অর্থনীতি
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে ২ কোটি ইউরো দেবে জার্মানি

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য দেশের পাঁচ প্রকল্পে ২ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ইউরো অনুদান দেবে জার্মানি। দেশটির কারগরি সহযোগী সংস্থা ‘গিজ’ (ডয়েচে গেজেলেশাফ্ট ফুয়ের ইন্টারন্যাশিওনালে সুজামেনারবাইট- জিআইজেড) অর্থ সহায়তা দেওয়ার পাঁচটি চুক্তি করেছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকার ও জার্মান সরকারের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্প শিক্ষার উন্নয়ন আর বাকি চারটিই দক্ষতা উন্নয়ন।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জার্মান সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন গিজ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আন্দ্রেস কুক।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে টেক্সটাইল খাতের উন্নয়নে ‘হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফর সাসটেইনেবল টেক্সটাইলস- হেলড শীর্ষক প্রকল্পে ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ইউরো অনুদান দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, টেকসই করপোরেট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেক্সটাইল শিল্পের ভবিষ্যত বিশেষজ্ঞ এবং পরিচালকদের ভিত্তিক দক্ষতা জোরদার করা। এ প্রকল্পটি কলেজ, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে টেকসই পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করা হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ টিভিইটিতে সামাজিক এবং পরিবেশগত বিষয়গুলি চালু করা হবে। টেক্সটাইল এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পে তরুণ পেশাজীবীদের জন্য টেকসই ব্যবস্থাপনায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজ করা সংস্থা স্রেডার ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর সাসটেইনেবল এনার্জি সলিউশন্স’ শীর্ষক প্রকল্পে ৫০ লাখ ইউরো অনুদান দেবে জার্মানভিত্তিক এ সংস্থা। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো- টেকসই জ্বালানি খাতের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা। এ ধরনের শিক্ষা বাজারের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করে স্রেডা। প্রকল্পটি প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার একটি সাধারণ বোঝাপড়া বিকাশের জন্য কাজ করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে নেওয়া প্রকল্প ‘স্কিল ফর সেলফ মনিটরিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইথ ক্লিন অ্যান্ড ফেয়ার প্রোডাকশন ইন দ্য টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পে ৭০ লাখ ইউরো অনুদান দেওয়ার চুক্তি হয়েছে জার্মানির এ সংস্থার সঙ্গে। এ প্রকল্পটি রেডি-মেড গার্মেন্ট সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) মাধ্যমে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পে নিরাপত্তা, শ্রম এবং পরিবেশগত মান পর্যবেক্ষণ উন্নত করতে চায়। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, প্রকল্পটি আরএসসির প্রযুক্তিগত এবং সাংগঠনিক ক্ষমতা জোরদার করার জন্য কাজ করছে।
আঞ্চলিক প্রকল্প ডিজিটাল স্কিল টু সাকসিড ইন এশিয়া (২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত চলমান) ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫২৬ ইউরো সহায়তা দেবে সংস্থাটি। এর লক্ষ্য হলো- উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, উন্নত অধ্যয়ন কর্মসূচির টেকসই বাস্তবায়নকে উৎসাহিত করা। জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএমজেড) পক্ষ থেকে জিআইজেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ফোকাস হল একটি উচ্চ শিক্ষার নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা, যা বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং ভারতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আরও আন্তর্জাতিক অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে।
স্রেডার আরেকটি প্রকল্প ‘এনার্জিসিং ডেভেলপমেন্ট’ এ ২০ লাখ ইউরো ঋণ দেবে জিআইজেড। দক্ষ এবং পরিষ্কার রান্নার পাশাপাশি সৌর শক্তি প্রযুক্তির উৎপাদনশীল ব্যবহারকে উৎসাহ দেবে এ প্রকল্প। প্রোগ্রামটি ই-কুকিং অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং বায়োমাস ভিত্তিক উন্নত রান্নার প্রযুক্তি এবং ই-রিকশার সোলার ব্যাটারি চার্জিং সহ আধুনিক শক্তি সুবিধার জন্য বাজারের উন্নয়নে সহায়তা করে। জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএমজেড) পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার ডিভিশনকে সহায়তা করছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
ঈদের আগে সোনার দাম বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায়

