ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বর্ণিল আয়োজনে ফলিত রসায়নের পঞ্চম পুনর্মিলনী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পঞ্চম পুনর্মিলনী ও রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে সমবেত হয়। এতে ফলিত রসায়ন বিভাগের প্রথম ব্যাচ থেকে সর্বশেষ ব্যাচের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এরপর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ১ মিনিট নিরবতা পালন, সম্মিলিত সুরে জাতীয় সংগীত, অতিথিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মো. আল-রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ রশিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তন্দ্রা, তামিম ও অ্যানি।
অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মুহাম্মদ আল-রেজা বলেন, আমরা এর আগে ক্যাম্পাসের বাহিরে তিনবার পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছি এবং ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় বারের মতো এই আয়োজন হচ্ছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা একইসাথে মিলিত হয়েছে, আড্ডা দিচ্ছে এবং গতকাল থেকেই নিজেদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নেচে-গেয়ে আনন্দ করার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে স্মৃতিময় দিন পার করছে। এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন সবাই একেকজন সফল ব্যক্তি। তাদের থেকে আমাদের নতুনরা অনুপ্রাণিত হতে পারবে।
এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, পুনর্মিলনী মানে একটি বিদায় উৎসব এর মতো আয়োজন নয় বরং এটি ঈদ উদযাপনের মতো একটি মিলনমেলা যেখানে এসে কে কেমন আছেন, কে কোথায় আছেন, কে কী করছেন এইসব কিছু নিয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অ্যালামনাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। বিভাগ হচ্ছে একটি পরিবার এই পরিবারের অনেকে বিভিন্ন জায়গায় গবেষণা করছে, আন্তর্জাতিক কিংবা জাতীয় পর্যায়ের কোম্পানিতে ভালো ভালো অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছে তারা এই পরিবারের বড় ভাইবোন আর যারা এখনো ক্যাম্পাস অবস্থান করছে তারা আপনাদের ছোট ভাইবোন। এই আয়োজনের মাধ্যমে পরিবারের সকলে একত্রিত হতে পারবে এবং সিনিয়ররা তাদের জুনিয়রদের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।
আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আজকের যুগটাই বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের অন্যতম মুল শাস্ত্র রসায়নের সাথে কেমিকৌশল জুড়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিভাগটিকে আরো আধুনিক, কার্যকারী ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। আজকের কারিকুলাম অনুযায়ী অ্যালমনাইদের বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ করে দিতে হবে। আজকের অ্যালামনাইয়ের মাধ্যমে এই বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনারা সমৃদ্ধ করবেন বলে আমরা আশা করি। যারা এই বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা নতুনদের সময় দিবেন পাশে থাকবেন এটাই আমি প্রত্যাশা করি।
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অধিকার আদায়ে আমরা সবাই এক: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা সবাই শিক্ষিত মানুষ, একেকজন একেক মতভেদের মানুষ কিন্তু অধিকার আদায়ে আমরা সবাই একই। আমাদের বাংলাদেশ হবে বাক স্বাধীনতার দেশ, প্রতিবাদ চেতনার দেশ। যারা বাক স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হবে মুক্ত চিন্তার জায়গা। সবাই অধিকার নিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলবেন, প্রতিবাদী চেতনা লালন করবেন।”
বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার আয়োজিত পদযাত্রা ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নাম শুনলেই আমাদের সীমাবদ্ধতা কাজ করে, ভাইভা বোর্ডে মনে করে এরা বড় মাদ্রাসা থেকে এসেছে। এসব সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ করা হবে। একটি সিটের বিনিময়ে মেরুদণ্ড বিক্রি করে দিবেন না। আমরা আর ঐ বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না, যে বাংলাদেশে একটি স্টাটাস দিলে ডেকে নিয়ে ডিলিট করায় উপরন্তু হল থেকে বের করে দেয়। অনেক সময় দেখা যায় ভারী কণ্ঠে কথা বলি, হুমকি-ধামকি দিয়ে কথা বলি কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে যেন আমি আপনাদের ক্লাস নিতে এসেছি কারণ তোমরা বেশিরভাগই আমার কাছে পড়েছো।
উল্লেখ্য, সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডাক্তার তাসনিম জারা, মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী-সহ কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহসমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবীর সৌরভ ও তানভীর মাহমুদ মন্ডলসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৩৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির ফল ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবছর মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। এবার পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৯০৩২ জন।
এ বছর মোট পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩০ হাজার ৮৮টি। মোট ৩ হাজার ৭১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ২০২৪ সালে মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল ২৯ হাজার ৮৬১টি। মোট তিন হাজার ৭৯৯টি কেন্দ্রে ফরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এদিকে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ১৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনও পরীক্ষার্থী পাস করেনি। গত বছর যা ছিল ৫১টি। এ বছর পাস না করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসিতে ফেল করেছে ৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থী

