পুঁজিবাজার
১৩ বছরেও ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করতে পারেনি ২৬ কোম্পানির পরিচালক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মোট শেয়ারের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সমন্বিত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানছে না কোম্পানিগুলোর পরিচালকরা। সেই সঙ্গে স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়া অন্যদের প্রত্যেককে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ারধারণ করার বিধান রয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পরে ২০১১ সালে এই নিয়ম জারি করে। তবে দীর্ঘ ১৩ বছরেও তালিকাভুক্ত ২৬টি কোম্পানি এই নির্দেশনা পরিপালন করেনি। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৬টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার মধ্যে বস্ত্র খাতের ৬টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩টি, প্রকৌশল খাতের ৭টি, আইটি খাতের ২টি, খাদ্য খাতের ২টি, আর্থিক খাতের ১টি, পাট খাতের ১টি, জীবন বিমা খাতের ১টি, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ১টি, কর্পোরেট বন্ড ১টি এবং ব্যাংক খাতের ১টি কোম্পানি।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ফ্যামিলিটেক্স লিমিটেড, এক্টিভ ফাইন, আফতাব অটোমোবাইলস, আলহাজ টেক্সটাইল, অ্যাপোলো ইস্পাত, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বেক্সিমকো গ্রীণ সুকক, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, ডেল্টা স্পিনিং, ইস্টার্ণ কেবলস, এফএএস ফাইন্যান্স, ফু-ওয়াং ফুড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, আইএফআইসি ব্যাংক, ফাইন ফুড, ইনটেক লিমিটেড, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড, মিথুন নিটিং, নর্দান জুট, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ফার্মা এইড, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, যখন কোনো কোম্পানিতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ারধারণের পরিমাণ কমে যায়, তখন তাঁরা ওই কোম্পানির ব্যবসায় মনোযোগ দেন না। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ওই কোম্পানির শেয়ার কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার যদি উদ্যোক্তা এবং পরিচালকেরা কেনেন বা তাঁদের হাতে থাকে, তাহলে এটি বড় একটি ফান্ড রিলিজ করবে। এটি পুঁজিবাজারে চলমান তারল্য সংকট কমাতে সহায়তা করতে পারে।
এবিষয়ে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, যেসব কোম্পানি কমিশনের নির্দেশনা পরিপালন করেনি, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ন্যূনতম শেয়ারধারণের শর্ত না মেনে এখন পর্যন্ত যারা পরিচালক রয়েছে সেসব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেবে বিএসইসি। কমিশন থেকে সেসব কোম্পানিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, বর্তমান কমিশন দায়িত্বে এসে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ এবং প্রত্যেক পরিচালকের সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ারধারণের নিয়মের পক্ষে কঠোর অবস্থান নেয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে ৪৪টি তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি। ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ারধারণের শর্ত পূরণ না করে পদে থাকায় সেই বছরের সেপ্টেম্বরে নয়টি কোম্পানির ১৭ জন পরিচালককে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের শর্ত পূরণে ব্যর্থ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
গত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়ে পুনরায় কঠোর অবস্থান নেয়। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেনি তাদেরকে সেই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে (১৫ দিনের মধ্যে) এ বিষয়ে পরিকল্পনা জমা দিতে নির্দেশনা জারি করে।
ডিএসই সূত্র মতে, ২০২৩ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ২৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ মানেনি। তবে ডিসেম্বর ২০২০ থেকে মে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা পরিপালন করে।
উল্লেখ্য, বিএসইসি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের এই নির্দেশনা জারির আগে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বহু অভিযোগ পেয়েছিলো। এখন কমিশন মনে করে যে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে অবশ্যই সার্বজনীন নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা কোম্পানির বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারে এবং শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশ অনুসারে, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সব সময় কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে পতন, বাজার মূলধন কমলো ৪ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (৪ মে থেকে ৮ মে) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আর সপ্তাহের শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১২৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৩২ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ১৯ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮২ শতাংশ।
আলোচ্য সপ্তাহে সূচকের পতনের পরও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৩০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা ৩৭ দশমিক ০৪ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪১টি কোম্পানির, কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএটিবিসির ইপিএস কমেছে ২৩ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড (বিএটিবিসি) গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ২৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৮৯ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৬৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল মাইনা্স ১৭ টাকা ৬২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ টাকা ৪৯ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৯৭ টাকা ৭৭ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লিন্ডে বাংলাদেশের আয় কমেছে ১৭ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১৭ দশমিক ২১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ২৯ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৩৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ১ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২২ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৩৪ টাকা ৬৩ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ না হলে অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে: আনিসুজ্জামান

ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ না হলে আমাদের অর্থনীতির একটা অংশ পিছিয়ে যাবে অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
বুধবার (৭ মে) হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এদিন বর্তমান পুঁজিবাজারের সমস্যা, উত্তরণ এবং একে সমৃদ্ধ করার জন্য ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে করনীয় বিষয়ে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, পরিচালক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম, পরিচালক শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এম সাইফুর রহমান মজুমদার,। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি ও সিএসইর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভাতে প্রায় ১১টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- টিকে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসআরএম গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ফারুক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, দৈনিক আজাদি লিমিটেড, নাহার এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেড, খাতুনগঞ্জ চেম্বার, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম, বিএসএ এপারেলস লিমিটেড, দি লাকি এপারেলস ইন্টারন্যাশনাল (প্রাঃ) লিমিটেড, এপিক প্রোপারটিজ লিমিটেড।
সভায় বেশকিছু প্রস্তাব ও মতামত দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- ব্যবসার জন্য সামগ্রিক ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ব্যবসা করার জন্য বিদ্যমান পলিসিগুলোর পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং প্রয়োজনে নতুন করে তৈরি করতে হবে। ব্যবসার জন্য পরিবেশ অর্থাৎ পলিসি, প্রক্রিয়া এবং প্রয়োগিক সব ক্ষেত্রে ব্যবসা বান্ধব হওয়া জরুরী । ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, তখন স্বাভাবিকভাবে আমাদের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। দেশে ফরেন ডিরেক্ট ইনেভেস্টমেন্ট কিংবা পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ আসার জন্য সর্বস্তরের (সব সংশ্লিষ্ট স্টেকদের) পদ্ধতিগুলো সহজ করতে হবে। ভালো ভালো সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে হবে।
বিদেশী কোম্পানিগুলোকে লিস্টেড করার জন্য পলিসি থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে পদ্ধতিকে সহজ করতে হবে ও সল্প সময়ে করার ব্যবস্থা করতে হবে। ষ্টক এক্সচেঞ্জ, রেগুলেটরি সংস্থা, সব স্টেকসমূহকে যে কোনো কাজের জন্য সম্মিলিতভাবে একই প্লাটফর্মে থেকে কাজ করতে হবে যেন ফান্ডামেন্টাল/মৌলিক ব্যাপারগুলোর একটি ধারাবাহিক সিস্টেমে থাকে, তবে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে কম্পালায়েন্স এমনভাবে কার্যকর করা দরকার যেন প্রসেসকে ঠিক রেখে প্রতিটি কাজ দ্রুত সময়ে সম্পন্ন হয়।
পুঁজিবাজার ভাইব্রেন্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ করার সুযোগ বাড়াতে হবে, প্রোডাক্ট দিয়ে সমৃদ্ধ করতে হবে, অর্থনীতির গতিশীলতার বিবেচনায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সিএসই ইতিমধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য ফিজিবল স্টাডি করেছে যেখানে ব্যবসায়িক কমিউনিটি অংশগ্রহণ করেছে কিন্তু এখনও এক্সচেঞ্জ চালু হয়নি। কেন হয়নি এবং কবে হতে পারে সে ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ।কেননা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অর্থনীতির অগ্রসরতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বক্তব্য বিস্তারিত শুনেন। একই সথে তিনি বলেন, আপনারা যে ধরনের পরিবর্তন আশা করছেন আমাদের কাজ করার উদ্দেশ্যও তাই। কারন সংস্কার চলমান এবং আজকের এই আলোচনাও এর অংশ।একটি দেশ ও তার সামগ্রিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তার ব্যবসায়িক কমিউনিটির বিশাল ভুমিকা রয়েছে । আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে, সেটা অর্জনের জন্য সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়াটাই জরুরী। আর সেজন্য আপানদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ না হলে আমাদের অর্থনীতির একটা অংশ পিছিয়ে যাবে অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নতি হবে না। এখন পর্যন্ত কি হয়নি সেটা না ভেবে কতদূর এগিয়েছি, আরও কতখানি গেলে আমরা সবাইকে নিয়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌছাব সেটা ভাবতে হবে, সে প্রক্রিয়াটা ঠিক করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ ২০ বছরে আমূল পরিবর্তন করেছে, আমরা ৫০ বছর পার করেছি কিন্তু অগ্রগতি ততখানি হয়নি, আমাদেরকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে, আমরাও পারব এই মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে উল্লেখ্য ডেরিভেটিভস মার্কেট, কমোডিটি মার্কেট, বুরুকেটিকস পদ্ধতি, ট্যাক্স পদ্ধতি, পলিসি তৈরি করা ইত্যাদি সব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আলাদা করে দেখলে সব প্রবলেমগুলো একরকম কিন্তু যখন একসাথে দেখা হয় তখন অনেককগুলো বিষয়ে বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হবে। তবে উলেখ্য যে, ইতিমধ্যে কমোডিটি মার্কেট নিয়ে যে কাজ সিএসই সম্পন্ন করেছে সেটা প্রশংসার দাবিদার, বিশেষ করে রিয়েল টাইম রিস্ক মেনেজমেন্ট নিয়ে যে কাজ হয়েছে সেটাও রিমারকেবল এবং আমি অবগত যে, বিএসইসিও সন্তুষ্ট। আমরা আপনাদের মতামতগুলো জানলাম এবং মূলত বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্যই এই আয়োজন। আশা করি, আপনাদের মতামত এবং চমৎকার প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে দ্রুত একটা সঠিক পথ বের করতে পারবো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ১১ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বৃহস্পতি (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ২৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২১ টাকা ৩৮ পয়সা।
কাফি