আন্তর্জাতিক
ভারতে কমেছে নগদ অর্থপ্রবাহ

দেশে অর্থপ্রবাহ কমাতে বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট তুলে নিচ্ছে ভারত। দেশটির রিজার্ভ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে বাজারে থাকা নগদের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশে। যা গত বছরের এই সময়ে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। খবর আনন্দবাজার।
মূলত ২০২৩ সালের ১৯ মে সকলকে কিছুটা অবাক করে আচমকা বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়াই এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, জানুয়ারিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে আমানত দ্বিগুণ বৃদ্ধির পিছনেও এই সিদ্ধান্তই দায়ী বলে জানাচ্ছে আরবিআই।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, দেশে রিজার্ভ মানি বা মজুত নগদের পরিমাণ ৯ ফেব্রুয়ারির সপ্তাহে গত বছরের ১১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে। এর মধ্যে অবশ্য নগদ জমার অনুপাত বদলের প্রভাবও রয়েছে। উল্লেখ্য, রিজার্ভ মানির মধ্যে থাকে বাজারে থাকা নগদ, আরবিআই-এর কাছে জমা থাকা ব্যাঙ্কের নগদ এবং শীর্ষ ব্যাঙ্কের অন্যান্য জমা। কারেন্সি ইন সার্কুলেশন ধরা হয় বাজারে থাকা সমস্ত নোট এবং কয়েনকে। তার মধ্যে আমজনতার কাছে যে নগদ থাকে, সেটা কারেন্সি উইথ দ্য পাবলিক।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণার পরে ২০০০-এর নোট এনেছিল কেন্দ্র। দাবি ছিল, এতে কালো টাকা রোখা সহজ হবে। যত নোট বাতিল হয়েছিল, তা বাজারে ফেরাতে সুবিধা হবে। ডিজিটাল লেনদেনে জোর দেওয়া যাবে। বিরোধী-সহ নানা মহলের দাবি কোনওটাই হয়নি। শেষ পর্যন্ত তা ছাপা বন্ধ করে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ও গত বছর সেটি প্রত্যাহার করা হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ পড়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ভারতে নামাজ পড়ার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা জায়গায় নামাজ পড়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারও করেছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির উত্তর প্রদেশের মিরাটে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর প্রদেশের মিরাটে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা জায়গায় নামাজ পড়ার অভিযোগে পুলিশ এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে বলে রোববার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম খালিদ প্রধান। হোলি উদযাপন ঘিরে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে স্থানীয় হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর বিক্ষোভের পর খালিদ প্রধান (খালিদ মেওয়াতি)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় একদল ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নামাজ পড়ছে।
এনডিটিভি বলছে, এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খালিদ প্রধান এবং তিনজন নিরাপত্তা কর্মীকে বরখাস্ত করেছে এবং ভিডিওটি আপলোডকারী খালিদ প্রধানের বিরুদ্ধে পুলিশি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
রবিবার সার্কেল অফিসার সদর দেহাত শিব প্রতাপ সিং বার্তাসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, আইআইএমটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নামাজ পড়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছিল। এরপর খালিদ প্রধানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার গঙ্গানগর থানার এসএইচও অনুপ সিং বলেন, কার্তিক হিন্দু নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ধারা ২৯৯ (ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করে যেকোনও শ্রেণীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণ কাজ) এবং তথ্য প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০০৮ এর প্রাসঙ্গিক বিধান অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে আইআইএমটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র সুনীল শর্মা দাবি করেন, খোলা জায়গায় নামাজ পড়া হয়েছে এবং ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার’ সেই নামাজের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে এক সপ্তাহে ২৩ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে ২৩ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
রবিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, গত ৬ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৬ হাজার ৬৪৪ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৩ হাজার ৮৯৬ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ৩২৫ জন রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি সংস্থা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় এক হাজার ৪৩২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইথিওপিয়ান ৬৭ শতাংশ, ইয়েমেনি ২৯ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ৪ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।
একই সময়ে অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টা করায় আরও ৯৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ১৩ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশটিতে ৩৯ হাজার ৯৭৬ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৩০৭ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৩০৭ জন নারী। গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ৩২ হাজার ৮২৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি আরও ২ হাজার ৩১১ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১০ হাজার ৩৩১ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
মরু অঞ্চলের দেশ সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্র, নিহত অন্তত ৩৩

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডো ও ভয়াবহ ঝড়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বংসী এই ঝড়ে মিসৌরিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যেখানে ১২ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
মিসৌরি ছাড়াও কানসাসে আটজন, আরকানসাসে তিনজন, মিসিসিপিতে ছয়জন, টেক্সাসে তিনজন এবং ওকলাহোমায় একজনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক টর্নেডো ও ঝড় আঘাত হানে।
মিসৌরিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর তাণ্ডব চালায় একাধিক টর্নেডো, এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আরকানসাসে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
গভর্নর সারা হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকর্মীরা মাঠে নেমেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টেক্সাসেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
অ্যামারিলো এলাকায় ধূলিঝড়ের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দুর্যোগের কেবল শুরু।
সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো টর্নেডোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা ও জর্জিয়ায় আঘাত হানতে পারে। একই সঙ্গে, উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাতাসের গতিবেগ কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১০০ মাইল ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওকলাহোমায় এতটাই শক্তিশালী বাতাস বইছে যে একাধিক ট্রাক উল্টে গেছে। প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি, টেক্সাস, কানসাস, মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকোতে দাবানলের ঝুঁকিও বেড়েছে।
এদিকে দুই লাখের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জর্জিয়া ও আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
থাইল্যান্ডের কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ওয়াশিংটন। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গতকাল শুক্রবার এক দাপ্তরিক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪০ জন উইঘুরকে জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছি।
দীর্ঘদিন ধরে উইঘুরদের লক্ষ্য করে অত্যাচার, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে চীনের সরকার। যেসব দেশে উইঘুররা আশ্রয় নিয়েছেন, সেসব দেশের সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে— তাদেরকে যেন চীনে ফেরত পাঠানো না হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠাতে চীন সেসব দেশের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই তৎপরতা ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনে এই উইঘুররা অব্যাহত নির্যাতন ও গুম-খুনের শিকার হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ মারি হিবার্ট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এর আগে কখনও থাইল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে— এমন কোনো রেকর্ড নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারটি নিরুৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ঠিক কতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তারা বলেছেন, শুধু কর্মকর্তারই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে এই উইঘুরদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা। ব্যাংকক যখন এই পরিকল্পনা করছিল, সে সময় এতে আপত্তি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। দুই দেশের পক্ষ থেকে থাইল্যান্ডে এই উইঘুরদের পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা প্রদানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকক চীনকে অসন্তুষ্ট করার ঝুঁকি নিতে চায়নি।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানোর পর প্রাথমিকভাবে অসন্তোষ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সেময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে ব্যাংকক বলেছিল, আইন ও মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখেই এই উইঘুরদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিবৃতি প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ওয়াশিংটনে থাই দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মার্ক কার্নি। এর মাধ্যমে তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মার্ক কার্নি।
তিনি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। ৫৯ বছর বয়সী কার্নি বিজয়ী হওয়ার পর এক বক্তৃতায় ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি (ট্রাম্প) কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং বলেছেন যে, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করতে চান। কিন্তু আমেরিকানদের কোনো ধরনের ভুল করা উচিত নয়। হকি খেলায় কানাডা যেমন জয়ী হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধেও তারা জয়ী হবে।
প্রায় এক দশক ধরে দায়িত্ব পালনের পর গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। সে সময় থেকেই দেশের নেতৃত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর তার উত্তরাধিকার বাছাইয়ে জয়ী হন মার্ক কার্নি।
ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় বিশেষ করে আবাসন সংকট এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে চাপের মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো।
নিয়ম অনুযায়ী যিনি হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন তিনিই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। সে হিসেবে মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন।