জাতীয়
আনসার-গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যক্রম আরো বেগবান করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যক্রম আরো বেগবান করতে হবে।
আগামীকাল সোমবার ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ’ উপলক্ষে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ’ উপলক্ষে এ বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা ও জনসম্পৃক্ত বাহিনী। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব প্রয়োজনে আনসার বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মত্যাগকারী বীর আনসার সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প এবং বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে এ বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে থাকেন।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় এ বাহিনীর সদস্যরা সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়মিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এ বাহিনী যুব ও নারীদের বিভিন্ন পেশায় বিনা মূল্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে এ বাহিনীর কার্যক্রম আরো বেগবান করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শান্তি শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা’-এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সেবার মহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও জননিরাপত্তায় সদা নিয়োজিত থাকবে।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তিনি।

জাতীয়
ঢাকা উত্তরের ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: প্রশাসক

ঈদুল আজহার প্রথম দিন সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮৫ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এ কথা জানান।
প্রশাসক এজাজ বলেন, কোনো ওয়ার্ডেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ময়লা পড়ে নেই। প্রধান সড়কগুলোর পাশে সব ময়লা আমরা পরিষ্কার করেছি।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা সাত হাজার ৮০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং করেছি। যা কোরবানি উপলক্ষে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ। আগামী তিন দিন আমাদের বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলবে।
জাতীয়
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৬ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) তিনজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে চার জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সাতজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) দুইজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট চার হাজার ৪৮৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে চার হাজার ৯৩০ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক পাঁচ শতাংশ নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৩ জন মারা গেছেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫৭৫ জন।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শনিবার (৭ জুন) দুপুরে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তারা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়াও দুপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার (৭ জুন) দুপুরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সারা দেশে উৎসবের আমেজে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, কোরবানির ত্যাগ ও পারস্পরিক সহানুভূতির এক মহৎ বার্তা নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা।
জাতীয়
জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে।’
শনিবার (৭ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের নিজ গ্রামের তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পরপর তিন বার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। তবে দেশের সংকট শেষ হওয়া খুবই জরুরি।
জামায়াত আমির বলেন, ঈদুল আজহা ত্যাগ, আত্মনিয়োগ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির পরীক্ষা। এ মহিমান্বিত দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক– অন্যায়, জুলুম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জাতিকে সত্য, ন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এসময় সিলেট মহানগরী আমির ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ভাটেরা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম প্রমুখ।