চিত্র-বিচিত্র
বিশ্বের দ্রুততম ১০ ট্রেন ও গতির পরিমাণ
আধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থায় দ্রুত গতির ট্রেনগুলো প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সাধারণত যেসব ট্রেন ঘণ্টায় কমপক্ষে ২০০ কিলোমিটার গতিতে চলে সেগুলোকে দ্রুতগতির ট্রেন বলা হয়। ১৯৬৪ সালে জাপানে প্রথম দ্রুত গতির রেল ব্যবস্থা চালু হয়, যা বুলেট ট্রেন নামে পরিচিত। তারপর থেকে অনেক দেশ দ্রুত গতির ট্রেন তৈরি করেছে।
এই র্যাঙ্কিংটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম, সর্বোচ্চ রেকর্ড গতি, সাধারণ দিনে চলাচলের সময় সর্বাধিক গতি ও যুগান্তকারী প্রযুক্তির বিষয় সহ বেশ কয়েকটি মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। খবর র্যাংকরেড, সিএনএন।
চলুন দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম ১০টি ট্রেন সম্পর্কে।
১. এলজিরো সিরিজ শিনকানসেন
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৬০৩ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বোচ্চ গতি: ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার
জাপানের এলজিরো সিরিজের দ্রুত গতির ম্যাগলেভ ট্রেনটি বর্তমানে উন্নয়ন ও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। সেন্ট্রাল জাপান রেলওয়ে কোম্পানি ও রেলওয়ে টেকনিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি এই ট্রেনে চৌম্বকীয় লেভিটেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
২. টিজিভি পিওএস
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৫৭৫ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বাধিক গতি: ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার
ফ্রান্সের টিজিভি পিওএস (ট্রেন আ গ্রান্দে ভিতেসে পেন্দুলেয়ার) ট্রেনটিতে যত দ্রুত গতিতে মোড় নেয়, তখনো ভেতরে যাত্রীরা আরামে বসে থাকতে পারেন। এর কারণ, ট্রেনটি মোড় ঘোরানোর সময় পেন্ডুলামের মতো কাঁত হয়ে যায়। এ জন্যই এই ফরাসি ট্রেনের নামে পেন্ডুলামের উল্লেখ রয়েছে।
ট্রেনটি দীর্ঘ সময় ধরে দ্রুত গতিতে চলতে পারে। এ কারণে এটা দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য বিশেষ উপযোগী।
৩. টিজিভি আটলান্টিক
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৫১৫ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বাধিক গতি: ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার
ফ্রান্সের জাতীয় রেল কোম্পানি চালিত টিজিভি আটলান্টিকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ১৯৯০ সালে। এটি তখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন হিসেবে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল।
৪. সাংহাই ম্যাগলেভ
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৫০১ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বাধিক গতি: ঘণ্টায় ৪৩১ কিলোমিটার
জার্মানির কারিগরি সহায়তায় নির্মিত চীনের সাংহাই ম্যাগলেভ বিশ্বের দ্রুততম বাণিজ্যিক ইলেকট্রিক ট্রেন।
এই রেল প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে ১৩০ কোটি ডলার খরচ হয়। তবে এই ট্রেন পরিচালনার খরচ অনেক বেশি। সে অনুযায়ী যাত্রী সংখ্যা কম থাকার সাংহাই ম্যাগলেভ প্রতি বছর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
৫. সিআরএইচ৩৮০বি/বিএল হেক্সি
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৪৮৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বাধিক গতি: ঘণ্টায় ৩৮০ কিলোমিটার
২০১১ থেকে চায়না রেলওয়ে কর্পোরেশন চালিত চীনের আরেকটি দ্রুত গতির ট্রেন সিআরএইচ৩৮০বি/বিএল হেক্সি। ট্রেনটির অ্যারোডাইনামিক আকৃতি এবং বর্ধিত ট্র্যাকশন শক্তি এর কার্যক্ষমতাকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
৬. সিআরএইচ৩৮০এ হেক্সি
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৪৮৬ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বাধিক গতি: ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার
দ্রুত গতির ট্রেনের জগতে চীনের প্রভাব লক্ষণীয়। সিআরএইচ৩৮০বি/বিএল হেক্সির পরই রয়েছে এর আগের বছর থেকে চালু হওয়া ট্রেন সিআরএইচ৩৮০এ হেক্সি।
পরবর্তীতে ট্রেনটিকে আবারো বিদেশী ডিজাইনের ভিত্তিতে ঢেলে সাজানো হয়।
৭. সিআরএইচ৩৮০ডি
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৪৮৩ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বাধিক গতি: ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার
সিআরএইচ৩৮০ডি চীনের সিআরএইচ৩৮০ সিরিজের সিরিজের একটি উন্নত সংস্করণ। এই ট্রেনটিও জায়গা করে নিয়েছে সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেনের তালিকায়।
৮. ফুকসিং সিআর৪০০এএফ/বিএফ
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৪২০ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বাধিক গতি: ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার
২০১৬ সাল থেকে চায়না রেলওয়ে কর্পোরেশন ফুকসিং সিরিজের এএফ ও বিএফ নামে দুই ধরনের ট্রেন পরিচালনা করছে। দ্রুততম, কিন্তু ম্যাগলেভ নয় এমন ট্রেনের মধ্যে এগুলো অন্যতম।
৯. এভিই ক্লাস ১০৩
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৪০৪ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বাধিক গতি: ঘণ্টায় ৩১০ কিলোমিটার
স্পেনের রেনফে-অপারেডোরা ২০০৬ সাল থেকে এভিই ক্লাস ১০৩ ট্রেনটি পরিচালনা করে আসছে। এভিই’র পূর্ণরূপ ‘আল্টা ভেলোসিদাদ এস্পাওলা’, যার মানে ‘স্প্যানিশ দ্রুত গতি’ এবং এর সংক্ষিপ্ত রূপ এভই’র অর্থ ‘পাখি’। এভিই রেল সিস্টেম ইউরোপের দীর্ঘতম দ্রুত গতির রেল নেটওয়ার্ক। এটি ৩ হাজার ৯৬৬ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে, যা চীনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম।
১০. সিআরএইচ৩সি
রেকর্ড গতি: ঘণ্টায় ৩৯৪ কিলোমিটার
দৈনন্দিন চলার সময় সর্বাধিক গতি: ঘণ্টায় ৩১০ কিলোমিটার
দ্রুততম ট্রেনের তালিকা জুড়ে চীনের আধিপত্য বেশ স্পষ্ট। এরইমধ্যে এখানে আবার জায়গা করে নিয়েছে দেশটির সিআরএইচ৩সি মডেলের দ্রুত গতির আরেকটি ট্রেন। ২০০৮ থেকে চলমান ট্রেনটি বিশ্বের দ্রুততম বাণিজ্যিক ট্রেনগুলোর মধ্যে একটি।
২০২২ সালের শেষ নাগাদ চীনে ৪২ হাজার কিলোমিটারের দ্রুত গতির রেল নেটওয়ার্ক ছিল। যা বিশ্বের মোট নেটওয়ার্কের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। দ্রুতগামী ট্রেনের এই প্রতিযোগিতায় চীন তার সকল প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে এই তালিকায় ক্রমাগত নতুন নতুন ট্রেনের নাম যোগ করে যাচ্ছে চীন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
কে এই বিশ্বজয়ী মুয়াজ, জানা গেল পরিচয়
ইসলামী ঐতিহ্যের স্মৃতি বিজড়িত তুরস্কে অনুষ্ঠিত ৯ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশি হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। ২০১৬ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ প্রথম তুরস্কে এই সফলতার গৌরব অর্জন করেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বাদ জোহর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ মেহমানদের উপস্থিতিতে মুয়াজ মাহমুদই সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ২২ আগস্ট ২০০৬ সালে চাঁদপুর জেলার, চাঁদপুর সদরের বালিয়াবাজার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ আলি একজন ব্যবসায়ী। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। মা-বাবার কাছেই তার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়।
শিক্ষা জীবনের শুরুতে স্কুলে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। এরপর ঢাকার মিরপুর ১-এ অবস্থিত মারকাজু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামিতে ভর্তি হন। এ প্রতিষ্ঠানে তার হাফেজ হতে সময় লেগেছে ৩ বছর। এরপর আরও ২ বছর শোনান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানেই কিতাব বিভাগে কাফিয়া (নবম) শ্রেণির ছাত্র হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ।
এ ছাড়াও হাফেজ মুয়াজ গত ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পবিত্র মক্কার মসজিদে হারামে অনুষ্ঠিত কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পর এই প্রথম তুরস্কের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় লাল-সবুজের পতাকার বাংলাদেশ প্রথম স্থান লাভ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ পড়লো যেভাবে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুরুতেই ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ ছিল। তবে পরবর্তীতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। এসব অনেক আগের ঘটনা হলেও সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ইতিহাস নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জাহিদুল ইসলাম তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেয়ার অন্যতম ভিকটিম, ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।
এ দিন বিকেলে জনপ্রিয় বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখে পোস্ট করেন। এরপর বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে।
জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা পোস্ট করছেন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্ব নাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি ছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়।
এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ১৯৭০ সালের শেষের দিকে ঠিক করা হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্ডিন্যান্সের সময় তৎকালীন প্রশাসন মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
মায়ের জানাজায় অংশ নেননি এস আলম ও তার পরিবার
মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম। তিনি ছাড়াও তার ৬ ভাই আবদুল্লাহ হাসান, ওসমান গনি, আবদুস সামাদ, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম ও মোরশেদুল আলমসহ কেউ জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি।
