অর্থনীতি
রোজায় ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতায় থাকবে ডিম-মুরগি

রমজান মাসে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি পেতে পরিবহনের সময় সড়কে পুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিপিএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার।
ডিম ও মুরগি পরিবহনের গাড়ির খাঁচার অনুমোদন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তাঁরা জানান, সামনে পবিত্র রমজান মাসে ডিম ও মুরগির দাম ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
তবে সব সময়ের জন্য ডিম ও মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিপিএর উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রয় কার্যক্রমকে আরো প্রসারিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। লিখিত বক্তব্যে মো. সুমন হাওলাদার বলেন, কর্পোরেট গ্রুপগুলো ডিম ও মুরগি, পোলট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা পরিবহনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) থেকে গাড়ির অনুমোদন পায়। কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের অনুমোদন দেওয়া হয় না। এ জন্য ট্রাফিক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ, থানার চেকপোস্ট, সারা দেশের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাকে মাসিক চাঁদা দিয়ে চলতে হয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় চাঁদাবাজদের কবলে পড়তে হয় আমাদের। মাসিক চাঁদা দিয়েও গাড়িগুলো দিনের বেলা চলাচল করতে পারে না। এতে পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় প্রান্তিক খামারিদের। ফলে ডিম ও মুরগি পরিবহন খরচ বাড়ায় দামও বেড়ে যায়।
রমজানের আগে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘করপোরেট সিন্ডিকেটের যোগসাজশে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রান্তিক খামারিদের কাছে মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রান্তিক খামারিদের মতামত না নিয়ে শুধু করপোরেট সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিয়ে ২৮ থেকে ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগির বাচ্চার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৪৯ থেকে ৫২ টাকা। এ জন্য নতুন করে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ছে।
তিনি বলেন, মুরগির বাচ্চার উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে করপোরেট গ্রুপগুলো তাদের চাহিদা মতো নিজস্ব খামারে বাচ্চা তুলেছে এবং কন্টাক্ট খামারিদের বাচ্চা দিয়েছে। অবশিষ্ট বাছাই করা নিম্নমানের বাচ্চা অতিরিক্ত দামে তাঁদের পরিবেশকের মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিদের কাছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ভোক্তা ও প্রান্তিক খামারিদের।

অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৫.৩১ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপি

ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুরবস্থা কাটছে না। উপরন্তু দিন দিন খেলাপি ঋণ বাড়ছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণের ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে। টাকার অঙ্কে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা, যা তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২ হাজার ১০০ কোটি এবং বছরে বেড়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিনের অবলোপন, পুনঃতফসিল আর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে খেলাপির প্রকৃত চিত্র আড়াল রাখা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারিতে চেপে রাখা খেলাপি ঋণ এখন প্রকাশ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়েছে, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এই খাতের ঋণ স্থিতি ছিল ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ছিল ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা বা ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও ঋণ খেলাপি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ছিল ২৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
পিপলস লিজিং, বিআইএফসি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্সসহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপির হার সর্বাধিক। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক তারল্য ও ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে।
এদিকে মার্চ পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ২৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আসল পরিস্থিতি সামলাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এখন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
অর্থনীতি
অফশোর ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা জামানত রেখে টাকায় মিলবে ঋণ

বাংলাদেশ ব্যাংক দেশীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন ঋণ সুবিধার অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) রাখা বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল জামানত হিসেবে ব্যবহার করে টাকায় ঋণ নেওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনিবাসী হিসাবধারীদের ওবিইউতে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে ব্যবহার করে দেশে ব্যাংকের ডমেস্টিক ইউনিট থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। একইভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ওবিইউতে তাদের রাখা বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে রেখে দেশে টাকায় ঋণ নিতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা ও হিসাবধারীর মধ্যে যৌক্তিক সম্পর্ক থাকতে হবে। যেমন প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের স্থানীয় সুবিধাভোগী, বিদেশি শেয়ারহোল্ডার, বিদেশি বিনিয়োগকারী বা বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি- এ ধরনের সম্পর্ককে বৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
তবে এই জামানতের বিপরীতে কেবল স্বল্পমেয়াদী চলতি মূলধন ঋণ দেওয়া যাবে এবং জামানতের জন্য কোনো চার্জ বা ফি নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ঝুঁকি সামাল দিতে ব্যাংক জামানতের কিছু অংশ মার্জিন হিসেবে রাখতে পারবে।
ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামানত নগদায়ন করে ঋণ সমন্বয়ের সুযোগ থাকবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সও একইভাবে জামানত হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। তবে ওবিইউতে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং হিসাবের অর্থ জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, দেশে স্থানীয়ভাবে জামানত প্রদানের প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় নতুন এই নিয়মের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা জমা রেখে সহজেই টাকায় ঋণ নেওয়া যাবে। এতে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে তারা আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
অর্থনীতি
পাঁচদিন বন্ধ থাকবে এনসিসি ব্যাংকের কার্যক্রম

বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের কার্যক্রম পাঁচদিন বন্ধ থাকবে। ব্যাংকটি আগামী মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত থেকে রোববার (১৩ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন মতে, বিদ্যমান কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (সিবিএস) আপগ্রেডেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশে ৮ জুলাই রাত ৮টা হতে ১৩ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত সব ব্যাংকিং (শাখা, উপশাখা, ডেবিট কার্ড, এটিএম, বিএসিপিএস, বিএফটিএন, আরটিজিএস, এনপিএসবি, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, সুইফট ইত্যাদি) কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিরত থাকবে।
ব্যাংকের আবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক এ সাময়িক বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতি
বাংলাদেশকে ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে সুইডেন

পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকার তদারকি বৃদ্ধি এবং বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট তহবিল গঠনের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অনুদান দিয়েছে সুইডেন। বাংলাদেশ সরকার এবং সুইডেন সরকারের মধ্যে ‘স্ট্রেনদেনিং ক্যাপাসিটি ফর ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইম্প্রুভড ক্লাইমেট রেজিলেন্স’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) শেরে বাংলানগর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব (রুটিন দায়িত্বে) ড. এ কে এম শাহাবুদ্দিন এবং সুইডেন সরকারের পক্ষে দেশটির হেড অব ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন ও চার্জ দ্যা অ্যাফিয়ার্স মারিয়া স্ট্রিডসম্যান চুক্তিটি সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুদান চুক্তিটির মাধ্যমে সুইডেন সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আনুমানিক ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা অনুদান সহায়তা দেবে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকার তদারকি বৃদ্ধি এবং বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট তহবিল গঠনের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত।
অর্থনীতি
বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৮.৫৮ শতাংশ

২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) ৪৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন দেশের উদ্যোক্তরা। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
বুধবার (২ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫২ শতাংশ, পোশাক খাতে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ, প্ল্যাস্টিক পণ্যে ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ, হোম টেক্সটাইলে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে পাটজাত পণ্যে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ, কাচজাত পণ্যে ৩৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
কারখানাগুলোতে ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি এবং মাসের শেষে এনবিআরের শাটডাউনে দুইদিন বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে জুন মাসে রপ্তানি আয় সাড়ে ৭ শতাংশের বেশি কমেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।
মে মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার।