স্বাস্থ্য
বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে বাধ্যবাধকতা দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
![বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে বাধ্যবাধকতা দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/09/স্বাস্থ্য-অধিদপ্তর-1.jpg)
বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে এসব নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে পালন করতে হবে বলেও জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিচালনার ক্ষেত্রে বর্ণিত শর্তাবলী আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
নির্দেশনাগুলো হলো
১. বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশ পথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. সব বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে হবে। একইসঙ্গে তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. যে সব প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে, কিন্তু শুধুমাত্র ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের লাইসেন্স রয়েছে, তারা লাইসেন্স পাওয়া ছাড়া কোনেভাবেই নামে উল্লেখিত সেবা প্রদান করতে পারবে না।
৪. ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটারগরিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত, শুধুমাত্র সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনভাবেই অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটারগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।
৫. বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সব শর্তাবলী বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদ, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. হাসপাতাল, ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অপারেশন বা প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।
৮. কোনো অবস্থাতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ ইন্টারভেনশনাল প্রসেডিউর করা যাবে না।
৯. সব বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
১০. নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে অবশাই ‘Operation Theatre Etiquette’ মেনে চলতে হবে।
এ নির্দেশনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরের মহাপরিচালকের অনুমোদন রয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৫৫ জন
![ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৫৫ জন ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/dengue.jpg)
মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে রোগটিতে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
রবিবার (১৪ জুলাই) দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির এমন তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য মতে, গত একদিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ৪৭ জন ও ঢাকার বাইরে ১০৮ জন।
এর মধ্যে সবোর্চ্চ ৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে।
এ নিয়ে চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৫৬৬ জনে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৮ জন। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয় গত বছর ২০২৩ সালে।
ওই বছরে একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১৭ হাজার ৮১৩ জন ও মৃত্যু হয়েছিল ৯৩ জনের।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৮৮ জন ও মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আগের সপ্তাহে আক্রান্ত ৩২৭, মৃত্যু হয় দুজনের।
বর্তমানে দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮৩ জন।
ঢাকায় ১৯৬ ও ঢাকার বাইরে ১৮৭ জন। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, বরগুনা ও নরসিংদী জেলায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু প্রতিরোধে যেসব সচেতনতা প্রয়োজন
![ডেঙ্গু প্রতিরোধে যেসব সচেতনতা প্রয়োজন ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2021/07/dengu.jpg)
এবারও ডেঙ্গু চোখ রাঙাচ্ছে। গতবারের তুলনায় এ বছর আরও ভয়াবহ হতে পারে পরিস্থিতি। ডেঙ্গুর সংকট মোকাবিলায় প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণের সতর্কতাও জরুরি।
যেসব সচেতনতা প্রয়োজন
» মশা বংশবিস্তার করে আবদ্ধ পানিতে। তাই ঘরের ভেতরে, বারান্দায়, ছাদে, এমনকি ভবনের আশপাশের কোনো জায়গায় পানি জমে থাকতে দেবেন না। ডেঙ্গুজ্বরের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলেই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। কোনো লক্ষণ পেলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করাতে হবে সময়মতো। চিকিত্সা ও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হতে পারে।
» দিনে বা রাতে যখনই শোবেন, মশারি ব্যবহার করুন। মশারি ভালোভাবে গুঁজে দিতেও ভুলবেন না। মশারিতে কোনো বড় ছিদ্র আছে কি-না, খেয়াল রাখুন।
» পোশাকে মশানিরোধী পদার্থ (মসকিউটো রিপেলান্ট) ব্যবহার করতে পারেন। তবে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য রিপেলান্ট না।
» ঘরের জানালা, বাথরুমের জানালা ও বারান্দার দরজায় ছোট ছিদ্রের নেট লাগিয়ে নিতে পারেন। মশা তাড়াতে ধূপ ব্যবহার করুন, কীটনাশক বা কয়েল ব্যবহার না করে।
» মশা জন্মায় এমন টব বা পাত্র যাতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এমনকি বাড়িতে প্লাস্টিক কোনো কাপ বা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকে পানি জমে থাকলে বিপদ হতে পারে। নির্মাণাধীন ভবনে পানি জমা থাকছে কি-না, খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে এলাকার সবাই মিলে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বা জমির মালিক ও নির্মাণশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলুন।
» বাড়িতে জলজ উদ্ভিদ থাকলেও প্রতি ৭২ ঘণ্টায় পাত্রের পানি বদলে ফেলুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
কমিউনিটি ক্লিনিক এখন সারাবিশ্বে সমাদৃত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
![কমিউনিটি ক্লিনিক এখন সারাবিশ্বে সমাদৃত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/samanto-lal-sen.jpg)
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত প্রিয় জিনিস কমিউনিটি ক্লিনিক। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক এখন সারাবিশ্বের মানুষের কাছে সমাদৃত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ শনিবার সকালে নীলফামারীর সংগলশীতে সঞ্জিব-মালতী কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সিজারিয়ান কমানোর জন্য চেষ্টা করছি, গর্ভবতী নারীদের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চেকআপ শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা হাসপাতালে ডেলিভারি করা হলে তাহলে আর সিজারিয়ান করা লাগবে না। ক্লিনিকগুলোকে আরও সচল করার জন্য সরকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নীলফামারী-৪ ( সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফারুক আল মাসুদ, পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সংগলশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান টিকেন্দ্রজীৎ রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংগলশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান টিকেন্দ্রজীৎ রায় স্বগীয় পিতা-মাতার নামে ক্লিনিকের নামকরণ করা হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছালে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফের করোনা আতঙ্ক, সপ্তাহে মৃত্যু হচ্ছে ১৭০০ জনের
![ফের করোনা আতঙ্ক, সপ্তাহে মৃত্যু হচ্ছে ১৭০০ জনের ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/09/coronavirus-1.jpg)
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের মহামারির দিন শেষ হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে স্বস্তি। তবে এরই মধ্যে আবারও করোনা আতঙ্ক ফিরে এসেছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১ সপ্তাহে বিশ্বে প্রায় ১৭০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাত দিয়ে এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ডব্লিউএইচও এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রতি সপ্তাহে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৭০০ জন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার হ্রাসের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে। তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘করোনা ভাইরাসে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর শেষ ডোজ নেয়ার ১২ মাসের মধ্যে আবার ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও।’
একইসঙ্গে ভাইরাস নজরদারি এবং সিকোয়েন্সিং বজায় রাখতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে এবং নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
সাপের দংশনে ছয় মাসে নিহত ৩৮
![সাপের দংশনে ছয় মাসে নিহত ৩৮ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/snak.jpg)
চলতি বছরে সাপের দংশনে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সম্প্রতি দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো রাসেলস ভাইপার নিয়ে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) আসা তথ্য অনুসারে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ৬১০টি সর্পদংশনের তথ্য লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে রাজশাহীতে।
তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সর্পদংশনে মোট ৪১৬ জন রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপারে কাটার ঘটনা ১৮টি এবং অন্য বিষধর সাপে কাটার ঘটনা ৭৩টি। সাপের সংশনে আক্রান্তদের মধ্যে মোট ১১ জন রোগী মারা যান, যার মধ্যে রাসেলস ভাইপারের দংশনের কারণে মারা যান ৫ জন।
এমআই