সারাদেশ
রাজবাড়ী থেকে ভারতে গেল ওরশ স্পেশাল ট্রেন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১২৩তম পবিত্র ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ২ মিনিটে রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর উদ্যোগে ২৪টি বগিতে ২ হাজার ২৫৬ জন ওরশ যাত্রী নিয়ে স্পেশাল ট্রেন ভারতের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
এ সময় ট্রেন যাত্রীদের বিদায় জানান রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ, পৌর মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা, সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাবসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হাফেজ মওলানা মো. শাজাহান।
এদিকে, ২৪টি কোচের বিশাল ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলস্টেশনে প্রায় সারা দিন অবস্থান করে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে সাজানো হয় ইঞ্জিনসহ ট্রেনটির সকল বগি। ট্রেনটি দেখতে এবং যাত্রীদের বিদায় জানাতে দূরদূরান্ত থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলস্টেশন এলাকায় আসে। এরপর ট্রেনটিকে আরও সাজানো হয়। এরপর বিকেলে ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলস্টেশনের ২নং প্ল্যাটফর্মে আনা হয়। ট্রেনটিকে এক নজর দেখতে বিকেল থেকেই রাজবাড়ী রেলস্টেশন এলাকায় সর্বস্তরের মানুষ ভিড় করতে থাকে। কেউ কেউ তাদের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনকে বিদায় দিতে আসতে দেখা যায়। এ সময় তাদের একে অপরের থেকে দোয়া নিতে দেখা যায়।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ৩২তম ও বড় পীর গাউসুল আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ.) এর ১৯তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোর্শেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’ এর ১২৩তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দিবাগত রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে উদযাপিত হবে।
উক্ত পবিত্র ওরশ শরীফ পরিচালনা করবেন রাসুলে পাক (সা.) এর ৩৬তম ও বড় পীর গাউস-উল-আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ.) পাক এর ২৩তম অধস্তন আওলাদ পাক জিল্লেইলাহী, বেলায়েতের রবি, গাউসে জামান লাখো ভক্তের আকা ও কেবলা কাদেরীয়া তরীকার ‘সাজ্জাদানশীন হুজুরপাক হযরত সৈয়দ শাহ্ ইয়া’সুব আলী আল কাদেরী’ আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
রাজবাড়ীর আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন বলেন, ১২৩তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে ২৪টি বগি সম্বলিত মেদিনীপুর ওরশ স্পেশাল ট্রেনে ১৩১৮ জন পুরুষ, ৮৫৩ জন নারী, ৮৫ জন শিশুসহ (বালক-৫৫ বালিকা-৩০) মোট ২২৫৬ জন ওরশ যাত্রী নিয়ে আজ রাত ১০টা ২ মিনিটে ট্রেন লিডার আলহাজ্ব মো. মাহবুব-উল-আলম দুলালের নেতৃত্বে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন হতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। আগামী ১৭ তারিখ মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে ওরশ অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ওরশ শরীফ শেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি আবার রাজবাড়ী ফিরে আসবে।
তিনি আরও বলেন, শত বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্মীয় এই ওরশ উৎসবকে নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক এই ট্রেনটি দুটি দেশের সেতুবন্ধন এবং সব ধর্মের প্রতি একে অপরের সমান শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে জিআরপি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমনাথ বসু জানান, আজ বুধবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজবাড়ী রেলস্টেশনে ট্রেনটি আসে। সারা দিন ট্রেনটিকে সাজানোর পর রাত ১০টা ২ মিনিটে ছেড়ে যায়। রাজবাড়ী থেকে দর্শনা পর্যন্ত জিআরপি পুলিশ টিম স্পেশাল গার্ডে নিয়োজিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি। ভারতের মেদিনীপুরের সঙ্গে মিল রেখে রাজবাড়ীর বড় মসজিদে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
সমকামিতার অভিযোগে চাঁদপুরে দুই কিশোরী পুলিশে সোপর্দ

দুই ধর্মের দুই কিশোরীকে সমকামিতার অভিযোগে অভিভাবকরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। (২৬ এপ্রিল) সকালে তাদের চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
দুই কিশোরী হচ্ছে- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ইউসুফ মিয়ার মেয়ে রিতু (১৫) ও গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার অনিল এর মেয়ে আরোহি (১৬)।
স্থানীয় সূত্র ও কিশোরীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ায়ি মাসে উভয়ের টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। এরই মাঝে একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়া ও মনেরভাব বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে রিতু কয়েকদিন পূর্বে গোপালগঞ্জ আরোহির কাছে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে সে আরোহিকে নিয়ে তাদের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলা বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নে সকদিরামপুর গ্রামে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) চলে আসে।
চলতি মাসের ১৭ তারিখে মৌখিকভাবে পরিনয় সূত্রে তারা আবদ্ধ হয়েছে। তারা জানায়, ‘আমরা আবেগে নয়, মন থেকেই একে অপরের প্রতি ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা ও অবশেষে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছি।’ তবে তারা বিবাহ বন্ধনের কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি।
এদিকে সমকামিতার ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর রিতুর পরিবার শনিবার (২৬ এপ্রিল) তারা নিজেরা আরোহি ও রিতুকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, আরোহী নামের মেয়েটি হারিয়ে যাওয়ার জিডি মূলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
রাঙামাটিতে পিকআপ-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৫

