কর্পোরেট সংবাদ
বাণিজ্য মেলায় বিকাশে জমে ওঠেছে ক্যাশলেস কেনাকাটা

রাজধানীর কাজীপাড়ার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান জুয়েল। নিজেদের নতুন সংসার গুছাতে বাণিজ্য মেলাকে বেছে নিয়েছেন। দুজন মিলে সাজিয়েছেন ঘর সাজানোর পর্ষদ। তিনি বলেন, নতুন সংসার আমাদের। বাণিজ্য মেলা থেকে কেনাকাটা করব বলে অপেক্ষায় ছিলাম। কোথায় কী ছাড় আছে দেখে নিয়ে লিস্ট ধরে কেনাকাটা শুরু করলাম। এই কেনাকাটায় বাড়তি পাওনা হিসেবে যোগ হলো বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট কুপন।
তিনি জানান, এখন কেনাকাটা মানেই ক্যাশলেস কেনাকাটা। আর ডিজিটাল লেনদেনে প্রথম পছন্দ বিকাশ, কেননা ছোট থেকে বড় অধিকাংশ দোকানেই বিকাশ পেমেন্টের সুবিধা আছে। এদিকে, মেলায় কেনাকাটার সময় বাজেটে কিছুটা টান পড়ে, তবে সমাধান ছিলো বিকাশে। বিকাশ থেকে দশ হাজার টাকা ইনস্ট্যান্ট লোন নিয়ে দরকারি জিনিস কিনতে পেরেছি।
অনেকেই সপরিবারে ছুটছেন মেলার দিকে। পছন্দের লিস্ট ধরে করছেন কেনাকাটা। ঘুরে ঘুরে কিনছেন প্রয়োজনীয় কিংবা শখের পণ্যটি। এই কেনাকাটায় আগে শুধু ক্যাশ টাকার লেনদেনই বেশি ছিল। টাকা বহন বা হারিয়ে যাওয়া, ভাংতি, ছেঁড়া-কাটা, নকল নোটের ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে সহজ সমাধান মোবাইল আর্থিক সেবা। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় শুরুর দিকেই আছে বিকাশ। বহু গ্রাহক এখন বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
বাণিজ্য মেলায় বিকাশের যেসব অফার
এবার দেখে নেয়া যাক বাণিজ্য মেলায় বিকাশের অফার গুলো। প্রতিবারের মতো এবারও বাণিজ্যমেলায় ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে বিকাশ নিয়ে এসেছে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট। বাণিজ্যমেলায় নির্দিষ্ট স্টলগুলোতে কেনাকাটা করে “DITF” কুপন কোড যোগ করে বিকাশ পেমেন্ট করলে মিলবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। বিকাশ গ্রাহকরা দিনে সর্বোচ্চ তিনটি পেমেন্টে ১০০ টাকা করে তিন বারে মোট ৩০০ টাকা এবং অফার চলাকালে ৫ বারে মোট ৫০০ টাকা ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এই ছাড় পেতে প্রতিবার কেনাকাটার আগে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরে “DITF” কুপনটি অ্যাড করতে হবে।
রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) আয়োজিত এই মেলার শেষদিন পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অফারটি উপভোগ করতে পারবেন ক্রেতারা। পেমেন্ট করার সময় বিকাশ অ্যাপের ‘পেমেন্ট’ অপশন থেকে গ্রাহকরা কুপন কোডটি যোগ করতে পারবেন।
এছাড়া বিকাশ অ্যাপের মেন্যু থেকে কুপন আইকনে ট্যাপ করে ডিআইটিএফ কুপনটি যোগ করা যাবে। একটি ডিসকাউন্ট কুপন শুধু একটি লেনদেনের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে। যারা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেন না, তারা *২৪৭# ডায়াল করে বিকাশ পেমেন্ট করলে পাবেন ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক (১০০ টাকা পর্যন্ত)। ক্রেতা চাইলেই কুপন কোডটি অ্যাড করার পদ্ধতি দেখে নিতে পারবেন বিকাশের ফেসবুক ভিডিওতে।
মেলায় বিকাশে এমন এমন সব অফার আছে কিন্তু অনেকের নিজস্ব কোনো বিকাশ অ্যাকাউন্ট নেই। তাদেরও আফসোস করার কিছু নেই, কারণ প্রতিবারের মতো এবারও মেলা প্রাঙ্গণে বিকাশের বুথ থেকে তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এজন্য দরকার ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র এবং একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। একই সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট সুবিধাও।
এছাড়াও, ক্রেতা-দর্শনার্থীরা কেনাকাটা করতে করতে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়বেন তখন তাদের জন্য থাকছে বিশ্রাম নেওয়ারও ব্যবস্থা। মেলা প্রাঙ্গণে বিকাশের উদ্যোগে তৈরি বিশ্রাম জোনে এসে জিরিয়ে নিতে পারবেন যে কোনো দর্শনার্থী। আর যারা বিকাশ পেমেন্টে মেলায় কেনাকাটা করেছেন, তারা বিশ্রাম জোনে পাবেন বিভিন্ন আকর্ষণীয় গেমসে অংশ নেওয়ার সুযোগ।
ক্যাশলেস লেনদেন এবং নানা অফারের কারণে ক্রেতা যেমন খুশি, তেমন ডিজিটাল লেনদেনে খুশি বিক্রেতারাও। নাদিয়া ফার্নিচার এর শোরুম ইনচার্জ মহিউদ্দীন শরিফ জানান, বিকাশের ক্যাশলেস লেনদেনের কারণে কেনাকাটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। অনেকে স্টলে এসে পণ্য পছন্দ করে রাখছেন, পরে বাসায় গিয়ে বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছেন, আর আমরা গ্রাহকের ঠিকানায় সরাসরি পণ্য পৌঁছে দিচ্ছি।
ডিজিটাল লেনদেনের সম্প্রসারণ বাড়ানোর জন্যই মূলত বিকাশের এই আয়োজন। এ বিষয়ে বিকাশের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, “ডিজিটাল পেমেন্টে অভ্যস্ততা যত বাড়বে, দৈনন্দিন জীবনে লেনদেন ততই সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ হবে। বিকাশ তার যাত্রার শুরু থেকেই ক্যাশবিহীন লেনদেনের পরিসরকে বিস্তৃত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশব্যাপী ছয় লাখের বেশি ছোট বড় মার্চেন্ট পয়েন্টে বিকাশ পেমেন্টে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।”
অর্থসংবাদ/এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে ব্যাংকিং অ্যাপে মিলবে ইন্স্যুরেন্স পলিসি

দেশে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা নিজস্ব ব্যাকিং অ্যাপ ‘সিটি টাচ’ থেকে সরাসরি গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পলিসি কিনতে পারবেন। নতুন এই ফিচারটির মাধ্যমে গ্রাহকেরা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের পলিসি সম্পর্কে জানা, তাৎক্ষণিক পলিসি কেনা, এমনকি ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম জমা দিতে পারবেন। ইন্স্যুরেন্স খাতে এই নতুনত্ব প্রমাণ করে যে, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স একত্রিত হলে তা গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সুবিধা এবং আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে।
এবিষয়ে গার্ডিয়ানের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রকিবুল করিম এফসিএ বলেন, ইন্স্যুরেন্সকে সবার জন্য সহজ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তবে জীবন ও স্বপ্নকে সুরক্ষা দিতে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে আমরা দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করছি। এ অংশীদারিত্বের ফলে গ্রাহকেরা খুব সহজেই অনলাইনে এখন তাদের ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
সিটি ব্যাংকের ডিএমডি এবং হেড অফ রিটেল ব্যাংকিং মো. অরূপ হায়দার বলেন, সিটি ব্যাংকই প্রথম ব্যাংক যারা বাজারে ব্যাংকান্সুরেন্স চালু করে। স্থানীয় ব্যাংকিং ইন্ডাষ্ট্রিতে ডিজিটাল সমাধান আনার ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে আছি। তাই ব্যাংকিং অ্যাপে সরাসরি বীমা পণ্য চালু করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক হওয়া একটি স্বাভাবিক অগ্রগতি ছিল, যার ফলে আমাদের গ্রাহকদের বিস্তৃত পরিসরের আর্থিক সমাধান প্রদান করা হচ্ছে।
গার্ডিয়ান সব সময় ইন্স্যুরেন্সকে আরও সহজলভ্য ও স্বচ্ছ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের সেবার অনুশীলন অনুসরণ করে আসছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সূচনা দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখন এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আরও বিস্তৃত হয়েছে এবং এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স খাতে গার্ডিয়ানের নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী জোনের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির রাজশাহী জোনের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ লেকচার গ্যালারী হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল।
স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী জোনপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ক সেমিনার

এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ইসলামী অর্থনীতি: সুদের বিপরীতে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন ফাহাদ ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাবরুক বিল্লাহ।
