জাতীয়
বস্ত্রখাতে অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছে ১১ সংগঠন-প্রতিষ্ঠান

জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পাচ্ছে ১১টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপনের বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
এসময় বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নূরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ – বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। বস্ত্রখাত দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বস্ত্রখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যুগোপযোগীকরণ ও বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণ এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপন করা হয়ে থাকে। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে বস্ত্রখাত থেকে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি জানান, সরকার বস্ত্রখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মোতাবেক মিশন, ভিশন প্রস্তুত ও কার্যাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, দিবসটি উপলক্ষ্যে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় ১১টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাত দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। সরকার বস্ত্রখাতের অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে এ খাতের উন্নয়নকে গতিশীল রাখার পাশাপাশি বস্ত্র অধিদপ্তর ও পোষক কর্তৃপক্ষের সব সেবা ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে দিচ্ছে। বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকশিত করার নিবন্ধিত বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পে উন্নতমানের ২০৬টি সবুজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক ভারত সফরে তিস্তা ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির আগে দুই দেশের অনেক বড় বড় সমস্যাগুলো দুই সরকারের সদিচ্ছার কারণে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে বিষয়গুলো সমাধানও হয়েছে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু দেশ। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সীমারেখা দেওয়া যাবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব রক্তের অক্ষরে লেখা। ভারতের সঙ্গে যে সমস্যা রয়েছে আমরা মনে করি, সমগ্র ভারত এখন নির্বাচন উন্মুখ এবং নির্বাচনমুখী। আমি যে কথা বলতে চেয়েছি, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। ভারতের এ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সবাইকে আমি অপেক্ষার জন্য বলেছি। তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে রয়েছে। এখন সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করছি আমরা।
সম্মাননার জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশে গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমএ), বাংলাদেশ এমব্রয়ডারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইএমইএ) এবং বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি।

জাতীয়
দেশব্যাপী দূষণবিরোধী অভিযানে সাড়ে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা আদায়

দেশব্যাপী বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট অভিযানে মোট ২ হাজার ৮৪৬টি মামলা দায়ের করে প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা আদায় এবং আড়াই লাখ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যানবাহনের অতিমাত্রায় কালো ধোঁয়া, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান, সীসা-ব্যাটারি রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, খোলা জায়গায় নির্মাণসামগ্রী সংরক্ষণ, টায়ার পাইরোলাইসিস ও চারকোল কারখানার বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালিত হয়। শুক্রবার (১১ জুলাই) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সরকারি এক বিবরণীতে এ তথ্য জানা যায়।
তথ্য বিবরণীতে আরও জানানো হয়, অভিযানকালে ৪৮৩টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ, ২১৬টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা প্রদান, ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা এবং ৯১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সেবা বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একইসঙ্গে দুইজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৬টি কারখানা থেকে সীসা গলানোর ৮ ট্রাক সরঞ্জাম জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১০ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত ৪৭৭টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৯০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৭ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭০৭ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের ১০ জুলাই ঢাকা মহানগরের মিরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলায় দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছয়টি মামলায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইদিনে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী কিশোরগঞ্জে একটি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ২৭ দশমিক ৪ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ও পাবনা জেলায় দুটি এনফোর্সমেন্ট অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও জোরালোভাবে অব্যাহত থাকবে।
জাতীয়
কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি ভবনে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে আগুন লেগেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন ইপিজেডের অ্যারো ফেভারিট অফিসের আশপাশের ভবনেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮টি ইউনিট কাজ করছে।
জাতীয়
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনায় অগ্রগতি

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান তিন দিনের শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার চলমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা হলেও কিছু বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আজ ওয়াশিংটন সময় সকাল ৯ টায় তৃতীয় দিনের আলোচনা শুরু হবে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আলোচনার দ্বিতীয় দিন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাম্বাসেডর জেমিসন গ্রিয়ারের একান্ত বৈঠক। ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সঙ্গে শুল্ক ছাড়াও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির পরিমাণও বৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। শুল্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যায্যতা প্রত্যাশা করে।পরিবেশ যেন বাংলাদেশের জন্যে প্রতিযোগিতামূলক থাকে। গ্রিয়ার সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সরাসরি আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয়
দক্ষ জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দক্ষ জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, জীবনমান এবং ক্ষমতায়নের ওপর নির্ভর করে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন। একটি উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে এই কর্মক্ষম তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ, সুশিক্ষিত ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। বাণীতে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ন্যায়সঙ্গত ও আশাব্যঞ্জক এক বিশ্বে তরুণদের নিজেদের কাঙ্ক্ষিত পরিবার গঠনের ক্ষমতায়ন করা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, শুধু স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা কিংবা পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ে পছন্দমতো সিদ্ধান্ত গ্রহণই যথেষ্ট নয়, টেকসই উন্নয়ন, উন্নত জীবনব্যবস্থা এবং সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য প্রজন্মান্তরে ন্যায্যতা ও ন্যায়-নীতিবোধ ধরে রাখা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ছেলেমেয়ের মাঝে কোনো বৈষম্য না করে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে সরকার পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং কৈশোরকালীন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে তরুণ প্রজন্মের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাণীতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, একটি সুস্থ-সবল জাতি গড়ার এই কর্মযজ্ঞে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে আমি এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আসুন সকলে মিলে বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিই।
তিনি বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
জাতীয়
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি।
জনসংখ্যা র গুরুত্ব প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিল।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ন্যায়সঙ্গত ও আশাব্যঞ্জক এক বিশ্বে তরুণদের নিজেদের কাঙ্ক্ষিত পরিবার গঠনের ক্ষমতায়ন করা’।
দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি আয়োজন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।