অন্যান্য
লভ্যাংশের অর্থ পায়নি এমারেল্ড অয়েলের বিনিয়োগকারীরা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লভ্যাংশের অর্থ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন বিনিয়োগকারীরা। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীনসহ মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের দিয়ে এ লভ্যাংশ অনুমোদনও করিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ লভ্যাংশের সেই অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধই করা হয়নি। নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে তা না দেওয়াকে মহাপ্রতারণা বলছেন বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষণা করা লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডদের অনুমোদনের ৩০দিনের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি বিএসইসির জারি করা আদেশে বলা হয়, অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে লভ্যাংশ জমা করতে হবে। অন্যথায় জরিমানাসহ শাস্তির আওতায় আসবে কোম্পানিটি।
সূত্র মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন নির্দেশনা থাকলেও ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের পর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও সেই লভ্যাংশের অর্থ এখনো বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠায়নি খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটির লভ্যাংশের এ অর্থ পাঠানোর শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি।
এদিকে গত ৩০ জুন,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীনসহ মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। যার রেকর্ড ডেট ছিলো একই বছরের ২৯ নভেম্বর। আর এজিএম ছিলো ২৭ ডিসেম্বর। কোম্পানিটির এজিএমে পূর্ববতী উদ্যোক্তা ও পরিচালকগণ যাদের শেয়ার ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যতীত সকলের জন্য এ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও কোম্পানিটি লভ্যাংশের এ টাকা বিনিয়োগকারীদের বুঝিয়ে দেয়নি।
নির্ধারিত সময় শেষ হলেও লভ্যাংশের অর্থ বিতরণ না করায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করেছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। লভ্যাংশ নিয়ে কোম্পানিটির এ ধরনের প্রতারণার আইনি ব্যবস্থা ও কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ অবস্থায় লভ্যাংশ না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করছে কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও কোম্পানিটির শেয়ারদর নিয়ে কারসাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
এ বিষয়ে জানতে এমারেল্ড অয়েলের কোম্পানি সচিব মো. ইমরান হোসাইনকে একাদিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তিতে অর্থসংবাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া দেননি তিনি।
এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার নিয়ে গেম্বলিংয়ের অভিযোগ উঠেছে কোম্পানিটির একজন পরিচালকের বিরুদ্ধে। জাপান প্রবাসী মিয়া মামুন নামের এক ব্যক্তি এ কোম্পানিটির শেয়ার দর নিয়ে কারসাজি করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন গল্প ছড়িয়ে ৮ টাকা দরের শেয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৮৮ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যা বর্তমানে ৭০-৮০ টাকার মধ্যে দর উঠা-নামা করে। সেই হিসাবে বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে মিয়া মামুনকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে মন্তব্য জানতে অর্থসংবাদের পক্ষ থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি তিনি।
জানা গেছ, দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানির মালিকানায় এসেছে কথিত জাপানি একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিগুলোর শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে মিনোরি বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানটি দুই কোম্পানির মালিকানায় আসে। এ খবরসহ বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে মিয়া মামুন সিন্ডিকেট দুটি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধিতে কারসাজি করেই যাচ্ছে। একটি কোম্পানির শেয়ার ৮ টাকা থেকে বেড়েছে ১৮৮ টাকা পর্যন্ত। এখন অপর একটি কোম্পানির শেয়ারদর নিয়ে একই রকম ফাঁদ পেতেছে এই চক্রটি। ২৩ টাকা দরের শেয়ারটি ৪৩ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ধরিয়ে দিয়ে ফের ২৫ টাকা করে কিনছে চক্রটি যার দর ৩০ টাকার উপরে। আবারও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিভিন্ন মুখরোচক গালগল্প সাজিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে। মিনোরি বাংলাদেশের মালিকানায় রয়েছেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি মিয়া মামুন। তাঁর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একাধিক কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গুজব ছড়িয়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর আকাশচুম্বী করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের মালিকানায় যুক্ত হয়েছে মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেড। দুই কোম্পানির মালিকানায় মিনোরির যুক্ত হওয়ার খবরে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারদর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও শেয়ারহোল্ডাররা এখনো লভ্যাংশ পাননি। এর মধ্যে এমারেল্ড অয়েলের কারখানাসহ সব সম্পত্তি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বেসিক ব্যাংক নিলামে তুলেছে। ফলে সম্পদবিহীন কাগুজে কোম্পানিতে পরিণত হতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবুও নিত্যনতুন গুজব ছড়িয়ে শেয়ারটির দর বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস নিয়েও কারসাজি করে যাচ্ছে মিয়া মামুন চক্র।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ওই বছর পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ইস্যু করে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠানটি। ধানের কুঁড়া থেকে তেল উৎপাদন ও বাজারজাত করে এমারেল্ডের স্পন্দন ব্র্যান্ড সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। তবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির মাত্র দুই বছর পরেই বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার কারণে ২০১৬ সালের ২৭ জুন থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এ মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে যায় এমারেল্ডের মালিকপক্ষ।
সূত্র জানায়, এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মালিকপক্ষের পালিয়ে যাওয়ার খবরের সুযোগ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে মিনোরি বাংলাদেশের মালিক মিয়া মামুন। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় তাঁর এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার নিয়ে কারসাজির পরিকল্পনা। তখন থেকেই কম মূল্যে কিনতে থাকে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার। এক্ষেত্রে নিজের ঘনিষ্ঠজনদের ব্যবহার করেন মিয়া মামুন। বিভিন্ন নামে-বেনামে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার কেনা সম্পন্ন হলে শুরু করে কারসাজির দ্বিতীয় ধাপ।
দ্বিতীয় ধাপে কৌশলে জাপানের কোম্পানি মিনোরিকে যুক্ত করা হয় এমারেল্ড অয়েলের মালিকানায়। শেয়ারবাজারে এই তথ্যটি ছড়িয়ে কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয় কোম্পানিটির শেয়ারদর। কয়েক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায় ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে- মূলত শেয়ার কারসাজি করতেই এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকানায় এসেছে মিয়া মামুন।
জানা গেছে, এমারেল্ড অয়েলের সম্পদ নিলামে বিক্রি করতে বেসিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে অর্থঋণ আদালত। এর প্রেক্ষিতে একবার নিলামও করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকটি। তবে কেউ নিলামে অংশ নেয়নি। ফলে আইন অনুযায়ী পুণরায় নিলাম করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বেসিক ব্যাংক। এরপরও এমারেল্ডের সম্পদ বিক্রি না করতে পারলে তা ভোগদখল করবে ব্যাংকটি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি কোম্পানির কোন সম্পদ নেই জানা সত্ত্বেও কোম্পানিটি কেনার একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে শেয়ারদর নিয়ে কারসাজি করা। তাঁরা বলছেন, মিনোরি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে ইতিমধ্যেই কোম্পানিটির শেয়ারদর আকাশচুম্বী করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মিয়া মামুন কোটি কোটি টাকা হাঁতিয়ে নিয়েছে। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এদিকে এমারেল্ড অয়েলের ৩৮ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক হলেও কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে নাম নেই মিয়া মামুনের।
বেসিক ব্যাংক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থসংবাদকে বলেন, এমারেল্ড অয়েলের নতুন পরিচালনা পর্ষদকে ঋণ পরিশোধে অগ্রসর হওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়। বর্তমান পর্ষদ শর্ত দিয়েছে সুদ মওকুফ ও পুনঃতফসিলের আবেদন নিষ্পত্তি করতে। এমন অবস্থায় ব্যাংকের নিয়মাচার অনুযায়ী দলিলাদি সম্পাদন এবং সোলেনামার মাধ্যমে মামলা স্থগিতের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আইনি জটিলতা নিরসনের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে একাধিক চিঠি এবং আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বর্তমান পর্ষদ প্রয়োজনীয় সহায়তা না করায় এবং আইনী জটিলতা থাকায় ঋণটি পুনঃতফসিল করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করার পর নতুন করে ফু-ওয়াং ফুড নিয়ে খেলছে মিয়া মামুন চক্র। এক্ষেত্রেও জাপানি প্রতিষ্ঠান মিনোরি বাংলাদেশের বিনিয়োগের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। সম্প্রতি ফু-ওয়াং ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদেও যোগ দিয়েছেন আলোচিত মিয়া মামুন।
মিয়া মামুনের জন্ম চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে। ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৮ সালে সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০০ সালে জাপানে পাঁড়ি জমান মিনোরির এই উদ্যোক্তা। ২০০৮ সালে পড়াশোনা শেষ করে তিন বছর চাকরি করেন। পরবর্তীতে জাপানে গড়ে তোলেন মিনোরি নামের কোম্পানি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
দর বৃদ্ধির শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭৭টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৮ মে) ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৭০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেডিএস এক্সেসরিজের শেয়ার দর ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- এসবিএসি ব্যাংক, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড-১, লাভেলো আইসক্রিম, এবি ব্যাংক এবং ফার কেমিক্যালস।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সখিপুর থানা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিসেবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের একটি রাতের মিছিলকে কেন্দ্র করে সখিপুর থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সখিপুর থানা ছাত্রদল ও সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল। সোমবার (০৫ মে) সখিপুর থানার সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, গভীর রাতে ধানক্ষেতে মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সখিপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. নিহাদ সরদার বলেন, সখিপুরের মাটি শান্তির, এখানে কোনো স্বৈরাচার বা তাদের দোসরদের জায়গা হবে না। যারা সখিপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে সখিপুর থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সখিপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহিদুল ইউসুফ জিসান বালা বলেন, এই মিছিলের মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে চাই যে, সখিপুরের মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচারের স্থান হবে না। আমরা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করব না।
সখিপুর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজিব সরদার বলেন, আমরা জননেতা শফিকুর রহমান কিরণের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।
সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফাইজুল ইসলাম সরদার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সখিপুর চাই। কেউ যদি জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা ছড়াতে চায়, তাহলে সখিপুর থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইমরান হোসেন বাবু বকাউল, সখিপুর থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন বেপারী, সখিপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. ইমরান হোসেন সরকার, সখিপুর থানা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম মুন্সি, আরশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন।
এছাড়াও সখিপুর থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
শিক্ষা-বিমান-রেলের তিন প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৩৯০ কোটি টাকা

কেরানীগঞ্জে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণের ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের আওতায় ঘোড়াশাল স্টেশনের নিকটবর্তী টেক অব পয়েন্ট থেকে পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার অভ্যন্তর পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ সাইডিং লাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এই ৩ প্রকল্পের জন্য ৩৯০ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৫ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন (১ম সংশোধিত)’ (কেরানীগঞ্জ, ঢাকা) প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
এই প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। ৪টি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। তার মধ্যে ৩টি দরদাতার দর সর্বনিম্ন এবং সমদর হওয়ায় এ বিষয়ে বিদ্যমান পদ্ধতি অনুসারে নির্বাচিত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬১ কোটি ৯০ লাখ ১২ হাজার ৮৬৪ টাকা।
এই নির্মাণ কাজের আওতায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবন বেজমেন্ট, প্রশাসনিক ভবন, ট্রেনিং সেন্টার মেডিকেল সেন্টার, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, পরিবহনপুল ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৩০ এপ্রিল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ-এর পূর্ত কাজ ২৭৫ কোটি টাকায় যৌথভাবে সিআরএফজি এবং এনডিই’র সঙ্গে ক্রয় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে প্রকল্প চলমান অবস্থায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড পরিবর্তিত হওয়ায় নতুন করে বিভিন্ন ধরনের কমিউনিকেশন ও সিকিউরিটি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৯ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার’ প্রকল্পের আওতায় ঘোড়াশাল স্টেশনের নিকটবর্তী টেক অব পয়েন্ট থেকে পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার অভ্যন্তর পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ সাইডিং লাইন নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
প্রকল্পের আওতায় পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৩টি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কন্সট্রাকশন কো. লি. ঢাকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৪০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০২ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
মুনাফায় বিকন ফার্মা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২৮ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৯৫ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ২ টাকা ৩০ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ৫ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল মাইনাস ৭ টাকা ৩৮ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৭ টাকা ৮০ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
শর্তসাপেক্ষে প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ালো বিএসইসি

পুঁজিবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারগুলোর ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন ঋণ হিসাবের আদায় না হওয়া লোকসানের (নেগেটিভ ইক্যুইটি) বিপরীতে প্রভিশন রাখার মেয়াদ বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৩তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন অ্যাকাউন্টে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির বিপরীতে রাখা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি, সেসব স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকদের তা সংরক্ষণের জন্য ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো।
এতে আরও বলা হয়, এ সুবিধা গ্রহণ করার জন্য যে সকল স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারের নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লস রয়েছে তাদের প্রত্যেককে নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লসের উপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ ৩০ জুরে মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) জানানো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে প্রভিশন রাখার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায় বিএসইসি।
এসএম