ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বর্ণিল আয়োজনে ফলিত রসায়নের পঞ্চম পুনর্মিলনী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পঞ্চম পুনর্মিলনী ও রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে সমবেত হয়। এতে ফলিত রসায়ন বিভাগের প্রথম ব্যাচ থেকে সর্বশেষ ব্যাচের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এরপর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ১ মিনিট নিরবতা পালন, সম্মিলিত সুরে জাতীয় সংগীত, অতিথিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মো. আল-রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ রশিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তন্দ্রা, তামিম ও অ্যানি।
অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মুহাম্মদ আল-রেজা বলেন, আমরা এর আগে ক্যাম্পাসের বাহিরে তিনবার পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছি এবং ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় বারের মতো এই আয়োজন হচ্ছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা একইসাথে মিলিত হয়েছে, আড্ডা দিচ্ছে এবং গতকাল থেকেই নিজেদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নেচে-গেয়ে আনন্দ করার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে স্মৃতিময় দিন পার করছে। এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন সবাই একেকজন সফল ব্যক্তি। তাদের থেকে আমাদের নতুনরা অনুপ্রাণিত হতে পারবে।
এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, পুনর্মিলনী মানে একটি বিদায় উৎসব এর মতো আয়োজন নয় বরং এটি ঈদ উদযাপনের মতো একটি মিলনমেলা যেখানে এসে কে কেমন আছেন, কে কোথায় আছেন, কে কী করছেন এইসব কিছু নিয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অ্যালামনাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। বিভাগ হচ্ছে একটি পরিবার এই পরিবারের অনেকে বিভিন্ন জায়গায় গবেষণা করছে, আন্তর্জাতিক কিংবা জাতীয় পর্যায়ের কোম্পানিতে ভালো ভালো অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছে তারা এই পরিবারের বড় ভাইবোন আর যারা এখনো ক্যাম্পাস অবস্থান করছে তারা আপনাদের ছোট ভাইবোন। এই আয়োজনের মাধ্যমে পরিবারের সকলে একত্রিত হতে পারবে এবং সিনিয়ররা তাদের জুনিয়রদের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।
আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আজকের যুগটাই বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের অন্যতম মুল শাস্ত্র রসায়নের সাথে কেমিকৌশল জুড়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিভাগটিকে আরো আধুনিক, কার্যকারী ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। আজকের কারিকুলাম অনুযায়ী অ্যালমনাইদের বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ করে দিতে হবে। আজকের অ্যালামনাইয়ের মাধ্যমে এই বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনারা সমৃদ্ধ করবেন বলে আমরা আশা করি। যারা এই বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা নতুনদের সময় দিবেন পাশে থাকবেন এটাই আমি প্রত্যাশা করি।
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সন্ধ্যা সাতটায় জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে নাটকীয়তার ইতি টানলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় জাকসু ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এর আগে প্রক্টর ও জাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম জানান দুপুর আড়াইটার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিহ হয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতাও কম। তবে সবাই সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আশা করছি আর দেরি হবে না। আড়াইটার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার লুৎফুল এলাহীও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুপুরে ফলাফল হতে পারে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যেই আমরা যেন ফল ঘোষণা করতে পারি, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ওইদিন রাত সোয়া ১০টা থেকে ভোট গণনা শুরু হলেও তা এখনো চলমান। জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবার প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচনে তৃতীয়দিনের মতো চলছে ভোট গণনা

তৃতীয়দিনের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগণনা চলছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ১২ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখনো বাকি ৯ কেন্দ্রের ভোট গণনা।
এর আগে হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোগণনা শুরু হয়। গণনা কখন শেষ হবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।
যদিও শুক্রবার রাতের মধ্যে জাকসু ও ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম জানিয়েছিলেন, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সম্পূর্ণ গণনা শেষ করে বেসরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওইদিন ভোট গণনা শুরু হয় রাত সোয়া ১০টায়। সেই গণনা এখনো চলছে।
জাকসুতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭। এর মধ্যে ছাত্র ছয় হাজার ১১৫ এবং ছাত্রী পাঁচ হাজার ৭২৮ জন। এর প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচন: ১২ হলের ভোট গণনা শেষ, বাকি আরও ৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১২টি আবাসিক হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বাকি ৯টি হলে গণনা চলমান। সব হলে ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর শুরু হবে কেন্দ্রীয় সংসদের ব্যালট গণনা।
নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য জানান, দুটি টেবিলে একসঙ্গে ভোট গণনার কাজ চলছে। ভোরের দিকে কয়েকটি হলে প্রার্থীদের এজেন্ট অনুপস্থিত থাকায় সাময়িকভাবে গণনা বন্ধ ছিল। তবে যেখানে এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন, সেসব হলে ভোট গণনা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট ভবনে আনা হয় এবং রাত ১০টার কিছু পর শুরু হয় গণনা কার্যক্রম। সিনেট ভবনে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা চলছে, যেখানে মূলত হল সংসদের প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা আছেন।
নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী রাত পৌনে ৩টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন শুধু হল সংসদের ভোট গণনা চলছে। মনে হচ্ছে জুমার নামাজের আগে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শুরু করা সম্ভব হবে না। সব মিলিয়ে ফলাফল ঘোষণা করতে করতে দুপুরের পর হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সারাদিন হলে ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন আবার সিনেট ভবনে গণনার দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা ক্লান্ত, এ কারণেই গণনা কিছুটা ধীরগতিতে চলছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইংরেজি ভাষা শিক্ষাদান পদ্ধতির মানোন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগ

দেশজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষার ভবিষ্যৎ উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল। সম্প্রতি, এ নিয়ে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়, যার লক্ষ্য সরকারের আসন্ন ‘প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (পিইডিপি-৫) পরিকল্পনায় সহায়তা করার মাধ্যমে এটিকে সফল করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।
এ অংশীদারিত্বের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে প্রাথমিক স্কুলের ইংরেজি শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য কেমন উদ্যোগ প্রয়োজন তা খুঁজে বের করা। এ উদ্যোগের অন্যতম আরেকটি দিক হল নিডস এনালাইসিস এর মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা, কারণ পেশাগত উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রায়শই তাদের ভূমিকা উপেক্ষা করা হয়। এ নিডস এনালাইসিস প্রক্রিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে এবং পিইডিপি-৫ এ কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অংশীদারিত্ব সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। ব্রিটিশ কাউন্সিলের এ সহযোগিতা আমাদের পিইডিপি-৫ এর কৌশলগত পরিকল্পনার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমরা ব্রিটিশ কাউন্সিলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই; একইসাথে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অংশীদারিত্বের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
বাংলাদেশ সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০ বছরেরও বেশি সময়ের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে, আর তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই অংশীদারিত্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রাম পরিচালক ডেভিড নক্স। এ প্রকল্পের মূল বিষয়বস্তুর ওপরও আলোকপাত করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শহর ও গ্রাম, দুই জায়গা থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা; কারণ, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি বড় অংশ গ্রামে কর্মরত।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু, প্রাথমিক স্তরের অধিকাংশ শিক্ষক নারী, তাই পেশাগত উন্নয়নে লিঙ্গভিত্তিক সমতা নিশ্চিত করাকেও আমরা পূর্ণ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। পাশাপাশি, আমরা যখন মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজন বুঝে কাজ করব, তখনই কেবল সত্যিকার অর্থে পুরো শিক্ষক সহায়তা ব্যবস্থাটিকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে।
পরবর্তীতে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শমরেশ সাহা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী এই উদ্যোগ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তার একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
চতুর্থ প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (পিইডিপি-৪) অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় এ. কে. মোহম্মদ সামছুল আহসান, রাজা মোহাম্মদ আবদুল হাই, মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মো. ইমামুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ রসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ইমরান সাইফুর এবং সাহেলী নাজ।
উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি লেখক ফোরামের ৬ জনকে বর্ষসেরা সম্মাননা প্রদান

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৬ জন লেখককে ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের ‘বর্ষসেরা সম্মাননা’ প্রদান করেছে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইবি শাখা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্তে লেখকদের এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সংগঠনটি প্রতিবছর সদস্যদের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে বর্ষসেরা লেখক, বর্ষসেরা সংগঠক, উদ্যমী সংগঠক-সহ বিভিন্ন বিভাগে সেরাদের মূল্যায়ন করে থাকে। এই ধারাবাহিকতায় ২০২৪- ২৫ কার্যবর্ষের বিভিন্ন বিভাগে সেরা খেতাব অর্জনকারীদের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। বর্ষসেরা সংগঠক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন- মো. রবিউস সানি জোহা, বর্ষসেরা লেখক- রুনা লায়লা, উদ্যমী সংগঠক- এস. এম. রেদোয়ানুল হাসান রায়হান, উদ্যমী লেখক মোজাহিদ হোসেন এবং বর্ষসেরা টিম লিডার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন – তামান্না ইসলাম ও মো. আব্দুল্লাহ আল মুনায়েম।
শাখা সভাপতি মো. রুহুল আমিন বলেন, লেখক ফোরাম লেখালেখির পাশাপাশি একজন তরুণকে সুনাগরিক ও সাংগঠনিক করে গড়ে তোলে। তারই ধারাবাহিকতায় লেখকদের দক্ষ করে তুলতে ও তাদের লেখনীর ধারা অব্যাহত রাখতেই তাদের এই বর্ষসেরাসংগঠক ও বর্ষসেরা লেখক সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তরুণ লেখক সৃষ্টি, পাঠচক্র আয়োজন, লেখালেখি বিষয়ক কর্মশালা ও তরুণদের লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। সংগঠনটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা পরবর্তী সময় থেকে পরপর “৫ম বার বর্ষসেরা শাখা” নির্বাচিত হয়েছে এবং তরুণ লেখকদের লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করে চলছে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম