অন্যান্য
লভ্যাংশের অর্থ পায়নি এমারেল্ড অয়েলের বিনিয়োগকারীরা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লভ্যাংশের অর্থ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন বিনিয়োগকারীরা। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীনসহ মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের দিয়ে এ লভ্যাংশ অনুমোদনও করিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ লভ্যাংশের সেই অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধই করা হয়নি। নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে তা না দেওয়াকে মহাপ্রতারণা বলছেন বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষণা করা লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডদের অনুমোদনের ৩০দিনের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি বিএসইসির জারি করা আদেশে বলা হয়, অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে লভ্যাংশ জমা করতে হবে। অন্যথায় জরিমানাসহ শাস্তির আওতায় আসবে কোম্পানিটি।
সূত্র মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন নির্দেশনা থাকলেও ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের পর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও সেই লভ্যাংশের অর্থ এখনো বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠায়নি খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটির লভ্যাংশের এ অর্থ পাঠানোর শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি।
এদিকে গত ৩০ জুন,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীনসহ মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। যার রেকর্ড ডেট ছিলো একই বছরের ২৯ নভেম্বর। আর এজিএম ছিলো ২৭ ডিসেম্বর। কোম্পানিটির এজিএমে পূর্ববতী উদ্যোক্তা ও পরিচালকগণ যাদের শেয়ার ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যতীত সকলের জন্য এ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও কোম্পানিটি লভ্যাংশের এ টাকা বিনিয়োগকারীদের বুঝিয়ে দেয়নি।
নির্ধারিত সময় শেষ হলেও লভ্যাংশের অর্থ বিতরণ না করায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করেছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। লভ্যাংশ নিয়ে কোম্পানিটির এ ধরনের প্রতারণার আইনি ব্যবস্থা ও কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ অবস্থায় লভ্যাংশ না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করছে কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও কোম্পানিটির শেয়ারদর নিয়ে কারসাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
এ বিষয়ে জানতে এমারেল্ড অয়েলের কোম্পানি সচিব মো. ইমরান হোসাইনকে একাদিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তিতে অর্থসংবাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া দেননি তিনি।
এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার নিয়ে গেম্বলিংয়ের অভিযোগ উঠেছে কোম্পানিটির একজন পরিচালকের বিরুদ্ধে। জাপান প্রবাসী মিয়া মামুন নামের এক ব্যক্তি এ কোম্পানিটির শেয়ার দর নিয়ে কারসাজি করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন গল্প ছড়িয়ে ৮ টাকা দরের শেয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৮৮ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যা বর্তমানে ৭০-৮০ টাকার মধ্যে দর উঠা-নামা করে। সেই হিসাবে বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে মিয়া মামুনকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে মন্তব্য জানতে অর্থসংবাদের পক্ষ থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি তিনি।
জানা গেছ, দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানির মালিকানায় এসেছে কথিত জাপানি একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিগুলোর শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে মিনোরি বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানটি দুই কোম্পানির মালিকানায় আসে। এ খবরসহ বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে মিয়া মামুন সিন্ডিকেট দুটি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধিতে কারসাজি করেই যাচ্ছে। একটি কোম্পানির শেয়ার ৮ টাকা থেকে বেড়েছে ১৮৮ টাকা পর্যন্ত। এখন অপর একটি কোম্পানির শেয়ারদর নিয়ে একই রকম ফাঁদ পেতেছে এই চক্রটি। ২৩ টাকা দরের শেয়ারটি ৪৩ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ধরিয়ে দিয়ে ফের ২৫ টাকা করে কিনছে চক্রটি যার দর ৩০ টাকার উপরে। আবারও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিভিন্ন মুখরোচক গালগল্প সাজিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে। মিনোরি বাংলাদেশের মালিকানায় রয়েছেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি মিয়া মামুন। তাঁর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একাধিক কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গুজব ছড়িয়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর আকাশচুম্বী করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের মালিকানায় যুক্ত হয়েছে মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেড। দুই কোম্পানির মালিকানায় মিনোরির যুক্ত হওয়ার খবরে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারদর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও শেয়ারহোল্ডাররা এখনো লভ্যাংশ পাননি। এর মধ্যে এমারেল্ড অয়েলের কারখানাসহ সব সম্পত্তি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বেসিক ব্যাংক নিলামে তুলেছে। ফলে সম্পদবিহীন কাগুজে কোম্পানিতে পরিণত হতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবুও নিত্যনতুন গুজব ছড়িয়ে শেয়ারটির দর বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস নিয়েও কারসাজি করে যাচ্ছে মিয়া মামুন চক্র।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ওই বছর পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ইস্যু করে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠানটি। ধানের কুঁড়া থেকে তেল উৎপাদন ও বাজারজাত করে এমারেল্ডের স্পন্দন ব্র্যান্ড সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। তবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির মাত্র দুই বছর পরেই বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার কারণে ২০১৬ সালের ২৭ জুন থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এ মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে যায় এমারেল্ডের মালিকপক্ষ।
সূত্র জানায়, এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মালিকপক্ষের পালিয়ে যাওয়ার খবরের সুযোগ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে মিনোরি বাংলাদেশের মালিক মিয়া মামুন। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় তাঁর এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার নিয়ে কারসাজির পরিকল্পনা। তখন থেকেই কম মূল্যে কিনতে থাকে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার। এক্ষেত্রে নিজের ঘনিষ্ঠজনদের ব্যবহার করেন মিয়া মামুন। বিভিন্ন নামে-বেনামে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার কেনা সম্পন্ন হলে শুরু করে কারসাজির দ্বিতীয় ধাপ।
দ্বিতীয় ধাপে কৌশলে জাপানের কোম্পানি মিনোরিকে যুক্ত করা হয় এমারেল্ড অয়েলের মালিকানায়। শেয়ারবাজারে এই তথ্যটি ছড়িয়ে কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয় কোম্পানিটির শেয়ারদর। কয়েক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায় ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে- মূলত শেয়ার কারসাজি করতেই এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকানায় এসেছে মিয়া মামুন।
জানা গেছে, এমারেল্ড অয়েলের সম্পদ নিলামে বিক্রি করতে বেসিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে অর্থঋণ আদালত। এর প্রেক্ষিতে একবার নিলামও করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকটি। তবে কেউ নিলামে অংশ নেয়নি। ফলে আইন অনুযায়ী পুণরায় নিলাম করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বেসিক ব্যাংক। এরপরও এমারেল্ডের সম্পদ বিক্রি না করতে পারলে তা ভোগদখল করবে ব্যাংকটি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি কোম্পানির কোন সম্পদ নেই জানা সত্ত্বেও কোম্পানিটি কেনার একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে শেয়ারদর নিয়ে কারসাজি করা। তাঁরা বলছেন, মিনোরি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে ইতিমধ্যেই কোম্পানিটির শেয়ারদর আকাশচুম্বী করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মিয়া মামুন কোটি কোটি টাকা হাঁতিয়ে নিয়েছে। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এদিকে এমারেল্ড অয়েলের ৩৮ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক হলেও কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে নাম নেই মিয়া মামুনের।
বেসিক ব্যাংক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থসংবাদকে বলেন, এমারেল্ড অয়েলের নতুন পরিচালনা পর্ষদকে ঋণ পরিশোধে অগ্রসর হওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়। বর্তমান পর্ষদ শর্ত দিয়েছে সুদ মওকুফ ও পুনঃতফসিলের আবেদন নিষ্পত্তি করতে। এমন অবস্থায় ব্যাংকের নিয়মাচার অনুযায়ী দলিলাদি সম্পাদন এবং সোলেনামার মাধ্যমে মামলা স্থগিতের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আইনি জটিলতা নিরসনের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে একাধিক চিঠি এবং আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বর্তমান পর্ষদ প্রয়োজনীয় সহায়তা না করায় এবং আইনী জটিলতা থাকায় ঋণটি পুনঃতফসিল করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করার পর নতুন করে ফু-ওয়াং ফুড নিয়ে খেলছে মিয়া মামুন চক্র। এক্ষেত্রেও জাপানি প্রতিষ্ঠান মিনোরি বাংলাদেশের বিনিয়োগের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। সম্প্রতি ফু-ওয়াং ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদেও যোগ দিয়েছেন আলোচিত মিয়া মামুন।
মিয়া মামুনের জন্ম চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে। ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৮ সালে সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০০ সালে জাপানে পাঁড়ি জমান মিনোরির এই উদ্যোক্তা। ২০০৮ সালে পড়াশোনা শেষ করে তিন বছর চাকরি করেন। পরবর্তীতে জাপানে গড়ে তোলেন মিনোরি নামের কোম্পানি।
এসএম

অন্যান্য
জাকসুর ভোট গণনা শেষ হতে পারে বিকেল ৪টায়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা বিকেল ৪টায় শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য ড. লুৎফুল এলাহী।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ তথ্য জানান।
লুৎফুল এলাহী জানান, এখন পর্যন্ত তিনটি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। সারারাত ভোট গণনা চলেছে। দ্রুত গণনা সম্পন্ন করতে সকালে অভিজ্ঞ লোকবল আনার চিন্তা করছে কমিশন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। তবে নির্ধারিত সময়ের বাইরে, শেষ মুহূর্তে ভোটারদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ও তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোট শেষ হতে দেরি হয়। পরে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা শুরু হয়। আর সেই দৃশ্য এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা।
অন্যান্য
নির্বাচনের জন্য দেড় লাখ পুলিশকে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা দেড় লাখ বা তারও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেব।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে, আসন্ন নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে।
ডিআইজি জিয়া উদ্দিন জানান, পুলিশ সদর দফতরের মানবসম্পদ (এইচআর) উন্নয়ন বিভাগ গত তিন মাসে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে মোট নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআর)-এর নেতৃত্বে এই কোর্সটি ডিজাইন করা হয়েছে, যা নির্বাচনকালীন যেকোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করতে পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুত করবে বলে তিনি আশাবাদী।
এই প্রশিক্ষণের জন্য দেশের ১৩০টি ছোট এবং চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহার করা হবে। প্রশিক্ষণকে আরও কার্যকর করতে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট এবং একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি বুকলেটও বিতরণ করা হবে।
ইতোমধ্যে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার পুলিশ সদর দফতরে মডিউল অনুযায়ী ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে দেশের ১৯টি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১,২৯২ জন ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স’ (টিওটি) তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এই মাস্টার ট্রেইনাররাই পরবর্তীতে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
এই প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বাস্তবমুখী মহড়া। পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব ট্রেইনারকে বাস্তবমুখী মহড়া প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা তাদের হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা দেবে।
আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এই ব্যাপক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য
শেষ কার্যদিবসে সূচকের পতন, সামান্য কমেছে লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে টাকার অংকে সামান্য কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৭ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৩ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে ১২৩০ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৩ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমে ২১৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ১ হাজার ৩৩৮ কোটি ৫৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ কোটি ৫৬ লাখ ৬২ হাজা টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৫টি কোম্পানির, বিপরীতে ১৪৫ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
কাফি
অন্যান্য
২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৪ কোটি ডলার

চলতি (আগস্ট) মাসের প্রথম ২৩ দিনে ১৭৪ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার ৩৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, আগস্টের ২৩ দিনে ১৭৪ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৯ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
এর আগে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আসে, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তবে ওই মাসে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল: জুলাইয়ে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের পথ সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
অন্যান্য
৭ জেলায় ঝড়-বজ্রবৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা

দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এছাড়া সাত জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়া হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য জারি করা সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝেড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া অফিসের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সোমবারের (২৫ আগস্ট) মধ্যে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।