পুঁজিবাজার
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন কমেছে ৫৫ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (১৮ ফেব্রুয়ারি-২২ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন ও বাজার মূলধন কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেন কমেছে ৫৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৩৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৪৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এক সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪ হাজার ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ৫৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
গত সপ্তাহের শুরুতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৬ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৩৮ টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৪ কোটি ৭৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮০১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৪৫২ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৭ টাকা বা ০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৬২ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে। সপ্তাহের শুরুতে সূচকটি ছিল ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ‘ডিএসই এস’ সূচক ২১ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমেছে। আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক কমেছে ১৭ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে ৪০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২১টির। আর ২৪৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এসময়ে ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এসএম

পুঁজিবাজার
দেড় ঘণ্টায় ১৭৪ শেয়ারের দরপতন, লেনদেনে ধীরগতি

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখি প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ৯ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ৩ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১০৪১ ও ১৭৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১২৭ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এসময় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ১৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০০ কোম্পানির শেয়ারদর।
এসএম
পুঁজিবাজার
সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৪ জুন বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সভায় ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছা্ড়াও, একই সভায় ৩১ মার্চ,২০২৫ পর্যন্ত কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৪০ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮৩৭টি শেয়ার ৯৬ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৪০ কোটি ৫১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৬ জুন) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লাভোলোর ১৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেমসের ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
শ্যামপুর সুগার মিলসের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দর কমেছে।। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে শ্যামপুর সুগার মিলসের।
সোমবার (১৬ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ২ টাকা ২০ পয়সা বা ৩.৩৫ শতাংশ কমেছে। যার ফলে ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্সুরেন্স এর দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা বা ৩.২৯ শতাংশ। আর ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৩.০০ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে সি পার্ল বীচ রিসোর্ট ।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ন্যাশনাল ব্যাংক ২.৭০ শতাংশ,আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ২.৬৩ শতাংশ, জাহিন টেক্স ২.৩৩ শতাংশ, ইউনিলিভার কনজিউমার ২.২০ শতাংশ,ফারইস্ট ফাইন্যান্স ২.১৭ শতাংশ,আইসিবি থার্ড এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড ২.১৩ শতাংশ এবং ন্যাশনাল ফিড ১.৮৫ শতাংশ কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা বৃদ্ধিতে চাপ দিয়েছে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে আবারও তালিকাভুক্ত ৬০টি কোম্পানির কাছে তাদের পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির বিষয়ে রোডম্যাপ চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত থাকতে চাইলে এসব কোম্পানির ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। ঈদুল আজহার ছুটির আগে এবিষয়ে কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগেও এসব কোম্পানিগুলোকে তাদের পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল বিএসইসি। কিন্তু বেশিরভাগ কোম্পানিই তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে এবার তালিকাভুক্তির শর্ত পূরণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সংস্থাটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) তালিকাভুক্তি বিধিমালা অনুসারে, মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত থাকতে হলে একটি কোম্পানির ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকা আবশ্যক। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই শর্ত পূরণে ব্যর্থতাকে সিকিউরিটিজ আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছে।
সূত্র জানায়, স্বল্প পরিশোধিত মূলধনের স্টকগুলো অত্যন্ত অস্থির প্রকৃতির হয় এবং কিছু অসাধু বিনিয়োগকারী দ্বারা এগুলো সহজেই কারসাজির শিকার হয়। এটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়। কারণ প্রায়শই স্বল্প মূলধনের শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগ করে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই ক্ষতির শিকার হন, যদিও কিছু ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকে।
জানা গেছে, স্টক ডিভিডেন্ড ইস্যু করা মূলধন পূরণের একটি বৈধ উপায় নয়, কারণ এটি কেবল শেয়ারের সংখ্যা বাড়ায় কিন্তু প্রকৃত মূলধন বৃদ্ধি করে না। বিএসইসি চায় কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য প্রকৃত তহবিল সংগ্রহ করুক।
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ৬৪টি কোম্পানিকে তাদের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণের জন্য পরিকল্পনা জমা দিতে বলেছিল, যাতে তারা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত থাকতে পারে। ওই বছর কমিশন একটি কমিটি গঠন করে এই ফার্মগুলোর সামগ্রিক অবস্থা যাচাই করতে এবং স্বল্প পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিগুলোর আর্থিক কর্মক্ষমতা উন্নত করার একটি প্রক্রিয়া খুঁজতে বলেছিল। কোম্পানিগুলোকে চিঠি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাদের পরিকল্পনা প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছিল।
বর্তমানে এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১টি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি টাকার নিচে, ১৫টি কোম্পানির ১০ কোটি টাকার নিচে, ২১টি কোম্পানির ২০ কোটি টাকার নিচে এবং বাকি কোম্পানিগুলোর ৩০ কোটি টাকার নিচে মূলধন রয়েছে। এসব কোম্পানিগুলোর মধ্যে কিছু ভালো পারফর্ম করলেও বেশ কয়েকটি লোকসানে রয়েছে এবং কয়েকটি তাদের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো সত্ত্বেও কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম কোনো বৈধ তথ্য বা যৌক্তিক কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারী এবং বাজার বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, এই পরিস্থিতিতে অনেক কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে তেমন আগ্রহ দেখান না। কারণ তারা এই স্বল্প মূলধনের পরিস্থিতিকে এক ধরনের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। বিএসইসির এই নতুন পদক্ষেপ বাজারের শৃঙ্খলা ফেরাতে কতটা কার্যকর হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম অর্থসংবাদ’কে বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে; তারা যেন ইমিডিয়েট রোডম্যাপ করে। এটি একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত। আর মূলধন বৃদ্ধির বিষয়টি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কে কিভাবে করতে চায় কোম্পানিগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অর্থসংবাদ/কাফি