অর্থনীতি
ব্যবসার ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়নে ধারণা দিবে পিএমআই

দেশের অর্থনীতির তথ্য-উপাত্তসহ ব্যবসার ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বাভাসের তথ্য জানাবে পারচেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স (পিএমআই)। যা কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের নতুন ক্রয়াদেশ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান, সরবরাহ এবং ইনভেন্টরির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য এবং সম্ভাব্য খাতভিত্তিক সুযোগগুলোর একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি সরবরাহ করে। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উন্নীত হওয়ার আলোকে, বিশেষ করে মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের চ্যালেঞ্জ দৃশ্যমান হওয়ার পর বাংলাদেশের উন্নয়ন গতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে পিএমআই বা ক্রয় ব্যবস্থাপনা সূচকের মাধ্যমে ব্যবসার পূর্বাভাসের তথ্য জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি) যৌথভাবে এখন থেকে এসব তথ্য জানাবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর গুলশানে এমসিসিআই কার্যালয়ে পিএমআই তৈরি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। বিস্তারিত তুলে ধরেন পিইবির চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিইবির অর্থনীতিবিদ ও সিনিয়র ম্যানেজার হাসনাত আলম। পিএমআই যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) সহায়তায় এমসিসিআই ও পিইবির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম। অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান।
মাশরুর রিয়াজ জানান, পিএমআই বাংলাদেশে নতুন হলেও বিশ্বে এটি নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪৯ সালেই এটি চালু হয়। বাংলাদেশের কিছু প্রধান শিল্প খাতের অন্য দিকগুলো প্রতিফলিত করতে এবং মোকাবিলার জন্য এটি ব্যবহার হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন খাতের নীতিনির্ধারকরা খুব সহজেই অর্থনীতির পূর্বাভাস বুঝে বিনিয়োগ করতে পারবেন। সরকার, বেসরকারি খাত, সিভিল সোসাইটি এ টুল ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে এটি সহায়ক হবে। কারণ এর মাধ্যমে প্রতি মাসের অর্থনৈতিক পরিবেশ বোঝা যাবে। সর্বোচ্চ ১০ দিনের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ১১তম দিনের তথ্য আমাদের কোনো কাজে আসবে না। তখন চিহ্নিত করা যাবে কে সঠিক উত্তর দিচ্ছেন, কী করছেন।
ইউনিলিভারের জিনিয়া হকের এক প্রশ্নের জবাবে মাশরুর রিয়াজ বলেন, ধার যাক, ইউনিলিভার সাবান তৈরির জন্য কাঁচামাল কিনেছে। এটি প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কতটুকু সহায়ক হবে, কতটুকু প্রভাব ফেলবে—তা পিএমআইর মাধ্যমে জানা যাবে।
ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ১০ বছর ধরে ৬ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে। বিশ্বজুড়ে পিএমআই ব্যবহার হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগের জন্যও এটি জরুরি।
তিনি বলেন, এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়া নির্দেশ করবে এ টুল। রিয়েল টাইম ডাটা অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতির পরের ধাপে কীভাবে পৌঁছানো যাবে—সেটি জানা জরুরি। এর মাধ্যমে পরের ধাপে পৌঁছানোর নির্দেশনা মিলবে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মতে, পরিবর্তনশীল বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বা সংগতিপূর্ণ থাকতে পিএমআই অবশ্যই প্রয়োজন।
মূল প্রবন্ধে হাসনাত আলম জানান, এটি এখন পাইলট প্রকল্প হিসেবে আছে। গত নভেম্বর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মার্চ নাগাদ একটি প্রতিবেদন আমরা প্রকাশ করতে পারব বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি নতুন হওয়ায় চ্যালেঞ্জ অনেক। বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের তথ্য প্রকাশ করতে চাইবে না। তবে আমরা প্রশ্নগুলো সেভাবেই সাজিয়েছি। এতে কোম্পানি যে কোনোভাবেই তথ্য দিতে পারবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে আরও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে ১ হাজার ৫৬৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নতুন মূল্যই দেশের সব জুয়েলারি দোকানে কার্যকর থাকবে। তবে বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।
এর আগে, গত ১২ মে বাজুস ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কমিয়ে ভরিপ্রতি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অতিরিক্ত সচিব নাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেনের অনৈতিক ও লাগাম ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার, দূর্নীতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একসময় শেয়ারবাজার বিভাগের প্রধান দায়িত্বে থাকা ড. নাহিদ হোসেন ও তার স্ত্রী-মেয়ে’সহ পরিবারের সদস্যদের তার ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক। সেই সঙ্গে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
গত ৭ মে কমিশনের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. রুবেল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। তাকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বরারব অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র বা তথ্যাদি সরবরাহ করার অনুরোধ করা হয়।সেই সঙ্গে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন নহিদ হোসেন, স্ত্রী মাকসুদা সুলতানা, শাহমীর হোসেন এবং কন্যা আমিরাহ মরিয়মের একক বা যৌথ নামে কোন প্রিমিয়াম ক্রয় করা হয়েছে কি না; হয়ে থাকলে তা জানা একান্ত প্রয়োজন। অতএব, জরুরীভিত্তিতে চাহিত রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি আগামী ২১ মে-এর মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর বরাবর প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে আপনার সহযোগিতা একান্ত কাম্য। অনুসন্ধানের সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে বিষয়টি অতীব জরুরী।
জানা গেছে, ড. নাহিদ হোসেন প্রায় ১০ বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অধিকাংশ সময় পুঁজিবাজার, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান শাখায় কাজ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার, বীমা ও আর্থিক খাতে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যান্য সম্পদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর একটি বিলাসবহুল বাড়ি আছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ২০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব থেকে নাহিদ হোসেনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আশিক চৌধুরীর ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার, বিডার দুঃখ প্রকাশ

নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর ব্যক্তিগত তথ্য অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, এটি তাদের টিমের অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর ব্যক্তিগত সফর সংক্রান্ত একটি খবর পোস্টের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিডা আরও জানায়, সংস্থার অফিশিয়াল পেজ শুধুমাত্র দাপ্তরিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রচারের জন্য নির্ধারিত। সংশ্লিষ্ট পোস্টটি টিমের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির কারণে প্রকাশিত হয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থেকে কেবল প্রাসঙ্গিক তথ্যই প্রকাশ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৬ প্রস্তাবে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের ৫টি প্যাকেজের আওতায় পূর্ত কাজের ৬টি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৩ টাকা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে নতুন ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৯/০১ -এর পূর্ত কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গোলাম রব্বানি কন্সট্রাকশন লিমিটেড ৩৮ কোটি ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠকে একই প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৯ /০২ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৪ হাজার ৫২৮ টাকা।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৪/০২ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাজওয়ার ট্রেড সিস্টেম লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬ কোটি ৯৪ লাখ ২২ হাজার ২৭৪ টাকা।
‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৪/০৩ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং, খুলনা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৩ কোটি ২৯ লাখ ১৩ হাজার ১২৪ টাকা।
বৈঠকে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৪/০৪ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন, বরিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩৪ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার ৩৩৯ টাকা।
এছাড়া বৈঠকেব প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৪/০৫ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভাওয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কন্সট্রাকশন লি. ময়মনসিংহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ব্যয় হবে ৪৯ কোটি ২ লাখ ৮৮ হাজার ২১০ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আইএমএফের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

অবশেষে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বাংলাদেশের জন্য অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির কাছ থেকে নেওয়া মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শেষ দুটি কিস্তির অর্থ আগামী জুনে পেতে পারে বাংলাদেশ। ওই মাসেই আইএমএফের বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ঋণ প্যাকেজের শেষ দুই কিস্তি অনুমোদন করা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে দফায় দফায় বৈঠকের পর অর্থ ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা শুধু এ সুখবরটি দিতে পারি যে, জুনে ঋণের কিস্তির ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার (১৩০ কোটি ডলার) ছাড় হবে। জুনের (আইএমএফের) বোর্ড সভায় এ অর্থ ছাড় হবে বাংলাদেশের জন্য। বিস্তারিত আগামীকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গভর্নর বিস্তারিত জানাবেন বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে আইএমএফ ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে। জুনে বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (৪৭০ কোটি ডলার) ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুটি কিস্তি অনুমোদন করবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থ ছাড়ের জন্য নির্ধারিত থাকলেও সংস্কারের শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা বিলম্বিত হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে এ ঋণ দেওয়ার কথা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনটি কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। এ হিসাবে ঋণের বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।
গত বছরের ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও নানা শর্তে তা আটকে দেয় আইএমএফ।
তখন আইএমএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শর্ত পূরণ করলে চলতি বছরের মার্চে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাবে বাংলাদেশ। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ঘোষণা আসে, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একত্রে চলতি বছরের জুনে দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে এপ্রিলে বাংলাদেশে সফরে এসেছিল আইএমএফ প্রতিনিধিদল।
ঋণের এই অর্থ ছাড় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি বিনিয়োগকারী ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।