কর্পোরেট সংবাদ
তালিকাভূক্ত ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ ক্যাশ ফ্লো রূপালী ব্যাংকের
গত বছরের প্রথম নয় মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫ ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ ক্যাশ ফ্লো বা শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বেড়েছে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র। তালিকাভুক্ত এই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকটি সহ ২২টি ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে। কমেছে ১২টির এবং একটি কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে এমন ২২ কোম্পানি হলো- রূপালী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্টান্ডার্ড ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড।
রূপালী ব্যাংক
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র। সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৫৪ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৬৯ টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৮৬ টাকা ১২ পয়সা। ব্যাংকটি ২০২২ সালে যেখানে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ১০৬ কোটি সেখানে ২০২৩ সাল শেষে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি। পরিচালন মুনাফার এই চিত্র পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত একমাত্র রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র। বছর শেষে পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৭ গুণেরও বেশি। গত বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ৭ গুণ। শুধু মুনাফা নয় বরং খেলাপি ঋণ আদায়, আমানতের প্রবৃদ্ধি, ঋণ বিতরণ, নতুন হিসাব খোলা, লোকসানি শাখা কমানো, অটোমেটেড চালানসহ সকল ক্ষেত্রের অর্জনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকটি। নগদ আদায়েও ব্যাংকটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ সফলতা এসেছে। এক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সফলতা দেখিয়েছে ব্যাংক।
এবি ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ০১ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ১৮ টাকা ৬৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২৭ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্র্যাক ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ০২ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ৪৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২৩ টাকা ৫৬ পয়সা।
সিটি ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৫ টাকা ৭২ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৭ টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা।
ঢাকা ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৪০ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২৫ টাকা ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪৯ টাকা ৮৭ পয়সা।
এক্সিম ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১ টাকা ৪৬ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২০ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৮ টাকা ৮৬ পয়সা।
আইসিবি ইসলামি ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১৬ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৬০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪৪ পয়সা।
আইএফআইসি ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৫ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৪০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩ টাকা ৫৫ পয়সা।
মিডল্যান্ড ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২৫ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩ টাকা ০৭ পয়সা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪২ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৮ টাকা ৮৩ পয়সা।
ন্যাশনাল ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১ টাকা ৫৩ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ১০ টাকা ৮৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৯ টাকা ৩০ পয়সা।
এনসিসি ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২ টাকা ৭২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা।
প্রাইম ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৪৭ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ০৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩ টাকা ৩৮ পয়সা।
পূবালী ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২ টাকা ২৭ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৯ টাকা ০১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা।
এসবিএসি ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৬৩ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২ টাকা ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪ টাকা ৯৯ পয়সা।
সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২ টাকা ৬৩ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা।
সাউথইস্ট ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ০৩ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২০ টাকা ৫২ পয়সা।
স্টান্ডার্ড ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৪ টাকা ০৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৬ টাকা ৩৪ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৫৩ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২১ টাকা ১৩ পয়সা।
ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৭২ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ১৮ টাকা ৪২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৫৩ টাকা ১৪ পয়সা।
ইউনিয়ন ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩১ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৬ টাকা ২৯ পয়সা।
উত্তরা ব্যাংক
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৭ টাকা ৪৪ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ১৩ টাকা ২৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৫ টাকা ৮৩ পয়সা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাবের মতবিনিময় সভা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সদস্যবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ্জ) মোঃ মতিউল ইসলাম ও যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জুরুল হক, ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস। এ সময় ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান।
হজ্জ সংক্রান্ত ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা নিয়ে বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম মাহবুব মোরশেদ। এজেন্সী স্বত্বাধিকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন আল কুতুব ট্রাভেলস-এর কুতুব উদ্দিন, আবাবিল হজ্জ গ্রুপের আলহাজ মোঃ আবু ইউসুফ, ইউরো এয়ার-এর মোঃ মাহমুদুর রহমান এবং চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস-এর সৈয়দ গোলাম সরওয়ার। সভায় অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোঃ জামাল উদ্দিন মজুমদারসহ ব্যাংকের ঊধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ ও হাব-এর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ
শক্তিশালী ডিজিটাল অর্থনীতি বিনির্মাণে ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে টানা ৪র্থ বারের মতো ‘এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ডিজিটাল বিজনেস ২০২৩-২৪’ অ্যাওয়ার্ড পেলো দেশের বৃহত্তম এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এবার ‘লিডিং বাই রেজিলিয়েন্স’ শিরোনামে আয়োজিত মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের ষষ্ঠ সংস্করণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক লেনদেনে অবদানের ভিত্তিতে ১৮টি ক্যাটাগরিতে ২৬টি বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিকাশের চিফ কাস্টমার সার্ভিস অফিসার নিশাত রহমান। এ সময় মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, বিকাশ-এর হেড অফ ব্যাংকিং পার্টনারশিপ অ্যান্ড অপারেশনস আদনান কবির রকি এবং হেড অফ বিকাশ সেন্টার শাকের বিন খোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাহকসেবার উন্নয়ন এবং জরুরি আর্থিক সেবা দেশের প্রতিটি প্রান্তে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিয়মিত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন করে আসছে বিকাশ। নিরাপদ ও সময়সাশ্রয়ী এসব ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে গ্রাহকদের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতাও এনেছে বিকাশ। আর তাই দেশের মানুষের কাছে ডিজিটাল অর্থ লেনদেনের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে বিকাশ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সরকার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। দিনমজুর-শ্রমিকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটো চালক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আগের মতোই আছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দিনমজুর-শ্রমিকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে দেশের মানুষকে কষ্টে রেখে উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এ সময় রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে হত্যার লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আর শেখ হাসিনা হত্যাকাণ্ড চালিয়ে মায়াকান্নার অভিনয় করতেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজউক কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মমিন উদ্দিন একটি অফিস আদেশ জারি করে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, রাজউকের ৯ম গ্রেডে ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের এবং অবশিষ্ট গ্রেড ১০ থেকে অন্য গ্রেডের কর্মকর্তাদের সম্পদ বিবরণী আগামী ৩০ নভেম্বর মধ্যে চেয়ারম্যান দপ্তরে দাখিল করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
পাঁচ দেশে যাওয়ার নিয়ে বাংলাদেশিদের সতর্কতা
বিশ্বের পাঁচটি দেশে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দেশ পাঁচটি হলো থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।
সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসী কিছু অসাধু ব্যক্তি ও এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম বা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে।
এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।
ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বা পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সতর্কতা বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এসব দেশে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।
এ বিষয়ে দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এমআই