ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
লোক প্রশাসন বিভাগের পুনর্মিলনীতে উচ্ছ্বাসিত ইবি ক্যাম্পাস
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লোক প্রশাসন বিভাগের মোট ৩৩টি ব্যাচের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ ভবন থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের হয়। এতে লোক প্রশাসন বিভাগের ১৯৯০-৯১ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হয় এ মিলন মেলা।
এছাড়াও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ১ মিনিট নিরবতা পালন, সম্মিলিত সুরে জাতীয় সংগীত, অতিথিদের সম্মাননা প্রদান এবং বিভাগীয় ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
লোক বিভাগের শিক্ষার্থী শাম্মি আক্তার অন্তরা এবং আশেক এ খোদা আশিকের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক নাসিম বানু, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান।
লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত। এটিই পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির অন্যতম লক্ষ্য। সামনে যাদেরকে দেখতেছি তারা একেকটা সফল ব্যক্তি। নবীন বা অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা সফল হওয়ার একটা বার্তা পেয়ে অনুপ্রাণিত হতে পারে।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসিম বানু বলেন, প্রতিটা অনুষ্ঠানে একটা লক্ষ্য থাকে। কেন এমন আয়োজন করা হয়? উদ্দেশ্যের মধ্যে জ্ঞান বিতরণ করা, অন্যের সফলতা অনুভব করা এবং নেটওয়ার্কিং তৈরি করে সেবা প্রদান করাই অন্যতম। আমার আর আপনাদের ভাবনার দূরত্ব কতটুকু সেটা শেয়ার করব। অনেকে সাজসজ্জাগুলো বিয়ের অনুষ্ঠনের সাথে তুলনা করছে কিন্তু এই সেলিব্রেশনের রং, রূপ ও গন্ধ কোনো অনুষ্ঠানের সাথে তুলনা করা যাবে না। একজন পরিপক্ব মানুষের কোনো সীমাবদ্ধতা থাকে না। সবার সাথে সহজে খাপ খাইতে পারে তারাই যাদের ইগো, উদ্ধত আচরণ, প্রতিহিংসা থেকে দূরে থাকতে পারি।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, গতকাল ঢাকা থেকে এসে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দেখলাম মনে হচ্ছে বর্ণিল সাজে সজ্জিত বিয়ের অনুষ্ঠান। উৎসব আসে তখনই যখন মনের ভিতর উৎফুল্লতা কাজ করে। এই যে এত পুরাতন ডিপার্টমেন্ট প্রায় ৩৩ বছর কেটে গেলো কেউ কথা রাখেনি? আজ উপহার দিয়ে পূর্ণতা পেয়ে প্রশাসন ও বিভাগ আনন্দিত। আমাদের দিকনির্দেশনা থাকবে প্রতিটা বিভাগ এরকম এলামনাই এসোসিয়েশন গঠন করা হোক। অক্সফোর্ড বা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় যাই বলি না কেন এগুলোর মূল চালিকা শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে এলামনাই। আমাদের চিন্তাশক্তি কিংবা আর্থিক চালিকাশক্তিতে ঘাটতি থাকতে পারে সেটার পরিপূর্ণতা এনে দিতে পারে শক্তিশালী এলামনাই।
এসএম/সাকিব/অর্থসংবাদ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে ঢাকা সিটি কলেজ
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আরও দুই দিন (২৪ ও ২৫ নভেম্বর) সিটি কলেজের সব ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কলেজ প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হকের সই করা এক নোটিশে বিষয়টি জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) এবং সোমবার (২৫ নভেম্বর) সব ক্লাস স্থগিত থাকবে।
এর আগে, গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বন্ধ ছিল উভয় প্রতিষ্ঠানের ক্লাস-পরীক্ষা।
সিটি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী নেয়ামুল হক জানিয়েছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সিনিয়র শিক্ষক এবং ছাত্র প্রতিনিধির সমন্বয়ে সভা হয়েছে। এতে (সভায়) উভয় কলেজের শিক্ষকদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত থেমে থেমে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে পুরো এলাকাজুড়ে। এ সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ (যৌথ বাহিনী) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পরীক্ষায় অসদুপায়ে ঢাবি ও অধিভুক্ত কলেজের ৯৯ জনকে শাস্তি
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৯৯ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ৪৮ জন, উপাদানকল্প কলেজের দুইজন ও অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৪৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ১৮ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা কলেজের ৩ জন, ইডেন মহিলা কলেজের ৩ জন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ১ জন, সরকারি বাঙলা কলেজের ৪ জন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ২ জন ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের ২ জন এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ফের ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এখনো থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপরই একপক্ষ আরেকপক্ষকে ধাওয়া করছেন, ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ধানমন্ডি জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার তারিক মোস্তফা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারামারি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ
জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে আহত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সব সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ২৯ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে (সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের বেতন বা টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় এই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করার জন্য নির্দেশ জানানো হলো।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে এই শিক্ষার্থীরা যে শ্রেণিতে আছেন, সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়জীবন পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন।
এতে বলা হয়, আহত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে আবেদন করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে আবেদনগুলো যাচাই করে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
লাঞ্ছনার শিকার ইবি শিক্ষার্থী, স্থায়ী সমাধানে বাস আটক
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া শহরে যাওয়ার পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী বাস ভাড়া নিয়ে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। পরে সহপাঠীরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করলে বাসটি (গড়াই) আটকে হেফাজতে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গতকাল (সোমবার) ১২ টার দিকে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুরেখা ইয়াসমিন নূপুর ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন। বাসের হেলপার আলম মোল্লা ৪০ টাকা ভাড়া রাখলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার কথা বলেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বাসটির হেলপার। ভুক্তভোগীর দিকে টাকা ছুড়ে মারে বাসের হেলপার আলম। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের জানালে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বাসটি আটক করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি তাদের হেফাজতে রাখেন।
এ সময় সপ্তাহে সাত দিনই হাফ ভাড়ার সুযোগ প্রদান, বাসের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ, কটু ব্যবহার না করা, কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ বাস কাউন্টারেও হাফ ভাড়া প্রদান ও অসদাচরণে নির্দিষ্ট শাস্তির আওতার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নূপুর বলেন, আমি কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে ১০০ টাকা দিয়েছিলাম, পরে হেলপার ৬০ টাকা ফেরত দিতে চাইলে হাফ ভাড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিই এবং শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিই। কিন্তু তিনি কোনো মতে মানছিল না। এক পর্যায়ে ৭০ টাকা আমার শরীরের দিকে ছুড়ে মেরে বিদায় করে দিছে। বিভিন্নভাবে খারাপ ব্যবহারও করছে।
অভিযুক্ত বাস হেলপার আলম জানান, আমি হাফ ভাড়া সম্পর্কে অবগত না। অনেক দিন পর এখানে আসলাম। আমার ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থী হেনস্তায় মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করছিল, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটা বিশ্ববিদ্যালয় হেফাজতে রাখ হয়েছে। বাস মালিক ও ঝিনাইদহ বাস মালিক সমিতির একজন প্রতিনিধি আসবে। তখন বসে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমআই