জাতীয়
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মাদক থেকে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। আমাদের সমাজ এর থেকে মুক্তি লাভ করুক। আমরা চাই যে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ যত্নবান হবেন।’
শেখ হাসিনা রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আয়োজিত স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের সকলকে আমি বলব ২০০৯ সাল থেকে আমরা সরকারে আছি। আজকে বাংলাদেশের একটি ধাপ উত্তরণ ঘটেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটা যেন পিছিয়ে না যায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব এবং জনসেবা আপনারা করে যাবেন। আমরা যেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করে সমাজকে গড়ে তুলতে হবে। সেদিকে আপনাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ, এই মাদকের একটি বিরূপ প্রভাব রয়েছে। এ থেকেই আবার দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। এগুলো থেকে যেন আমাদের সমাজ রক্ষা পায় সেদিকে বিশেষ যতœবান হয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে আপনারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেটাই আমরা চাই।
সরকার প্রধান বলেন, আমি মনে করি আগামী দিনে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। একটা রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করবে স্থানীয় সরকার। কাজেই স্থানীয় সরকার হবে সবচেয়ে শক্তিশালী।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমরা ব্যবস্থা করে দেব কিন্তু স্থানীয় সরকার স্থানীয়ভাবেই দেশের উন্নয়ন করবে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব। জাতির পিতা যে স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন সেখান থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারো কাছে মাথা নিচু করে নয় মাথা উঁচু করে আমরা চলবো। আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবো।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি, প্রতিটি স্কুলের উন্নয়ন, জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। বিভাগগুলোতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করছি, বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয় করে শিক্ষার মান আমরা উন্নয়ন করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৭১ সালের লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এই স্বাধীনতার সুফল প্রতি মানুষের ঘরে পৌঁছাব এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেটা আমরা করতে পারব তখনই যদি সক্রিয় ভাবে আপনারা কাজ করেন এবং মানুষের সেবা করেন, তখনই এটা করা সম্ভব।
সরকার প্রধান বলেন, ‘৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমাদের ফ্রিল্যান্সার আছে অনলাইনে কেনাবেচা হচ্ছে বাণিজ্য চলছে, রাস্তাঘাটের উন্নতি করে দিয়েছি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে সবদিক থেকেই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে। আর যে কাজগুলো করে দিই সেটা রক্ষণাবেক্ষণ এবং যতœ আপনাদেরই করতে হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন আহমেদ লাবলু, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলুও স্থানীয় সরকার সংস্থার বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার চলে জনগণের পয়সায়। এই অর্থ জনগণের-সেটা মাথায় রাখতে হবে। সরকার কাজটা করে দেয়, কিন্তু জিনিসটা তো জনগণের। একথা মাথায় রেখেই যতœ করতে হবে। কাজেই, আপনারা সেভাবে এগিয়ে যাবেন। ইনশাল্লাহ, আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) যেমন আমরা অর্জন করবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এমন একটি দেশ আমরা গড়ে তুলবো যেখানে দক্ষ জনশক্তি থাকবে, দক্ষ সরকার হবে, দক্ষ্য অর্থনীতি এবং দক্ষ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাত মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে ‘ডেলটা প্ল্যান ২১০০’ গ্রহন এবং তা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। কেননা, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থকে দূরে সরিয়ে রেখে, সার্বিকভাবে উন্নয়নের জন্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদেরকে চিন্তা করতে হবে। সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে খোঁজ-খবর করার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের দিকেও আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে। ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ ও বাগান করা সব দিকে আপনাদের নজর দিতে হবে। তাছাড়া, আমাদের জলাভূমিরগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সেগুলো যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ এবং এই দেশে নদী নালা খাল বিলগুলো একটি দেহের শিরা উপশিরার মত। এই শিরা-উপশিরা সচল থাকবে পানির প্রবাহ ঠিক রাখার মধ্য দিয়ে।
জলাধার টিকিয়ে রাখার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক জায়গায় একটা পুকুর দেখলেই সেটা ভরাট করে সেখানে ভবন বানাতে হবে, মাথা থেকে তা ঝেড়ে ফেলতে হবে। কারণ, এই জলাধারগুলো আমাদের দরকার- বর্ষাকালে যে বৃষ্টির পানি আসে সেই পানি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে আমাদের ব্যবহার করতে হবে। যত বেশি বৃষ্টির পানি আমরা সংরক্ষণ করতে পারব ততো আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। আর জনস্বার্থে যথাযথ প্রয়োজনে প্রকল্প নিতে হবে। এক্ষেত্রে অহেতুক অর্থের অপচয় যেন না হয় সে ব্যাপারেও সবাইকে সচেতন থাকার তিনি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গ্রাম নিয়ে বেশি চিন্তা করেন। শহরগুলোতে আমাদের যেমন স্যুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। তেমনি তিনি চান প্রতিটি গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত এভাবে মাস্টার প্ল্যান করেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই স্বাস্থ্যকর ভাবে মানুষ বাঁচতে পারবে।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের কৃষি কাজে ব্যবহৃত যত সেচ ব্যবস্থা সেগুলো সবগুলোতেই সোলার ব্যবস্থাপনা করে দেওয়া। সোলার প্যানেল ব্যবহার করে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেই পানি তুলে রেখে আমরা যদি ব্যবহার করতে পারি তাহলে বিদ্যুতের উপর চাপ কমবে। তিনি এ সময় সকলকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তাঁর সরকারের করে দেওয়া পানি শোধনাগারগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে জনগণের জন্য সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার জন্যও তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তাদেরকেই কিন্তু জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোথাও নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময় আছে। বাংলাদেশের মতো এত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোথাও নেই। আশপাশে দেখবেন কীভাবে কী ঘটছে। আমাদের দেশে সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পূণ্য স্নানোৎসব পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার দিনগত রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫ এপ্রিল রাত ১২ টা ৪৫ পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার নদীর পানি ভালো ছিল। নদী যেন সবসময় ভালো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পূণ্যার্থীদের সংখ্যাও অনেক বেশি। আমাদের সব রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে সেবা দেওয়ার জন্য। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। বাংলাদেশি হিসেবেই আমরা সবাই এসেছি।
