পুঁজিবাজার
আইনের তোয়াক্কা করছে না এমারেল্ড অয়েলের পরিচালকরা, ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার ক্রয়
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য পূর্ব ঘোষণা বাধ্যতামূলক করেছে। তবে এই আইনের তোয়াক্কা না করেই কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার ক্রয় করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা। গোপনে কম দামে শেয়ার ক্রয় করে তা আবার সর্বোচ্চ দামে ধরিয়ে দিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। এতে বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বিনিয়োগকারীরা। এদিকে এমন কান্ডকে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা বলছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা-চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) ও বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এমারেল্ড অয়েলের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ঘোষণা ছাড়াই কম দামে শেয়ার ক্রয় করে বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৮৮ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত দর বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। একপর্যায়ে শেয়ারের দর কমলে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা শেয়ার ফের ঘোষণা ছাড়াই ক্রয় করে কোম্পানির একাধিক উদ্যোক্তা ও পরিচালক। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের প্রায় ৬০ শতাংশই উদ্যোক্তা পরিচালকদের নিকট রয়েছে।
এদিকে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দাবি তাদের বড় ঠকানো হয়েছে। তাদের দাবি, ঘোষণা ছাড়া কম দামে শেয়ার ক্রয় করে দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফের কম দামে ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার ক্রয় করে আবারও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর চক্রান্ত চলছে।
সূত্র মতে, গত এক মাসের মধ্যে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার ধারণে বিশাল পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের অংশের শেয়ার ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিশাল পরিমাণে কমেছে। তবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধির পেছনে কোনো তথ্য নেই দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে। কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের কর্মকান্ডে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিলো ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর ৩১ জানুয়ারি,২০২৪ তারিখে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ দশমিক ৬১ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বেড়েছে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এছাড়া, ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে কোম্পনিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিলো ১২ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিলো ৪৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর গত ৩১ জানুয়ারি,২০২৪ তারিখে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৪২ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এছাড়া, বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশের অর্থ পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীনসহ মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের দিয়ে এ লভ্যাংশ অনুমোদনও করিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ লভ্যাংশের সেই অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধই করা হয়নি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষণা করা লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডদের অনুমোদনের ৩০দিনের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করতে হয়। এ বিষয়ে ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি বিএসইসির জারি করা আদেশে বলা হয়, অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে লভ্যাংশ জমা করতে হবে। অন্যথায় জরিমানাসহ শাস্তির আওতায় আসবে কোম্পানিটি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন নির্দেশনা থাকলেও ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের পরও সেই লভ্যাংশের অর্থ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠায়নি খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটির লভ্যাংশের এ অর্থ পাঠানোর শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি।
এদিকে গত ৩০ জুন,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীনসহ মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। যার রেকর্ড ডেট ছিলো একই বছরের ২৯ নভেম্বর। আর এজিএম ছিলো ২৭ ডিসেম্বর। কোম্পানিটির এজিএমে পূর্ববতী উদ্যোক্তা ও পরিচালকগণ যাদের শেয়ার ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যতীত সকলের জন্য এ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও কোম্পানিটি লভ্যাংশের এ টাকা বিনিয়োগকারীদের বুঝিয়ে দেয়নি। এ অবস্থায় লভ্যাংশ না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করছে কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও কোম্পানিটির শেয়ারদর নিয়ে কারসাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

পুঁজিবাজার
জিকিউ বলপেনের বিএমআরই অনিশ্চিতে ডিএসইর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ!

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দীর্ঘ ১০ বছর টানা পরিচালন লোকসান দেওয়ার পর গত বছর থেকে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। লোকসান কমাতে এবং পণ্যের গুণমান বাড়াতে তাদের কারখানার ভারসাম্য রক্ষা, আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) করার জন্য কোম্পানিটি ১২ মাস উৎপাদন বন্ধ রাখে। তবে বিএমআরই সম্পন্নের পর বড় অংকের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া কোম্পানিটি নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বিএমআরই’র কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির এমন কর্মকান্ডে নির্ধারিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধিবিধান থাকলেও জিকিউ বলপেনের ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বরং প্রতিষ্ঠানটির প্রতি নমনীয় অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ এনে ডিএসইর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি পর পর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে বা এজিএম করতে ব্যর্থ হলে বা বিএমআরই ছাড়া টানা ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে বা পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনকে ছাড়িয়ে গেলে ‘জেড’ ক্যাটেগরিভুক্ত হবে। তবে এমন আইন থাকা সত্ত্বেও জিকিউ বলপেনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন অর্থসংবাদকে বলেন, এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারবো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম অর্থসংবাদকে বলেন, বিএমআরই কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্য দিতে না পারলে ডিএসই তার রেগুলেশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কমিশন থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এবিষয়ে মন্তব্য জানতে জিকিউ বলপেনের কোম্পানি সচিব কে এম এরশাদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ডিএসইকে পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিহার করে সকল কোম্পানির প্রতি সমানভাবে নিয়ম প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে বাজারে আস্থা ফেরানো যাবে না।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিএমআরই অগ্রগতির তথ্য হলো একটি কোম্পানির ভবিষ্যৎ সক্ষমতা ও প্রবৃদ্ধির বার্তা। সেটি গোপন রাখলে বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর ডিএসই যদি এ বিষয়ে কঠোর না হয়, তাহলে বাজারে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন হবে।
এরআগে, ২৯ জুন কোম্পানিকে চিঠির মাধ্যমে বিএমআরই কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্য জানতে চায় ডিএসই। এর জবাবে সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) জিকিউ বলপেনের কোম্পানি সচিব কে এম এরশাদ স্বাক্ষরিত এক চিঠি পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, বেশ কিছু অনিয়ন্ত্রিত বাহ্যিক কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা বিএমআরই উদ্যোগটি এগিয়ে নিতে পারিনি। তবে, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় বিএমআরই অর্থ ধার করার চেষ্টা করলেও তাতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। আমাদের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি ভারতে উৎপত্তি। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ভারত সরকার এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে। আমাদের প্ল্যান্ট ম্যানেজার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ভারতীয় ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এই কারণে, আমরা ভারত থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং উপাদানগুলি পরিদর্শন, আলোচনা এবং সংগ্রহ করতে পারিনি, যার ফলে আমাদের বিএমআরই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য বিলম্ব হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বিকল্প হিসেবে জার্মানি বা চীনের সরবরাহকারীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করলে খরচের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হবে। যা আনুমানিক বিএমআরই খরচকে ছাড়িয়ে যাবে, যার ফলে আর্থিকভাবে এই ধরনের ক্রয় আমাদের ব্যবসায় সম্ভব হবে না। এছাড়া, কোম্পানিটি ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক ভবনের ভাড়া আয় ব্যবহার করে বিএমআরই খরচের একটি অংশ বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছিলো। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে চলমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কার্যক্রম সম্প্রসারণে প্রবেশ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ফলস্বরূপ, কোম্পানিটি ছয় তলা ভবনের মধ্যে মাত্র একতলা ভাড়া নিতে পেরেছে। যা কোম্পানিটির বিএমআরই খরচ বহন করার জন্য খুবই অপর্যাপ্ত।
চিঠিতে আরও বলা হয়, কোম্পানিটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সময়সীমা অনুযায়ী বিএমআরই সম্পন্ন করতে অক্ষম হয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অনুকূল হয়ে উঠলে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে এবং বিএমআরই উদ্যোগ সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এসএম
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৭ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৭৯টি শেয়ার ৪৭ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (০২ জুলাই) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লাভেলোর ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসইএমএল লেকার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার হস্তান্তর

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক পিএলসির (এনসিসি) এক উদ্যোক্তা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করেছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ব্যাংকটির উদ্যোক্তা সোহেলা হোসেন তার ছেলে নব-ই-জহিরের (কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) কাছে ১ কোটি ১১ লাখ ০৪ হাজার ২৩১টি শেয়ার শেয়ার হস্তান্তর করেছেন।
স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং সিস্টেমসের বাইরে শেয়ারগুলো হস্তান্তর করেছেন কোম্পানিটির এই উদ্যোক্তা। এরআগে গত ২৫ জুন উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দেন তিনি।
এসএম
পুঁজিবাজার
পাঁচ কোম্পানির ঋণমান প্রকাশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির ঋণমান বা ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানি দুটি হলো- স্টাইলক্রাফট, শাশা ডেনিমস, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এবং এনআরবি ব্যাংক পিএলসি।
স্টাইলক্রাফট
কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘বিবি৩’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-৩’ রেটিং হয়েছে। গত ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত, ৩১ মার্চ,২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
শাশা ডেনিমস
কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএ৩’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। গত ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত, ৩১ মার্চ,২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং পিএলসি। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএ+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত ও ৩০ জুন,২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ রেটিং হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত, ৩১ মার্চ,২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এনআরবি ব্যাংক
কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত, ৩১ মার্চ,২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সে নতুন চেয়ারম্যান সুবর্ণ বড়ুয়া

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসাবে ড. সুবর্ণ বড়ুয়া নির্বাচিত হয়েছেন।
এসএম