রাজনীতি
নির্বাচনে না আসার খেসারত বিএনপিকে দিতে হবে: কাদের

আন্দোলনে ব্যর্থতা ও নির্বাচনে না আসার খেসারত বিএনপিকে অনেক দিন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সড়ক পথে নোয়াখালীর নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে ফেনীর দাগনভূঞায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার কাছে অবাক লাগে মির্জা ফখরুল জেল থেকে বের হয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দল আসার দিনে লাঠিতে ভর দিয়ে নালিশ করতে গিয়েছেন। অথচ তিনি অসুস্থতার জন্য জামিন পেয়েছেন। নালিশ করাই তাদের রাজনীতি। আমরা বাড়াবাড়ির রাজনীতি করি না। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশের ন্যায় এ অঞ্চলে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা ইতোপূর্বে মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি। এ উন্নয়নকে মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। এ সরকারের সময়ে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে বিশেষ করে সড়কপথে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে ফেনীর নাম অনেক সামনে আসবে। ফেনীতে সিক্স লেন ফ্লাইওভার হয়েছে। ৬ লেনের ফ্লাইওভার ঢাকার বাইরে আর কোথাও নেই। আমি একটি সত্য কথা বলি। গতকালকে শবে বরাত গেছে। আমি ৭৫ পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার মতো ভালো মানুষ দেখিনি। এতো ভালো মানুষ রাজনীতিতে আছেন। এজন্যই এ সরকার এতদিন ক্ষমতায় টিকে রয়েছেন। তিনি মানুষকে ভালো রাখেন, মানুষও তাকে ভালোবাসেন।
কাফি

রাজনীতি
জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠানে এখনো আমন্ত্রণ পায়নি বিএনপি: সালাহউদ্দিন

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে এখনো বিএনপি আমন্ত্রণ পায়নি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় জুলাই সনদ এবং ঘোষণাপত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। আর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেখানে যাবেন। তবে বিএনপি এখনো সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পায়নি।
বিএনপি সহযোগিতা করছে না জুলাই সনদ নিয়ে- এমন বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে, এটি উদ্দেশ্যমূলক এবং রাজনৈতিক হীনমন্যতা বলেও জানান তিনি।
সংস্কার কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সংস্কারের কী কী ভাবনা সেটা আহ্বান করা হয়, আমাদের কাছে এবং জনগণের কাছ থেকেও তারা সংস্কারের বিভিন্ন প্রস্তাব পেয়েছে- এ কথা জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার। সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত থাকবে। আর যে-সব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেসব কাগজপত্র পাঠানো মাত্র স্বাক্ষর করবে বিএনপি।
এ ছাড়া বৈধ প্রক্রিয়ায় সংস্কারের পক্ষে বিএনপি জানিয়ে তিনি বলেন, তবে আইন মেনে করতে হবে এবং সংবিধান সংস্কারের মতো জরুরি বিষয়গুলো নির্বাচিত সরকারে অধীনেই হওয়া উচিত।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। রোববার (৩ আগস্ট) তথ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাজনীতি
একটি দল ভারতের খপ্পরে পড়ে জুলাই চেতনার বিপক্ষে ভূমিকা রাখছে: ড. হেলাল উদ্দিন

আধিপাত্যবাদের দোসর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একটি দল আওয়ামী লীগের শূন্যস্থান পূরণ করতে ভারতের খপ্পরে পড়ে জুলাই চেতনার বিপক্ষে ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ন্যাশনাল ফিজিওথেরাপি ফোরামের (এনপিএফ) উদ্যোগে ‘৩৬ জুলাই দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপলক্ষে শহীদ ও আহতের সম্মানে’- দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পথ বন্ধ করতে হবে। জাতিকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র জুলাই ঘোষণাপত্রের এক টুকরো কাগজ উপস্থাপন করা হলে জুলাইয়ের চেতনা বাস্তব রূপ লাভ করতে পারবে না। রবং ফ্যাসিবাদ একেবার, একেক রূপে ফিরে আসবে।
যারাই ভারতের খপ্পরে পড়বে তাদেরকেই ভারতে পাড়ি জমাতে হবে মন্তব্য করে ড. হেলাল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যারা বিশ্বাস করে তারা কখনো দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কত ধরনের ট্যাগ লাগানো হয়েছে এবং হচ্ছে। নানান রকম অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতাকর্মী আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বিদেশের মাটিতে বসে কখনোর রাজনীতি করেনি। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতির যেকোন প্রয়োজনে সবার আগে, সবখানে জামায়াতে ইসলামী ছুঁটে যায় এবং যাবে। বাংলাদেশ ব্যতিত পৃথিবীর কোথাও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের কোন ঠিকানা নাই। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা-সার্বভৌত্বে বিশ্বাসী। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রী প্রহরীর ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকল মানুষকে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সমান দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করেছে এবং করবে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে, দেশপ্রেমিক সচেতন সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহন নতুন বাংলাদেশ গঠন করা হবে। একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সুখি-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এনপিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ডা. এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য, সহকারী জোন পরিচালক মো. আব্দুল হাই, গুলিবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা ইয়াছির আলী। অনুষ্ঠানে এনপিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
রাজনীতি
আরব আমিরাতে আটক ২৬ প্রবাসীর মুক্তির দাবি এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্সের

