বীমা
বিমা গ্রাহকের অভিযোগ ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
বিমা গ্রাহকদের যেকোনো অভিযোগ সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। একইসাথে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে।
গতকাল সোমবার বিমা গ্রাহক সুরক্ষা গাইডলাইন বা নীতিমালায় এমন নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। এতে গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে গ্রাহক ও বিমা কোম্পানির দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিমা পরিকল্প বা পলিসি আইডিআরএ অনুমোদিত হতে হবে। গ্রাহকের কাছে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনুমোদিত পলিসিতে কোনো ব্যত্যয় করা যাবে না। বিমা পলিসির দলিলে বিমাকারীর নাম, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নম্বর, যোগাযোগের প্রকৃত ঠিকানা, পলিসির নাম, শ্রেণি ও প্রকার ইত্যাদির বর্ণনা এবং কর্তৃপক্ষের নাম ও ঠিকানা থাকতে হবে। একই সঙ্গে বিমা কোম্পানি তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া এবং এ সংক্রান্ত গৃহীত কার্যক্রম গ্রাহকসহ জনসাধারণের অবগতির জন্য বুকলেট বা গ্রহণযোগ্য মাধ্যমে প্রচার করবে।
গ্রাহককে এমন কোনো ধারণা বা আশ্বাস দেওয়া যাবে না যা বিমা পলিসিতে নেই। গ্রাহকের লিখিত সম্মতি ছাড়া বিমা চুক্তিতে কোনো প্রকার পরিবর্তন করা যাবে না। পলিসি মেয়াদপূর্তি বা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ বা জরিমানা অথবা কোনো বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি থাকলে তা বিমা গ্রাহককে পলিসি বিক্রির আগেই অবহিত করতে হবে।
নতুন নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিমা পলিসি বিক্রির রসিদ ১৫ দিনের মধ্যে ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিমাকারীকে ইস্যু ও সংরক্ষণ করতে হবে এবং সেই রসিদ গ্রাহককে ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যমে পাঠাতে হবে। বিমাকারী বা এজেন্ট গ্রাহকদের সব তথ্য সংরক্ষণে উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আদালতের আদেশ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের আইনানুগ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা যাবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বিমা পরিচালক হতে শেয়ার ধারণ করতে হবে এক বছর
বীমাকারীর পরিচালক নির্বাচন বিধিমালা- ২০২৪ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। গত ২৯ জুন এটি গেজেট আকারে জারির পর বিজি প্রেসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন এ বিধিমালা কার্যকরের জন্য ১৬ জুলাই তা দেশের সব জীবন বিমা ও সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোতে পাঠিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, শূন্য পদ পূরণের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উদ্যোক্তা শেয়ারধারীরা তাঁদের নিজেদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা পরিচালক নির্বাচন করবেন। যাঁরা পরিচালক নির্বাচিত হবেন, তাঁদের এক বছর আগে থেকে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। আর পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র পরিচালক মনোনীত করতে হবে, পরে যা এজিএমে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হতে হবে। নতুন পরিচালক নিয়োগের দুই মাস আগে পরিচালকদের শূন্য পদের সংখ্যা উল্লেখ করে আইডিআরএর কাছে আবেদন করতে হবে।
বিধিমালায় আরও জানানো হয়, পরিচালক নির্বাচনের তারিখ, সময়, স্থান ও অন্যান্য বিষয় এবং নির্বাচন করতে আগ্রহী পরিচালকের সংখ্যাসহ নির্বাচনের তফসিল নির্বাচনের ৬০ দিন আগে অন্তত দুটি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রেকর্ড তারিখের এক মাসের মধ্যে। তা না হলে নতুন করে আবার রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিষয়ে বিধিমালায় বলা হয়েছে, বিমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে একাধিক পরিচালকের সমন্বয়ে গঠিত হবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। কমিটির সদস্য হবে তিনজন। তাঁদের কোনো সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এবং কোনো সদস্য একই সঙ্গে বাছাই কমিটি ও আপিল কমিটির সদস্য হতে পারবেন না। নির্বাচনের আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাছাই কমিটি গঠন করবে। বাছাই কমিটির সদস্য হবে দুজন। আর এক সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও বাছাই কমিটির কোনো সিদ্ধান্তে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হলে তিনি আপিল কমিটির কাছে আপিল করতে পারবেন। এ বিষয়ে আপিল কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, একজন শেয়ারধারী তাঁর ধারণকৃত প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে একটি ভোট দেওয়ার অধিকারী হবেন।
আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে, দেশে ৩৬টি জীবন বিমা কোম্পানি কাজ করছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জীবন বীমা করপোরেশন, মেটলাইফ এবং ভারতীয় এলআইসি ছাড়া বাকি ৩৩টি বেসরকারি কোম্পানির ওপর এ বিধিমালা কার্যকর। আর রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বীমা করপোরেশন ছাড়া বাকি ৪৫টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ওপরও এ বিধিমালা প্রযোজ্য। একেকটি বিমা কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ২০ জন করে পরিচালক থাকার বিধান রয়েছে। তবে গড়ে আছে ১৫ জন করে। সেই হিসাবে এক হাজারের বেশি পরিচালক রয়েছেন দেশের বিমা কোম্পানিগুলোতে।
বিমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন বিধিমালাকে আমরা স্বাগত জানাই। বিমা খাতের স্বার্থে এ বিধিমালা ইতিবাচক।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সোনালী লাইফের শীর্ষ ৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে বিমা কোম্পানিটির প্রশাসক। আর্থিক অনিয়ম, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সনদ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নেওয়া অর্থ সাতদিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া এবং তাদের কাছে থাকা কোম্পানির নথিপত্র, গাড়ি, ইলেক্ট্রনিক আইটেমসহ সব সরঞ্জমাদি কোম্পানির এইচআর বিভাগের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোনালী লাইফের প্রশাসক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফেরদৌস সই করা এ সংক্রান্ত পৃথক চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। প্রশাসক এসব চিঠিতে সই করেছেন রোববার (৭ জুলাই)। এর আগে এসব কর্মকর্তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে অনিয়মের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কিন্তু তাদের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসক।
