প্রবাস
বাংলাদেশ থেকে ২০০ দক্ষ নারী কর্মী নিবে তুরস্ক
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড- বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে দক্ষ নারী কর্মী নেওয়ার কথা জানিয়েছে তুরস্ক। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে কর্মী নিয়োগের এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তুরস্কের ইউরোটেক্স টেক্সটাইল কোম্পানিতে টেক্সচারাইজিং, স্পিনিং ও ডাইং পদে ২০০ নারী কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। চাকরির চুক্তির মেয়াদ হবে ২ বছর, যা নবায়নযোগ্য। কর্মীকে সপ্তাহে ৬ দিন এবং প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। মাসিক বেতন দেওয়া হবে ৫১ হাজার টাকা। এ ছাড়া কর্মীর প্রাথমিক চিকিৎসার খরচ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ থাকা-খাওয়া এবং বিমানভাড়া বহন করবে নিয়োগদাতা কোম্পানি।
আবেদন করতে বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। সেইসঙ্গে কর্মীর উচ্চতা ৫ ফিট ৩ ইঞ্চি এবং ন্যূনতম এসএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
আগ্রহী প্রার্থীকে ইংরেজিতে এক কপি জীবনবৃত্তান্ত, অভিজ্ঞতার সনদ, পাসপোর্টের রঙিন কপি এবং অন্যান্য তথ্য জমা দিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কর্মীদের বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য ফিসহ মোট ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা পে অর্ডারের বোয়েসেলে জমা দিতে হবে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৬০২ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধের অভিযোগে ২১৪ বাংলাদেশিসহ ৬০২ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলম জেলার তামান শ্রী মুদা সেকশন ২৫ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে ২১৪ জন বাংলাদেশি, নেপালের ১১৫, মিয়ানমারের ৮৬, ৮১ জন ইন্দোনেশিয়ার, ৬০ জন ভারতের, ৩৪ জন পাকিস্তানের, শ্রীলঙ্কান ১০ জন এবং একজন করে আলজেরিয়া ও ফিলিপিনের নাগরিক রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৯ থেকে ৫৩ বছর বয়সী ৫০৫ জন পুরুষ এবং ৯৭ জন নারী রয়েছেন।
সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, সেলাঙ্গর কন্টিনজেন্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থার ৪৪৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
চিহ্নিত অপরাধগুলোর মধ্যে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ লঙ্ঘন, বিশেষ করে ওয়ার্ক পারমিট বা পাসপোর্টের মতো বৈধ ভ্রমণ নথি দেখাতে ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ রয়েছে।
আটককৃতদের পরবর্তী তদন্তের জন্য সেমেনিয়েহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালদ্বীপে বাংলাদেশি পর্যটক ২৯ শতাংশ বেড়েছে
ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ৪২টি দেশ ভ্রমণ করতে পারেন বাংলাদেশি পর্যটকেরা। তার মধ্যে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ অন্যতম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই দেশটিতে অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা থাকায় তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ করা খুব সহজ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মালদ্বীপে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশি পর্যটক বেড়েছে ২৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম শিউরি একথা জানান।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ একটি। যার উচ্চতা মাত্র সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই দশমিক তিন মিটার। যেন এক সমুদ্র জলে দাঁড়িয়ে থাকা নীল জলরাশির একটি দেশ।
১২০০টি দ্বীপ এবং ২৬টি প্রবালদ্বীপের এই অপরূপ দেশটি পর্যটকদের অপার্থিব সব বিলাসিতার কেন্দ্রবিন্দু। যার জন্যই বিশ্বের নামকরা তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই মালদ্বীপ ভ্রমণে ভিড় করেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি পর্যটকদেরও স্বপ্নের সেরা গন্তব্য হয়ে উঠেছে এই দেশটি।
মালদ্বীপের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়ানোর জন্য সমুদ্র সৈকত এবং রসালো ল্যান্ডস্কেপে এনেছেন বড় পরিবর্তন। যা বিশ্ব পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। যার ফলে অন্যান্য দেশের ভ্রমণ পিপাসুদের সাথে পাল্লা দিয়ে মালদ্বীপে প্রতিদিনই বাংলাদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন স্পষ্টগুলো।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ২০ হাজার ৮৪০ জন বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন দেশটিতে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম শিউরি।
এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, নতুন করে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পে পরিবর্তন আনায় প্রতিদিনই দেশটিতে ভিড় করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে দেশটির নতুন এই পরিবর্তিত পর্যটন বাজারের সবচেয়ে বেশি চমক হচ্ছে বাংলাদেশি পর্যটক বৃদ্ধি পাওয়া। মালদ্বীপের এই ঊর্ধ্বমুখী পর্যটকদের প্রবণতা বজায় রাখার জন্য তাদের বিপণন প্রচেষ্টা আরও প্রসারিত করবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে মালদ্বীপে পর্যটক আগমনের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটকের অবস্থান ১৬তম স্থানে বলেও জানিয়েছেন দেশটির পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিতে সম্মত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য হয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। সেইসঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিয়েছেন তিনি।
বৈঠক শেষে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
তিনি বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সর্বাত্মক সহযোগী থাকবে। দেশটির শ্রমবাজার নিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘মালোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার বাঙালি নেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমার পুরনো বন্ধু এবং বাংলাদেশের পুরনো বন্ধু আসায় আমি খুবই খুশি। এরওপর আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর এটা প্রথম কোনো সরকার প্রধানের বাংলাদেশ সফর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি। যেখানে তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’
চতুর্থ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রফতানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কথা বলেছি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি এবং ভিসা সহজীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
আমিরাতে ৬৫ কোটি টাকার লটারি জিতলেন বাংলাদেশি প্রবাসী
সংযুক্ত আরব আমিরাতে লটারি জিতে দুই কোটি দিরহাম পেয়েছেন এক বাংলাদেশি কর্মী। ‘বিগ টিকিট’ নামে ওই লটারি জিতে এ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি রাইডার আবুল মনসুর আব্দুল সবুর । বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
৫০ বছর বয়সী আবুল মনসুর আব্দুল সবুর ২০০৭ সাল থেকেই লটারির টিকেট কিনে চলেছেন, তবে এবার ভাগ্য ফিরল তার। ‘আবুধাবি বিগ টিকেট’ নামে লটারি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে তাকে ২ কোটি দিরহাম দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৫ কোটি ১০ লাখ টাকার সমান।
এবারের লটারির ড্র এর আগে তিনি ও তার বন্ধুরা মিলে পাঁচটি টিকেট কিনেছিলেন, এর মধ্যে পুরস্কার জিতেছে কেবল তার কেনা টিকেট।
সুসংবাদ জানিয়ে লটারির আয়োজকদের থেকে ফোনকল পাবার পর নিজের ভাগ্যকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আবদুল সবুর।
লটারির অর্থ দিয়ে কী করবেনএমন প্রশ্নে সবুর জানিয়েছেন, ওই অর্থ তিনি পরিবারের পেছনে খরচ করবেন এবং একটি ব্যবসা শুরুর মধ্য দিয়ে তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করবেন।
সবুর বলেন, সৌভাগ্যের টিকিটটি বন্ধুরা মিলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কিনেছিলেন। লটারির জয়ের মুহূর্তটি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি অনুষ্ঠানটি লাইভ দেখছিলাম। এর মধ্যে আমাদের নম্বরটি ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই টিকিট কেনার জন্য আমরা টাকা জমিয়েছি। এবার আমরা এক হাজার দিরহামের টিকিট কিনেছি। আমরা সব সময় বিশ্বাস করতাম, সৌভাগ্য একদিন আমাদের দিকে চেয়েও আসবে। আমরা সবাই এখন কোটিপতি হয়ে গেছি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের বিনিয়োগসীমা উঠে যাচ্ছে প্রবাসীদের জন্য
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগসীমা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তিন যুক্তিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুক্তিগুলো হচ্ছে প্রবাসী পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের অর্থ দেশে বিনিয়োগ করা, বিদেশি বিনিয়োগের পথ সুগম করা এবং প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) অন্তর্মুখী প্রবাহ বৃদ্ধি করা।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গত বুধবার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) সচিব আবদুর রহমান খানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। দেশে ১৯৮১ সালে পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড চালু করা হয়। মুনাফা পাওয়া যায় সরল সুদে।
