পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে ১৭৩০ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় এদিন বেড়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ২ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৩৮৭ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে ২১৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে এক হাজার ৭৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৭৬৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৮টি কোম্পানির, বিপরীতে ১৫৮ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই

পুঁজিবাজার
অল্প সময়ে পুঁজিবাজারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনেছে বিএসইসি: বিনিয়োগকারীরা

চব্বিশের ৫ আগস্ট পরবর্তীতে যে সরকার এবং সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসেছে তাদের কর্মকাণ্ড অতীতের ১৫ বছরের চাইতে অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত পুঁজিবাজারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। সোমবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিসিএমআইএ’র সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ডিলিস্টিং (তালিকাচ্যুত) করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন ডিলিস্টিং আমরা চাই না। আমরা এটা হতে দেবো না। যদি ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা না হয়, আমরা জীবন দিয়ে দেবো, তবু এই ডিলিস্টিং হতে দেবো না। অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে ডিলিস্টিং করতে হবে।
এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজার রক্ষার দায়িত্ব যাদের, তাদের ভূমিকা আজ বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ এবং আমাদের জন্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ২০১০ সাল থেকে আমরা পুঁজিবাজারে শোষণ-নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়েছি। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর আমরা আশা করেছিলাম যে বিনিয়োগকারীদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে, তারা তাদের হারানো পুঁজি ফিরে পাবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ৫ আগস্ট পরবর্তীতে যে সরকার এবং সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন এসেছে, তাদের কর্মকাণ্ড অতীতের ১৫ বছরের চাইতে দ্রুত শেয়ারবাজারকে ধ্বংসের মুখে, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।
বিসিএমআইএ’র সভাপতি বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে যে, এই পুঁজিবাজার ধ্বংসের জন্যই যেন এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন দেখেছি। কিন্তু আমরা বলতে পারি পুঁজিবাজারে নব্য স্বৈরাচারের উত্থান ঘটেছে। এই পুঁজিবাজারে রাশেদ মাকসুদ (বিএসইসি’র বর্তমান চেয়ারম্যান) কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের বিনিয়োগকারীর প্রত্যেক পোর্টফোলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উনি (বিএসইসি চেয়ারম্যান) দায়িত্ব নেওয়ার পর কী করেছেন? এই প্রশ্নটা কেন আমরা জাতিগতভাবে আমরা করি না? আমাকে অনেকেই বলে যে আপনি এত বড় বড় কথা বলেন কোন সাহসে? সাহস একটা সত্য কথা বলি’।
তিনি বলেন, লেনদেন শুরুর পর যদি সিকিউরিটির দাম কমে যায় লাল হয়ে যায়, আর দাম বেড়ে গেলে সবুজ। কিছুই যে জানে না, এটুকু তো সে বুঝে। আমার মনে হয় রাশেদ মাকসুদ সেটাও বোঝেন না। রাশেদ মাকসুদ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান উনি সেটাও বোঝেন না। এমন একটা লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তার পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে অর্থ উপদেষ্টা সালাউদ্দিন আহমেদ। এই অর্থ উপদেষ্টার পৃষ্ঠপোষকতার কারণে এই শেয়ারবাজার ধ্বংসের মুখে। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে না, ধ্বংসের শেষ হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা আত্মহত্যা থেকে শুরু করে তারা পাগল প্রায় হয়ে গেছেন। তারপরও কোনো পরিবর্তন আসে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবির মুখে প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজার বিষয়ে একটা মিটিং করেছেন। আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সেখানে আমরা যার অপসারণ চাই, যার কারণে পুঁজিবাজার ধ্বংস হয়ে গেলো সেই রাশেদ মাকসুদ, তিনি ছিলেন সেখানকার উপস্থাপক এবং তিনি ছিলেন প্রধান আকর্ষণ।
বিসিএমআইএ’র সভাপতি বলেন, সব বাদ দিলাম, যখন প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে ঘোষণা আসলো ওই মিটিং থেকে যে ‘এ গ্রুপ অব এক্সপার্ট’ দিয়ে আমাদের পুঁজিবাজারের বিষয়গুলো সংস্কার করা হবে। কয় মাস হয়েছে, কত দিন হয়েছে? আমরা যমুনার সেই মিটিংয়ের খবর জানি। কোথায় সেই এক্সপার্ট? এক্সপার্ট আসলে তো রাশেদ মাকসুদের অপসারণ হওয়া উচিত ছিলো। তাকে দিয়ে হচ্ছে না যখন, বিদেশি আনবো আমরা। সেই বিদেশিরা কই? কি এক্সপার্ট এনেছে। কি উন্নতি করেছে পুঁজিবাজারের? এগুলো আমাদের জানার প্রয়োজন আছে। কিছুই হয় না। প্রধান উপদেষ্টার কথা যখন হয় না, তখন কার কথা কার্যকরী হবে?
