আইন-আদালত
আরএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেফতার

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি রতনপুর স্টিল রি–রোলিং মিলস লিমিটেডের (আরএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঋণখেলাপির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, বেসরকারি ট্রাস্ট ব্যাংকের করা ঋণখেলাপির এক মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এ মামলায় মাকসুদুর রহমানসহ মোট চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। অপর তিন অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন কোম্পানিটির পরিচালক মো. আলাউদ্দিন এবং মাকসুদুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ও মারজানুর রহমান। এই চারজনের বিরুদ্ধেই আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এর মধ্যে মাকসুদুর রহমানকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, অভিযুক্ত আসামিদের কাছে ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রায় ১৮৮ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এ ঋণ এরই মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এ ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে কোনো সম্পদ বন্ধক নেই। ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা ও ট্রাস্ট রিসিটের বিপরীতে ব্যাংক মডার্ন স্টিলের উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেই ঋণ পরিশোধ না করায় তা খেলাপি হয়ে গেছে। এমনকি ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃ তফসিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সুবিধা নেওয়ারও আবেদন করেনি। এ কারণে আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংক্রান্ত আদালতের আদেশে আরও বলা হয়, আরএসআরএমের এমডি মাকসুদুর রহমানের কাছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। তিনি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০ শীর্ষ ঋণখেলাপির মধ্যে অন্যতম।
এর আগে, ২০২২ সালের জুনেও অন্য এক ব্যাংকের ঋণখেলাপির মামলায় মাকসুদুর রহমান ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত মাকসুদুর রহমানের মালিকানাধীন কোম্পানি আরএসআরএমের উৎপাদন কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ২০২০ সালের পর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। বর্তমানে এটি দুর্বল মানের কোম্পানি হিসেবে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ায় এবং কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ থাকায় গত বছরের অক্টোবরে কোম্পানিটিতে চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান ওই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ ১৬ আসামিকে হাজির করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ট্রাইবুনালের গাজীপুরের কাশীমপুর ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রিজন ভ্যান থেকে একে একে নামানো হয় আসামিদের।
তারা হলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও জুনায়েদ আহমেদ পলক, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবংসাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলমকে।
এর আগে, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ ১৬ আসামিকে হাজির করার জন্য আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের পর চিফ প্রসিকিউটরের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সারাফতের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ, ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের ৭৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদক তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি, ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগের ওপর অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধান টিম কাজ করছে।
অভিযোগের অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, স্ত্রী আজুমান আরা শহীদ ও পুত্র রাহিব সাফওয়ান চৌধুরীর নিজ নামে এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তাদের পেশা, অর্থের উৎস ও হিসাব খোলার উদ্দেশ্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অঙ্কের টাকা জমা ও উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়। যা তাদের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ ও এই বিপুল পরিমাণ ব্যাংক লেনদেন মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানকালে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বা বেহাত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, তার পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবসমূহ অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
তারেক রহমানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশীদ মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এটা টেকে না। যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছায়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ট্রাইব্যুনালে সাবেক মেয়র আতিকসহ ৬ জনের হাজিরা আজ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে আজ।
সোমবার( ১৭ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।
আতিকুল ছাড়া আওয়ামী লীগের অন্য পাঁচ নেতা হলেন রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের বিভিন্ন মামলায় তারা বর্তমানে গ্রেফতার আছেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র আতিকুল ইসলাম ও অন্য পাঁচজনসহ এই ছয় নেতাকে হাজির করার আবেদন করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ। আদালতের নির্দেশের পর তিনি ওই দিন সাংবাদিকদের বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা উত্তরে প্রায় ২০০ লোক নিহত হয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে ভূমিকা ছিল সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের। আর অন্য পাঁচ আসামি সরাসরি নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে তা বাস্তবায়ন করেছেন।
গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার কার্যক্রম চলছে বলেও জানান প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের এই মামলায় যদি তাদের (সাবেক মেয়র আতিকুল ও আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা) গ্রেফতার দেখানো না হয়, তাহলে তারা বিভিন্ন মামলায় জামিন পেলে মামলার তদন্ত ব্যাহত হবে। যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের জন্য তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানানো হয়।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি গণঅভ্যুত্থানের সময় উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন ‘খুবই প্রভাবশালী সদস্য’-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
গাজী মোনাওয়ার হুসাইন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেই সদস্য গণঅভ্যুত্থানের সময় উত্তরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণে সহায়তা করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার অধীনস্তরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। ফলে যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের জন্য তাকে গ্রেফতার করা জরুরি।