স্বাস্থ্য
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামীকাল
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে আগামীকাল রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান।
তিনি জানান, আগামীকাল ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। এ নিয়ে ব্রিফিং করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রোববার ফল প্রকাশের লক্ষ্য সামনে রেখে সব প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে। সবকিছু প্রস্তুত হয়ে গেলে আগামীকাল দুপুরের পর ফল প্রকাশিত হবে। তা না হলে পরদিন সকালের দিকেই প্রত্যাশিত ফল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সারাদেশে একযোগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়, চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। সারাদেশের ১৯ কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে মেধা যুদ্ধে বসেন এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯ হাজার ২০০
সারাদেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘাত-সহিংসতায় অন্তত ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি। আন্দোলনে হতাহতদের পরিপূর্ণ তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কমিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্তত ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি। ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল এবং এই ২১ দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮১ জন মারা গেছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে ১৬ হাজার জনের বেশি সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অন্তত তিন হাজার জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কমিটির প্রধান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং। কারণ, তারা সরকারি হাসপাতালের মতো কঠোরভাবে ডেটা সংরক্ষণ করে না। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা ভয়ে হাসপাতালে নাম রেজিস্ট্রি করতে চায় না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি একটি খসড়া তালিকা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর ডেটা আরও আপডেট করছেন। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং সেখানে আরও বেশকিছু অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত থাকবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেসরকারি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে আহতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই হাজার।ঢাকা বিভাগে প্রাণহানিও ঘটেছে সর্বোচ্চ। এ বিভাগে নিহত হয়েছেন ৪৭৭ জন। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশালে একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনায় নিহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি
দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার, চিকিৎসা সেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার ও চিকিৎসা সেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজকে সভাপতি এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ শাফি মজুমদারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য করা হয়েছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কে আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. সায়েদুর রহমান, রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. মাহমুদুর রহমান, সিনিয়র প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. ফেরদৌসি বেগম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্রফেসর ডা. ফিরোজ কাদেরকে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর ডা. শাকিল আহমদ, ইনজুরি প্রতিরোধ ও গবেষণা সেন্টারের সিইও প্রফেসর ডা. ফজলুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এমএ জলিল চৌধুরী, শমরিতা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডা. সরকার মাহবুব আহমদ শামিম।
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কার্যপরিধি বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়—
(১) দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের জন্য নীতি-নির্ধারণ।
(২ ) সব স্তরে চিকিৎসা শিক্ষার বিশ্বমানের স্বীকৃতি এবং উচ্চ শিক্ষাকে আধুনিকায়নের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।
(৩) নগর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার ও কার্যকর।
(৪) স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান।
(৫) দেশের প্রধান প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- বিএমডিসি, বিএমআরসি, বিএনএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রেগুলেটরি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শক্তিশালীকরণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে ওএসডি
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (পার-২) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদেরকে তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হলো। অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরার পদে নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউল ইসলামকে।
একই প্রজ্ঞাপনে আরও তিন কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি করা হয়েছে। তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিনকে সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন পদে, অধিদপ্তরের আরেক বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদকে কুষ্টিয়া ম্যাটসের অধ্যক্ষ পদে, ঢাকার আইপিএইচএনের বিভাগীয় প্রধান ডা. মাহবুব আরেফীন রেজানুরকে ওএসডি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
আন্দোলন প্রত্যাহার, সেবায় ফিরবেন চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্য সচিব ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন চিকিৎসকেরা। ফলে বুধবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ সব হাসপাতালে পূর্ণমাত্রায় সেবা কার্যক্রম সচল হবে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ঢামেকের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন আন্দোলনরত চিকিৎসক আব্দুল আহাদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ বিকেল ৫টায় সর্বস্তরের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিনিয়র স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে পূর্বনির্ধারিত চারটি দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা সব হাসপাতালে পূর্ণ সেবা পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিচ্ছি।
আলোচনার বিষয়ে আব্দুল আহাদ বলেন, প্রথম দুটি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হামলাকারীদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঢামেকসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব হাসপাতাল এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন হয়নি, সেসব স্থানে দ্রুত বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, তৃতীয় এবং চতুর্থ দাবি যথাক্রমে স্বাস্থ্য পুলিশ গঠন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিষয়ে দীর্ঘ ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সচিব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব দাবির বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে একটি কার্যকর কমিটি গঠন করা হবে, যেখানে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন অসঙ্গতি, যেমন ক্যাডার বৈষম্য ও রেফারেল সিস্টেমের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আব্দুল আহাদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে পূর্ববর্তী খসড়ার আলোকে আরও তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়ায় যে অসঙ্গতিগুলো রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে আরেকটি খসড়া ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়। চিকিৎসক সমাজ আলোচনা-পর্যালোচনা করে সে খসড়ার ওপরে কোনো সংশোধনী থাকলে তাদের পক্ষ থেকে মতামত পেশ করবে। তারপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন’ ফরওয়ার্ডিং দেওয়া হবে পাস করানোর জন্য।
স্বাস্থ্য পুলিশের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ফরওয়ার্ডিং দেওয়ার বিষয়ে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেবে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে আগামীকাল একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
আন্দোলনকারী ঢামেক চিকিৎসকদের নতুন কর্মসূচি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক আইনের খসড়া প্রণয়নের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ঢামেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ। প্রশাসনিক ভবনের গেটে সাংবাদিকদের কাছে এই কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন তিনি।
ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান কর্মসূচির পর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা পুনরায় চালু করবেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমগুলো চলমান থাকবে।
তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও দৈনন্দিন কার্যক্রম সীমিত আকারে চলবে উল্লেখ তিনি বলেন, রোগীদের সেবা পেতে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য ব্যক্তিগত ব্যক্তিগত চেম্বারও খোলা থাকবে।
এসময় চিকিৎসকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে অস্থিরতা নিয়ে আসতে সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের মিত্রদের একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ এই হামলা। সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ডা. আহাদ সতর্ক করে বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না বাড়ানো হলে এ ধরনের হামলা আরও হতে পারে।