জাতীয়
শর্ট নোটিশে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

শর্ট নোটিশে কোন গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অফিসিয়ালি একটি নির্দেশনা দেব। আপাতত কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে কোনো প্রতিষ্ঠান শর্ট নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে পারবে না। কমপক্ষে তিন মাসের নোটিশ দিতে হবে।
বুধবার সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সকাল বেলা চাকরিচ্যুত করার চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হলো, এটা হচ্ছে সব ধরনের হিউম্যান রাইটসের ইনিভার্সাল কনভে্শনের ভায়োলেন্স। এটা আটকানোর জন্য কোনো আইনের দরকার আছে বলে আমি মনে করি না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অফিসিয়ালি একটি নির্দেশনা দেব- আপাতত কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে কোনো প্রতিষ্ঠান শর্ট নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে পারবে না। কমপক্ষে তিন মাসের নোটিশ দিতে হবে। কোনো গণমাধ্যমকর্মীও যদি মনে করেন তার মালিক পক্ষকে তিন মাসের নোটিশ দেবেন, সেটি দুই মাসও হতে পারে, তা দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারি।
‘কিন্তু সিদ্ধান্ত আমরা নিলাম মন চাইল হুট করে চাকরিচ্যুত করা বা মন চাইল হুট করে চাকরি ছেড়ে দেন, এটা হতে পারে না। সব গণমাধ্যমে এ নির্দেশনা অফিসিয়ালি পাঠাব।’
তিনি বলেন, ইউটিউব, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে একটি নীতিমালার আওতায় আনা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন। এটি নিয়ে সাংবাদিকরা বলেন, আপনাদের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আমরা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেব।
আরাফাত বলেন, আপনারা চাচ্ছেন এখানে অফিস খুলতে হবে। আপনারা সবাই মিলে যখন মানববন্ধন করবেন, তখন বিদেশি মোড়লরা বলবে আমরা সাংবাদিকতার স্পেস সংকুচিত করার জন্য করছি, তখন আপনাদের ভয়েজ রেইজ করতে হবে। এ দেশে যদি আমরা সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও তথ্যপ্রবাহকে অবাধ করতে পারি শুধু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এখান থেকে বেনিফিটেড হবে। কারণ মুক্তিযুদ্ধ সত্য। বিকৃত যারা করেছে, অসত্য যারা করে তাদের যখন আটকে দিতে যাবেন তখন উঠে আসে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে আটকে দেওয়ার প্রশ্ন।
তিনি আরও বলেন, কে সাংবাদিক হবেন সে ব্যাপারেও একটি নীতিমালা থাকার প্রয়োজন বলে সাংবাদিকরা বলেন। আমরা বলব গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার এত বেশি উদার নৈতিকতার পরিচয় দিয়েছেন যে গণমাধ্যমে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করছেন তাদের বাইরে অনেক অপেশাদার লোকজনও সাংবাদিকতায় চলে এসেছে, এখানে নীতি-নৈতিকতা বহির্ভূতভাবে, নিয়ন্ত্রণ তো বাদই দেই, মাশরুমের মতো গজিয়ে গেছে, এটা কিন্তু আপনারাই আমাদের বলছেন, আমরা বরং এখানে উদার, আমরা কাউকে আটকাইনি।
‘এ উদার নৈতিকতার ফলে সাংবাদিকতার জায়গায় প্রফেশনালিজম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে আপনারা বলছেন। আপনাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এগুলো নিয়েও নীতিমালা তৈরি করব। যেন গণমাধ্যমের পরিবেশের মধ্যে ডিসিপ্লিন আসে’
টিভিতে গ্র্যাচুয়িটি দেওয়ার বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠান লাভজনক না হলে এটি করা কঠিন হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আইএসপির যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ক্লিন ফিড বাদ দিয়ে প্যাকেজ দিতে পারেন না। এ বিষয়ে আমরা সবাইকে নোটিশ দেব, এরপর আইনি ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ডিজিটাল করতে সব বডিকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে নিয়ে কো-অর্ডিনেশন সেল করছি। আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিধি দেব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছবো।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার: প্রেস উইং

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শুক্রবার (৯ মে) প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে।
ইতোমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে বলেও উল্লেখ করেছে প্রেস উইং।
এতে আরও বলা হয়, এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়ে সরকার অবগত বলেও উল্লেখ করেছে প্রেস উইং। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার-বরখাস্ত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিনভর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে রাত পৌনে ৮টায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বার্তায় জানানো হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার ও আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবির একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- অতিরিক্ত এসপি তাহসিনা আরিফ, এসআই মো. আজহারুল ইসলাম ও এটিএসআই মো. সোলায়মান।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
এ মামলা হওয়ার আগে কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করে প্রায় অর্ধশত মামলা হয়। তবে সেসব কোনো মামলাতেই আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়নি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনবো, না হলে চলে যাবো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশত্যাগে যারা যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের শুধু পদত্যাগ না, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। যদি আমি তাদের শাস্তির আওতায় আনতে না পারি তাহলে আমি চলে যাবো (পদত্যাগ করবো)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আইশৃঙ্খলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ট। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় যারা যারা জড়িত তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। আপনারা যে পরিস্থিতিতে আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি থেকে এখন পর্যন্ত অনেক উন্নতি হয়েছে তো।’
এরপর দিনাজপুর গম গবেষণা ইনস্টিটিউটে মতবিনিময় সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ত্যাগ করেন উপদেষ্ট।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ৯ মাস পর দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার (৭ মে) দিনগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ল

সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বা ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৮ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে অর্থাৎ সারাদেশে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং কোস্টগার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) সারা দেশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪ মে থেকে পরবর্তী ৬০ দিন এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দুই মাস বা ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে গত ১৫ নভেম্বর, ১২ জানুয়ারি ও ১৩ মার্চ তিন দফায় সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া ক্ষমতা দুই মাস করে বাড়ানো হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নারীসহ ৫জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চারজনকে চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন, আব্দুস সামাদ ফকির, তার ছেলে বিল্লাহ ফকির, মেয়ে আফসানা ও অ্যাম্বুলেন্স চালক। অপরজনের নাম জানা যায়নি।
দুর্ঘটনায় আহতরা জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামে। বিল্লাল ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) অন্তঃসত্ত্বা। চলতি মাসের ২৩ তারিখ তার বাচ্চা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ। তবে গতরাত থেকে তার ব্যথা হচ্ছিল। এজন্য সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পরিবারের ১০ জন মিলে ঢাকার পথে আসছিলেন। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার কথা ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দেয়ার পর এক্সপ্রেস ওয়ের নীমতলি এলাকায় আসার পর চাকা পাংচার হয়ে যায়। এরপর রাস্তার ডান পাশে চাপিয়ে সেটির চাকা মেরামত করছিলেন চালক। আর তারা কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে বসে ছিলেন, আর কয়েকজন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পিছন থেকে এসে সজোরে অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয়।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসের হেল্পার সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান, তারা কুষ্টিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি নিয়ে আসতেছিলেন ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকায়। নীমতলী এলাকায় এক্সপ্রেস ওয়ের ডান পাশের লেনে দাঁড়িয়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন দ্রুতগতির বাসটি চালক ফয়সাল (৪০) ব্রেক করেও থামাতে পারেননি। সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের পিছনে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাইওয়ে থেকে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চারজন মারা যায়। এরমধ্যে এক নারী তিন পুরুষ। আহত কয়েকজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, মাওয়ার নীমতলি এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। আর আহতদের ঢাকা মেডিকেল পাঠান হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে কেউ মারা গেছে কিনা সেটি তার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে যেই নারী নিহত হয়েছেন তার লাশ পুলিশ হেফাজতে আছে। বাস, অ্যাম্বুলেন্স দুটিই জব্দ করা হয়েছে।
কাফি