বাংলাদেশি। ইইউএএ বলছে, ২০২৩ সালে ৪০ হাজার ৩৩২ জন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। আগের বছর আবেদন করেছিলেন ৩৩ হাজার ৭৩১ জন। দেখা গেছে, ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশিদের আবেদনের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন উপত্যকাটির বাসিন্দারা। গত বছরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১১ হাজার ৬০০ নাগরিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এর আগে কখনো ফিলিস্তিনিরা এত আবেদন করেননি। তাঁদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।
২০২৩ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। মোট আশ্রয়প্রার্থীদের তিন ভাগের প্রায় এক ভাগের আবেদনপত্র গ্রহণ করেছে দেশটি। অন্যদিকে নিজ দেশের মোট বাসিন্দার প্রতি ৭৮ জনের বিপরীতে একজনকে আশ্রয় দিয়েছে সাইপ্রাস।
২০১৫–১৬ সালে অভিবাসী সংকটের পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সীমান্ত নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। কঠোর করা হয়েছে অভিবাসীবিষয়ক আইনও। মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকা থেকে যেন তুলনামূলক কম মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে ইউরোপে যান, সে জন্য এ দুই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তিও করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আন্তর্জাতিক
কমলা হ্যারিসকে বারাক ওবামার আনুষ্ঠানিক সমর্থন
![কমলা হ্যারিসকে বারাক ওবামার আনুষ্ঠানিক সমর্থন প্রাথমিক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Barack-Obama-Kamala-Harris1.jpg)
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ওবামা। এতে দেখা যায় তার স্ত্রী এবং তিনি বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলছেন।
ওবামা হ্যারিসকে বলেন, মিশেল এবং আমি আপনাকে ফোন করেছি জানাতে যে, এই নির্বাচনে আপনাকে সহায়তা করতে আমরা সবকিছু করব এবং আপনাকে সমর্থন দিতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত।
সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা কমলাকে বলেন, আমি আপনার জন্য গর্বিত। এটি একটি ঐতিহাসিক বিষয় হতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হিসেবে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বারাক ওবামা। এরপর ২০১২ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি। প্রায় এক যুগ আগে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব শেষ করলেও দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি এখনো বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তি। এছাড়া তার আলাদা একটি প্রভাবও রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। কিন্তু গত মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে শোচনীয় পরাজয় হওয়ার পর বাইডেনের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যায় এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিতে তার উপর চাপ আসতে থাকে। দলীয় নেতাদের পরামর্শে অবশেষে গত রোববার তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
![পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি প্রাথমিক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Pakistan-Police1.jpg)
জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তান, জামিয়াত উলেমা ই ইসলাম-ফজলসহ (জেইউআই-এফ) বিভিন্ন ইসলামি দল এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচির জেরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি দেশটির সরকার।
সম্প্রতি দেশজুড়ে বিদ্যুতের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তানের সরকার। সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কোরআন অবমাননার দায়ে বন্দি জনৈক পাকিস্তানি নাগরিক মোবারক সানি মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
এই দুই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ করছিল জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং অন্যান্য ইসলামি দলগুলো। এরই মধ্যে পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার পিটিআই কর্মসূচি ঘোষণা করলে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশ।
এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এদিন রাতে ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার।
এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ জারি করা হলো। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। জনসাধারণকে কোনো অবস্থাতেই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘণ না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তার স্বার্থে পাঞ্জাব প্রদেশের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা করা হয়েছে। জনগণকে সরকারের এই আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়— এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে প্রাদেশিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি সংযোগ সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ, সেইসঙ্গে শহরজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল চলছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে টানা পতন
![বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে টানা পতন প্রাথমিক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/oil.jpg)
