জাতীয়
অবৈধভাবে কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না: বিজিবি মহাপরিচালক
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করছি। মানবিক দিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বুধবার সকালে বিজিবির কক্সবাজার অঞ্চলের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন এবং সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর থাকার নির্দেশনা দেন।
বিজিবি মহাপরিচালক মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন ১৫ কর্মকর্তা
সহকারী সচিব পদমর্যাদার ১৫ কর্মকর্তাকে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। রোববার (৫ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন-
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যমুনা রেলসেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে দিকে আজকের প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন দুটি সফলভাবে সেতু অতিক্রম করে।
এ সময় ট্রেন দুটিতে সর্বোচ্চ গতি ২০ কিলোমিটার তোলা হলেও পর্যায়ক্রমে সবশেষ পরীক্ষায় ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতি ওঠে। আজই এ সেতু দিয়ে পূর্ণাঙ্গ গতিতে, অর্থাৎ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালিয়ে দেখা হবে।
যমুনা রেলওয়ে সেতুর চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলবে। এর অংশ হিসেবে প্রথমে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্ব পাড় থেকে পশ্চিম পাড়ে ও পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে ছেড়ে যায়। এরপর ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দ্বিতীয়বার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে দুই পাশ থেকে ট্রেন দুটি সেতু অতিক্রম করে। এরপর ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে ওঠে ও ১১টা ৫ মিনিটে পূর্ব পাড় থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পশ্চিম পাড়ের সেতুর শেষ অংশ অতিক্রম করে। এভাবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আজ।
মাইনুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা সবাই অধীর আগ্রহে সেই পূর্ণ গতির অপেক্ষায় আছি। সত্যি বলতে গেলে আমরা খুব আনন্দিত এবং উত্তেজিতও বলা যায়। কয়েকটা বছরজুড়ে আমাদের এত বড় টিমের বিশাল কর্মযজ্ঞের পর আজ এর পূর্ণতা পেল। দেশের সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চলবে এখানে। এটা আমাদের জন্য মাইলফলক।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, দুদিন ট্রায়াল ট্রেনের টেস্ট রান সম্পন্ন হলে রিপোর্ট পাঠানো হবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে, যেখান থেকে উদ্বোধন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৮ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না নির্বাচন কমিশন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনে ভোটার হালনাগাদ প্রশিক্ষণের এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন।
ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ইসি আব্দুর রহমান মাছউদও। তিনি বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ সময় আরেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে।
ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে এবার ইসি বেরিয়ে আসতে পারবে দাবি করে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল, তা কমে এসেছে। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বিগত নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে, তার সবটুকুই করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
ইসি তাহমিনা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জনগণের পুলিশ হতে চাই: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী বলেছেন, আমরা নিপীড়ক পুলিশ হতে চাই না, আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই। জনগণকে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে প্রমাণ করতে চাই আমরা তাদের প্রকৃত বন্ধু।
তিনি বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে চাই। অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও স্থানীয় নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশিংকে ফলপ্রসূ করতে হলে এবং সমাজ থেকে অপরাধ দূর করতে হলে শুধু পুলিশই নয়, পুলিশের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী বলেছেন, আমরা নিপীড়ক পুলিশ হতে চাই না, আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই
মাদক, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এদের তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে সামাজিকভাবেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
হাসান মো. শওকত আলী আরও বলেন, মাদক আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব হচ্ছে তার সব সদস্যকে নজরে রাখা ও সচেতন করা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও বনানী থানা এলাকার নাগরিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আমরা চাই প্রশাসন ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করুক। এতে মাদক ও চাঁদাবাজি নির্মূল সহজ হবে। আমরা আপনাদের (পুলিশের) পাশে আছি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ। এতে গুলশান বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় সংগঠনের নেতা এবং ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী নয়, সরকারের মেয়াদ ৪ বছর
দেশে কোনো ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। সরকারের মেয়াদ হবে চার বছর। নির্বাহী বিভাগ প্রধানমন্ত্রী পরিচালনা করলেও সাংবিধানিক পদে নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকবে না। সংবিধান প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বিষয়ে এমন প্রস্তাব এনেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাবনার কথা জানানো হয়।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একই সঙ্গে নিজ দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। জীবনে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাষ্ট্রের আর কোনো পদেই তিনি থাকতে পারবেন না। কোম্পানি বা ব্যবসায়ী উদ্যোগের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সব সম্পদ এবং সম্পত্তি স্টেট ব্যাংকের অধীনে চলে যাবে।
এতে বলা হয়, কোনো সাংবিধানিক পদের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারবেন। তবে তা পালন করা রাষ্ট্রপতির জন্য আবশ্যকীয় হবে না। সাংবিধানিক পদে নিয়োগ ও অপসারণ আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে। সাংবিধানিক পদে আসীন কাউকে অপসারণ করার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর থাকবে না।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, ৭০ অনুচ্ছেদের কঠোরতা খর্ব করতে হবে। সংসদ সদস্যরা দল বদল করলে তথা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে বা দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করলে বা অব্যাহতি দেওয়া হলে তার সংসদ সদস্য পদ শুন্য হবে। আস্থা ভোটে দলের বিপরীতে ভোট দেওয়া যাবে না। তবে অন্য যে কোনো বিষয়ে তিনি স্বাধীন থাকবেন, দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন। সরকারের মেয়াদ হবে ৪ বছর।
প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীসভার যাবতীয় সিদ্ধান্ত রদ করা বা চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা সংসদীয় দলের থাকবে। প্রধানমন্ত্রী হবেন সম ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী ক্রমবিচারে প্রথম হবেন- ক্ষমতা বিচারে নয়। মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী চয়ন করবেন। তবে সংসদের তাতে অনুমোদন নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করবেন এবং রদবদল করতে পারবেন। তবে অপসারণ করতে হলে সংসদের অনুমোদন নিতে হবে। সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা বাড়াতে হবে। মন্ত্রিসভার যাবতীয় সিদ্ধান্ত সংসদীয় কমিটি চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। শুনানি এবং সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত আইনসভায় পাঠাবে মন্ত্রিসভা। এরপর সুপারিশ আইনসভায় ভোটাভুটির মুখোমুখি হবে।
এতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেওয়ার অধিকারী হবেন। তবে তা পালন করা রাষ্ট্রপতির জন্য আবশ্যকীয় হবে না। আইনসভাই কেবল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে জরুরি আইন/আদেশ সর্বোচ্চ আদালতের কাছে পাঠাতে হবে। আদালত আইনের সাংবিধানিকতা/ অসাংবিধানিকতা সম্পর্কে রায় দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাহিনীগুলার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান হবেন। কোনো বাহিনীই সরাসরি তার অধীন থাকবে না।
প্রতিরক্ষা বা স্বরাষ্ট্র কোনো মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রধান হিসেবে থাকতে পারবেন না। বাহিনীর চেইন অব কমান্ড আইন ও বিধি দ্বারা সঙ্গত থাকবে। চেইন অব কমান্ডে হস্তক্ষেপ হবে অবৈধ। তবে যে কোনো কাজের সঠিকতা সম্পর্কে জবাবদিহি থাকবে।
প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়, কোনো আদালতই প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণে রায় ঘোষণা করতে পারবেন না। কেবল সংসদ কর্তৃক আস্থাভোটই হবে তাকে অপসারণের বৈধ উপায়। সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যেন একক কর্তৃত্ব ভোগ না করেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী নিম্নকক্ষের প্রধান থাকবেন এবং যে কোনো পলিসি তৈরির মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রের কাজ করবেন।
নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর হাতে। যে কোনো নিয়োগ দেবে উচ্চকক্ষ। এক্ষেত্রে নিম্নকক্ষ বা প্রধানমন্ত্রীর কোনো অনুমতি লাগবে না বলেও প্রস্তাবনায় বলা হয়।