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক ২৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশির মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স। সোমবার (৪ আগস্ট) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন তারিক আদনান মুন।
তিনি জানান, আটক ব্যক্তিরা গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের গণআন্দোলনের সময় সংহতি জানিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগ নেই, তবুও তাঁরা প্রায় ৮–৯ মাস ধরে আমিরাতের বিভিন্ন বন্দিশালায় আটক রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশের দূতাবাসের সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতেই আমিরাত কর্তৃপক্ষ এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এনসিপির দাবি, এ ঘটনায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবিগুলো হলো: আটক প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং একটি কনসুলার যোগাযোগ চ্যানেল চালু করতে হবে। দ্রুত কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের মুক্তি ও দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া আরব আমিরাতে আটককৃতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। তালিকাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
তারিক আদনান মুন বলেন, “এই ২৬ জন কেবল নাম নয়—তাঁরা প্রত্যেকে একটি পরিবারের আশ্রয় ও নির্ভরতার প্রতীক। তাঁদের বন্দিত্বে তাঁদের পরিবার বাংলাদেশে চরম আর্থিক ও মানসিক সংকটে পড়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মাহাবুব আলম এবং বন্দী প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা।
কাফি
রাজনীতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বিএনপি: সালাহউদ্দিন

বিএনপি যেকোনো সময়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সোমবার (৪ আগস্ট) গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই সনদ হাতে পাওয়ার পরে ৩০ তারিখেই কিছু সংশোধনসহ জবাব দিয়েছে বিএনপি। সনদ বাস্তবায়নে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক মূল্য আছে। ঘোষণাপত্রের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা ফেব্রুয়ারিতেই জবাব দিয়েছে বিএনপি। প্রস্তাবে ২৬ মার্চকে উপস্থাপন করতে চাননি আর এরসঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতি চতুর্থ তফসিলের মাধ্যমে দেওয়া হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রের ক্ষেত্রে বিএনপি যে সংশোধনী দিয়েছে তা মেনে না নেওয়া হলে ঘোষণাপত্র পাঠের পর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি।
সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিএনপি নাকি সহযোগিতা করছে না। নিশ্চয়তা না পেলে সনদে সই করবেন না বলছেন। এসব বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বজায় রাখতে সবাইকে আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার কমিশনের ১৯টি মৌলিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৯টির মধ্যে ৭টিতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে বিএনপি। আর ১২টিতে একমত হয়েছে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানের দাওয়াত এখনও বিএনপি পায়নি বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।
রাজনীতি
জুলাই সনদ শুধুমাত্র কাগজে নয়, বাস্তবায়ন চাই: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জুলাই সনদ শুধুমাত্র কাগজে নয়, আইনি ভিত্তিতে রূপ দিয়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী রাষ্ট্রকাঠামোর জাতীয় রূপরেখার মতো জুলাই সনদও শুধু এক টুকরো কাগজ হিসেবেই পড়ে থাকবে।
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জুলাই শহীদদের স্মরণে’ বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক কালো অধ্যায়। এদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বাহিনী গণহত্যা চালিয়ে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করে। রাজধানীর অলিতে-গলিতে লাশের সারি, রক্তের গন্ধ, বুলেটের আওয়াজ, অস্ত্রের মহড়া। এতকিছুর পরও ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়েনি। জীবনের মায়া বিসর্জন দিয়ে দেশপ্রেম ধারণ করে দেশ থেকে আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে। ছাত্র-জনতার ৩৬ দিনের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। বিপ্লবী সরকার থেকে বিপ্লবের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আদায় করতেও দীর্ঘ এক বছর লেগে গেছে। কারণ সরকারের ভিতরে ফ্যাসিবাদের দোসর স্তরে স্তরে বসে আছে। সরকার চলতি বছরের ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকারের কাছে ছাত্র-জনতার দাবি, এই জুলাই ঘোষণাপত্রকে অবশ্যই আইনি ভিত্তিতে রূপ দিতে হবে এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় তিনি, জুলাই শহীদদের স্মরণে এমন মহৎ উদ্যোগের জন্য ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা কর্মসূচির একটি সমাজসেবা ও সমাজ সংস্কার। যেকোনো সামাজিক সংগঠন সমাজসেবা কর্মসূচির উদ্যোগ নিলে জামায়াতে ইসলামী সহযোগিতা ও সমর্থন জানাবে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেনি। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, খাদ্য, বস্ত্রসহ মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে সবার আগে, সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে; আগামীতেও দাঁড়াবে। এসময় তিনি বলেন, জনগণ যদি আগামীতে জামায়াতে ইসলামীর হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয় তবে জনগণের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে।
ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মারুফ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের মুসল্লী কমিটির সহ-সভাপতি, সমাজসেবক শাহীন আহমেদ খান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম সাংগঠনিক ওয়ার্ড সভাপতি এনামুল হক শামীম, সহ-সভাপতি হাফেজ বেলাল, মানবাধিকারকর্মী আব্দুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত ‘‘গণতন্ত্র উত্তরণে মহাজাগরণ” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর দিয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘ ১৭ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে এসেছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই আপোষহীন ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের সহযাত্রী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভেদ আর বিভাজনের সংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়েছে। কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি কোনো দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর নয় উল্লেখ করে তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী এবং গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুবা বিভেদ ও বিভাজনের সুযোগে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ আবারও পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে। ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে হলে অবশ্যই ঐক্যের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিয়াজুর রহমান রিয়াজের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি নিজাম উদ্দিন দরবেশের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
কাফি