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে সামান্য বেড়েছে। তবে টানা তিন সপ্তাহ পতনের পথেই রয়েছে দাম। এর অন্যতম কারণ হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ চীনে দুর্বল চাহিদা। তাছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিরও সম্ভাবনা রয়েছে। খবর রয়র্টাস
এদিন সেপ্টেম্বরের জন্য ব্যারেলপ্রতি ক্রুড তেলের দাম ১২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৮২ দশমিক ৪৯ ডলার হয়েছে। তাছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টার মিডিয়েটের দাম ১৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৪১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার তেলের দাম সামান্য বাড়ার কারণ হলো দ্বিতীয় প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা।
যদিও গত তিন সপ্তাহে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম কমেছে ৫ শতাংশ। এই সপ্তাহে ব্রেন্ট সামান্য কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টার মিডিয়েটের দাম কমেছে দুই শতাংশের বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে জুন মাসে চাহিদা কমেছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ, যা দৈনিক হিসাবে ১৩ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ব্যারেল।
বিশ্লেকরা জানিয়েছেন, পেট্রোল ও ডিজেলের কারণেই মূলত চীনে চাহিদা কমেছে। কারণ দেশটিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বেড়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি মান্দিসা মায়া
![দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি মান্দিসা মায়া প্রাথমিক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Mandisa-Maya1.jpg)
প্রথমবারের মত প্রধান বিচারপতি হিসেবে একজন নারীকে নিয়োগ দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার নাম মান্দিসা মায়া। বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা মায়ার নাম ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। এতে বলা হয়, মায়া বর্তমানে উপ-প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার মেয়াদ ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতি রেমন্ড জোন্ডোর স্থলাভিষিক্ত হবেন। জোন্ডো অবসর নিচ্ছেন।
মায়া ( ৬০) সাংবিধানিক আদালতে তার পদোন্নতির আগে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট অফ আপিলের বিচারক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
রামাফোসা ফেব্রুয়ারিতে প্রধান বিচারপতির জন্য মায়াকে মনোনীত করেছিলেন এবং মে মাসে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন তার সাক্ষাৎকার নেয়।
রামাফোসা এক বিবৃতিতে বলেছেন, কমিশন তাকে সুপারিশ করেছে এবং তাকে এ পদের জন্য নিয়োগ দিতে পারা দেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নীতি সুদহার কমাল চীন
![নীতি সুদহার কমাল চীন প্রাথমিক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/China-Canada1.jpg)
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে গত দুই বছর দফায় দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বিভিন্ন দেশ। উন্নত ও উন্নয়নশীল অনেক দেশ এর ফলও পেয়েছে। তাদের চাহিদা ও সরবরাহ দু’দিককার ব্যবস্থাপনাই ঠিক থাকায় কমে এসেছে মূল্যস্ফীতি। এবার বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা করার পালা। নীতি সুদহার কমিয়ে সে ইঙ্গিতই দিল চীন ও কানাডা।
বৃহস্পতিবার নিক্কেই এশিয়ার খবরে বলা হয়, পিপলস ব্যাংক অব চায়না এক বছরের মধ্যমেয়াদি ঋণ সুবিধার (এমএলএফ) হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ দশমিক ৩ শতাংশে এনেছে। মাত্র এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে সুদহার কমাতে এটি চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বিতীয় পদক্ষেপ। গত সোমবার সাত দিন মেয়াদি রিভার্স রেপোর সুদহার ১ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অর্থনীতির প্রকৃত খাতের উন্নতির জন্য আর্থিক খাতের মাধ্যমে সহায়তা করার অংশ হিসেবে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপ।
এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি আনতে ব্যাংক অব কানাডা বুধবার নীতি সুদহার আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে। এ সুদহার নেমে এসেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে। এর আগে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টানা এক বছর নীতি সুদহার ৫ শতাংশে রাখে ব্যাংক অব কানাডা। দেশটির নীতি সুদের এ হার ছিল গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারি পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক হারে বেড়ে যায় পণ্যমূল্য। দেশে দেশে দেখা দেয় উচ্চ মূল্যস্ফীতি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে, ২০২২ সালে বিশ্বের গড় মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানোসহ ব্যাপক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির পথে হাঁটতে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। সরবরাহ ব্যবস্থাতেও উন্নতি আনার চেষ্টা করা হয়। ফলে ২০২৩ সালে বৈশ্বিক গড় মূল্যস্ফীতি নেমে আসে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে। এটি আরও কমে ২০২৪ সালে ৫ দশমিক ৯ এবং ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আইএমএফের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এমআই