পুঁজিবাজার
খুলনা প্রিন্টিংয়ের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ বিএসইসির

শেয়ারবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া এবং অধিক পরিমাণ লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের কারখানায় উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। তারপরও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম রহস্যজনকভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির বর্তমান পরিস্থিতি জানার জন্য কারখানা পরিদর্শন করেছে ডিএসইর পরিদর্শক দল। পরিদর্শনকালে তারা কারখানাটি বন্ধ পেয়েছে। এ খবর প্রকাশ পাওয়ার পরেও কোম্পানিটির শেয়ারের দামের উল্লম্ফন থামেনি। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া এবং হঠাৎ অধিক পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৪ কার্যদিবসে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারের দাম ৩০ টাকা ৮০ পয়সা বেড়েছে। গত ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ২৬ টাকা। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায়। ফলে, এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া, ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭১ টাকা। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯২ টাকা। ফলে, কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভিক বেড়ে যাওয়া এবং হঠাৎ অধিক পরিমাণ শেয়ার লেনদেন বিএসইসির সার্ভিল্যান্স বিভাগের নজরে এসেছে।
ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে (সিআরও) পাঠানো চিঠিতে বিএসইসি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের দাম ও পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিটি সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক মূল্য এবং শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেনি। এ পরিস্থিতিতে ডিএসইকে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন সম্পর্কে বিশদ বিবরণে ওপর উল্লেখিত সময়ের জন্য তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোম্পানিটির শেয়ার ২৬ টাকা থেকে ৫৬ টাকা ৮০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে গত ২ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার উল্লিখিত সময়ে ১১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এই চিঠি জারির তারিখ থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে বিএসইসির কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো।
এদিকে, চলতি বছরের গত ২৯ জানুয়ারি শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানায়, কোনো প্রকার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের শেয়ারের দাম বাড়ছে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিনিয়োগকারীদের মতে, উৎপাদন বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এর পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি না, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার নিয়ে কোনো কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিনিয়োগকারীরা সতর্ক না হলে এই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হতে পারে।
কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে লোকসান দিয়ে আসছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। লোকসান গুনতে থাকার মধ্যেই কোম্পানিটির উৎপাদ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ প্রায় দুই বছর ধরে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ আছে। ইতোমধ্যে কোম্পানিটির পুঞ্জিভূত লোকসান ও দায় তার পরিশোধিত মূলধনকেও ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৬ পয়সা। এছাড়া অর্ধবার্ষিক প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা। এছাড়া, সর্বশেষ ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ০.২৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এরপর থেকে কোম্পানিটি আর কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।
প্রসঙ্গত, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৪ সালে। ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৭ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজারটি। এর মধ্যে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩৯.৭৬ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১ দশমিক ১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার আছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫২ টাকা ৫০ পয়সায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বিডি ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ হিসাববছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪১ টাকা ৬১ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর সমন্বিতভাবে ৫ টাকা ৬০ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল ৩০ টাকা ৫ পয়সা।
আগামী ২৯ মে সকাল ১১ টায় ডিজিটাল হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ মে ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সেনা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ১০৭ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১০৭ শতাংশ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৯২ পয়সা।
আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি অর্থের প্রবাহ ছিলো ৯ টাকা ৫০ পয়সা। যা গত বছর ছিলো ১ টাকা ৪০ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৬ টাকা ৯৮ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইডিএলসির ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, বাকী ৫ শতাংশ বোনাস।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত বছরে সমন্বিতভাবে আইডিএলসি ফাইন্যান্স ২০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা নীট মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি। এককভাবে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৬৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের বছর ৩ টাকা ৬৪ পয়সা ছিল।
আলোচিত বছরে কোম্পানিটির আমানতসহ অন্যান্য সূচকও ছিল উর্ধমুখী। সর্বশেষ বছরে গ্রাহকের আমানত বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, পাশাপাশি গ্রুপটি সাফল্যের সাথে ১১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকার লোন পোর্টফোলিও ধরে রেখেছে।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইডিএলসি’র রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওআই) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৩৩% এ; অন্যদিকে রিটার্ন অন অ্যাসেটস (আরওএ) বেড়ে ১.৩৫% হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মূল সম্পদের কার্যকরী ও লাভজনক ব্যবহারের প্রমাণ।
উল্লেখিত বছরে ১০৬.১১% মন্দ ঋণের কভারেজ অনুপাত সহ আইডিএলসি’র মন্দ ঋণের (এনপিএল) অনুপাত ছিল ৪.৪৫%, যা প্রতিষ্ঠানটির আগের বছরের অনুপাতের তুলনায় কম এবং আর্থিক খাতের গড়ের তুলনায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এটি আইডিএলসি’র দক্ষ ঋণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পরিচয় দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক প্রস্তুতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আইডিএলসি’র দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
আইডিএলসির পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান–আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, এবং আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ২০২৪ সালেও নিজেদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে, যা আইডিএলসি গ্রুপের সাফল্যে অবদান রেখেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সরকার পুঁজিবাজারের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা দেশের উন্নয়ন ও সংস্কার তথা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেন। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন না হলে দেশ এগোতে পারবে না।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ আমন্ত্রণের ভিত্তিতে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বীমা ও পুঁজিবাজার অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব এবং পুঁজিবাজার অংশীজন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের শীর্ষ প্রতিনিধিরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সভায় ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী মতবিনিময় সভা আয়োজন ও সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত মতামত এবং প্রস্তাব তুলে ধরার জন্য বিএসইসি ও বাজার অংশীজনদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, সংস্কার ও প্রতিবন্ধকতাগুলোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটির কাছে পাঠানোর অনুরোধ জানান তিনি।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শুধু বিদেশি অনুদাননির্ভর না হয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য যে ফান্ড বা বিনিয়োগ প্রয়োজন, তা দেশের মধ্যে থেকেই সংগ্রহ করতে হবে। সেজন্যই দেশের পুঁজিবাজারের উন্নতি দরকার। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই একসঙ্গে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কাজ করব।
দেশের কল্যাণের স্বার্থে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অধিকতর শক্তিশালী করা এবং দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারে সহায়তার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তি প্রয়োজন। দেশের পুঁজিবাজার গত ১৫ বছরে ভালো কোম্পানি পায়নি। ভালো কোম্পানিকে বাজারে নিয়ে আসাও চ্যালেঞ্জ। ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির জন্য বিএসইসি চেষ্টা চালাচ্ছে। পুঁজিবাজার সংস্কার টাওফোর্সের সুপারিশের আলোকে খুব দ্রুতই পাবলিক ইস্যু রুলসের সংস্কার করা হবে, যা ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তিনি দেশের অর্থনীতিকে পুঁজিবাজারমুখী করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সভায় পুঁজিবাজারের অংশীজনরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, টার্নওভারের ওপর উৎসে কর কমানো, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের পার্থক্য বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে নেগেটিভ ইকুইটির সমাধান, ভালো ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা, পণ্যে বৈচিত্র্য আনা, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বাস্তবায়ন, বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারের বাজার কাঠামো আধুনিকায়ন, সিসিবিএলের বাস্তবায়ন, সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় বৃদ্ধি, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন রিভিউ, বিভিন্ন প্রণোদনা বা সুবিধার মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী করা, পুঁজিবাজারে অনিয়ম ও কারসাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, লভ্যাংশ আয়ের ওপর কর রেয়াত বৃদ্ধি, মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগে রিবেট সুবিধা বৃদ্ধি, মিউচুয়াল ফান্ডের আইপিও কোটা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ নীতিমালা প্রস্তুত করা, পুঁজিবাজারে সকল পর্যায়ে অটোমেশন বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি সরকারের নীতি সহায়তার বিষয়ে সভায় প্রস্তাব রাখেন।
সভার প্রথমাংশে বিএসইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকগণ, পরিচালকগণ ও কমিশন সচিব সভার এ অংশে অংশ নেন। কমিটির সদস্য সচিব ও বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ সভার সূচনা করেন এবং সকলকে স্বাগত জানান। এ সময় বিএসইসি’র পরিচালক মো. আবুল কালাম একটি প্রেজেন্টেশন দেন। এ সময় বিএসইসির সামগ্রিক কর্মকাণ্ড ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসির পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে অবহিত করা হয়। এছাড়াও বিএসইসির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়সহ বিএসইসি ও পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার পথে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন কমিটির সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
সভার দ্বিতীয়াংশে পুঁজিবাজারের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। এ সময় পুঁজিবাজার অংশীজন হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. মোমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল মোতালেব, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম খায়রুজ্জামান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মাজেদা খাতুন, অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি আন্ড মিউচুয়াল ফান্ডসের (এএএমসিএমএফ) সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির (এসিআরএবি) সভাপতি এন কে এ মবিন এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৭ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২১ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ২২ লাখ ৮৯ হাজার ১২৬টি শেয়ার ৫৬ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৭ কোটি ৮২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ব্লকে সবচেয়ে বেশি বীচ হ্যাচারির ১২ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রিমিয়ার সিমেন্টের ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্সের ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম