কর্পোরেট সংবাদ
বীমা সহজলভ্য করতে নগদের সঙ্গে গ্রীন ডেল্টার চুক্তি স্বাক্ষর

বীমা পরিষেবাগুলো সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করতে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও নগদ লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি হওয়া এ চুক্তিকে বাংলাদেশের সাধারণ বীমা শিল্পে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলা হচ্ছে। একটি মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান এবং একটি নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মধ্যে এই ধরণের অংশীদারত্ব বাংলাদেশে প্রথম বলেও দাবি করা হচ্ছে।
গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মঈনউদ্দীন আহমেদ বলেন, নগদের সঙ্গে এই অংশীদারত্বে আমরা রোমাঞ্চিত। কারণ, সাধারণ বীমা শিল্পে এমন অংশীদারত্বের নজির এটিই প্রথম। এই অংশীদারত্বের ফলশ্রুতিতে গ্রাহকরা এখন থেকে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের যেকোনো শাখায় নগদের মাধ্যমে তাদের প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন। অদূর ভবিষ্যতে, গ্রাহকরা ও জনসাধারণ খুব সহজেই নগদ অ্যাপ থেকে সরাসরি আমাদের বীমা পলিসি কিনতে সক্ষম হবে। আমরা আশা করি, এই অংশীদারত্ব ইন্স্যুরেন্স সেবাকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে বীমা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।
নগদের নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক বলেন, শুরু থেকেই নগদ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে আরও বেশি মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্থ করতে চাই। তারই অংশ হিসেবে গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্সের সঙ্গে অংশীদারত্বের চুক্তি করেছি আমরা। এই চুক্তির ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও নগদ থেকে সহজেই ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবেন এবং স্মার্টাইজেশনের দিকে দেশ আরেকটু এগিয়ে যাবে।
গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মঈনউদ্দীন আহমেদ এবং নগদের নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ ছাড়া গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের হেড অব ডিজিটাল বিজনেস মনিরুজ্জামান খান, ফিনান্স কন্ট্রোলার সৈয়দ আলিউল আহবাব, নগদ লিমিটেডের হেড অব ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন মোহাম্মদ বায়েজিদ সহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা’র আয়োজনে আরও দুই বিভাগে ‘বিজ্ঞান উৎসব’

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের স্কুল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করতে বিকাশ ও বিজ্ঞান চিন্তার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। ঢাকা’র পর বিভাগীয় এই শহর দু’টির উৎসবে প্রায় ১০০টি স্কুলের ১৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠে বিজ্ঞান চর্চার এই আয়োজন।
সম্প্রতি রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাজশাহীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে আয়োজিত এই উৎসবে দুই বিভাগ থেকে ১২০টির বেশি প্রকল্প প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। খুদে বিজ্ঞানীদের প্রদর্শিত নানান উদ্ভাবনী প্রকল্পের মধ্য থেকে প্রতিটি বিভাগে সেরা দশ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, রংপুর উৎসবে কুইজে অংশগ্রহণকারী ৮০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই ক্যাটাগরিতে ২৫ জন ও রাজশাহীতে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
রংপুরে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডীন ড. মিজানুর রহমান, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. কে এম জালাল উদ্দীন আকবর ও বিকাশের ইভিপি ও রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান হুমায়ুন কবির।
রাজশাহীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি ও বিকাশের রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান এবং বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার।
বাড়তি চমক হিসেবে ছিলো বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন স্টল, বিজ্ঞান ভিত্তিক জাদুর প্রদর্শনী, লেখক, গণিতবিদ, বিজ্ঞান বক্তাদের বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, সংগীতানুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে ও কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংক ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় জীবনবীমা প্রতিষ্ঠান প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাথে একটি পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তির আওতায় প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আধুনিক, নিরাপদ ও সুবিধাজনক পেরোল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে প্রাইম ব্যাংক। কৌশলগত এই অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে না, ভবিষ্যতে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরও সহযোগিতার পথ সুগম করবে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্পন্সর ডিরেক্টর জাকারিয়া আহাদ।
এসময় প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন- এসইভিপি ও হেড অব ডিস্ট্রিবিউশনস মামুর আহমেদ; হেড অব পেরোল ব্যাংকিং হাসিনা ফেরদৌস; রিলেশনশিপ অফিসার ধীমান বর্মন। প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মোহাম্মদ সাইদুল আমিন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর; আব্দুল্লাহ আল-মানসুর, এসইভিপি ও কোম্পানি সেক্রেটারি; মো. গাজিউর রহমান বখতিয়ার, ইভিপি ও হেড অব এইচআর; শাখাওয়াত হোসেন, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এবং আলিমা আক্তার খানম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কর্পোরেট সংবাদ
পূজার কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক

বরাবরের মতো এবারও শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে কেনাকাটাকে আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও আনন্দময় করতে বিকাশ নিয়ে এসেছে অনলাইন ও অফলাইন কেনাকাটায় আকর্ষণীয় সব ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। সুপরিচিত ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন শপে পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও অ্যাকসেসরিজ, গ্রোসারি, প্রসাধনী পণ্য, মিষ্টান্ন, খাবার অর্ডারসহ নানা কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে গ্রাহকরা এই ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফারগুলো উপভোগ করতে পারছেন।
বিভিন্ন অফারের আওতায় গ্রাহকরা বিকাশ পেমেন্টে এই ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক সুবিধা পেতে পারেন। এই অফারগুলো উপভোগ করা যাবে ৪ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। পূজার কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে অফারগুলো একসাথে পাওয়া যাবে এই লিংকে: https://www.bkash.com/campaign/payment-puja-campaign-2025।
যেসব মার্চেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক পাওয়া যাচ্ছে –
লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড: ‘D1’ কোড যোগ করে নির্দিষ্ট লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডে পোশাক, জুতা, অ্যাক্সেসরিজ, পার্সোনাল কেয়ার, বিউটি পার্লার ও সেলুনে অফার চলাকালীন পাওয়া যাবে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। ন্যূনতম ১ হাজার টাকা পেমেন্টে প্রতিবার পাওয়া যাবে ১০০ টাকা ডিসকাউন্ট, যা এক দিনে সর্বোচ্চ ২ বার গ্রহণ করা যাবে।
সুপারস্টোরে উৎসবের বাজার: পূজা উপলক্ষ্যে স্পেশাল রান্নার প্রস্তুতি নিতে দরকারি কেনাকাটায় ‘D2’ কোড যোগ করে আগোরা, আলমাস সুপারশপ, ডেইলি শপিং, আমানা বিগ বাজার, মিনা বাজার, প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট সহ আরও বেশকিছু সুপারস্টোরে ন্যূনতম ১,৫০০ টাকা বিকাশ পেমেন্ট করে পাওয়া যাবে ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। দিনে ১ বার ৫০ টাকা করে অফার চলাকালীন সর্বোচ্চ ৪ বারে নেয়া যাবে এই ডিসকাউন্ট।
পাশাপাশি, স্বপ্ন সুপারস্টোর এর বিভিন্ন আউটলেটে ‘D3’ কুপন কোড যোগ করে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা বিকাশ পেমেন্টে দিনে ১ বার ৫০ টাকা করে অফার চলাকালীন ৩ বারে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ডিসকাউন্ট মিলবে।
ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার: উৎসবের আনন্দ বাড়াতে নির্দিষ্ট ফার্নিচার আর ইলেকট্রনিক্স আউটলেটে কেনাকাটায় থাকছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। ১০ হাজার থেকে ২৯,৯৯৯.৯৯ টাকার পেমেন্ট বিকাশ করলে ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক অথবা ৩০,০০০ বা তার বেশি টাকার পেমেন্ট বিকাশ করলে ৫০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে। অফার চলাকালীন ১ বার ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে।
রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া: উৎসব উদযাপনে পছন্দের রেস্টুরেন্টে ‘D4’ কুপন কোড যোগ করে দিনে ১ বার ন্যূনতম ৫০০ টাকা বা তার বেশি বিকাশ পেমেন্টে ১০% করে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং অফার চলাকালীন ২ বারে মোট ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।
সুইটস ও বেকারি: ‘D7’ কুপন যোগ করে পছন্দের সুইটস ও বেকারি শপে ন্যূনতম ৩০০ টাকা বিকাশ পেমেন্টে মিলবে ডিসকাউন্ট। ক্যাম্পেইন চলাকালীন দিনে ১ বার ৩০ টাকা এবং অফার চলাকালীন ৫ বারে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।
আউটফিট, ফুটওয়্যার ও অ্যাক্সেসরিজ: দেশব্যাপী বিভিন্ন ফ্যাশন, ফুটওয়ার, অ্যাক্সেসরিজ শপে ‘D5’ কোড যোগ করে ন্যূনতম ১,০০০ টাকা বিকাশ পেমেন্টে পাচ্ছেন ডিসকাউন্ট। দিনে ১ বার ১০০ টাকা পর্যন্ত এবং অফার চলাকালীন ২ বারে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট মিলবে।
অনলাইন শপিং: নির্দিষ্ট অনলাইন শপ থেকে পছন্দের কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে ৫% ও ১০% করে ২০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে। অফার চলাকালীন ২ বারে মিলবে এই ক্যাশব্যাক।
এদিকে, অনলাইন গ্রোসারি প্ল্যাটফর্ম চালডাল, ডেইলি শপিং, মীনা বাজার ও স্বপ্ন অনলাইন থেকে যেকোনো পণ্য অর্ডারে ন্যূনতম ১,০০০ টাকা বিকাশ পেমেন্টে পাচ্ছেন ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
কর্পোরেট সংবাদ
নারী ও তরুণীদের ক্ষমতায়নে সিটি ব্যাংক ও ইউএনএফপিএ’র চুক্তি

সিটি ব্যাংক এবং ইউএনএফপিএ যৌথভাবে কমলাফুল ফার্মেসি উদ্যোগ চালু করেছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নারীর ক্ষমতায়ন এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি সিটি ব্যাংক ও ইউএনএফপিএ’র প্রথম পারস্পরিক সহযোগিতামূলক উদ্যোগ এবং একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
আজ ঢাকায় আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন আনুষ্ঠানিকভাবে এ অংশীদারিত্বে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার মাহিয়া জুনেদ, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান; ইউএনএফপিএ’র স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান বিভাবেন্দ্র সিং রাঘুবংশী, কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট গুলালেক সোলতানোভা, প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট-আরবান হেলথ মো. আজমল হোসেন সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্যোগটি ইউএনএফপিএ পরিচালিত সফল পাইলট কমলাফুল ফার্মেসি প্রকল্পের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পরিচালিত সেই প্রকল্পে দেখা গেছে, নারী ফার্মাসিস্ট ও অ্যাসোসিয়েটরা নারীদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নত পরামর্শ প্রদান করতে সক্ষম এবং প্রয়োজনীয় সেবার প্রবেশাধিকার প্রসারিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের ধারাবাহিকতায়, সিটি ব্যাংক প্রকল্পটির স¤প্রসারণ করছে, যাতে করে দেশে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং উন্নত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে বৃহত্তর ও স্থায়ী সামাজিক প্রভাব নিশ্চিত হয়।
ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব প্রমাণ করে যে বেসরকারি খাত নারীর ক্ষমতায়ন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকারের প্রসারে কিভাবে রূপান্তরমূলক ভুমিকা রাখতে পারে। তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসেবে গড়ে তোলা মানে সুস্থ পরিবার, শক্তিশালী সমাজ এবং আরও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে বিনিয়োগ করা।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সামাজিক অন্তর্ভুক্তিও জরুরি। ইউএনএফপিএর সাথে এই উদ্যোগটি কেবল তরুণীদের কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ নয়, বরং মর্যাদা, স্বনির্ভরতা ও নেতৃত্ব অর্জনের পথ তৈরি করবে। তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসাবে গড়ে তলার মাধ্যমে আমরা শুধু তাদের জীবনই বদলে দিচ্ছি না, বরং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং বিশ্বস্ত পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের জীবনকেও ইতিবাচকভাবে বদলে দিচ্ছি। এটি আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই বাংলাদেশ গড়ার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
কর্পোরেট সংবাদ
বিএফআইইউ ও প্রাইম ব্যাংকের উদ্যোগে এএমএল-সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ

মৌলভীবাজারের ব্যাংকারদের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও প্রাইম ব্যাংক পিএলসি কর্তৃক আয়োজিত এএমএল-সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি লীড ব্যাংক হিসেবে ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন (এএমএল এবং সিএফটি) প্রতিরোধ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের মোট ৯০ জন ব্যাংকার অংশগ্রহণ করেন।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফআইইউর পরিচালক মো. মোস্তাকুর রহমান। কর্মশালার সেশনসমূহ পরিচালনা করেন বিএফআইইউর দক্ষ ও অভিজ্ঞ রিসোর্স পার্সনগণ, যাদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম পরিচালক মো. ইমানুর হাসান এবং উপ-পরিচালক মো. মুশফিকুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডিএমডি ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের ডিএমডি মো. ইকবাল হোসেন এবং প্রাইম ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান মো. হুমায়ুন কবির।
কর্মশালায় মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন- আইন ও বিধির নির্দেশাবলী, কেওয়াইসি, লেনদেন মনিটরিং, ক্রেডিট ও ট্রেড বেইজড মানিলিন্ডারিং প্রতিরোধে বিষয়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানটি ইন্টারেক্টিভ এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য, প্রশিক্ষণ সেশনের পরে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেরা পারফর্মারদের পুরষ্কার প্রদান এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
পরিশেষে, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি এবং বিএফআইইউ জাতীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকিং খাতের প্রস্তুতি আরও জোরদার করার জন্য এই ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।