অর্থনীতি
বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য এফটিএ স্থাপন করতে হবে: বিপিজিএমইএ সভাপতি

বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের টাইমলাইন এখন চূড়ান্ত হয়েছে, ফলে শিগগিরিই একটি শক্তিশালী এলডিসি ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করতে হবে। একইসাথে বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্যের জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্থাপন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ।
তিনি বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর, অ্যান্টি-ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং এবং সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি হল দেশীয়পণ্য এবং তাদের বাজারগুলিকে রক্ষা করার মূল হাতিয়ার। সেই সময়ে বিদেশী পণ্যের আগ্রাসন থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হবে অ্যান্টিডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং এবং সেফগার্ড ডিউটি।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর পল্টন টাওয়ারস্থ বিপিজিএমইএ কনফারেন্স রুমে “এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অব বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড অপরচুয়েনিটিজ” শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সার্ক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আমিন হিলালী।
অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসাবে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের ডেপুটি চীফ মাহমুদুল হাসান, বিডার স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট এর পরিচালক ড. মোঃ হুমায়ুন কবির খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারী (পলিসি) সলিম উল্লাহ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট উইং এর যুগ্ম সচিব মিস নারগিস মুর্শিদা। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন, শাহেদুল ইসলাম হেলালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ, বিপিজিএমইএ’র সদস্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, গুরুত্বপূর্ণ সদস্যবৃন্দ এই সেমিনারে অংশগ্রহন করেন।
সেমিনারে মূল নোট পেপার উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, ২০১৮ এবং ২০২১ সালে স্নাতকের মানদন্ড পূরণ করেছে এবং ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্নাতক হবে। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হবে। স্নাতকের পর আমরা উন্নত এবং কিছু উন্নয়নশীল দেশে শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার হারাবো, বেশিরভাগ উন্নত দেশে জিএসপি সুবিধা হারাবো, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং অন্যান্য ধরনের সহায়তা হারাবো। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য, দেশীয় শিল্পের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য শুল্ক ছাড়পত্রের পদ্ধতি সহজ করার মাধ্যমে বাণিজ্য ব্যয় কমাতে, বিশেষ করে ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের জন্য রাজস্ব সংহতি বাড়ানো, সরকারি ও বেসরকারি উভয়ক্ষেত্রেই মানব সম্পদে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। এফডিআই, ট্যারিফ, শ্রম, পরিবেশ, বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নত ও বৈচিত্র্যময় করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। কম রিসোর্স ও বেশী মানুষ নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ সকল ক্রাইটারিয়া পূরণে করেছে এবং আগামী ২০২৬ সালের নভেম্বরে গ্রাজুয়েশন লাভ করবে। আর গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মেকাবেলার জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। তিনি বতর্মান সরকারকে ব্যবসায়ী বান্ধব বলে উল্লেখ করে বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ট্যারিফ পলিসি করেছে এবং এটি অত্যন্ত চমৎকার। এর আওতায় দেশীয় শিল্প প্রতিরক্ষণে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সঠিক ট্যারিফ পলিসির কারণেই ব্যবসা বাণিজ্য সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশীয় শিল্প প্রতিরক্ষণে সরকার ওয়াদাবদ্ধ। আর দেশীয় শিল্পের বিকাশ না হলে সবকিছু অর্থহীন হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, আমরা এনবিআরকে ট্যারিফ ঠিক রাখার জন্য যা যা কাগজ দরকার তা প্রদান করি। তিনি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় উৎপাদনশীলতা এবং কমপিটিটিভনেস বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হিলালী বলেন, প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে নিতে এনবিআরকে সৃজনশীল পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। এনবিআরের ট্যাক্স কালেকশন সিস্টেমের উন্নত করতে হবে। বর্তমানের অদূরদর্শী ট্যাক্স সিস্টেম এর কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিলীন হয়ে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে এসসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর ইইউ কমপ্ল্যায়েন্ট ছাড়া কোন পণ্য কিনবে না। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিযোগিতামূলক ও ব্যয়বহুল হয়েছে। তাই ব্যবসাকে এই বাস্তবতায় পরিচালিত করতে প্রস্তত করা আবশ্যক। কারখানার কমপ্লায়েন্সের ওপর জোর দিয়ে রপ্তানি বহির্ভূত কোম্পানিগুলোকেও এই তালিকায় আনতে হবে। তিনি কমপ্ল্যায়েন্স বিষয়ে সরকারের আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন। প্লাস্টিকের মতো সম্ভাবনাময় ১০/১২টি সেক্টরকে বেইজড করে কাজ করার উপর জোর দেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯.৩৫ শতাংশ

চলতি বছরের মার্চ মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। ফলে মার্চ মাসে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে খাদ্যখাতে। তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেখানে মার্চের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
আলোচ্য মাসে (মার্চে) সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ, ২০২৪ সালের মার্চে যদি বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কিনে সংসারের খরচ চালাতে ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে এ বছরের মার্চে একই পণ্য ও সেবা কিনে সংসার চালাতে খরচ লাগল ১০৯ টাকা ৩৫ পয়সা। প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৩৫ পয়সা।
বিবিএস জানায়, মার্চ মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে, এর আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মার্চে দেশে গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ মাসে র্চে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
মার্চে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৮১ ও ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ১৫ ও ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৮৬ ও ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
মার্চে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মার্চে শহরাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৯ দশমিক ১৮ ও ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৪৭ ও ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৮ ও ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি যেভাবে বাড়ছে সেভাবে বাড়ছে না মজুরি। ফলে আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। মার্চে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ মজুরি বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি। ফলে কমেছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। গ্রাম ও শহরের ১৪৫টি পেশার মজুরির ওপর এই হিসাব করেছে বিবিএস। দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। দেশে বর্তমানে ছয় কোটি কর্মজীবী মানুষের বসবাস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামার পূর্বাভাস

আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আইএমএফের সঙ্গে চলা বৈঠকে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ সময় প্রতিনিধি দলটি আগামী জুন নাগাদ বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না জানিয়ে আরিফ হোসেন বলেন, সরকারের সবগুলো অর্গান যখন একসঙ্গে কাজ করে তখনই এটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন মতে, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের মাস জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই আমাদের মূল লক্ষ্য: উপদেষ্টা

আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বশিরউদ্দীন বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার রেসপন্স পেয়েছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, না আমরা এখনও কোনো রেসপন্স পাইনি।
এ সময় শেখ বশিরউদ্দীনকে প্রশ্ন করা হয় সামগ্রিকভাবে শুল্ক আরোপের ফলে মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, এটা সামাল দিতে আমাদের মেকানিজম কী হবে? জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন রকমের বিশ্লেষণ করছি যে কী কী পণ্য দিয়ে আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারি। আসলে বিষয়টা অতি পরিবর্তনশীল একটা বিষয়।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল আমেরিকান প্রশাসন বলেছে যে, চায়নিজ… ট্যারিফ ঘোষণা করেছে, ওনারা আবার আরও ৫০ শতাংশ দিতে পারে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল অবস্থায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল।
১০০ পণ্য জিরো ট্যারিফ করা হবে, সেটা নিয়ে কোনো পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বশিরউদ্দীন বলেন, অবশ্যই। আমরা আশা করছি বলেইতো এই পরিশ্রম করছি। আমরা নির্ণয় করার চেষ্টা করছি, কী কী ভাবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৮০ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার

স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে দুটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এসব তেল ও ডাল কিনতে মোট ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে তিনটি দরপ্রস্তাব কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ অনুযায়ী রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এসব মসুর ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি ৯২.৭৫ টাকা হিসেবে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মসুর ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের জন্য মাত্র একটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দরপ্রস্তাবটি আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ অনুযায়ী রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান থাইল্যান্ডের লাইফ অ্যান্ড হেলথ (থাইল্যান্ড) এসব তেল সরবরাহ করবে। প্রতি লিটার ১৫৬.১৬ টাকা হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে ব্যয় হবে ১৮৭ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।
দরপত্রে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের চাহিদা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ভোজ্য তেল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ২৮ কোটি লিটার। এ পর্যন্ত কেনা হয়েছে ১৫ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার লিটার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শুল্ক আরোপের ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। এতে উভয়পক্ষ লাভবান হবে। উইন উইন সিচুয়েশন।
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দরপত্র উন্মুক্ত করে দেয়ায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে। আগের চেয়ে কম দামে চাল, ডালসহ অন্যান্য পণ্য কেনা যাচ্ছে।
এদিকে বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন করে আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ায় লাভবান হবে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া চিঠির প্রেক্ষিতে পজেটিভ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
বণিজ্য উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশাধিকার ও পারস্পরিক শুল্ক ভারসাম্য তৈরির লক্ষ্যে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারকে একটি চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক কমানোর বিষয়ে পজেটিভ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে বাণিজ্য ঘাড়তি কমিয়ে আনতে কাজ চলছে। বাণিজ্য বাড়াতে নানা বিষয় উল্লেখ করে পাঠানো চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, এই চিঠির বিষয়ে এখনও কোনও উত্তর মেলেনি।
কাফি