সেমিনারে এনআরবিসি ব্যাংকের শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, চিফ অপারেটিং অফিসার ও ক্যামেলকো মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান, আল আমিন ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশনের প্রধান আব্দুল গফুর রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের মূলকথা হচ্ছে সুদমুক্ত লেনদেন। শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক-ব্যাংকারের মধ্যে মনাফা-ক্ষতির ভাগাভাগির মাধ্যমে ন্যায় সংগত অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশির শরীয়াহ নীতি সম্পূর্ণভাবে পরিপালনের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংকের সকল শাখা-উপশাখায় আল আমিন ইসলামী ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে আমানত, বিনিয়োগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমরা শুধু মুনাফা অর্জন নয় বরং একটি ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছি।
সেমিনারে ড. সৈয়দ মাবরুক বিল্লাহ বলেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকিং শুধু বাংলাদেশে নয়, বরং গোটা বিশ্বে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৮০টিরও বেশি দেশে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং এটি প্রতিবছর গড়ে ১০-১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা’র আয়োজনে আরও দুই বিভাগে ‘বিজ্ঞান উৎসব’

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের স্কুল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করতে বিকাশ ও বিজ্ঞান চিন্তার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। ঢাকা’র পর বিভাগীয় এই শহর দু’টির উৎসবে প্রায় ১০০টি স্কুলের ১৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠে বিজ্ঞান চর্চার এই আয়োজন।
সম্প্রতি রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাজশাহীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে আয়োজিত এই উৎসবে দুই বিভাগ থেকে ১২০টির বেশি প্রকল্প প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। খুদে বিজ্ঞানীদের প্রদর্শিত নানান উদ্ভাবনী প্রকল্পের মধ্য থেকে প্রতিটি বিভাগে সেরা দশ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, রংপুর উৎসবে কুইজে অংশগ্রহণকারী ৮০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই ক্যাটাগরিতে ২৫ জন ও রাজশাহীতে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
রংপুরে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডীন ড. মিজানুর রহমান, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. কে এম জালাল উদ্দীন আকবর ও বিকাশের ইভিপি ও রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান হুমায়ুন কবির।
রাজশাহীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি ও বিকাশের রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান এবং বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার।
বাড়তি চমক হিসেবে ছিলো বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন স্টল, বিজ্ঞান ভিত্তিক জাদুর প্রদর্শনী, লেখক, গণিতবিদ, বিজ্ঞান বক্তাদের বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, সংগীতানুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে ও কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংক ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় জীবনবীমা প্রতিষ্ঠান প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাথে একটি পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তির আওতায় প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আধুনিক, নিরাপদ ও সুবিধাজনক পেরোল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে প্রাইম ব্যাংক। কৌশলগত এই অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে না, ভবিষ্যতে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরও সহযোগিতার পথ সুগম করবে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্পন্সর ডিরেক্টর জাকারিয়া আহাদ।
এসময় প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন- এসইভিপি ও হেড অব ডিস্ট্রিবিউশনস মামুর আহমেদ; হেড অব পেরোল ব্যাংকিং হাসিনা ফেরদৌস; রিলেশনশিপ অফিসার ধীমান বর্মন। প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মোহাম্মদ সাইদুল আমিন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর; আব্দুল্লাহ আল-মানসুর, এসইভিপি ও কোম্পানি সেক্রেটারি; মো. গাজিউর রহমান বখতিয়ার, ইভিপি ও হেড অব এইচআর; শাখাওয়াত হোসেন, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এবং আলিমা আক্তার খানম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।