পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড কয়েক বছর ধরেই লোকসানে রয়েছে। গত চার বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানিটি। তবে সম্পদ মূল্যের তুলনায় ৬ গুণের বেশি দরে শেয়ার লেনদেন হচ্ছে লোকসানি এ কোম্পানিটির। গত বছরের ২৫ এপ্রিল শেয়ারটির দর ছিলো ১০ টাকা ৬০ পয়সা। আর আজ বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার ৩২ টাকা ৭০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ ১৯৫ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর ২২ টাকা ১০ পয়সা বেড়েছে। কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২০২৩-ডিসেম্বর’২০২৩) সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যলস শেয়ারপ্রতি ৯ পয়সা লোকসানে রয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩ পয়সা বেশি। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৬ পয়সা লোকসান হয়েছিলো। গত কয়েক বছর ধরেই কোম্পানিটির এ লোকসানের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিলো ৫ টাকা ৪৪ পয়সা। তবে ডিএসইতে আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ার ৩২ টাকা ৭০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ সম্পদ মূল্যের ২৭ টাকা ২৬ পয়সা বা ৬ গুণের বেশি দরে শেয়ার লেনদেন হচ্ছে।
ডিএসই সূত্র মতে, লোকসানে থাকায় গত চার বছরে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি। সর্বশেষ গত ২০১৯ সালের ৩০ জুন হিসাববছরে নামমাত্র নগদ ১ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। যা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সেবারই প্রথম নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫৫ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
এসএম