পুঁজিবাজার
ব্রোকারেরা ডিএসইকে বাঁচিয়ে রাখবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ব্রোকারেরা ডিএসইকে বাঁচিয়ে রাখবে। আর যদি ব্রোকারদের বাঁচিয়ে রাখার কথা শুনতে হয় সেটা অনেক কষ্ট লাগে। নতুন নির্বাচন হয়েছে, নতুন সরকার এসেছে। এখন সময় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর নিকুঞ্জ টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘ডিবিএ স্টক ব্রোকার্স পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এবং এশিয়া সিকিউরিটিজ ফোরামে (এএসএফ)’ সদস্য হওয়ায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে পুঁজি নিয়ে আসতে হবে। ধার করা টাকা দিয়ে বাজার চলতে পারে না। আমাদের সবকিছুই নিজেদের আছে। তবে আমরা এখনো ডিমিউচুয়ালাইজড হতে পারি নি। আমাদের ক্যাপিটাল ফর্মেশন গত ৫২ বছরে হয়নি। এখনো ব্যাংক খাতের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।
তিনি বলেন, আমি ডিএসইতে অথরাইজড হিসেবে কাজ করেছি। প্রথম দিকের তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ছিলো আমার বাবার কোম্পানি মোনা ফাইন্যান্স। আজকে এই যায়গায় আসার পেছনে ডিএসইর অবদান অনেক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মিজানুর রহমান, ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন, এছাড়া ডিএসইর চেয়ারম্যান হাফিজ মোহাম্মদ হাসান এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. তারিকুজ্জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম।
বিএসইসি কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, আজকে এটা আনন্দের সময়। কারণ ডিবিএ এশিয়া সিকিউরিটিজ ফোরামে যুক্ত হতে পেরেছে। বাজারের একটি স্তম্ভ ব্রোকারগুলো। বিএসিইসি ডিএসই ও এসোসিয়েশনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার বিষয়টি ব্রোকারকেন্দ্রীক বেশি। এজন্য রিয়েলটাইম সেবা দিতে ব্রোকারদের সঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যে বড় ব্রোকারগুলো তাদের এ্যাপস আপডেট করছে। এতে ব্যয় অনেক কমে আসবে। আগামী এক দুই বছরের মধ্যে ব্রোকার সেবা আন্তর্জাতিক মানে চলে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কমিশনার আব্দুল হালিম বলেন, আমরা অনেক আনন্দিত, কারণ ডিবিএ আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি সদস্যদের পুরস্কৃত করছে ডিবিএ। এসব কারণে কমপ্লায়েন্সের বিষয়টি উন্নতি লাভ করবে। এখন ২০ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে,। অন্যরা সামনে আরও ভালো করবেন এবং বাজারের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবেন। সাংসদের বেশ কিছু প্রতিনিধি পুঁজিবাজারে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। বড় বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদে থাকতে চায়। পুঁজিবাজার যাতে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে সবাই মিলে সেই চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে কমশনের যা যা করতে হবে তা করবে, কমিশন পিছপা হবে না।
তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রিসার্চ উইং থাকলে ভালো হবে। বিএসইসি থেকে চিঠি পেলে যেন সঠিকটা বুঝে উত্তর দিতে পারে। কারণ গেজেট হয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের এই ২০টি ব্রোকারেজ ডিএসইর ৫০ শতাংশ লেনদেন করে। ভারতে মাত্র ৫টি ব্রোকারেজ হাউজ ৬০ শতাংশ লেনদেন সম্পন্ন করে। এর কারণ হচ্ছে তারা প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। আমাদের এখানেও টেকনোলজিতে বেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে পারলে সময় ও ব্যয় উভয়ই বাঁচবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের প্রচুর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। হাউজগুলো টেকনোলজিতে আরও উন্নয়ন ঘটাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মূলধন হারালো ১২ হাজার কোটি টাকা, সূচক কমলো ১৫৭ পয়েন্ট
দেশের পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা।
চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সবকটি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৬৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩২৯ কোটি ২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৭০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৪৪১ কোটি ৮ লাখ টাকা।
এদিকে, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৮২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭২ টি কোম্পানির, কমেছে ২৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসান বেড়েছে ৯ গুণ, লভ্যাংশ দেবে না জিএসপি ফাইন্যান্স
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৯ টাকা ৭৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ০৬ পয়সা লোকসান হয়েছিল। তাতে কোম্পানিটির লোকসান ৯ গুণের বেশি বেড়েছে।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৮ টাকা ০৫ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনে আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জনতা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ১ টাকা ৩১ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ১৯ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিলকো ফার্মার আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৮৪ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে এনার্জিপ্যাক, দেবে না লভ্যাংশ
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ৪৫ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।
এমআই