আইআরডি সচিব আবদুর রহমান খান এ বিষয়ে গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, এখনো তাঁর কাছে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি আসেনি। তাই এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না।
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড বিধি ১৯৮১ (সংশোধিত ২৩ মে ২০১৫) অনুযায়ী, যেকোনো পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ ছিল। কোভিড-১৯ এর প্রকোপ চলাকালে ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর আইআরডি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের সমন্বিত বিনিয়োগসীমা নির্ধারণ করে এক কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এরপর ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ঊর্ধ্বসীমা উঠিয়ে নেওয়া হয়। ফলে যেকোনো পরিমাণ বিনিয়োগ এ দুই বন্ডে আসছে। তবে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের বিনিয়োগসীমা প্রত্যাহার করা হয়নি। আবার এ বন্ডের অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগের সুযোগও নেই। ফলে আগে বিনিয়োগ করা অর্থ প্রবাসীরা উঠিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এসব কথা উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের বিনিয়োগসীমা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। দূতাবাসগুলোর পক্ষেও রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা সীমা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আইআরডি সচিবকে বলেছে, প্রবাসী আয়প্রবাহের পাশাপাশি প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়াতে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা বাতিল বা শিথিল করা দরকার।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়েজ আর্নার্স বন্ড কেনায় এক কোটি টাকার সীমা বাতিল করার প্রস্তাব করেছি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা লাগবে, আশা করছি, বাংলাদেশ ব্যাংক তা করে দেবে।’ এ বন্ডের মাধ্যমে আরও বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক, এক্সচেঞ্জ হাউস, এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ও তফসিলি ব্যাংকের বিদেশি ও অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখায় এসব বন্ড কেনা যায়। এ বন্ডের মুনাফা আয়করমুক্ত। আবার বন্ডের বিপরীতে ঋণ নেওয়ার সুযোগও আছে। এ ছাড়া বন্ড কিনতে ফরেন কারেন্সি বা বৈদেশিক মুদ্রায় (এফসি) হিসাব থাকারও বাধ্যবাধকতা নেই।
এ বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী (ওয়েজ আর্নার) নিজে। ওয়েজ আর্নার তাঁর মনোনীত ব্যক্তির নামেও এ বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত সরকারের কর্মচারীরাও বিনিয়োগ করতে পারেন ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে। এতে বিনিয়োগ করলে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যুঝুঁকির আর্থিক সুবিধা রয়েছে।
মেয়াদপূর্তির আগে বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে তাঁর মনোনীত নমিনি বা ব্যক্তিকে যে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়, সেটিই হচ্ছে মৃত্যুঝুঁকির সুবিধা। মৃত্যুঝুঁকির সুবিধা অবশ্য ২০ লাখ টাকার বেশি দেওয়া হয় না এবং বন্ড ধারকের বয়সও হতে হয় ৫৫ বছরের নিচে। মৃত্যুঝুঁকির সুবিধাটি নিতে গেলে মারা যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে আবেদন করতে হয়। বন্ড ধারকের মৃত্যুর পর বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে আসল ও মুনাফা পাবেন তাঁর উত্তরাধিকারীরা।
১৫ লাখ টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে মুনাফা ১২ শতাংশ হলেও ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১১ শতাংশ, ৩০ লাখ ১ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ এবং ৫০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত ৯ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে এ–বিষয়ক একটি প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে উপস্থাপন করবে আইআরডি। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা অনুমোদন করলে প্রজ্ঞাপন জারি করবে আইআরডি, যা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। তবে মুনাফা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়া হবে বলে এতে অর্থ বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামতও লাগতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রস্তাবটি আগে আসুক।’