লাঙ্গলবন্দ পর্যটন কেন্দ্র করা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে কীভাবে পর্যটনকেন্দ্র করা যায় সে বিষয়টি দেখা হবে। পর্যটন কেন্দ্র থেকে বড় বিষয় হলো এটা পূণ্যভূমি। এটা ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে আছেন মিথ্যা সংবাদ দিলে প্রচার বেশি হয়, বেশি পয়সা পায় এজন্য তারা মিথ্যা সংবাদ দেন। বিদেশি মিডিয়া অনেক সময় মিথ্যা সংবাদ দেয়। আপনারা সত্য সংবাদ দিন। তাদের মুখে চুনকালি পড়বে। আমাদের যদি কোনো ভুল থাকে আপনারা বলেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু কোনো মিথ্যা সংবাদ দিবেন না। সত্যি সংবাদ দিবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভাগাড়ে কোনোভাবেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

ভাগাড়ে কোনোভাবেই ময়লা পোড়ানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর মাতুয়াইলে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (ময়লার ভাগাড়) এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, একইসঙ্গে ভাগাড়ে ব্যাটারি পোড়ানো বা ব্যাটারির সিসাও আলাদা করা যাবে না।
মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলের আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শিগগিরই এই ময়লার ভাগাড় মাতুয়াইল থেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দুটি স্টিলমিল বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে।
ঢাকার বায়ুর মান উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হবে বলেও এ সময় জানান উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (ময়লার ভাগার) দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ময়লা পোড়ানো বন্ধেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি তাদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রেরে শুল্কারোপ ইস্যুতে জরুরি সভা ডেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তারা যোগ দেবেন।
গত বুধবার (২ এপ্রিল) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে
পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর বহুল আলোচিত পাল্টা শুল্কারোপ করেন তিনি।
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের একটি বড় অংশ রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয় প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন (৮৪০ কোটি) ডলার, যা প্রধানত তৈরি পোশাক।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন (৭৩৪ কোটি) ডলারে। নতুন করে উচ্চ মাত্রার শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এক সপ্তাহে ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ মানুষ, ফিরেছেন ৪৪ লাখ

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এক সপ্তাহে ১ কোটি ৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বিপরীতে ৪৪ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী ঢাকায় প্রবেশ করেছেন।
আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটি গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ঢাকায় আগমন’ ও ‘ঢাকা ত্যাগ’ করা মোবাইল ফোন গ্রাহকদের তথ্যের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনে মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ সময় ঢাকায় প্রবেশ করেছেন ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ২৭৯ জন, অথচ ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ১৫৫ জন।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতিদিনই ঢাকায় আগত মানুষের চেয়ে বহুগুণে বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন ৩০ মার্চ। এ দিন ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬১ জন ঢাকা ত্যাগ করেন। ওইদিন ঢাকায় এসেছেন মাত্র ৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৮ জন।
অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকায় ফিরেছেন ৩ এপ্রিল। এ দিন ঢাকায় প্রবেশ করেছেন ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ জন। কিন্তু একই দিনে ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় ৮ লাখ।
নির্দিষ্ট অপারেটরভিত্তিক তথ্য বলছে, প্রতিদিনই গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের গ্রাহকদের বড় একটি অংশ রাজধানী ত্যাগ করেছেন। ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের ৬৩ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি গ্রাহক ঢাকা ছেড়েছেন।
প্রসঙ্গত, এই তথ্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সহায়তায় মোবাইল অপারেটরদের সাবস্ক্রাইবার লোকেশন ডেটা বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। তিনি শুক্রবার ব্যাংককের শাংগ্রি-লা হোটেলে সাক্ষাৎ করেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এক বার্তায় তা জানান। সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস তার পুরোনো বন্ধু থাকসিনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
২০০১ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন তার সহকর্মীদের সঙ্গে বাংলাদেশ এবং গ্রামীণ ব্যাংক পরিদর্শন করেন এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে থাইল্যান্ডের জন্য একটি ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির নকশা তৈরি করেন। সেই বছর জাতীয় পর্যায়ের কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসকে মি. থাকসিন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
তারা চিয়াং মাই এবং চট্টগ্রামের মধ্যে বিমান রুটের সম্ভাব্য পুনঃপ্রবর্তন নিয়েও আলোচনা করেছিলেন, যার ফলে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিমানের সময় এক ঘণ্টায় নেমে এসেছিল। মি. থাকসিন উদ্বোধনী ফ্লাইটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদ জিয়ার চট্টগ্রাম থেকে চিয়াং মাইতে একসঙ্গে উড়ানের কথা স্মরণ করেছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস এবং মি. থাকসিন পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা আসিয়ান সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের পরিকল্পনার জন্য থাকসিনের সমর্থন কামনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন থাই-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রচেষ্টার জন্য প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এবং সেই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তার মূল্যবান সহায়তা কামনা করেন।
বৈঠকে তারা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সমস্যা এবং থাইল্যান্ডে ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যাবসা সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা করেন। বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সচিব এবং এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।