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বাসিন্দা তোরাপ, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার পশ্চিম মনারটেকের বাসিন্দা নূর নাহার ও চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলার মাহমুদুর রহমান।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যাত্রীরা চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে রাবার বাগান এলাকায় পিকআপ সাথে সংঘর্ষে সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুই জনের মৃত্যু হয়।
ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে রাঙামাটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
এসিএলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট গ্র্যান্ড ফাইনাল

শরীয়তপুর জেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের আসামী কান্দি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে উত্তর তারাবুনিয়া প্রিমিয়ার লিগ (এসিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫, সিজন-৬ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ম্যাচ।
আসামী কান্দি ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয় মায়ের দোয়া স্পোর্টিং ক্লাব বনাম তারাবুনিয়া কিংস। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে তারাবুনিয়া কিংস নির্ধারিত ১৫ ওভারে সংগ্রহ করে ১৩৮ রান। ফলে মায়ের দোয়া স্পোর্টিং ক্লাবের জন্য জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৯ রান। জবাবে মায়ের দোয়া স্পোর্টিং ক্লাব ১৫ ওভার শেষে সংগ্রহ করে ১৩৪ রান। ফলে ৪ রানে জয়লাভ করে তারাবুনিয়া কিংস। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় (ম্যান অব দ্য ম্যাচ) নির্বাচিত হন তারাবুনিয়া কিংসের হায়ার খেলোয়াড় সুমন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আক্তার হোসেন আসামী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আ. হামিদ বকাউল, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন সরকার, আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ইমরান সরকার, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বেপারী, বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল মাঝি, বিএনপির আহ্বায়ক আ. ছামাদ আসামী, ইউপি সদস্য সুমন বকাউল উপস্থিত ছিলেন।
পরিচালনায় ছিলেন সোলায়মান আসামী, মো. শাহীন আসামী, আবু বক্কর ছিদ্দিক, সালাউদ্দিন আসামী, আ. রহিম আসামী, মো. মাহফুজ আসামী, মো. নুরে আলম আসামী, মো. মাহিন আসামী ও আরিফ আসামী।
খেলায় আম্পায়ারিং করেন মোল্লা আবুল হোসেন ও ওসমান সরকার। ধারাভাষ্যকার ছিলেন হোসাইন মোহাম্মদ মিল্টন ঢালী, দেওয়ান শাহ জালাল, নাজমুল আহসান তাঁতী। স্কোরার আবু বক্কর রিয়াদ আসামী।
পুরো আয়োজন জুড়ে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আসামী বাড়ি যুব সংঘ। মাঠভর্তি দর্শকের উৎসাহ, উদ্দীপনা ও করতালির মাঝে ম্যাচটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দর্শকরা রোমাঞ্চকর খেলা উপভোগ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চাঁদপুরে মফস্বল সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি প্রশিক্ষণ শুরু শুক্রবার

চাঁদপুর সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের আয়োজেন এই প্রথম মফস্বল সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রশিক্ষণে সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী নবীনদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
উদ্বোধনী প্রশিক্ষক থাকবেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপস্থাপক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, দৈনিক যুগান্তরের নগর সম্পাদক মিজান মালিক, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা ও দৈনিক আমার দেশ পাঠক মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মো. কাউছার আলম।
সপ্তাহে দুটি ক্লাস করে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রথম ব্যাচে ১৬টি ক্লাস নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবার ও শনিবার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশিক্ষণার্থীদের যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন চাঁদপুর সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মুসাদ্দেক আল আকিব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
টানা দ্বিতীয়বার শরীয়তপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ওবায়দুল হক

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানায় গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন ওবায়দুল হক। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক ও অপরাধ দমন এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। এই ধারাবাহিকতায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি শরীয়তপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে প্রথমবার পুরস্কৃত হন। এরপর টানা দ্বিতীয়বারের মতো এপ্রিল মাসে, তিনি আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (২০ এপ্রিল) শরীয়তপুর জেলা পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওসি ওবায়দুল হকের হাতে শ্রেষ্ঠ অফিসারের সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
মাদক উদ্ধার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অসাধারণ অবদানের জন্য তাঁকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন থানার ইনচার্জসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার গ্রহণের পর ওসি ওবায়দুল হক বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা। সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত থানায় থাকি। কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে, আমি আইনগত সহায়তা দিতে না পারলেও সৎ পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করি।
তিনি আরও বলেন, “সখিপুরবাসীর প্রতি আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। আমি চেষ্টা করব থানা এলাকা মাদকমুক্ত, জুয়ামুক্ত ও অপরাধমুক্ত রাখতে। যাতে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে এবং ভয় ছাড়াই থানায় এসে যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে পারে। পুলিশ জনগণের বন্ধু-এটাই আমার বিশ্বাস।”
উল্লেখ্য, তিনি এবার শরীয়তপুর জেলার টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন।