পুঁজিবাজার
খুলনা প্রিন্টিংয়ের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ বিএসইসির

শেয়ারবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া এবং অধিক পরিমাণ লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের কারখানায় উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। তারপরও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম রহস্যজনকভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির বর্তমান পরিস্থিতি জানার জন্য কারখানা পরিদর্শন করেছে ডিএসইর পরিদর্শক দল। পরিদর্শনকালে তারা কারখানাটি বন্ধ পেয়েছে। এ খবর প্রকাশ পাওয়ার পরেও কোম্পানিটির শেয়ারের দামের উল্লম্ফন থামেনি। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া এবং হঠাৎ অধিক পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৪ কার্যদিবসে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারের দাম ৩০ টাকা ৮০ পয়সা বেড়েছে। গত ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ২৬ টাকা। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায়। ফলে, এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া, ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭১ টাকা। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯২ টাকা। ফলে, কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভিক বেড়ে যাওয়া এবং হঠাৎ অধিক পরিমাণ শেয়ার লেনদেন বিএসইসির সার্ভিল্যান্স বিভাগের নজরে এসেছে।
ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে (সিআরও) পাঠানো চিঠিতে বিএসইসি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের দাম ও পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিটি সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক মূল্য এবং শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেনি। এ পরিস্থিতিতে ডিএসইকে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন সম্পর্কে বিশদ বিবরণে ওপর উল্লেখিত সময়ের জন্য তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোম্পানিটির শেয়ার ২৬ টাকা থেকে ৫৬ টাকা ৮০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে গত ২ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার উল্লিখিত সময়ে ১১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এই চিঠি জারির তারিখ থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে বিএসইসির কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো।
এদিকে, চলতি বছরের গত ২৯ জানুয়ারি শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানায়, কোনো প্রকার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের শেয়ারের দাম বাড়ছে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিনিয়োগকারীদের মতে, উৎপাদন বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এর পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি না, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার নিয়ে কোনো কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিনিয়োগকারীরা সতর্ক না হলে এই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হতে পারে।
কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে লোকসান দিয়ে আসছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। লোকসান গুনতে থাকার মধ্যেই কোম্পানিটির উৎপাদ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ প্রায় দুই বছর ধরে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ আছে। ইতোমধ্যে কোম্পানিটির পুঞ্জিভূত লোকসান ও দায় তার পরিশোধিত মূলধনকেও ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৬ পয়সা। এছাড়া অর্ধবার্ষিক প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা। এছাড়া, সর্বশেষ ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ০.২৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এরপর থেকে কোম্পানিটি আর কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।
প্রসঙ্গত, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৪ সালে। ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৭ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজারটি। এর মধ্যে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩৯.৭৬ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১ দশমিক ১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার আছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫২ টাকা ৫০ পয়সায়।

পুঁজিবাজার
বিদায়ী সপ্তাহে ব্লকে লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সপ্তাহ শেষে ব্লকে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি। সমাপ্ত সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মিডল্যান্ড ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এবং ৫ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, ব্র্যাক ব্যাংক, ন্যাশনাল টিউবস, ফাইন ফুডস, এবি ব্যাংক, রেনেটা পিএলসি এবং আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বার্জার পেইন্টস

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) শেয়ারবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বার্জার পেইন্টসের।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহজুড়ে বার্জার পেইন্টসের দর কমেছে ১১.৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১ হজার ৭৩৪ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ টাকা ৬০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৯৫ টাকা।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৬ টাকা ৫০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৬০ পয়সা বা ৯.২৩ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ৮.৭৩ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে লাভেলো আইসক্রীম। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১০৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রহিমা ফুডের দর কমেছে ৭.৯৩ শতাংশ, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫.৫৬ শতাংশ, সমতা লেদারের ৫.২৩ শতাংশ, সোনারগাঁ ৫.০৭ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ৪.৮৭ শতাংশ, ইস্টার্ন কেবলসের ৪.১৮ শতাংশ এবং মুন্নু এগ্রোর ৪.১৮ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) ব্যাংক হলিডের কারণে শেয়ারবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে ৩১.২৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসএমইএলএলইসি মিউচুয়াল ফান্ড। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ২০.৭২ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ২০ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে রূপালী ব্যাংক। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ২১ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর বেড়েছে ১৯.০৫ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১৫.৩২ শতাংশ, মেঘনা পেটের ১৪.৯৩ শতাংশ, ড়েশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৪.৪২ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড মিলের ১২.৮৭ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১২.৫০ শতাংশ এবং ইন্দো-বাংলা ফার্মার ১২.১০ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) একদিন হলিডে থাকার কারণে পুঁজিবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রীম। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৮৩ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৬ কোটি ০৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৩০ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে অগ্নি সিস্টেমের ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ১২ কোটি ৯২ লাখ টাকা, সী পার্ল রিসোর্টের ১০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ফাইন ফুডের ৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজের ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার

বর্তমানে পুঁজিবাজারের মাঠ তো খেলার জন্য পুরো প্রস্তুত। যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য ভালো ফল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার এম. আলী আকবর।
শুক্রবার (৪ জুলাই) ও শনিবার (৫ জুলাই) দুই দিনব্যাপী আশুলিয়ার ব্র্যাক সিডিএমে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) যৌথ উদ্যোগে আবাসিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালার শুরুতে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরামের (সিএমজেএম) সভাপতি এসএম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কি ফাউল খেলতে চাচ্ছেন, এমন মাঠ নেই তাই আস্থা পাচ্ছেন না? নাকি শৃঙ্খলভাবে খেলার মাঠে আস্থা পাচ্ছেন না, যেখানে প্লেয়িং ফিল্ডে সুন্দরভাবে খেলা যায়? আমি বুঝতে পারছি না বিনিয়োগকারীরা কোন ধরনের মার্কেটের জন্য আস্থার সংকট দেখছে। আমরা চাই বিনিয়োগকারীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন। আর পুঁজিবাজারও যেন উন্নতি করে।
তিনি আরো বলেন, শেয়ারবাজারে আস্থা সংকট নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি নিজেও জানি না আস্থা কখন কিভাবে, কার ওপর হয় এবং তা কতক্ষণ থাকে।তবে আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারব এই বাজারে আমার কোনো নেতিবাচক ভূমিকা নেই। এই কমিশন ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করে না। বিশ্বাস বা কনফিডেন্স কখন কোন বিষয়ে কার ওপর হয়, সেটা কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারেন না। এই মাকেটের ব্যাপারে কোনো ধরনের নেতিবাচক ভূমিকা বিএসইসির নেই। আমরা চাই মার্কেট ভালো হোক।
আলী আকবর বলেন, সাধারণভাবে প্রশ্ন জাগে বিএসইসি এত জরিমানা কেন করে? যখন কেউ আইন বা বিধি লঙ্ঘন করে তখনই পেনাল্টি করা হয়। যে বা যারা পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করবে বা করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তবে এটা আগেও করা হয়েছে, কৌশলে। অথবা করা হয়নি।
তিনি বলেন, সত্য সুন্দরের সাথে অসত্যকে মিশ্রণ করা যাবে না। যিনি জরিমানা পরিশোধে রাজি, তার কোনো সমস্যা নেই। আর যিনি আপিল করবেন, সেটিও তার অধিকার। কমিশনের পক্ষে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করা সম্ভব নয়। পুঁজিবাজার ধ্বংসে যেসব চক্র সক্রিয়, বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসইসি কমিশনার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি অ্যানফোর্সমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে। এটা না করলে বাজারকে সঠিকপথে রাখা যাবে না। পেনাল্টির ব্যাপারে দুটো অপশন, একটি আমাদের পেনাল্টির টাকা আপনি দিয়ে দেবেন। অপরটি হলো টাকা না দিয়ে আপনি আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। তবে পেনাল্টির টাকা একদিন না এক সময় আদায় হবেই।
বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিএসইসি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের রিপোর্ট আমাদের বড় সহায়তা করে। অনেক সময় সাংবাদিকরা ব্যক্তিগতভাবেও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। আজকের এই প্রশিক্ষণ তাদের আরও কার্যকর রিপোর্টিংয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করি।
সিএমজেএফ সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাজার উন্নয়নে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত সময়োপযোগী।