সারাদেশ
রাজবাড়ী থেকে ভারতে গেল ওরশ স্পেশাল ট্রেন
![রাজবাড়ী থেকে ভারতে গেল ওরশ স্পেশাল ট্রেন ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/02/00-119.jpg)
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১২৩তম পবিত্র ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ২ মিনিটে রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর উদ্যোগে ২৪টি বগিতে ২ হাজার ২৫৬ জন ওরশ যাত্রী নিয়ে স্পেশাল ট্রেন ভারতের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
এ সময় ট্রেন যাত্রীদের বিদায় জানান রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ, পৌর মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা, সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাবসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হাফেজ মওলানা মো. শাজাহান।
এদিকে, ২৪টি কোচের বিশাল ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলস্টেশনে প্রায় সারা দিন অবস্থান করে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে সাজানো হয় ইঞ্জিনসহ ট্রেনটির সকল বগি। ট্রেনটি দেখতে এবং যাত্রীদের বিদায় জানাতে দূরদূরান্ত থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলস্টেশন এলাকায় আসে। এরপর ট্রেনটিকে আরও সাজানো হয়। এরপর বিকেলে ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলস্টেশনের ২নং প্ল্যাটফর্মে আনা হয়। ট্রেনটিকে এক নজর দেখতে বিকেল থেকেই রাজবাড়ী রেলস্টেশন এলাকায় সর্বস্তরের মানুষ ভিড় করতে থাকে। কেউ কেউ তাদের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনকে বিদায় দিতে আসতে দেখা যায়। এ সময় তাদের একে অপরের থেকে দোয়া নিতে দেখা যায়।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ৩২তম ও বড় পীর গাউসুল আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ.) এর ১৯তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোর্শেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’ এর ১২৩তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দিবাগত রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে উদযাপিত হবে।
উক্ত পবিত্র ওরশ শরীফ পরিচালনা করবেন রাসুলে পাক (সা.) এর ৩৬তম ও বড় পীর গাউস-উল-আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ.) পাক এর ২৩তম অধস্তন আওলাদ পাক জিল্লেইলাহী, বেলায়েতের রবি, গাউসে জামান লাখো ভক্তের আকা ও কেবলা কাদেরীয়া তরীকার ‘সাজ্জাদানশীন হুজুরপাক হযরত সৈয়দ শাহ্ ইয়া’সুব আলী আল কাদেরী’ আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
রাজবাড়ীর আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন বলেন, ১২৩তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে ২৪টি বগি সম্বলিত মেদিনীপুর ওরশ স্পেশাল ট্রেনে ১৩১৮ জন পুরুষ, ৮৫৩ জন নারী, ৮৫ জন শিশুসহ (বালক-৫৫ বালিকা-৩০) মোট ২২৫৬ জন ওরশ যাত্রী নিয়ে আজ রাত ১০টা ২ মিনিটে ট্রেন লিডার আলহাজ্ব মো. মাহবুব-উল-আলম দুলালের নেতৃত্বে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন হতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। আগামী ১৭ তারিখ মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে ওরশ অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ওরশ শরীফ শেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি আবার রাজবাড়ী ফিরে আসবে।
তিনি আরও বলেন, শত বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্মীয় এই ওরশ উৎসবকে নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক এই ট্রেনটি দুটি দেশের সেতুবন্ধন এবং সব ধর্মের প্রতি একে অপরের সমান শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে জিআরপি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমনাথ বসু জানান, আজ বুধবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজবাড়ী রেলস্টেশনে ট্রেনটি আসে। সারা দিন ট্রেনটিকে সাজানোর পর রাত ১০টা ২ মিনিটে ছেড়ে যায়। রাজবাড়ী থেকে দর্শনা পর্যন্ত জিআরপি পুলিশ টিম স্পেশাল গার্ডে নিয়োজিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি। ভারতের মেদিনীপুরের সঙ্গে মিল রেখে রাজবাড়ীর বড় মসজিদে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
সারাদেশ
বিপৎসীমার ওপরে বরিশালে ১০ নদীর পানি
![বিপৎসীমার ওপরে বরিশালে ১০ নদীর পানি ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/nodi.jpg)
পূর্ণিমা ও উজানের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পায়রা ও ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ও ঝালকাঠির বিষখালী নদী বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২৪ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদী ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা ১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলার বিষখালী নদী ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদী ৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদী ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদী বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও ১২২ বন্দীর আত্মসমর্পণ
![নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও ১২২ বন্দীর আত্মসমর্পণ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/h.jpg)
নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া আরও ১২২ বন্দী আত্মসমর্পণ করেছেন। এ নিয়ে গত ৪ দিনে ৮২৬ বন্দীর মধ্যে ৪৬৮ জন বন্দী আইনের আওতায় এসেছেন। তাদের মধ্যে ৪৩৯ জন জেলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে ও বাকিরা বিভিন্ন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বা থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আদালতে উপস্থিত হয়ে ১২২ বন্দীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম।
তিনি জানান, কারাগার থেকে সব বন্দী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরই অনেকে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন। কারণ, অনেক বন্দীই তখন পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন এসব বন্দীর স্বজনেরা। তাঁদের আইনজীবী সমিতিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ৫ জন, মঙ্গলবার ১৩৮ জন, বুধবার ১৫৫ জন ও আজ ১২২ জন বন্দী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি; পরবর্তী নির্দেশ পেলে আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কারাগার কর্তৃপক্ষের দুটি মামলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় করা ১০ মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এসব মামলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১২৯। তাদের আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে দিলে নয় ‘জঙ্গি’সহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়। এর আগে অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫০টি গুলি লুট করা হয়। প্রাথমিকভাবে কারা কর্তৃপক্ষ ও রক্ষীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও অবস্থা বেগতিক দেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে তারা জীবন বাঁচাতে কয়েদিদের সঙ্গে মিশে যান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চলে গেলেন ছারছীনার পীর সাহেব শাহ মোহেবুল্লাহ
![চলে গেলেন ছারছীনার পীর সাহেব শাহ মোহেবুল্লাহ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sarsina-darbar-sharif-pir1.jpg)
ছারছীনা দরবার শরীফের পীর সাহেব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭০ বছর।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি নেছারাবাদ উপজেলার ছারছীনা কামিল আলিয়া ও কওমিয়া মাদ্রাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
পরিবার সূত্র জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। প্রথমে তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে এবং সব শেষে ঢাকার গ্রিন রোডস্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীর সাহেব কেবলার বড় ছেলে আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছরুদ্দীন আহমদ হোসাইন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় হুজুরের জানাজা ছারছীনা মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ অরাজনৈতিক সংগঠন জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির ছিলেন পীর সাহেব। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দুই হাজার দ্বিনিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদার্রেসিনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ সাহেব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা
![কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/bonna.jpg)
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতের মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাট, পটল, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধু কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় শুধু কৃষিতে ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার।
অপরদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে মানুষজন। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর-বাড়ির ক্ষতি নিরূপণ কাজ করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এ ছাড়া কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে তাই পরামর্শ দিচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিবাহিত বেশি রাজশাহীতে, অবিবাহিত সিলেটে
![বিবাহিত বেশি রাজশাহীতে, অবিবাহিত সিলেটে বিয়ে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2018/07/বিয়ে.jpg)
দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ মানুষ বিবাহিত। এর মধ্যে বিবাহিতের হার সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশ রাজশাহী বিভাগে। অন্যদিকে এ জনগোষ্ঠীর হার সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ সিলেট বিভাগে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আর্থ-সামাজিক ও জনমিতিক জরিপ-২০২৩’র বৈবাহিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বছরের ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দেশের ১২ হাজারেরও বেশি এলাকার প্রায় দুই লাখ ৯৯ হাজার পরিবারের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, সিলেটের মানুষ বিদেশে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেশি। উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে গড়তে সময় পার হয়ে যায়। কারণ সবাই চান প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করতে। তাই অবিবাহিতের সংখ্যা সিলেটে বেশি।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবিবাহিত পুরুষের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে, প্রায় ৪৫ শতাংশ। অপরদিকে রাজশাহী বিভাগে অবিবাহিত পুরুষ সবচেয়ে কম, ৩১ শতাংশ। পাশাপাশি সিলেট বিভাগে অবিবাহিত নারী সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে, রাজশাহীতে এ হার সবচেয়ে কম ১৮ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, নারীর চেয়ে পুরুষের একাধিক বিয়ের হারও বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪ শতাংশ পুরুষ একবারের বেশি বিয়ে করেছেন। বিপরীতে এক শতাংশের বেশি নারী একবারের বেশি বিয়ে করেছেন। পাশাপাশি বিপত্নীক হিসেবে এক শতাংশের কিছু বেশি পুরুষ একা জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে, প্রায় ৯ শতাংশ নারী বিধবা হিসেবে জীবনযাপন করছেন।
বৈবাহিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ বিবাহিত। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে বিবাহিতের হার সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশ। অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে বিবাহিত জনগোষ্ঠীর হার সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ।
এমআই