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা কি প্রতিদিন তাদের জীবন দিয়ে শেষ হয়ে যাবে? নতুন করে কোনো কাজ নেই, কোনো উন্নয়ন নেই। আপনারা সবাই জানেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেন- শেয়ারের দাম বাড়ানো বা কমানো তার কাজ না। ইন্ডেক্স বাড়ানো বা কমানো তার কাজ নয়। তাহলে একটা শেয়ার সাত দিন পরপর হল্ট হতে থাকলে কোয়ারি দেয় কেন? আবার কোনো শেয়ারের কোয়ারি দেয় না। নিশ্চয় বাড়লে পরে তার কোয়ারি দেওয়ার একটা দায়িত্ব আছে? সেটা বোঝার দায়িত্ব আছে। কারা অনিয়ম, দুর্নীতি করতেছে নিশ্চয়ই তাদের ধরার দায়িত্ব আছে। উনি এক কথায় বলে দিলেন ইন্ডেক্স বাড়লেও তার কিছু যায় আসে না, কমলেও যায় আসে না। তিনি কিসের জন্য এখানে আছেন? এটা তো আমাদের জানার, বলার অধিকার আছে।
বিসিএমআইএ’র সভাপতি আরও বলেন, হঠাৎ করে একটা মার্জিন রুল নিয়ে আসলেন। মার্জিন রুল মনে হচ্ছে বিশাল একটা গবেষণাপত্র, দুর্বোধ্য, এগুলো পড়তে পড়তেই মানুষের জীবন শেষ। এই চব্বিশ পৃষ্ঠার গবেষণাপত্র এই দেশে মার্জিনের জন্য কোনো দরকার আছে? মার্জিন হবে সার্বজনীন, সবার জন্য। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য। উনি সিলিং করে দিয়েছেন ৫ লাখ টাকার নিচে যাদের বিনিয়োগ, তারা মার্জিন পাবেন না। ১০ লাখ টাকা বিনিনিয়োগ থাকলে মার্জিন পাবেন। তাহলে এক লাখ, দুই লাখ টাকা বিনিয়োগকারীরা কি মানুষ না? এরা কি বিনিয়োগকারী না?
এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল যদি এই সরকার হয়, তাহলে এই মার্জিন ঋণে কেন, কিসের জন্য এই বৈষম্য। কিসের জন্য এই ধরনের বৈষম্য নীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন? কার হুকুমে, কার ইশারায়, কার ইঙ্গিতে, কার স্বার্থে, কোন দেশের অণুঘটক এই দেশে প্রবেশ করে আমাদের দেশের পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করে, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে তাদের দিকে আমাদের ধাবিত করছে।
তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের কথা বলা হচ্ছে? মিউচুয়াল ফান্ড হলো পুঁজিবাজারকে তারা বাঁচিয়ে রাখবে, জীবন দান করবে। এটাই হবে তাদের ভূমিকা। কিন্তু সেই মিউচুয়াল ফান্ড এমনভাবে অপব্যবহার হয়েছে, এমনভাবে লুটতরাজ হয়েছে…। পুঁজিবাজারকে টিকিয়ে রাখা, বাঁচিয়ে রাখা, জীবন রক্ষা করা যাদের কাজ, তারা উল্টো কাজ করে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় না এনে, উনি পুঁজিবাজার যাতে আরও খারাপ প্রভাব পড়ে সেই ধরনের সিদ্ধান্তের দিকে চলে যাচ্ছে। এটা কি?