ঈদের আগে দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা। এর আগে দেশের বাজারে সোনার দাম এত হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়।
বুধবার (২৬ মার্চ) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এতদিন দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম সর্বোচ্চ ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৫ টাকা। গত ১৯ মার্চ এই দাম নির্ধারণ করা হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখন দাম বাড়ানোর কারণে সেই রেকর্ড ভেঙে সোনার দাম নতুন উচ্চতায় উঠলো।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৮০৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ৩০৩ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে ১৯ মার্চ সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২০১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিকেএমইএ’র কারখানার ৭৬ শতাংশ শ্রমিকের বোনাস পরিশোধ

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সদস্যভুক্ত কারখানার ৭৬ শতাংশ শ্রমিক ঈদুল ফিতরের বোনাস পেয়েছেন। একই সঙ্গে বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ কারখানায় শ্রমিকদের চলতি মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেএমইএ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এ তথ্য জানায়।
বিকেএমইএ সূত্র জানায়, বিকেএমইএ’র মোট কারখানা ৬১৩টি। কারখানাগুলোতে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধের হার প্রায় শতভাগ। ২৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার ২৫০ কারখানায় (মার্চ মাসের) বেতন পরিশোধের হার ৪৮ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং বোনাস পরিশোধের হার ৮৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। একই সময়ে নারায়ণগঞ্জের ২৭১ কারখানার ৪১ দশমিক ১৫ শতাংশ কারখানায় বেতন দেওয়া হয়েছে। বোনাস পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৪১ শতাংশ শ্রমিক।
চট্টগ্রামের ৯টি কারখানায় ৯৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ শ্রমিক বেতন পেয়েছেন। এছাড়া ঈদের বোনাস দেওয়া হয়েছে ৯১ দশমিক ৯৫ শতাংশ শ্রমিককে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক খান পাভেল এ তথ্য নিশ্চত করেন।
এদিকে ঈদে নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ঈদ যাত্রার শুরুতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে ঘুরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রথমদিন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে গণপরিবহনের সংখ্যাও খুব কম। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ সড়ক দিয়ে ঘুরমুখো মানুষ।
সরেজমিনে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, আগের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। তবে গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পরিবহন পাচ্ছে না তারা। পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে স্বেচ্ছাসেবীরা দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
মহাসড়কের এলেঙ্গায় কথা হয় সজিব নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে রংপুরে যাবো। অনেকক্ষণ মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গাড়ি পাচ্ছি না।
হামিদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, আমি কালিহাতীতে বল্লা এলাকায় সুতার মিলে কাজ করি। ঈদে বাড়িতে কুড়িগ্রাম যাওযার জন্য বেলা ১১টা থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। যাও দুই একটি গাড়ি পাচ্ছি দ্বিগুণ ভাড়া চাওয়া হচ্ছে।
দিদারুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, আমি রংপুর যাবো। সাধারণরত রংপুরের ভাড়া ৪০০ টাকা। কিন্তু আজকে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা। আরেকদিকে কাঙ্খিত গণপরিবহন পাওয়া যাচ্ছে না।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মির্জানুর রহমান বলেন, বিকেল থেকে মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৭০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এরমধ্যে মোবাইল টিম, মোটরসাইকেল টিম দায়িত্ব পালন করা হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে চারটি সেক্টর ভাগ করা হয়েছে। মহাসড়কে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে দিকে নজরদারি রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে মাহফিল সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব।
এসময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে অনেক টাকা ছাপানো হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সরকার ব্যাংকগুলো রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান কমেছে, তাই প্রবাসী আয় বেড়েছে। টাকা পাচার কমেছে, সেটা তেমন দৃশ্যমান হচ্ছে না, কারণ ভবিষ্যতের জন্য রোডম্যাপ করতে হবে। এক বছরের পরিকল্পনায় হবে না।
বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে চাইবে না। তবে এতকিছুর মধ্যেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমেছে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটুকু প্রকাশ করা হবে তত স্বচ্ছতা বাড়বে। আগের সরকার যেসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল তাতে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো। এতে সরকারও টিকে থাকতে পারতো না। টাকা ছাপানো, টাকা পাচারের ফলে রিজার্ভ থাকতো না। বৈদেশিক লেনদেন ঠিক থাকতো না। ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছিলো। শেষের দিকে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে বন্ধ হয়ে যেতো।
বিটিভিতে সরকারের সমালোচনা করে টক শো হোক- সেই দাবিও করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২২ সালের ২৯ মে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ, স্টাডি ট্যুর, এক্সপোজার ভিজিট, সভা ও সেমিনারে অংশ নিতে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। তবে এখন থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক প্রয়োজনে অত্যাবশ্যকীয় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের বিদেশ ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক যে নির্দেশনা রয়েছে তা পরিপালন করতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০২৩ এর ৪১(২) (ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।