রোববার (২০ অক্টোবর) আছর নামাজের পর চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাইফুল আলমের মা চেমন আরা বেগমের (৯২) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তপটিয়া পৌরসভার এস আলম জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) ভোরে বার্ধক্যজনিত রোগে রাজধানী বনানীর বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম মোজাহেরুল আনোয়ার। পরে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ চট্টগ্রামের পটিয়ায় নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে থেকে সাইফুল আলম মাসুদসহ তার অন্য ভাইয়েরা সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর এস আলম গ্রুপের ব্যাংক খাতে একের পর এক লুটপাটের চিত্র সামনে আসে। এ কারণে দেশে ফেরার সাহস করেননি সাইফুল আলম মাসুদসহ তার অন্য ভাইয়েরা। সবশেষ রোববার মায়ের জানাজায়ও উপস্থিত হতে পারেননি কেউ। ভিডিও কলে শেষবারের মতো মাকে দেখেন সন্তানেরা।
জানাজায় উপস্থিত বেশিরভাগের মুখে ছিল এ কথা। কত ধন-সম্পত্তি এবং কত প্রভাব প্রতিপত্তি। কিন্তু তারপরও মায়ের জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি দেশের অন্যতম শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদ এবং তার ভাইয়েরা। এটি দেখে দুর্নীতি এবং লুটপাটকারীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
কে এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের বিতর্কিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। এ ছাড়াও ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এর প্রতিবাদে ইতোমধ্যেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা এই কটূক্তিকারীকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন।
বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির বাড়ি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) তাপসীর পৈত্রিক পরিচয়ের খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা যায়, উর্মির মা নাসরিন জাহান বতর্মানে হাজি কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ মুক্তাগাছায় গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বতর্মানে তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন। তবে উর্মির বাসায় সরেজমিনে গিয়ে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিম উদ্দিন বলেন, উর্মি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন উর্মি। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট ভাই জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন। এর বেশি তাদের সম্পর্কে আমার জানা নেই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
৫৭ বছর পর বিয়ের ভিডিও হাতে পেলেন দম্পতি
বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। আর এই ২০২৪ সালে এসে তাদের বিয়ের সেই ভিডিও হাতে পেলেন দম্পতি। সেটাও পেলেন কাকতালীয়ভাবে। সেই দম্পতির নাম আইলিন ও বিল টার্নবুল।
১৯৬৭ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তারপর যৌবন পাড়ি দিয়ে এখন বার্ধক্যে পৌঁছে গেছেন তারা। যখন তাদের বিয়ে হয়েছিল তারা তখন থাকতেন স্কটল্যান্ডে। সেখানেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় একটি ভিডিও করা হয়েছিল। যেখানে তাদের বিয়ের নানা মুহূর্ত ধরা পড়েছিল।
সাধারণত বিয়ের ভিডিও বিয়ের পর এডিট হতে মাত্র কয়েকদিন লাগে। নবদম্পতিসহ পরিবার বন্ধু সবাই মিলে সে ভিডিও দেখার রেওয়াজ নতুন নয়। এ এক মন ভালো করা অভিজ্ঞতা।
ওই দম্পতিও সে সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সময় প্রজেক্টর ভাড়া করে বিয়ের ভিডিও দেখতে হতো। তারাও সেটাই করেছিলেন। যেটা ভুল হয়েছিল সেটা একবার দেখার পর ভিডিওটি নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ার বদলে ভুল করে প্রজেক্টরের সঙ্গে তা প্রোজেক্টর যার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল তার কাছে থেকে যায়। আর দম্পতিও বিয়ের পর চলে আসেন অস্ট্রেলিয়ায়। কারণ তারা অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। স্কটল্যান্ডের নন।
সে ভিডিও হাতে না পাওয়ার দুঃখ একটা সময় পর্যন্ত ছিল। তারপর তা আর পাওয়ার কোনো উপায় নেই বুঝে আস্তে আস্তে সময়ের সঙ্গে সেকথা ভুলেও যান তারা।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের বাসিন্দা সেই কনে এখন ৭৭-এর বৃদ্ধা। তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপে তাদের বিয়ের ছবি দেখে চমকে যান। বিষয়টি তার স্বামীকেও জানান।
তার স্বামী বিষয়টি দেখার পর তারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন সামাজিকমাধ্যমে। এদিকে যিনি সেই ভিডিও তুলেছিলেন, তিনি এখন বৃদ্ধ। থাকেন স্কটল্যান্ডে।
তিনি তার যত ভিডিও তুলেছিলেন সব কটিকে ডিভিডি করতে শুরু করেছিলেন। তখনই তার সংগ্রহে থাকা এই বিয়ের ভিডিওটি তিনি দেখতে পান।
কার ভিডিও তা জানতে সেটি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই ছবি অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেখতে পান দম্পতি। যোগাযোগের পর এই ভিডিওটির একটি ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করে ওই দম্পতির কাছে পাঠিয়ে দেন বৃদ্ধ ফটোগ্রাফার।
বিয়ের ৫৭ বছর পর অবশেষে নিজেদের বিয়ের ছবি হাতে পেলেন ওই অস্ট্রেলীয় দম্পতি।