বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেছেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশের স্বার্থে কিছু সংরক্ষণমূলক নীতি নেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, বর্তমানে বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল, তুলা, সার, লোহা ও স্টিল, নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর, বয়লার্স, যান্ত্রিক সরঞ্জাম, ভোজ্য তেল, তেলবীজ, প্লাস্টিক পণ্য, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, গাড়ি, রেলওয়ে ইঞ্জিন, নিটওয়্যার, লবণ, বিভিন্ন প্রকার জৈব রাসায়নিক দ্রব্যাদি, গবাদি পশুর খাদ্য এবং বিভিন্ন ধরনের মসলা আমদানি করা হয়।
তিনি বলেন, যেকোন দেশের উন্নয়নের জন্য আমদানির প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে আমদানি রোধ নয় বরং দেশের স্বার্থে তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। রপ্তানিমুখীসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবেও পণ্য আমদানি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমদানি ও রপ্তানি (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৫০ আছে, যা যুগোপযোগী করার লক্ষে আমদানি ও রপ্তানি আইন নতুনভাবে প্রণীত হচ্ছে। এ আইনের অধীন আমদানি নীতি আদেশ রয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী কিছু কিছু পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং কিছু পণ্য শর্তসাপেক্ষে আমদানির বিধান রাখা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যসামগ্রী অবাধে আমদানিযোগ্য। ডব্লিউটিওর সদস্য হিসেবে এবং এর বিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম নিতে হচ্ছে। তবে দেশীয় শিল্প বিকাশের স্বার্থে কিছু সংরক্ষণমূলক নীতি নেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
কাফি