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এর মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির এ তথ্য জানান।
এর আগে দুপুর ২টায় দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১,৩৯,০৩২ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।
যেভাবে ফল জানা যাবে, শিক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল জানতে পারবে। সেজন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ইআইআইএন নম্বর ব্যবহার করে ‘রেজাল্ট কর্নার’ থেকে ফল ডাউনলোড করতে হবে। একই সঙ্গে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে টেলিটক সিম ব্যবহার করে ১৬২২২ শর্টকোডে নির্ধারিত ফরম্যাটে বার্তা পাঠিয়ে ফল জানা যাবে।
খাতা চ্যালেঞ্জ করা যাবে ১১ জুলাই থেকে টেলিটকে, ফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবে। খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদনের পদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও টেলিটকের মাধ্যমে জানা যাবে। পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করার নিয়ম: রেজিস্ট্রেশন নম্বর <স্পেস> বোর্ডের নাম (ইংরেজি প্রথম তিন অক্ষর) <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। একাধিক সাবজেক্ট কোডের ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে, যেমন- ১০১, ১০২, ১০৩।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। সারা দেশের ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এছাড়াও, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
এবারও ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। তবে সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
গত ১০ এপ্রিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, জানা যাবে যেভাবে

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশ করা হবে। এদিন দুপুর ২টায় স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ড ফল প্রকাশ করবে। শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ও নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল জানতে পারবেন। মোবাইল ফোন থেকেও নির্ধারিত নম্বরে এসএমএস করেও ফলাফল জানা যাবে।
ফল জানা যাবে তিনভাবে
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তিনভাবে শিক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন। প্রথমত, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এবং নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে নিজেদের রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ব্যক্তিগত ফল জানতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, তারা নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফলাফল জানতে পারবেন। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে নির্ভুলভাবে ফল জেনে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয়ত, ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস করে ফল জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি অক্ষরে লিখতে হবে এসএসসি> বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর> রোল নম্বর> পরীক্ষার সাল। এরপর তা পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণস্বরূপ-ঢাকা বোর্ডের একজন পরীক্ষার্থীকে লিখতে হবে SSC> DHA> Roll Number>2025। এটি পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোর্চা বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। তিনি ঢাকা বোর্ডেরও চেয়ারম্যান। ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘ফলাফল পুরোপুরি প্রস্তুত। টেকনিক্যাল বিষয়গুলোও সব যাচাই শেষ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় একযোগে ফল ঘোষণা করা হবে।’
ফল প্রকাশের পর তা নিয়ে গত বছরও শিক্ষার্থীরা নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফলাফল তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যারে করা হয়। ফলে খাতা দেখে পরীক্ষকরা যে নম্বর দিয়েছেন, তা বসিয়ে হিসাব কষতে কোনো ত্রুটি হওয়ার কথা নয়। তারপরও কারও ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলে সে পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন করতে পারবে।’
ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু শুক্রবার
এসএসসির ফল প্রকাশের পরদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে নির্ধারিত নিয়ম মেনে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত।
শুধু টেলিটক সিম ব্যবহার করে তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি লাগবে ১৫০ টাকা। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে- RSC <স্পেস> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড এবং পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। একাধিক বিষয়ের কোড লিখতে হলে কমা (,) দিয়ে আলাদা করতে হবে। যেমন—১০১,১০২।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন এবং ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন।
যদিও পরীক্ষার প্রথম দিনেই সারাদেশের ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলেন ২৬ হাজার ৯২৮ জন পরীক্ষার্থী। পরে এ অনুপস্থিতির সংখ্যা আরও বেড়েছিল। সবমিলিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন প্রায় ১৯ লাখ শিক্ষার্থী।