ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বর্ণিল আয়োজনে ফলিত রসায়নের পঞ্চম পুনর্মিলনী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পঞ্চম পুনর্মিলনী ও রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে সমবেত হয়। এতে ফলিত রসায়ন বিভাগের প্রথম ব্যাচ থেকে সর্বশেষ ব্যাচের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এরপর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ১ মিনিট নিরবতা পালন, সম্মিলিত সুরে জাতীয় সংগীত, অতিথিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মো. আল-রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ রশিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তন্দ্রা, তামিম ও অ্যানি।
অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মুহাম্মদ আল-রেজা বলেন, আমরা এর আগে ক্যাম্পাসের বাহিরে তিনবার পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছি এবং ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় বারের মতো এই আয়োজন হচ্ছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা একইসাথে মিলিত হয়েছে, আড্ডা দিচ্ছে এবং গতকাল থেকেই নিজেদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নেচে-গেয়ে আনন্দ করার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে স্মৃতিময় দিন পার করছে। এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন সবাই একেকজন সফল ব্যক্তি। তাদের থেকে আমাদের নতুনরা অনুপ্রাণিত হতে পারবে।
এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, পুনর্মিলনী মানে একটি বিদায় উৎসব এর মতো আয়োজন নয় বরং এটি ঈদ উদযাপনের মতো একটি মিলনমেলা যেখানে এসে কে কেমন আছেন, কে কোথায় আছেন, কে কী করছেন এইসব কিছু নিয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অ্যালামনাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। বিভাগ হচ্ছে একটি পরিবার এই পরিবারের অনেকে বিভিন্ন জায়গায় গবেষণা করছে, আন্তর্জাতিক কিংবা জাতীয় পর্যায়ের কোম্পানিতে ভালো ভালো অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছে তারা এই পরিবারের বড় ভাইবোন আর যারা এখনো ক্যাম্পাস অবস্থান করছে তারা আপনাদের ছোট ভাইবোন। এই আয়োজনের মাধ্যমে পরিবারের সকলে একত্রিত হতে পারবে এবং সিনিয়ররা তাদের জুনিয়রদের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।
আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আজকের যুগটাই বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের অন্যতম মুল শাস্ত্র রসায়নের সাথে কেমিকৌশল জুড়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিভাগটিকে আরো আধুনিক, কার্যকারী ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। আজকের কারিকুলাম অনুযায়ী অ্যালমনাইদের বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ করে দিতে হবে। আজকের অ্যালামনাইয়ের মাধ্যমে এই বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনারা সমৃদ্ধ করবেন বলে আমরা আশা করি। যারা এই বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা নতুনদের সময় দিবেন পাশে থাকবেন এটাই আমি প্রত্যাশা করি।
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পরীক্ষায় অসদুপায়ে ঢাবি ও অধিভুক্ত কলেজের ৯৯ জনকে শাস্তি
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৯৯ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ৪৮ জন, উপাদানকল্প কলেজের দুইজন ও অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৪৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ১৮ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা কলেজের ৩ জন, ইডেন মহিলা কলেজের ৩ জন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ১ জন, সরকারি বাঙলা কলেজের ৪ জন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ২ জন ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের ২ জন এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ফের ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এখনো থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপরই একপক্ষ আরেকপক্ষকে ধাওয়া করছেন, ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ধানমন্ডি জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার তারিক মোস্তফা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারামারি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ
জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে আহত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সব সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ২৯ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে (সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের বেতন বা টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় এই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করার জন্য নির্দেশ জানানো হলো।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে এই শিক্ষার্থীরা যে শ্রেণিতে আছেন, সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়জীবন পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন।
এতে বলা হয়, আহত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে আবেদন করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে আবেদনগুলো যাচাই করে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
লাঞ্ছনার শিকার ইবি শিক্ষার্থী, স্থায়ী সমাধানে বাস আটক
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া শহরে যাওয়ার পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী বাস ভাড়া নিয়ে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। পরে সহপাঠীরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করলে বাসটি (গড়াই) আটকে হেফাজতে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গতকাল (সোমবার) ১২ টার দিকে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুরেখা ইয়াসমিন নূপুর ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন। বাসের হেলপার আলম মোল্লা ৪০ টাকা ভাড়া রাখলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার কথা বলেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বাসটির হেলপার। ভুক্তভোগীর দিকে টাকা ছুড়ে মারে বাসের হেলপার আলম। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের জানালে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বাসটি আটক করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি তাদের হেফাজতে রাখেন।
এ সময় সপ্তাহে সাত দিনই হাফ ভাড়ার সুযোগ প্রদান, বাসের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ, কটু ব্যবহার না করা, কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ বাস কাউন্টারেও হাফ ভাড়া প্রদান ও অসদাচরণে নির্দিষ্ট শাস্তির আওতার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নূপুর বলেন, আমি কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে ১০০ টাকা দিয়েছিলাম, পরে হেলপার ৬০ টাকা ফেরত দিতে চাইলে হাফ ভাড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিই এবং শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিই। কিন্তু তিনি কোনো মতে মানছিল না। এক পর্যায়ে ৭০ টাকা আমার শরীরের দিকে ছুড়ে মেরে বিদায় করে দিছে। বিভিন্নভাবে খারাপ ব্যবহারও করছে।
অভিযুক্ত বাস হেলপার আলম জানান, আমি হাফ ভাড়া সম্পর্কে অবগত না। অনেক দিন পর এখানে আসলাম। আমার ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থী হেনস্তায় মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করছিল, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটা বিশ্ববিদ্যালয় হেফাজতে রাখ হয়েছে। বাস মালিক ও ঝিনাইদহ বাস মালিক সমিতির একজন প্রতিনিধি আসবে। তখন বসে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাবি শিক্ষার্থী নিহত
বেপরোয়া অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক নারী শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় এক্সিডেন্ট করলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে জাবি মেডিকেলে নিয়ে গেলে মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি রাস্তা পার হচ্ছিল। এ অবস্থায় একটি দ্রুতগামী রিকশা তাকে ধাক্কা মারে এবং সে গাছের উপর আছড়ে পড়ে।
শিক্ষার্থীর নাম আফসানা করিম রাচি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার পিতার নাম মো. রেজাউল করিম। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলায়। তবে তার পরিবার রাজধানীর গ্রীণ রোডে থাকে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাব্বির বলেন, আমরা যখন পেয়েছি তখন চোখের মনি ফিক্সড ছিল। তার হার্টবিট পাইনি, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ইসিজি করি। তার বুকের উপর ভারী আঘাতের কালচে চিহ্ন ছিল।
এমআই