পুঁজিবাজার
ক্যাটাগরি বহালের সুবিধা পাচ্ছে জুন ক্লোজিংয়ের ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো পরপর দুই বছর লভ্যাংশ না দিয়েও ক্যাটাগরি বহালের সুবিধা শেষ হওয়ার আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে ‘জেড’ ক্যাটাগরি নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ না দিলে সেই কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। এ নির্দেশনা আজকে থেকেই কার্যকর হবে। ইতিমধ্যে যেসব কোম্পানি জুন ক্লোজিং সেগুলোর পর্ষদ সভা (বোর্ড সভা) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। গত হিসাব বছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা না করলেও ক্যাটাগরি বহাল রয়েছে এসব কোম্পানির। বিএসইসির নতুন নির্দেশনা আজকে থেকে কার্যকর হওয়ায় জুন ক্লোজিংয়ের এসব কোম্পানিগুলো পরবর্তী লভ্যাংশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাটাগরি অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ আরও একবছর ক্যাটাগরি বহালের সুবিধা পাচ্ছে জুন ক্লোজিংয়ের কোম্পানির শেয়ারগুলো। তবে যেসব কোম্পানি উৎপাদনে নেই সেসব কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে স্থান্তরিত হবে। একই সঙ্গে সামনে ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের কোম্পানির শেয়ারগুলোর হিসাববছরের পর্ষদ সভা হওয়ায় ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের কোম্পানির শেয়ার এ সুবিধা পাবেনা। ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের শেয়ারগুলোর কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় হিসাববছরের লভ্যাংশ ঘোষণা না করলেই জেড ক্যাটাগরিতে স্থান্তরিত হবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যর্থ হলে তাকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। একইসাথে টানা দুবছর বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করতে ব্যর্থ হলেও কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। তবে এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোন রিট পিটিশন বা আদালতে বিচারাধীন কোন আইনি প্রক্রিয়া থাকে তাহলে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছরের জন্য বিবেচনা করা হবে।
এছাড়া, উৎপাদনহীন কোম্পানি নিয়েও কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। এখন থেকে কোন কোম্পানি টানা ৬ মাস তার কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকলে বা উৎপাদন বন্ধ রাখলে সেটিকেও জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি কোন কোম্পানির টানা দুই বছর ক্যাশ ফ্লো নেতিবাচক আসলে এবং পরিশোধিত মূলধনের থেকে ঋণ বেশি হলে তাকেও স্থান দেওয়া হবে জেড ক্যাটাগরিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোন কোম্পানি সিকিউরিটিজ আইন, বিধি-বিধান, বিজ্ঞপ্তি, আদেশ কিংবা নির্দেশাবলী পালনে ব্যর্থ হলে বা অসম্মতি জানালে সেটিকেও কমিশনের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে।
নিয়মানুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমা এবং নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া যেকোন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ (স্টক/বোনাস শেয়ার ব্যতীত) প্রদান করতে পারে। নতুন নিয়ম মোতাবেক, কোম্পানির ক্যাটাগরি নির্ণয়ে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ বিবেচনা করা হবে।
এছাড়া, ব্যাংক, বিমা এবং নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত কোন কোম্পানি যদি ইতোমধ্যে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়, তবে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা বা পরিচালক কমিশনের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোম্পানিটির কোন শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় বা স্থানান্তর করতে পারবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন এই নির্দেশনার ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লেনদেনের নিষ্পত্তি) প্রবিধান, ২০১৩ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লেনদেনের নিষ্পত্তি) প্রবিধান, ২০১৩ এর প্রবিধান নং ৫(২) এর বিধানগুলি রহিত হবে। এসব বিধানের জায়গায় আজকের নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে।
এর আগে, ‘জেড’ ক্যাটাগরি সংক্রান্ত বিএসইসির ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর জারি করা আদেশে বলা হয়েছিল, পরপর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদান কিংবা বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হলে কমিশনের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ‘জেড’ গ্রুপে স্থানান্তর করা যাবে। তাছাড়া ৬ মাস বা তার বেশি সময় কোম্পানির উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পরপর দুই বছর নিট পরিচালন লোকসান অথবা পরিচালন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক থাকলে অথবা কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান তার পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে।
এতে আরও বলা হয়, আইনি কারণে এজিএম করতে না পারলে কিংবা সংস্কার, বিএমআরই ও দৈব দুর্ঘটনাজনিত কারণে ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বন্ধ থাকলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে না। এছাড়া সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের কারণে কমিশনের অনুমতিক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জ কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারবে। স্টক এক্সচেঞ্জ এসব বিধান পরিপালন করা হচ্ছে কিনা সেটি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করবে এবং বিএসইসির পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর বা সমন্বয় করতে পারবে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর আগের নির্দেশনা রদ করে আরেকটা নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিফিকেশনে জেড ক্যাটাগরির বিষয়ে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সেটলমেন্ট অব ট্রানজেকশন্স বিধিমালা অনুসারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে সাথে সাথে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারবে। ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএসইসির জারি করা আদেশের কারণে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ যেসব কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারেনি, সেগুলোকেও এখন স্থানান্তর করা যাবে।
এসএম

