ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে সহকারী প্রক্টর দায়িত্ব পেলেন তিন জন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আগামী এক বছরের জন্য নতুন দুইজন শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একজন সহকারী প্রক্টরকে মেয়াদ শেষ হওয়ায় পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রক্টরবৃন্দ হচ্ছেন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম এবং অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর। এছাড়া আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসাইনকে পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, সহকারী প্রক্টর হিসেবে আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসাইনের মেয়াদ ০৭ ফেব্রুয়ারী তারিখে শেষ হওয়ায় ০৮ তারিখ হতে পুন: আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলামের মেয়াদ ০৭ তারিখে শেষ হওয়ায় (২য় বার) তদস্থলে ০৮ তারিখ হতে একই বিভাগের প্রভাষক মো. নাসির মিয়াকে পরবর্তী এক বছরের জন্য সহকারী প্রক্টর হিসেবে উপাচার্য নিয়োগদান করেছেন। আর হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহাবুব আলমের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তদস্থলে ০৮ ফেব্রুয়ারী তারিখ হতে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরকে পরবর্তী এক বছরের জন্য সহকারী প্রক্টর হিসেবে উপাচার্য নিয়োগদান করেছেন।
ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক নাসির মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন আমাকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিযুক্ত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিসি এবং প্রক্টরিয়াল বডির রুলস রেগুলেশন অনুযায়ী আমার মেধা, বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও সংযুক্ত দায়িত্ব পালনে পালনের চেষ্টা করবো।
অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুয়ায়ুন কবীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে যোগ্য মনে করেছে এবং নিয়োগ পেয়েছি। এতে আমি প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি চেষ্টা করবো আমার সর্বোচ্চ টা দিয়ে আমার দায়িত্ব পালন করার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভাতা নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর আসছে। উৎসব ভাতা হিসেবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পাবেন তারা। বর্তমানে মূল বেতনের ২৫ শতাংশ পেয়ে থাকেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
সম্প্রতি ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ সভার সভাপতিত্ব করেন। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এসংক্রান্ত প্রস্তাবে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী ঈদুল আজহা থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বৈঠক উপলক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থসচিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। আগামী ২৯ এপ্রিল তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তারা দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
বর্তমানে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা তিন লাখ ৯৮ হাজার ৬৮ জন। উৎসব ভাতা বাড়ানো হলে এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ২২৯ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেডে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেড
বিভাগের নাম: ডাটা অ্যানালিস্ট
পদের নাম: এক্সিকিউটিভ
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিবিএ (ফাইন্যান্স/অ্যাকাউন্টিং/স্ট্যাটিসটিকস)
অভিজ্ঞতা: প্রযোজ্য নয়
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: ২১-২৮ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে ক্লিক US-Bangla Airlines করে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) এবং উপ-উপাচার্যকে (প্রো-ভিসি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।
মো. মামুন অর রশিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
গত ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গতকাল বুধবার সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও বিকেল থেকে ছাত্রদের ৬টি ও ছাত্রীদের ১টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে।
এসব ঘটনায় কুয়েট উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের এক দফা দাবিতে ২২ এপ্রিল বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ২৯ শিক্ষার্থী।
বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটামে দেন। তবে কুয়েট ভিসি বলেছিলেন, সরকার তাকে না সরালে নিজে থেকে পদ ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত সরকার-ই তাকে ভিসির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রশাসন ভবন অবরুদ্ধ, দাবি পূরনের আশ্বাস ইবি উপাচার্যের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভাগের নাম পরিবর্তন ও সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে বর্তমান একাডেমিক কমিটি বাতিলের দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আগামী সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস ও বর্তমান পরীক্ষা কমিটি বাতিল করে সমাধান করবেন ইবি উপাচার্য এমনটা জানান ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে অন্যদিকে বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতে প্রশাসন ভবনের অন্য অংশে অবস্থান করতে দেখা যায় বিভাগটির অপর একাংশ শিক্ষার্থীদের।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা অবরোধ করার পরে দুপুর দুই টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনা হয়। আলোচনায় পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ ৮ মাস যাবত আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। বারবার আমাদেরকে আশ্বাস দিলেও সুরাহা মিলছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আমাদের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপিত হলে উপাচার্যের একটি এক্সপার্ট কমিটি গঠন করেন। সেই একডেমিক কাউন্সিল পরবর্তী সিন্ডিকেটে আমাদের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত প্রশাসন হতে আসেনি। আমরা প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রিতা ছাড়া এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেননি। আমরা নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনোরুপ আপডেট পাইনি এবং সেই এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্ট এর সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি। আমাদের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে প্রশাসন ভবনে তালা দিতে বাধ্য হয়েছি। আমরা আজকে বিভাগের নাম পরিবর্তনের জন্যে গঠিত এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্ট সাবমিট এবং নাম পরিবর্তন করে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি করার চূড়ান্ত আপডেট নিয়েই এখান থেকে অবরোধ বন্ধ করবো।
অপরদিকে বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতে প্রশাসন ভবনের অন্য অংশে অবস্থান গ্রহণ করে বিভাগটির অপর একাংশ শিক্ষার্থীরা। তবে বিভাগের শিক্ষকরা তাদের বুঝালে তারা অবস্থান ছেড়ে চলে যায়। তাদের দাবি হলো- বিভাগের পূর্ব নাম ছিলো এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড জিওগ্রাফি। পরে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিলেয়ে বিভাগের নাম জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট করার দাবি জানিয়েছি। সকল চাকরিতে জিওগ্রাফির গুরুত্ব একটু বেশি। আর জিওগ্রাফি মূল সাবজেক্ট। তাই আমরা কখনো মূল সাবজেক্ট হারাতে চান না তারা।
উপাচার্যের সাথে আলোচনা করে প্রতিনিধি শিক্ষার্থীরা জানান, স্যার পরবর্তী সিন্ডিকেটে বসে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। সেটা আগামী মাসের শেষের দিকে হতে পারে। বর্তমান পরীক্ষা কমিটিটা বাতিল করে স্যার নিজে বিভাগে গিয়ে সমাধান করে দিবেন। আমরা এতে সন্তুষ্ট।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের দাবি শুনেছি। এ বিষয়ে গঠিত কমিটি আগামী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সাথে ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি, ইবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনের যৌক্তিক দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বুধ-বৃহস্পতিবার সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় পালটাপালটি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ ও সহিংসতা এড়াতে বুধ এবং বৃহস্পতিবার ঢাকা সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৩টা ২৪ মিনিটে কলেজটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এফ এম মোবারক হোসাইন এ ঘোষণা দেন।
এফ এম মোবারক হোসাইন বলেন, কোনো ধরনের সংঘাতে না জড়িয়ে পুরো বিষয়টি এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ছেড়ে দিতে হবে। সিটি কলেজের অবকাঠামোগত যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য প্রশাসনের কাছে আমরা বিচার দিয়েছি। তারাই আমাদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করবেন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে যেন কোনো ধরনের সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য আগামীকাল এবং পরদিন কলেজ বন্ধ থাকবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। দুপুর একটার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। দুইটার দিকে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের দিক থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে এসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।