জাতীয়
খাদ্য নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় জাতিসংঘের এফএও’র মহাপরিচালক

বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ। তিনি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশকে সুবিধা গ্রহণ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামের জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এফএও মহাপরিচালক মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন। এ সময় টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম এফএও -এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত এফএওকে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে, কৃষি পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এফএও-এর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ এর আলোকে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য এফএও-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এফএও সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূলে আগামী দিনে বাংলাদেশ এবং এফএও উভয়ই একত্রে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আশফাকুর রহমান ও এফএও-র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

জাতীয়
সড়কে পরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি কাটাতে নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরের পর গাজীপুরের অধিকাংশ শিল্প কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই মহাসড়কে হাজার হাজার মানুষ নেমে এসে।
তবে, সড়কে এসে গাড়ির জন্য তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পরিবহন সংকট চরমে। এতে ঘরমুখো মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
সরেজমিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দেখা যায়, গাড়ি না থাকায় হাজার হাজার যাত্রী সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল, পশুবাহী ট্রাক পিকআপে বাড়ি ফিরছেন।
আসিক নামের একজন বলেন, ‘‘কারখানা ছুটি হয়েছে দুপুরে। এরপর অটোরিকশায় চন্দ্রায় এসেছি৷ এখানে এসে দেখি হাজার হাজার যাত্রী। কিন্তু, গাড়ি নেই। এরমধ্যে বৃষ্টি নেমেছে। কখন গাড়ি পাব আর কখন বাড়ি পৌঁছব জানি না।’’
নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম জানান, দুপুরের পর যাত্রীদের ঢল নেমেছে। যানবাহন সঙ্কটে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। এছাড়া, বৃষ্টিতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে।
কাফি
জাতীয়
ছাদে কোনো যাত্রী উঠবে না, জানালা দিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ: রেল উপদেষ্টা

আমরা ট্রেনের ছাদে যাত্রী ওঠার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছি। আমরা আবারও বলছি, ছাদের ওপর কোনো যাত্রী উঠবে না। জানালা দিয়ে ট্রেনে ভেতরে ঢোকা যাবে না। এটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদপূর্ব যাত্রী সেবা পরিদর্শনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ফাওজুল কবির খান বলেন, আমরা এসেছি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা থেকে। আমাদেরই ভাই-বোনেরা গ্রামে যাবেন পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করবেন। এই যাত্রাটা যাতে কষ্টের না হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি।
‘এখন ঈদ যাত্রা মানে কয়েকটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। তারমধ্যে একটা জিনিস হলো ট্রেনটা সময়মতো ছেড়ে যাওয়া। আমি খোঁজ নিলাম সবগুলো ট্রেন সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা সায়েদাবাদে আরও দেখছি যে, দুইটা জায়গায় বেশি ভাড়া আদায় করা হয়েছে। পরে যাত্রীদের অতিরিক্ত আদায়ের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে। যেটাতে বেশি অনিয়ম করা হয়েছে ‘লাল সবুজ পরিবহন’, সেটায় ম্যাজিস্ট্রেট পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
রেল উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু এটা আমাদের সবার সরকার সেহেতু আমরা রেলওয়ে বিভাগ বা সড়ক বিভাগ এভাবে আলাদা আলাদা হিসেবে কাজ করি না। আমরা এখন সরকার হিসেবে কাজ করি। এছাড়া সরকারের বাইরেও যারা বেসরকারি খাতের পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবার সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করছি। যাতে করে সবার ঈদযাত্রাটা ভালো হয়। আনন্দের হয় এবং তারা হয়রানির মুখে না পড়েন। অতিরিক্ত অর্থ দিতে না হয় সেই জন্য কাজ করছি।
ঈদযাত্রা স্বস্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শতভাগ স্বস্তিতো বলা যাবে না, কিন্তু আমরা বলব যাত্রীদের কাছ থেকে বড় কোনো ধরনের অভিযোগ পাইনি।
ট্রেন বৃদ্ধির বিষয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের লোকোমোটিভ সংকট আছে। এ সত্ত্বেও আমরা ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়েছি। ৪৪টি অতিরিক্ত কোচ এবং ঈদ উপলক্ষ্যে ৫টা স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি আরও নতুন কোচ আসবে সেগুলো এলেই আমরা আরও ফ্রিকোয়েন্সি এবং ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে পারব।
কাফি
জাতীয়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ যাবত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৯ জন।
২৪ ঘণ্টায় তিনজন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন। এ যাবত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এযাবৎ এক কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ২২৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন এবং এযাবৎ দেশে মোট দুই হাজার ৫শ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত একজন পুরুষ, তার বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে। তিনি ঢাকা বিভাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এযাবৎ শনাক্তের হার মোট ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
কাফি
জাতীয়
ঈদে কারাবন্দীদের জন্য থাকছে যেসব খাবার

প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল আজহায় কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার এ কে এ এম মাসুদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জের বন্দিরা ঈদের দিন শুরুতেই নাস্তায় পাবেন পায়েস মুড়ি। দুপুরে মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসি (যারা গরু খাবেন না)। সাথে থাকবে কোমল পানীয় সালাত, পান সুপারি ও মিষ্টান্ন। রাতে ভাত মাছ আলুর দম।
শুধু কেরানীগঞ্জ নয়, দেশের সব কারাগারেই বন্দিরা ঈদের আনন্দে মেতে থাকবেন, খাবেন ঈদের বিশেষ খাবার।
ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, ঈদুল আজহায় কারাবন্দিদের নিয়ে তিন দিনের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজনে থাকছে, ঈদের আগের দিন কারা এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, দুস্থ বন্দিদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ, বন্দিদের অংশগ্রহণে ফুটবল প্রতিযোগিতা, কেরাত, আজান, সিরাত, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদের দিন আরপি গেটে বন্দির আত্মীয় স্বজনদের মাঝে উপহার ও সুভিনিয়র বিতরণ করা হবে। বন্দীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঈদের পরেরদিন বন্দিদের জন্য বাহিরের রান্না করা খাবার গ্রহণ ও বিতরণ করা হবে।
এছাড়া ঈদের তৃতীয় দিন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণের অংশগ্রহণে প্রিজন ম্যারাথন-২০২৫ আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ, কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হবে।
কাফি
জাতীয়
নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঈদুল আজহা উদযাপনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে গাবতলী হাট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
ঈদে মানুষ বাড়ি চলে যাচ্ছে, ঢাকার নিরাপত্তা কেমন হবে? এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদ উপলক্ষে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকেই যাচ্ছে। তারা কিন্তু বাড়ি যাচ্ছে না। অতএব, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আশা করি ভালো থাকবে। আমাদের সব বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় আছে। নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গতবারের চেয়ে এবার একটু দাম কম, আমার মনে হয়। বাজারে পর্যাপ্ত গরু আছে, যারা গরু কিনতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটা স্বস্তির খবর, যে কেউ যে কোনো সময় এসে নিরাপদে গরু কিনে নিয়ে যেতে পারবেন।
বড় গরু কিনতে মানুষ ভয় পাচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগে তো দুর্নীতির টাকায় পকেট ভরা ছিল। এখন আর দুর্নীতির টাকা নেই। এজন্য বড় গরু কিনতে পারছেন না। যাদের কাছে টাকা ছিল, ব্ল্যাক মানে ছিল, তারাই তো বড় বড় গরু কিনতো। কিন্তু সৎ পথে যারা আয় করে, তাদের মধ্যেও বহু লোক আছে বড় গরু কিনবে। তবে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে ঘুরে আমি যে নিরাপত্তা দেখলাম, আমার কাছে পর্যাপ্ত এবং ভালোই মনে হয়েছে। আপনাদের কি মনে হয়, এই নিরাপত্তা পর্যাপ্ত এবং যথেষ্ট?
কল্যাণপুর থেকে গাবতলী এতটুকু সড়কের মধ্যেই বেশি যানজট, সমাধানের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ এতোটুকু জায়গার মধ্যে যানজটটা একটু বেশি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।