বিমা কোম্পানিটির বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আজিম এবং সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ।
বরখাস্ত করা এই পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইনসেনটিভের নামে ৩০ লাখ টাকা করে গ্রহণ, প্রশাসককে সহযোগিতা না করার জন্য অন্য কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া, প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করে প্রশাসক ও বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল, কোম্পানির উন্নয়ন কর্মীদের মাঝে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ, কমিশনের অর্থকে বেতন বলে মাঠকর্মীদের মাঝে অপপ্রচার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়াও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলামের বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নিয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষ, যা বিমা আইন ২০১০ এবং ফৌজদারি অপরাধ।
রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করা হয়, কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার একদিন আগে তিনি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্যাশ ইনসেনটিভ নোট উপস্থাপন করে অনুমোদন করিয়ে নেন। এই ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্য থেকে তিনি নিজে ৩০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
প্রাইম ইসলামী লাইফের মেয়াদোত্তর বিমাদাবীর চেক হস্তান্তর
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বিমাগ্রাহকের মেয়াদোত্তর বিমা দাবীর টাকা দেওয়া হয়েছে।
গ্রাহক মো. আসাদুজ্জামানের ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৮ টাকার চেক গ্রাহকের শ্বশুর মো. সামছুল হুদার হাতে বুঝিয়ে দিয়েছেন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও এমডি মো. সামছুল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এএমডি ও হেড অফ আইটি মাজেদুল ইসলাম, মো. নাছির উদ্দিন ও কোম্পানি সচিব শামীম আহমেদ ও দাবী বিভাগের এসভিপি ও ইনচার্জ, আলমগীর হোসেন খান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বিআইএফের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বিমা কোম্পানিগুলোর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরানবাজারের এনএলআই টাওয়ারে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের প্রেসিডেন্ট এবং পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বি এম ইউসুফ আলী।
আলোচনায় অংশ নেন ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের সিইও মো. ইমাম শাহীন, ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও জেনিথ ইসলামী লাইফের সিইও এস এম নুরুজ্জামান, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও মো. কাজিম উদ্দীন, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের সিইও মো. আব্দুল খালেক মিয়া, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের সিইও মো. সামসুল হুদা, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের সিইও শামীম হোসাইন, সন্ধানী লাইফের সিইও নিমাই কুমার সাহা, চার্টার্ড লাইফের সিইও এস এম জিয়াউল হক, ট্রাস্ট লাইফের সিইও গিয়াস উদ্দিন, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের সিইও সৈয়দ সেহাব উল্লাহ আল-মঞ্জুর, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের সিইও ড. এ.কে.এম সারোয়ার জাহান জামীল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারীকে নিয়ে প্রকাশিত ভিত্তিহীন, উদ্যেশ্য প্রণোদিত, অসত্য, মানহানিকর সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়।
সভায় নন-লাইফের বিজনেস প্রকিউরমেন্ট কমানোর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ব্যয় আইডিআরএ’র গাইডলাইন অনুযায়ী প্রদানের তাগিদ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন, আইডিআরএ এবং সাধারণ বিমা করপোরেশনের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। জীবন বিমার টাওয়ার ও আইডিআরএ’র কমিশন শিডিউল মানার বিষয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া যেসব জীবন বিমা কোম্পানি গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করছে না তাদেরকে দাবি পরিশোধের বিষয়ে বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়। লাইফ, নন-লাইফ দুধরণের কোম্পানিতেই শৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে লাইফ ও নন-লাইফ বিমা কোম্পানির অন্তত ৬০ জন সিইও অংশ নেন। সভা আয়োজনে সহযোগিতা করে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
ব্যাংকাস্যুরেন্সের মৌলিক বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা
ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে বীমা পণ্য বিক্রির জন্য সম্প্রতি চালু হওয়া ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ পরিষেবার মৌলিক বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমিতে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও যুগ্ম সচিব মো. জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহসান-উজ-জামান এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান।
কর্মশালায় অংশ নেন মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৫২ জন কর্মকর্তা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যাংকাস্যুরেন্স বিভাগের প্রধান রাশেদ আক্তার, জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যাংকাস্যুরেন্স বিভাগের প্রধান শাহাদাত হোসেন ও ইন্স্যুরেন্স একাডেমির ফ্যাকাল্টিগণ।
এমআই