বিসিএমআইএ’র সভাপতি বলেন, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, যিনি বিএসইসির চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তার (মমিনুল ইসলাম) নিয়োগ অবৈধ। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি তিনি ঋণ খেলাপি, একজন জামিনদার হিসেবে ঋণ খেলাপি বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে। তাকে দিয়ে দুই বন্ধু কৌশলে কিছু কোম্পানি ডিলিস্টিং করবে। ডিলিস্টিং করবে করা, যারা এই কোম্পানির শেয়ার ধরে আছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট থেকে একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী কাল রাত ১টার সময় আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন, একটি ফিন্যান্স কোম্পানির শেয়ার তার বাবা কিনেছিলেন ৮ বছর আগে। বাবা মারা গেছে। এটাই তার সম্বল। সে এটা নিয়েই আছেন, ডিলিস্টিংয়ের বিষয়ে সেই কোম্পানির নাম বলেছেন মমিনুল ইসলাম।
পুঁজিবাজার
নেপালে ২৪ লাখ ডলারের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রপ্তানি করলো এনার্জিপ্যাক

বাংলাদেশের শীর্ষ বিদ্যুৎ প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড সম্প্রতি নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে ৬৩ এমভিএ ১৩২/৩৩ কেভি পাওয়ার ট্রান্সফরমার এবং সংশ্লিষ্ট সাবস্টেশন যন্ত্রপাতি রপ্তানি করেছে। প্রায় ২৪ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যমানের চুক্তির আওতায় এই রপ্তানি সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনার্জিপ্যাক এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই রপ্তানি তাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পুনঃপ্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা শুধু প্রতিষ্ঠানটির জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশের প্রকৌশল খাতের জন্যও একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।
এর আগে এনার্জিপ্যাক এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত নেপালের বিদ্যুতায়ন প্রকল্পে ২৫টি সাবস্টেশন নির্মাণ করেছে, যা উভয় দেশের বাণিজ্যিক সহযোগিতার শক্ত ভিত্তি তৈরি করে।
এই রপ্তানির প্রেক্ষিতে এনার্জিপ্যাকের কর্মকর্তারা ঢাকায় নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় রপ্তানি-আমদানি প্রসার ও আঞ্চলিক বাণিজ্য জোরদারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ উপলক্ষে ঢাকায় মাসব্যাপী কর্মশালা, সেমিনার ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করে এনার্জিপ্যাক। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এনার্জিপ্যাকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, এই রপ্তানি শুধু এনার্জিপ্যাক নয়, পুরো বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের জন্য গর্বের বিষয়। এটি আমাদের দক্ষতা ও বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা তুলে ধরে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পে বাংলাদেশের প্রকৌশল সামর্থ্য তুলে ধরতে পারছি, যা ভবিষ্যতের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।
কোভিড-পূর্ব সময়ে এনার্জিপ্যাক প্রতিবছর গড়ে ৫০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করত এবং ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (গোল্ড ক্যাটাগরি) অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই রপ্তানি বহুমুখীকরণ, টেকসই প্রবৃদ্ধি, এবং আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব জোরদারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুঁজিবাজার
ব্লক মার্কেটে ১৭ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৪১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৭ কোটি টাকার বেশি।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলোর মোট ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৯৯ টি শেয়ার ৭৪ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৭ কোটি ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রেনাটার ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থানে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৮ হাজার ও তৃতীয় স্থানে রিলায়েন্স ওয়ান দা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ডের ১ কোটি ২০ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পুঁজিবাজার
বিআইএফসির সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারদর পতনের শীর্ষে উঠে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি)।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ১০ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ২৯ বারে ২১ হাজার ৬৯৩ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ লাখ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাস ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্টের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ৬৩ বারে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৪ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ২ লাখ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা প্রিমিয়ার লিজিংয়ের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ১৫ বারে ৫১ হাজার ৯৫৯ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ লাখ টাকা।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে- প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ৮.৫৭ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ৮.৩৩ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৭.৬৯ শতাংশ, নুরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটারের ৭.৬৯ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্টের ৭.৪১ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৭.৪১ শতাংশ এবং নিউ লাইন ক্লোথিংসের দর ৬.৪৫ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারদর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। কোম্পানিটি ৬৭৮ বারে ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৯ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
তালিকায় ২য় স্থানে থাকা সেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। কোম্পানিটি ৯৪০ বারে ২১ লাখ ৬১ হাজার ৫০৪ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
তালিকার ৩য় স্থানে থাকা বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। কোম্পানিটি ৪ হাজার ৯৩২ বারে ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯১৪টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ৩২ কোটি ৪ লাখ টাকা।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৯.৭২ শতাংশ, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৯.৫৬ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৯.৩৯ শতাংশ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ৮.৮৬ শতাংশ, আমান ফিডের ৭.১৪ শতাংশ, মীর আক্তারের ৬.৯৪ শতাংশ ও প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৬.৭০ শতাংশ দর বেড়েছে।
কাফি