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার ভীষণভাবে পঙ্গু হয়ে আছে: ডিএসই চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজারকে বলা হয় মুক্তবাজার অর্থনীতির সর্বোত্তম সৃষ্টি। অমাদের দেশে দূর্ভাগ্যজনকভাবে বিগত বছরের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি বা যে নীতি সেটার কারনে আমাদের পুঁজিবাজার ভীষণভাবে সংকুচিত এবং পঙ্গু হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।
সোমবার (১৪ জুলাই) ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির আলোচনায় এসব কথা বলেন ডিএসই চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে রেগুলেশনকে এত কঠোর করা হয় যে, ভালো কোম্পানি যারা তাদের জন্য কস্ট অব কমপ্লায়েন্স খুব এক্সটেন্সিভ হয়। তারা সাধারণত এই রেগুলেশনের মধ্যে আসতে চায় না। মার্কেটের প্লেয়াররা ভালভাবে তাদের কাজ করতে পারে না।
পুঁজিবাজারকে অবশ্যই মার্কেটের ওপরে ছেড়ে দিতে হবে উল্লেখ করে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, এখানে মার্কেটের যারা অংশীজন আছে তাদের অংশগ্রহণেই যদি কোন ইনইফিসিয়েন্সি থাকে সেটাকে দূর করতে হবে। রেগুলেটর এখানে এসে প্রভাবিত করতে পারে না। যখন রেফারি হিসেবে ডিএসইকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তখন তাকে রেফারির ভূমিকা পালন করতে দিতে হবে। তাদেরকে বলা যাবে না যে এই সময়ে তুমি বাঁশি বাজাও আর এই সময়ে বাজাবে না। আমরা আশা করছি এই জায়গাটাতে পরিবর্তন আসবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ও অভিযোগ ছিল যে আমরা শীর্ষস্থানীয় পদগুলোতে নিয়োগ দিতে পারছি না। এটা মার্কেটের উপরে একটা অবিশ্বাস তৈরি করেছে। এ মাসের প্রথমে নতুন চিফ অপারেটিং অফিসার এবং চিফ টেকনোলজি অফিসার জয়েন করেছেন। আমরা আশা করছি শীঘ্রই আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ রিস্ক অফিসার জয়েন করে যাবেন। আমরা অন্যান্য জায়গা শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি।
মমিনুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে তালিকাভুক্তির কাজ স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে আসবে। সামগ্রিকভাব আমরা কিভাবে ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতেও কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, আইপিও ডিজিটালাইজেশনের কাজ করছি। আমরা কথা দিচ্ছি আগামী এক বছরের মধ্যে ১০টি আইপিও আমরা চাচ্ছি। আমরা বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে ২ মাসের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পাদন করব। এই মুহূর্তে যা ২ বছরের মতো লেগে যায়।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে দুষ্টচক্র সক্রিয় রয়েছে: আমীর খসরু

দেশের শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে একটি দুষ্টচক্র সক্রিয় রয়েছে, যা বাজারের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের একটি ‘ভালোর চক্র’ বা ভার্চ্যুয়াস সাইকেল গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে পুঁজিবাজার বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। কর্মশালাটি আয়োজন করে ইআরএফ ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারেজ হাউস মালিকদের সংগঠন ডিবিএ।
আমীর খসরু বলেন, শেয়ারবাজারে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। পাশাপাশি তাদের দক্ষতার ঘাটতিও রয়েছে। এই দুর্বলতা শুধু শেয়ারবাজার নয়, গোটা আর্থিক খাতকেই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।
তিনি অর্থনৈতিক খাতকে গণতান্ত্রিক করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, রাজনৈতিক গণতন্ত্রের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও গণতন্ত্রায়ণ প্রয়োজন, নইলে জনগণের অংশগ্রহণ এবং আস্থা অর্জন সম্ভব নয়।
তিনি দাবি করেন, বিএনপির শাসনামলে শেয়ারবাজার বা আর্থিক খাতে কোনো বড় ধরনের স্ক্যান্ডালের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বিগত সরকারগুলোর সময়ে অর্থনৈতিক খাত ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসিতে রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী থাকার সময় তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির অনুমোদন প্রক্রিয়া ইপিবি থেকে সরিয়ে বিজিএমইএর হাতে তুলে দেন, যার ফলে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়। একইভাবে ভবিষ্যতে সরকারি অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বেসরকারি খাতের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান।
সবশেষে আমীর খসরু বলেন, বিএনপি সরকারে এলে পুঁজিবাজারকে ধারণ করেই উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করবে, কারণ সত্যিকারের উন্নয়ন জনগণের অংশগ্রহণ ও আস্থার মাধ্যমে সম্ভব।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান, পুঁজিবাজার প্রতিবেদকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক মুনতাসির।
ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারকে জাতীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং নিয়ন্ত্রণ কাঠামোকে আরও বাজারমুখী করতে হবে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে নতুন এবং ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। গত ৯ মাসে মাত্র একটি কোম্পানি বাজারে এসেছে, যা বাজারের জন্য উদ্বেগজনক।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৫ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬৪টি শেয়ার ৬৪ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৫ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৪ জুলাই) ব্লকে সবচেয়ে বেশি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডসের ২ কোটি ৬১ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা রেনাটার ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই আরামিট পিএলসির

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরামিট পিএলসির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। সম্প্রতি কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ডিএসই’র পাঠানো নোটিশের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ০৭ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৫৮ টাকা ৭০ পয়সা। আর আজ ১৪ জুলাই বাজার শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০৮ টাকা ২০ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ ৫ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা।
এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
এসএম
পুঁজিবাজার
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএ-’ এবং স্বল্প মেয়াদি ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে।
কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্য অনুযায়ী এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম