জাতীয়
ভাষা আন্দোলন দমিয়ে রাখতে বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখা হয়: জয়

ভাষা আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারান্তরীণ রেখেছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। যেখানে এসব কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
ফেসবুক পোস্টে জয় লিখেন, ‘পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা।’
‘১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ও হরতালের আহ্বান করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হরতাল কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। যার ফলে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় এবং ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে বঙ্গবন্ধুসহ ২৪ জন নেতাকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।’
‘১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আটক থাকা অবস্থায় গোপনে বৈঠক করে ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি ১৯৫২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল হাসপাতালে থেকে নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২১ফেব্রুয়ারি হরতাল ডেকে গণপরিষদ ঘেরাও করার পরামর্শ দেন।’
তিনি আরও লিখেন, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত সংঘবদ্ধ ছাত্র-জনতাকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহীদের রক্তে। ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখে। তবে জেলে অবস্থানকালেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠা ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অনশন করেছিলেন। মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাঁথা অধ্যায়। শহীদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন।’
শেষে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি-আমি কি ভুলিতে পারি?’ লিখেই ভাষাশহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
মার্চে ৫৮৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬০৪

চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে ৫৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১২৩১ জন। আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মার্চে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৮৭টি; এর মধ্যে নিহত ৬০৪ জন এবং আহত কমপক্ষে ১২৩১ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৮৯ জন ও শিশু ৯৭টি। ২৪২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৩৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১ দশমিক ২২ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৮ জন, অর্থাৎ ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ। এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৪ জন আহত হয়েছেন। ১৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মার্চ ফর গাজা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’-এর আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রূপ নিয়েছে মানুষের সমুদ্রে।
গাজায় চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন এবং মানবিক সহানুভূতি জাগ্রত করতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী এই গণজমায়েত। শনিবার বিকেল ৩টায় এই ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সরেজমিন দেখা যায়, এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। ছোট-বড় মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন তারা। মিছিলে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ লোকের হাতেই রয়েছে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা।
কারও হাতে ‘Free Palestine’, ‘Stop the Genocide’সহ বিভিন্ন লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড। কেউবা প্রতিবাদী স্লোগান দিচ্ছেন, কেউ দাঁড়িয়ে আছেন নীরবে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, যেখানে শিশুরা প্রতিদিন বোমায় মরছে, সেখানে নীরব থাকা অপরাধ। আমরা গাজার পক্ষে, মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য এ কর্মসূচিতে এসেছি।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে আসা লোকদের জন্য পথনির্দেশনাঃ
স্টার্টিং পয়েন্ট ১. বাংলামোটর প্রবেশপথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেট (শাহবাগ হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ২. কাকরাইল মোড় প্রবেশপথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেট (মৎস্য ভবন হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৩. জিরো পয়েন্ট প্রবেশ পথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেট (দোয়েল চত্বর হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৪. বখশীবাজার মোড় প্রবেশপথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেট (শহীদ মিনার হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৫. নীলক্ষেত মোড় প্রবেশপথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেট (ভিসি চত্বর হয়ে)
বিশেষ নির্দেশনাসমূহ:
১. টিএসসি মেট্রো স্টেশন আজ বন্ধ থাকবে।
২. সব পরীক্ষার্থীর জন্য সব রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ রইল।
সাধারণ দিকনির্দেশনা:
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি: ডিএমপি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এখন থেকে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে হলে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে এবং প্রমাণসহ গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে হবে-এমন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়, “এসকল মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অতিরিক্ত। ফলে গ্রেপ্তারের আগে যথাযথ প্রমাণাদি যেমন: ভিকটিম বা প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ভিডিও/অডিও ক্লিপ, স্থিরচিত্র, মোবাইল কললিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি সংগ্রহ করে অনুমোদন নিতে হবে।”
ফারুক হোসেন বলেন, “আমরা সবসময় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই। যেন নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার না হয় এবং প্রকৃত অপরাধী যেন আইনের হাত থেকে ছাড় না পায়।”
পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত তদন্তকারী কর্মকর্তারই গ্রেপ্তার ও প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ের ঢালাও মামলা ও নির্বিচারে আসামি করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার পর, কেন্দ্রীয়ভাবে এই নির্দেশনা দেওয়া হলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্র ধরে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সারা দেশে একের পর এক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় হাজার হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, অনেক মামলায় প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকা ব্যক্তিরাও তালিকায় রয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, কিছু মামলায় স্থানীয় প্রতিপক্ষ, এমনকি আগের সরকার দলের নেতারাও আসামি হয়েছেন। কোথাও কোথাও মামলায় আসামি করতে এবং পরে গ্রেপ্তার ঠেকাতে অর্থনৈতিক লেনদেন বা “বাণিজ্য” হওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
এই ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগেও সরকার থেকে বারবার বলা হয়েছে, শুধু এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও একই রকম নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, “মামলা মানেই গ্রেপ্তার নয়।” ৫ অক্টোবর উত্তরায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “প্রথমে তদন্ত, পরে প্রমাণ মিললে আইনগত ব্যবস্থা—এটাই হবে মূলনীতি।”
ডিএমপির সর্বশেষ নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যারা প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন, তদন্তে এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে, তাদের নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হাসিনার দোসররা ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়েছে: ফারুকী

হাসিনার দোসররা চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে একটি পোস্ট করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘হাসিনার দোসররা গতকাল ভোর রাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে- সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক- তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত। এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেনো আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়।’
তিনি বলেন, ‘কালকে রাতের ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে গেল বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব করুক তারা এটা চায় না। আমরা এখন আরও বেশি ডিটারমাইন্ড, এবং আরও বেশি সংখ্যায় অংশ নিব।’
ফারুকী লেখেন, ‘গত কিছুদিন জুলাই আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই বলেছিলেন, এবারের শোভাযাত্রা সবচেয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভিন্ন রকমের হচ্ছে। এখানে ফ্যাসিবাদের ওই বিকট মুখ না রাখাই ভালো। আমরাও সব রকম মত নিয়েই ভাবছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মত জানার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কালকের ঘটনার পর এই দানবের উপস্থিতি আরও অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠল। জুলাই চলমান।’
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোর পৌনে পাঁচটা থেকে ৫টার মধ্যে এই মোটিফ দুটিতে আগুন লেগেছে বলে জানান প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যেভাবে আসবেন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে প্রতিদিনই বাড়ছে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা। এতে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ অবস্থার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচিতে আগতদের উদ্দেশ্যে পথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, দুপুর ২টায় ৫টি পয়েন্ট থেকে মার্চ শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত হবে বিকেল ৩টায়।
‘মার্চ ফর গাজা’র পথ নির্দেশনা
স্টার্টিং পয়েন্ট ১. বাংলামোটর প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ২. কাকরাইল মোড় প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস্য ভবন হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৩. জিরো পয়েন্ট প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৪. বখশীবাজার মোড় প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৫. নীলক্ষেত মোড় প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)
বিশেষ নির্দেশনা
১. টিএসসি মেট্রো স্টেশন আজ বন্ধ থাকবে।
২. সব পরীক্ষার্থীদের জন্য সব রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে।পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ রইলো।
সাধারণ দিক নির্দেশনা
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।